আজকের ব্লগ: ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বুধবার)
শীতের আহ্বানে দুর্গাপুরের প্রভাত
সকালের রোদ যখন জানলার কাচে গিয়ে ঠেকে, তখনই বুঝতে পারি শীতের রাজত্ব আবারও শুরু হয়েছে। ঠান্ডা হাওয়ার স্পর্শে শরীর জিহ্বা কাঁপছে। কিন্তু মনে এক অদ্ভুত আনন্দ। বুঝি, প্রকৃতি আবার নতুন রূপে সাজতে চলেছে।
দুর্গাপুরের শীতের সকাল মানেই চা বিক্রেতাদের কেটলির সিটি, ঘুমন্ত শহরকে জাগানো পাখির কলকাকলী, আর রাস্তার ধারে ধারে গরম ভাতের ঠেলাগাড়ি থেকে ভেসে আসা চমচ দিয়ে ভাত খাওয়ার মিষ্টি শব্দ।
এই মৌসুমে দুর্গাপুরের সৌন্দর্য এক অন্যরকম মাত্রা পায়। পার্কগুলির ফুলগুলো রঙে রঙে জ্বলে ওঠে। দামোদর নদীর ধারে শিউলি ফুটে সৌরভ ছড়ায়। আর অলক্ষে কোথাও থেকে এক ঝাঁক পাখি উড়ে যায় আকাশে, যেন তারাও শীতের আনন্দ উপভোগ করছে।
শীতের সকাল মানেই আরও কিছু অভ্যাসের সূচনা। গরম কাপড় পরা, গরম চায়ের স্বাদ উপভোগ করা, আর রোদে বসে আড্ডা দেওয়া। এই সব ছোট ছোট মুহূর্তে আছে এক অন্যরকম আনন্দ।
তবে, শীতের সঙ্গে দুর্গাপুরের রাস্তায় বাড়ে ভিক্ষুকদের সংখ্যাও। ঠান্ডা হাওয়ায় তাদের কষ্ট আরও বেড়ে যায়। এই মৌসুমে তাদের কাছে হাত বাড়ানো আমাদের সবারই কর্তব্য।
শীতের সকালের এই সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি আমাদের দায়িত্বও আছে। পরিবেশ দূষণ রোধে সচেতন হতে হবে। গাছপালা রোপণ, কম জ্বালানি ব্যবহারের মতো ছোট ছোট পদক্ষেপ নিতে হবে।
আসুন, শীতের এই আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করি, দায়িত্ব পালন করি, আর একে অপরকে সাহায্য করি।
আপনার মনে শীতের সকালের কোন স্মৃতি আছে? নিচে কমেন্টে জানান!