সাধারণত এটি কম বয়সী বাছুরের বিশেষ করে এক মাসের কম বয়সের বাছুরের খুবই মারাত্মক একটি রোগ। ইসকারিসিয়া কোলাই ( E.Coli ) নামক ব্যকটেরিয়া এ রোগের প্রধান কারণ। এ ছাড়াও আরও কিছু জীবাণু এরোগ সৃষ্টি করতে পারে। এ রোগে বাছুর হটাৎ করে সাদা বর্ণের পাতলা পায়খানা করতে থাকে এবং খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে।
@ লক্ষন সমুহঃ
দুর্গন্ধযুক্ত সাদা বর্ণের চাল ধোয়া পানির মত পাতলা পায়খানা হয় ।
প্রথম দিকে শরীরে জ্বর থাকে পরবর্তীতে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়েও কমে যায়।
বাছুরের খাবার রুচি কমে যায় এবং ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ে।
পেট ব্যাথা হয় ফলে বাছুর পিঠ বাকা করে রাখে।
গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়।
লেজের গোড়ায় পায়খানা লেগে থাকে, অনেক সময় পায়খানার সাথে রক্ত দেখা যায়।
আস্তে আস্তে বাছুর দুর্বল হয়ে যায় এবং অবশেষে মারা যায়।
@ চিকিৎসাঃ
নিম্নলিখিত ঔষধ ব্যবহার করতে হবে
ইনজেকশন সালফাডিমিডিন প্রতি 50 কেজি দৈহিক ওজনের জন্য 15-30 মিলি করে মাংসে বা চামড়ার নিচে বা শিরায় ইনজেকশন দিতে হবে। দ্বিতীয় দিন থেকে উক্ত মাত্রার অর্ধেক হিসেবে পর পর 3 থেকে 5 দিন প্রয়োগ করতে হবে।
এছাড়াও সাথে trisulfa s blus ও metronidazol bolus প্রতি 50 কেজি দৈহিক ওজনের জন্য 1 টি এর পর দিন থেকে এর অর্ধেক মাত্রায় 3 থেকে 5 দিন
খাওয়াতে হবে।
যদি বাছুরের পেটে ব্যথা থাকে অথবা খুব বেশী পাতলা পায়খানা হতে থাকে তবে উপরোল্লিখিত যে কোন একটি ঔষধ এর পাশাপাশি প্রতিটি বাছুর কে atropen sulfet. 2 মিলি চামড়ার নীচে প্রয়োগ করতে হবে
এ রোগ থেকে সেরে ওঠার পর বাছুর দীর্ঘদিন দুর্বল থাকে সে খেত্রে জীংক ও ভিটামিন বি কম্পেলেক্স দিলে খুব তাড়াতাড়ি সবল ও বাছুরের সাস্থ ভালো হবে।
আশাকরি উক্ত বিষয়ে সকলেই উপকৃত হবেন।
Imrankhanrang