গতকাল শেষ যেখানে হয়েছিল , আজ তারপর থেকে শুরু করছি। আমরা চার পাগলি গুগল ম্যাপ অনুসরণ করে হাঁটছি। মাঝ পথে কোল্ড ড্রিংকস খাওয়া হলো। জাকিরা কোল্ড ড্রিংকস খায়না। ও লেবু জল খেলো। আমরা একটা মোড়ের মাথায় এসে দাড়িয়ে পড়লাম। অনেকটা পাঁচ মাথার মোড় বলা যেতে পারে। চারদিকে গাড়ি আর গাড়ি । ওখান থেকে দাঁড়িয়ে দেখতে পেলাম একটা বিল্ডিং।
লেখা আছে বিড়লা প্ল্যানেটরিয়াম। দেখেই মন টা ধড়াস করে উঠলো। ছোটবেলায় খুব সখ ছিল এখানে আসার। নানান সময় সুযোগের কারণে এখানে আসা হয়নি। বিড়লা তারামণ্ডলে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি নকশা প্রস্তুতির জন্য একটি ইলেকট্রনিক লাইব্রেরী আছে ।এছাড়া একটি জ্যোতির্বিজ্ঞান গ্যালারি এবং চিত্রকলা ও বিশিষ্ট বিজ্ঞানী দের মূর্তিও রয়েছে ।এখানে একটি মহাকাশ অবজারভেটরি আছে ।বেশ অনেকজন মিলে এখানে অনুষ্ঠান দেখতে পারে।
আর এই মহাকাশ দেখার প্রবল ইচ্ছাতেই ছোটবেলা থেকে খুব শখ ছিল এখানে আসার। কিন্তু আজ অব্দি সেটা হয়ে ওঠেনি। তাই বিল্ডিংটা চোখে পড়তেই মনটা ভারী হয়ে আসলো। কিন্তু আমাদের গন্তব্যস্থল তো ক্যাথেড্রাল চার্চ। চোখের সামনে থাকলেও অনেক কিছু দেখতে পাওয়া যায় না। আর আমাদের দুর্দশা অনেকটা সে রকম হয়েছিল । ম্যাপে বারবার দেখাচ্ছিল মাত্র আর এক দুই মিনিটের পথ।তারপরে আমরা চার্চে পৌঁছে যাব।
কিন্তু আমরা কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না চার্চ টা কোথায় ।আসলে পাঁচ মাথা মোড়ে এসে আটকে গিয়েছিলাম। আমি দূর থেকে একটা সাদা বিল্ডিং দেখতে পেলাম ।কিন্তু বিল্ডিংটা এতই সাদা চকচক করছিল ,আমি বুঝতে পারছিলাম না ।ওটা চার্চ কিনা ।আসলে ক্যাথিড্রাল চার্চ এর ছবি আমি গুগলে যা দেখেছি, চার্চ টা বেশ পুরনো লাগছিল। সাদা ধবধবে হবে এটা আমি ভাবতে পারিনি।
তারপরে জিজ্ঞেস করতেই হল ওখানকার একজনকে ।একজন দোকানদারকে জিজ্ঞেস করাতে উনি ওই সাদা বিল্ডিং এর দিকেই ইঙ্গিত করলেন। আর তখন বুঝতে পারলাম আমরা সত্যি সত্যিই অন্ধ ।এত কাছে দেখতে পেয়েও জিনিসটাকে চিনতে পারছিলাম না ।চারজন মিলে সাবধানে রাস্তা পার হলাম। পাঁচ মাথার মোড় বলে রাস্তাটা ভীষণ জনবহুল ছিল এবং সাথে গাড়ি প্রচণ্ড পরিমাণে যাতায়াত করছিল ।
তারপর ধীরে ধীরে চার্চের এরিয়ার ভেতরে প্রবেশ করলাম ।গেটটা পেরোতেই পাশে এন্ট্রি টিকিট কাটতে হলো ।মাত্র ১০ টাকা করে পার হেড। আমরা টিকিট কাটার পরে যখনই চার্চের সামনে পৌছালাম, মনটা যেন শান্তিতে ভরে গেল। এত সুন্দর দেখতে জায়গাটা যে বলে বোঝাবার নয়। চার্চের সামনেটা ভীষণ সুন্দর ।আমার শহর কৃষ্ণনগরের ক্যাথলিক চার্চ রয়েছে ।ওই ক্যাথলিক চার্চ এ আমি প্রচুর পরিমাণে যাই।
আসলে যেহেতু আমি মিশনারি স্কুলে মাধ্যমিক অব্দি পড়েছি, আর ওই স্কুলটা ওই চার্চের আন্ডারে ছিল ।তাই আমাকে কৃষ্ণনগরের ওই চার্চ এ মাঝেমধ্যেই যেতে হতো। আমরা সবাই লাইন করে চার্চের মধ্যে প্রবেশ করতাম ।ছোটবেলার স্মৃতিগুলো বেশ তাজা হয়ে গেল এই চার্চের সামনে এসে।
এবার চারমূর্তির পাগলামি শুরু হলো। আমরা এক জায়গায় যাব। আর ছবি তুলবো না তা হয়। না না। জায়গার ছবি পরে হচ্ছে। নিজেদের ছবি তো আগে দরকার। ইচ্ছা মতো চারজন ফটোশুট করা শুরু করলাম। এক একজনের এক এক বাহানা ।কেউ ডানদিকে বেঁকে,কেউ বা দিকে বেঁকে, কেউ পেছন ঘুরে হাটতে হাঁটতে ,কেউ আবার সামনের দিকে তাকিয়ে ,কেউ আবার পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ডটাকে সমুদ্র মনে করে নানা ভঙ্গিতে ছবি তোলা শুরু হলো।
আর এসব দেখে আশেপাশের মানুষজন কি মনে করছিল তাতে আমাদের একদম যায় আসছিল না। চার্চের সামনে ভীষণ ভালো ভালো কিছু ছবি তুললাম ।নিজের গুলোই বেশি পরিমাণে শেয়ার করছি এখানে ।যাইহোক আমাদের সাথে সাথে আরো অনেকেই ছবি তুলছিল। কিন্তু একটু দুপুরের দিকে যাওয়াতে আমরা জায়গাটা বেশ ফাঁকা পেয়েছিলাম ।তাই ছবি তুলতে সুবিধা হচ্ছিল।
ছবির পার্ট শেষ করার পরে তারপরে আমরা চার্চ এর ভেতরে ঢুকেছি ।সেটা নিয়ে না হয় পরের দিন বলব ।আজকে এই অব্দি রাখছি। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
helloo @isha.ish nice to meet you ,,,i am from india ,,,can you give me your discord i have a few doubt to ask
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
isha.ish#1680
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তারপর চার পাগলির খবর তো সেইরকম ৷ আজকেও চোখে পরে গেলো চার পাগলির কান্ড কারখানা ৷বন্ধুর বয়ফ্রেন্ড ধোকা দিয়েছে বলে কিন্তু অনেক জায়গায় ঘুরতে যাওয়া নয়তো যাওয়াই হতো না ৷
পাচ মাথার মোড়ে গিয়ে শেষ মেষ চার্চ দেখতে পেয়েছেন ৷ তারপর চার পাগলি অপেক্ষায় রইলাম পরের চার্চের ভিতরের কি হয়েছিল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই দিন আপনারা চারজন বান্ধবী মিলে কোলড্রিংস খাওয়ার পরিকল্পনা করলেন কিন্তু বন্ধু না খাওয়াতে লেবু জল দিলেন তাকে। পরবর্তীতে সাদা বিল্ডিং এ প্রবেশ করা সব মিলিয়ে খুব সুন্দর ভাবে দিনটি কাটিয়েছেন ।ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit