আসসালামু আলাইকুম,

সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন,আমিও ভাল আছি তার অশেষ রহমতে।

আমরা মাছে ভাতে বাঙালি হলেও বিকেল বেলার নাস্তা হিসেবে আমাদের কিন্তু কোন না কোন একটা কিছু চায়ই চাই। এটা যেন আমাদের একটি রোজকার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। বিকেলবেলা আমরা একেক জন একেক ধরনের নাস্তা খেতে পছন্দ করি।সেটাও কিন্তু বিভিন্ন মৌসুমে ভিন্ন প্রকৃতির হয়ে থাকে। যেমন গরমের দিনে যে ধরনের নাস্তা খেতে পছন্দ করে থাকি শীতের দিন কিন্তু ব্যতিক্রম হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই শীতের দিনে আমরা বিভিন্ন ধরনের শীতের পিঠা খেতে ভালবাসি পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন ধরনের ঝাল নাস্তা খেতেও অধিক পছন্দ করি।

তাই আজ আমি আপনাদের সামনে একটি মৌসুমী নাস্তার রেসিপি তৈরী করার চেষ্টা করব। আজ আমি আপনাদের সাথে আলু দিয়ে সরষে ফুলের পাকোড়া তৈরি করে দেখাবো। যেহেতু সরষে ফুল সরিষা মৌসুম ছাড়া সব সময় পাওয়া যায় না তাই আমি এই সুযোগটি হাতছাড়া করতে চাইনি।

তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন আজ আমি কিভাবে আমার রেসিপিটি তৈরি করেছি তা আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করছি।

🔥উপকরন সমুহ🔥
কিছু পাতাসহ সরষে ফুল
চিকন করে কেটে নেওয়া চার-পাঁচটি আলু
এক চামচ আদা বাটা
রসুন বাটা এক চামচ
একটা ম্যাজিক মসলার প্যাকেট
লবণ পরিমাণমতো
আধ কাপ পানি
চার-পাঁচটি কাঁচামরিচ কুচি

🔥প্রস্তুত প্রক্রিয়া 🔥

প্রথম ধাপ

প্রথমে আমি সরিষাফুল গুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেব এবং আলু, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচগুলোকে ধুয়ে কুচি করে কেটে নেব। সবগুলো উপকরণ একটি প্লেটে নিয়ে নেব।

দ্বিতীয় ধাপ

এখন আমি আলু ও সরিষা ফুলের সাথে সবগুলো উপকরণকে যেমন : আদা বাটা, রসুন বাটা,পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, সরষে ফুল ও চালের গুড়া সাথে সামান্য পানি দিয়ে সুন্দর করে মেখে নেব।

তৃতীয় ধাপ

এ পর্যায়ে আমি সরষে ফুলের পাকোরা বানানোর জন্য একটি কড়াই চুলায় বসিয়ে নিয়েছি এবং এর মধ্যে পরিমান মত তেল দিয়ে দিয়েছি গরম হওয়ার জন্য।

চতুর্থ ধাপ

তেল গরম হয়ে যাওয়ার পর এখন আমি পকোড়া তৈরি করার জন্য আমার আগের মেখে রাখা আলু দিয়ে সরষে ফুলের ময়ান থেকে আমি কড়াইয়ে একটু একটু করে দিতে থাকব, এখন আমার পুরো কড়াইয়ে দেওয়া শেষ।

পঞ্চম ধাপ

একপিঠ লালচে- লালচে হওয়ার পর আমি আরেকটু ভালো করে হওয়ার জন্য পাল্টে দিয়েছি।

ষষ্ঠ ধাপ

এখন আমার পকোড়ার উভয় পিঠই ভাল করে হয়ে গিয়েছে। পকোড়া হয়ে যাওয়ার পর আমি তাড়াতাড়ি চুলা থেকে নামিয়ে নেব, কেননা একটু দেরি করলে এগুলো পুড়ে যেতে পারে আর পুড়ে গেলে তো বুঝতেই পারছেন খেতে ভালো লাগবে না। তাই এই সময়টা চুলো থেকে দূরে যাওয়া যাবেনা এবং খুব মনোযোগ দিয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

শেষ ধাপ

এখন তৈরী হয়ে গেল আমার গরম গরম সরষে ফুল ও আলু দিয়ে তৈরি করা পাকোড়া। এখন গরম গরম পরিবেশন এর পালা।

শীতের দিনে যেহেতু সর্ষেফুল উঠে তখন সব জায়গাতেই সর্ষেফুল পাওয়া যায়, আর সরিষা ফুলের উপরের অংশটা তে কখনো বীজ হয় না, এটা ফুল হিসেবেই থেকে যায় তাই এটা সহজেই যে কোন বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।

তাহলে আজকের মত এখানেই শেষ করলাম। জানিনা আমার এই রেসিপিটি আপনাদের কেমন লাগলো। । অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এতক্ষণ কষ্ট করে আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে লেখাটি পড়ার জন্য। আর যাদের ভাল লাগেনি তাদেরও ধন্যবাদের সাথে অনুরোধ করছি আপনাদের মূল্যবান দিক-নির্দেশনা দিয়ে আমাকে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবেন। আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে পরবর্তীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব ইনশাআল্লাহ।

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।🌹

আমি @hseema" আমার বাংলা ব্লগের "একজন নতুন সদস্য। আমি একজন বাংলাদেশী ও ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান হিসেবে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আমি লিখতে, পড়তে, ছবি আঁকতে, নতুন নতুন রান্না করতে ও শিখতে ভালোবাসি। সর্বোপরি নিজেকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বদা সচেষ্ট থাকার চেষ্টা করি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।🌹🌹