ভারতবর্ষে স্ট্রিটফুড শুধু খাবারের নাম নয়, এটা একটা কালচার। এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো আপনি কোন 'পস রেস্টুরেন্টে' এ পাবেন না অথবা পেলেও সেটার স্বাদ একই রকম মজাদার হবে ন। সেইসব ক্ষেত্রে স্ট্রিট ফুডই ভরসা।
হ্যাঁ, আমি জানি স্ট্রিটফুড সবসময় হাইজেনিক না, স্বাস্থ্যকর না, আরও অনেক রকমের সমস্যা আছ। কিন্তু ভারতবর্ষের লাখে লাখে মানুষ এখনও তাদের দৈনন্দিন খাবারের জন্য স্ট্রিটফুড এর উপর নির্ভরশীল। তার বড় একটা কারণ হল স্ট্রিটফুড খুবই অল্প দামে পাওয়া যায়। এবং সবসময় স্বাস্থ্যসম্মত নয়, এটা খুবই ভুল কথা। এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো খুবই স্বাস্থ্যসম্মত এবং আপনি খুব অল্প টাকায়; দেখা যায় যে ১০-২০ ঢাকায় আপনার এক বেলার খাবার খেয়ে নিতে পারবেন।
আর যেটা বলছিলাম দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে স্ট্রিটফুড একটা কালচার। কারণ স্ট্রিটফুড খাবার খাওয়া মানেই আপনার কাছে টাকা নেই ব্যাপারটা এমন না বরং আপনি খাবারের মজাটা পেতে চাইছেন এবং ভিন্ন কিছু ট্রাই করতে চাচ্ছেন সেটা কি বুঝায়। স্ট্রিট ফুডের যে ভ্যারিয়েশন আর ভ্যারাইটি তা আর অন্য কোথাও পাওয়া দায়।
এই করোনাকালীন সময়ে স্ট্রিটফুড খাওয়া সেরকম হয়ে ওঠে ন। অথবা বলা চলে এড়িয়ে চলি হাইজিন এর ব্যাপারটা মাথায় রেখে।
কিন্তু মাঝে মাঝে যখন স্ট্রিট কার্ট / ভ্যান গুলোর সামনে দিয়ে যখন যাই, তখন মনে হয় যে একবার ট্রাই করব কিনা! সেরকমই এই কিছু দিন আগে অফিস থেকে ফিরে আসার সময় একটা কাবাবের কার্ট দেখে মনে হলো অনেকদিন থেকে কাবাব খাওয়া হয়না, তাই বসে পরলাম।
এই কাবাবের ভ্যানটা তে অনেক রকমের কাবাব ছিল। যেমন শিক কাবাব, বটি কাবাব, জালি কাবাব। এবং সেগুলো দিয়ে খাওয়ার জন্য লুচি অথবা পরোটা। আর সাথে ছিল অনেক মজাদার সস এবং সালাদ। আমি একটা জালি কাবাব আর একটা শিক কাবাব নিয়েছিলাম। সাথে দুটো পরোটা এবং সব সময়ের মতো খাবার টা অসাধারণ ছিল।
বটি কাবাব এর দাম ছিল বাংলাদেশী টাকা ৮০ টাকা, জালি কাবাব টা খুব সম্ভবত ১৫ অথবা ২০ টাক। আর পরোটা ১০ টাকা করে। এইতো, খুব অল্প দামের সেরে ফেললাম সন্ধ্যার খাবার।
আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন যে পুরো ভ্যানটা কাঁচ দিয়ে ঘেরা এবং তার ভেতরেই তাদের উনুন এর ব্যবস্থা। তাই আমি বলবো যে তাদের খাবারটা যে খুব বেশি আন-হাইজেনিক সেটাও না। তবে আপনাকে রাস্তার উপরে বসে খেতে হবে সে কারণে হয়তো একটু ধুলোবালি পড়তে পারে খাবারে। এই যা। তবে খাবার খেয়ে আমার কোন পেটের গন্ডগোল হয়নি, তাই আমি বলব যে এটা খুব একটা খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল না।
অনেকদিন পর স্ট্রিট ফুড কাবাব খেয়ে ভালোই লাগলো। তাই ভাবলাম অভিজ্ঞতাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
- স্থান: বনশ্রী, ঢাকা
- লোকেশন লিংক: লিংক
- ছবি তুলেছি যে ডিভাইস দিয়ে: শাওমি নোট ৭ প্রো
স্ট্রিট ফুড মানেই জ্বিহ্বাতে পানি চলে আসা। লোভ সামলাতে না পারা। স্ট্রিট ফুড নিয়ে অনেক ভালো লিখেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সেটাই, স্ট্রিটফুড আসলে অনেক মজাদার আর মুখোরোচক । কিন্তু এই করোনাকালীন সময়ের জন্য খুব একটা খাওয়া হয়ে ওঠেনা । ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খাবার গুলো দেখে জিভে পানি চলে আসলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
স্ট্রিটফুড আসলেই অনেক মুখরোচক। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খাবার গুলো দেখেই জিভেতে পানি আসলো। ধন্যবাদ ভাল তথ্য দিয়েছেন ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই স্ট্রিটফুড অনেক মুখোরোচক। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি একসময় খুবই কাবাব খেতাম । ২০১৬ সালের পর থেকে আর রেস্টুরেন্টে খাই না, তাই কাবাবও আর খাই না এখন । শামি কাবাব, টিক্কা কাবাব আর শিক কাবাব খেয়েছি ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
২০১৬! আমি জানিনা কিভাবে আপনি এতদিন রেস্টুরেন্টে যাওয়া থেকে আপনাকে ধরে রেখেছেন। কিছু টিপস্ শেয়ার করলে উপকৃত হব। কেননা আমি অনেকবার জাঙ্ক ফুড, রেস্টুরেন্ট এ আর টাকা নষ্ট করবোনা ভাবি কিন্তু তারপর যে কে সেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit