আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। এই প্রথম নিজে থেকে চেষ্টা করে একটি গল্প লেখার চেষ্টা করছিলাম। অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করে আসছি কিন্তু সেভাবে হয়ে ওঠে না সময় বা গল্পের বিষয়বস্তু। আজকে হঠাৎ লেখা শুরু করে দিলাম লিখতে লিখতে মোটামুটি কিছুটা মনে হচ্ছে যে লিখতে পারছি, তাই গল্পের প্রথম পর্বটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদিও খুবই সাধারন একটি গল্প, যেহেতু প্রথম লিখছি তাই গল্পের সেরকম আপনাদেরকে মজা হয়তো দিতে পারবো না কিন্তু আমি আমার মত করে চেষ্টা করেছি এই গল্পের মাঝে কিছুটা হলেও আপনাদের মন জয় করতে।
আমি আজকে আপনাদেরকে যে গল্পটি শেয়ার করব সে গল্পটির নাম হচ্ছে নিরক্ষরতা ও দারিদ্রতার বেড়াজাল। এই গল্পটির মাধ্যমে আমি একটি দরিদ্র পরিবারকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এবং সেই পরিবারের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। তাহলে চলুন আপনারা সবাই আমার আজকের এই গল্পটি পড়ে আসবেন, আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। গল্পটা পড়ে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন কেমন হয়েছে কারণ আপনাদের মন্তব্যের উপরেই নির্ভর করবে আমার আরো গল্প লেখা উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা।
"শিক্ষা ও দরিদ্রতার বেড়াজাল"
সখিনা একজন প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামের অতি সাধারণ ও খুবই দরিদ্র একটি মেয়ে। বাবা একজন দিনমজুর, মা মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে। বাবা মার একমাত্র সন্তান সখিনা। সকিনার বাবার নাম সামসু মিয়া আর সকিনার মায়ের নাম হল আদুরী বেগম। দুজনের খুবই ছোটখাটো সাজানো একটি সংসার। একটি মাত্র মেয়েকে নিয়ে তাদের এই সংসার। দুজনে অনেক পরিশ্রম করে। সামসু মিয়া সেই সকালে কাজে বেরিয়ে যায় ফিরে সন্ধ্যায় আর আদুরী বেগমও কাজে বেরিয়ে যায় ফিরে সেই রাতে। দুজনেই মেয়েকে খুব একটা সময় দিতে পারে না। সখিনা বাড়িতে থাকে তার দাদা দাদির সাথে। যেহেতু সখিনা তাদের একমাত্র নাতনি তাই অনেক আদরের দুলালী তাদের জন্য। সংসারে তাদের অনেক অভাব অনটন। যতই সামসু মিয়া ও আদুরি বেগম পরিশ্রম করে না কেন, তাদের সংসার চালানো অনেকটা হিমশিম খেতে হয়।
যেহেতু সামসু মিয়া একজন দিনমজুর বেশিরভাগ সময় তার কাজ থাকে না, অনেক চেষ্টা করে কাজ পাওয়ার জন্য। কিন্তু এমনও অনেক দিন যায় কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। এদিকে আদুরী বেগম মানুষের বাড়ি বাড়ি অনেক কঠিন পরিশ্রম করে যা কামাই করে নিয়ে আসে তা দিয়ে তাদের কোনরকম সংসার চলে। শত অভাবের মাঝেও তারা তাদের পরিবার নিয়ে অনেকটা সুখী। সখিনা দিন দিন বড় হচ্ছে। দিনমজুর বাবা মার অনেক স্বপ্ন যত কষ্টই হোক সখিনাকে লেখাপড়া শেখাবে। কারণ তারা চায় না যে তাদের মত তাদের মেয়ে সারাটা জীবন কষ্ট করুক। আর এইজন্যেই তারা তাদের মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়।
প্রথম প্রথম সখিনা বেশ ভালোভাবেই স্কুলে যাওয়া আসা শুরু করল। যতই দিন যাচ্ছে সখিনার লেখাপড়ার প্রতি খুব একটা মনোযোগ নেই কারণ তাকে গাইড দেওয়ার মত কোন লোক ছিল না, সে তার মত করেই স্কুলে যাচ্ছে আর আসছে। সামসু মিয়া তার মেয়েকে প্রাইভেট পড়াবে সে সামর্থ্য তার নেই। এদিকে মেয়ের স্কুল থেকে বারবার তাদের ডাকা হচ্ছে কারণ তার মেয়ে প্রায় স্কুলে যায় না লেখাপড়াও খুব একটা পারে না। সামসু মিয়া একদিন সুযোগ করে মেয়ের স্কুলে যায়। মেয়ের স্কুলের মাস্টার সামসু মিয়াকে তাদের মেয়ের বিষয়ে বলে এবং তাদের মেয়েকে গাইড করার জন্য বলে, কিছুটা রাগান্বিত সুরে বলে সামসু মিয়া একটু কষ্ট পেয়ে যায়। তারপর সামসু মিয়া বাড়ি ফিরে এসে মেয়ের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে।
মেয়েকে বকাঝকা করে এতে করে মেয়েটিও আরো কষ্ট পেয়ে যায়। এখানে সামসু মিয়া মেয়েকে কিভাবে গাইড করবে সে তো লেখাপড়ায় জানে না তাই সে চিন্তা করে লেখাপড়া দিয়ে কি হবে, মেয়ে মানুষ লেখাপড়া না করলে কোন সমস্যা নেই একটু বড় হলে বিয়ে দিয়ে দেব শ্বশুরবাড়ি চলে যাবে, তখন তার ভিতরে এই চিন্তাগুলো কাজ করছিল। এভাবেই তাদের দিন যাচ্ছিল মেয়েটি পড়ালেখার প্রতি সম্পূর্ণভাবে মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। তার এখন আর স্কুলে যেতেই মন চায় না তার বাবা মাও তাকে আর জোর করে না।
হঠাৎ একদিন আদুরি বেগম কাজ থেকে ফিরে আসার সময় রাস্তায় অ্যাক্সিডেন্ট করে মারা যায়। তাদের সংসারে নেমে আসে ঝড়, মাকে হারিয়ে সখিনা এখন পুরো অসহায়। এদিকে স্যামসু মিয়া তার বউকে হারিয়ে কিছুটা অসহায় বোধ করে নিজেকে। এভাবে বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর সামসু মিয়া নিজেকে একা একা বোধ করতে থাকে। সে আবার চিন্তা করতে থাকে এভাবে একা জীবন চলে না, তার বন্ধুরাও তাকে এ ব্যাপারে উৎসাহ দিতে থাকে এর ফলে সে চিন্তা ভাবনা করে আরেকটি বিয়ে করার। এভাবেই তাদের জীবন অতিবাহিত হচ্ছিল।
হঠাৎ একদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে সামসু মিয়া বিয়ে করে নিয়ে আসে। এই দৃশ্য দেখে সখিনা তার দাদা-দাদী অনেক বেশি কষ্ট পায়। সখিনা এখন অনেকটা বড় হয়েছে সে অনেক কিছু বুঝতে শিখেছে। কিন্তু সখিনার সৎ মা সখিনাকে দুই চোখে দেখতে পারেনা।
সখিনার ব্যাপারে পড়ে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে। সখিনা পরিবারের একমাত্র মেয়ে ছিল সে তার মাকে হারিয়েছে সত্যি খুবই খারাপ লাগলো বিষয়টি। এরপরে তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছিল। কিন্তু সৎ মা সখিনাকে দেখতে পারত না। আসলে এরকম ঘটনা বাস্তবে অহরহ উঠে যাচ্ছে। তারা অভাব অনটনে থাকলেও কিছুটা সুখী ছিল। যাইহোক এমনিতে প্রথম পর্ব টা খুবই সুন্দরভাবে লিখেছেন। পরের পর্বে কি হবে তা জানার জন্যই অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন পরবর্তী পর্ব সবার মাঝে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু চেষ্টা করব খুব শিগগিরই দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আমার গল্পটি এতটা মনোযোগ সহকারে পড়ে খুবই গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দরিদ্র জীবনের সব কিছু কেড়ে নেয় আর এটাই সত্য ৷ একজন গরিব পরিবারের সন্তান পারে না তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে ৷ পারে না স্বাধীন মতো কোনো কিছু করতে ৷ যেটা ঘটেছে গল্পে সখিনার ক্ষেতে ৷ সে সংসারে অভাব হওয়াতে পড়ালেখা করতে পারলো না ৷ আবার দিনশেষে তার মাও মারা গেলো ৷ এরপর. তার বাবা আবার বিয়ে ৷ নিশ্চিত সখিনার জীবনে একটা বড় অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে ৷ যা হোক পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা ৷
প্রথম গল্প লিখেছেন তারপরেও মন্দ হয় নি ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাইয়া আপনাদের এতটা উৎসাহ অনুপ্রেরণায় এই গল্প লেখার সাহস পেয়েছি। আর আমার এই গল্পটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এবং পুরো গল্পটি পড়ে আপনি খুবই গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে এতটা উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমত সখিনা তার মাকে হারিয়ে অনেক কষ্টের মধ্যে আছে তারপর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছে আর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সেই সৎ মা তাকে দুচোখেও দেখতে পারে না। পরবর্তী অপেক্ষায় রইলাম আপু ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাই আপনার মন্তব্য পড়ে বুঝতে পারলাম সখিনার জন্য আপনার খুবই খারাপ লেগেছে। আমার গল্পটি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে খুবই গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে রয়েছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চলের এ ধরনের ঘটনা গুলো অহরা ঘটে চলেছে। মানুষের অভাব অনটন এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে নিজের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। সখিনা প্রথমত ভালোভাবে স্কুলে যাও আশা করলেও পরবর্তীতে সামসু মিয়া তার গাইড কিনে দিতে পারেনা তাই তা লেখাপড়া টাও হয় না। আর গ্রামাঞ্চলে এভাবে ঝরে পড়ে হাজারো শিশুরা।সবমিলে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মন্তব্যটি পড়ে আমি সম্পুর্ন ভাবে বুঝতে পেরেছি আপনি খুব মনোযোগ সহকারে আমার গল্পটি পড়েছেন এবং সেই সাথে খুবই গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে এতটা উৎসাহ দিয়েছেন এই জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে এরকম একটা মর্মান্তিক ঘটনার কথা শুনে খুবই খারাপ লেগেছে। সখিনা তার বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে ও যদি ঠিকমতো পড়ালেখা করত তাহলেও ভালো হতো। কিন্তু তার পড়ালেখায় সেরকম মনোযোগ ছিল না এবং পরে তার বাবা-মা ও সেখানে আর জোর করে নাই। সখিনার মায়ের এরকম মৃত্যুর কথা শুনে খারাপ লেগেছে। এরপরে সখিনার বাবা আরেকটি বিয়ে করেছে তাহলে। সৎ মা সখিনাকে দু চোখে দেখতে পারেনা। যাইহোক পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বী ভাইয়া আমি আপনার মন্তব্যটি পড়ে সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পেরেছি সখিনার জন্য আপনার খুবই খারাপ লেগেছে। আসলে গল্পটি সখিনাকে নিয়ে লেখা। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার গল্পটি খুবই মনোযোগ সহকারে পড়ে খুবই গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কিছু কিছু গ্রাম অঞ্চলে এখনো এই ধরনের প্রথাগুলো দেখা যায় ।মেয়েদেরকে পড়ালেখা করানো যেন এখনো মানুষের মধ্যে অনীহা ।তাইতো এখানে সামসু মিয়া সখিনা কে গাইড কিনে দিতে চায় না এবং সখিনাও পড়ালেখা করতে পারে না ।আর একটা সময় তাদের মা মারা যাওয়ার কারণে তাদের পরিবার আরো বেশি ভেঙ্গে পড়ে। আর অন্যান্য মানুষের প্ররোচনায় বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ভালোই লেগেছে গল্পটি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু আমার গল্পটি পড়ে খুবই গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আপনি একদম ঠিকই বলেছেন এখনো অনেকগুলো গ্রাম অঞ্চল আছে যেখানে এই প্রথাগুলো চালু রয়েছে, আমাদের এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের চারপাশে সখিনার মতো এরকম হাজারো হাজারো মেয়ে রয়েছে। আমরা চাইলেও হয়তো তাদের প্রয়োজনটা মেটাতে পারবো না। কারণ তাদের পরিবারের কিছু মানুষরাই তাদেরকে ঘৃণা করে। আজকে তার মা না থাকার কারণে সৎ মা তাকে একটুও দেখতে পারে না। যদি তার মা বেঁচে থাকত তাহলে তার পড়াশোনায় কোন অসুবিধা হতো না। এরকমটা বেশিরভাগ গ্রামগুলোতেই দেখা যায়। কবে যে আমাদের সমাজটা এরকম রীতি থেকে বেরিয়ে আসবে কে জানে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে শিক্ষা নিয়ে একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরলেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার প্রথম গল্পটা আপনাদের কাছে এতটা ভালো লাগবে আমি কল্পনাও করিনি। আমি আপনাদের এই অসাধারণ ও গঠনমূলক মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে আমাকে এতটা অনুপ্রাণিত করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সামসু মিয়ার মত অনেকেই ভাবে যে মেয়েদের এত পড়াশোনা করে কি হবে একটু বড় হলে বিয়ে দিয়ে দিবে। সামছু মিয়া যদি তার মেয়েকে ভালোভাবে বুঝাতো তাহলে মেয়েটা হয়তো ভালোভাবে পড়াশোনা করার চেষ্টা করতো।এর মধ্যে তার মা মারা গেলো।বাবা নতুন বিয়ে করলো। যাই হোক পরে পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম আপু। জানার ইচ্ছা হচ্ছে যে এরপর সকিনার সাথে কি হতে চলেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার গল্পটি মনোযোগ সহকারে পড়ে খুবই গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। অপেক্ষার প্রহর শেষ করে দিয়েছি, দ্বিতীয় পর্ব দিয়ে দিয়েছি আশা করি পড়ে নেবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখনও যে বাংলাদেশে নিরক্ষর গ্রাম আছে সেটা কিন্তু আমি নিজের চোখে দেখেছি। আর এসব নিরক্ষর মানুষের জন্য ভাল ভাল ছাত্রছাত্রী গুলো তাদের জ্ঞান বিকাশ হতে বঞ্চিত হয়েছে। আপনার লেখা গল্পের মত সমাজে আজও অনেক সামছু মিয়া রয়েছে। যারা সন্তানের শিক্ষারি জন্য টাকা ব্যয় করতে চায় না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু এরকম অনেক সামসু মেয়ে রয়েছে যারা মেয়েকে শুধুমাত্র একজন ঘরের কাজে লোক হিসেবেই মনে করে, তারা তাদেরকে সুযোগ দিতে চায় না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার গল্পটি খুবই মনোযোগ সহকারে পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমেই বলবো আপনার গল্পটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। আর আপনি গল্প প্রথম লিখেছেন এটা বুঝা ই যায় না। সখিনার মতো এমন অনেক মেয়ে আছে যারা পরিবারের এমন ধারণার জন্য এখনও নিরক্ষর রয়ে যাচ্ছে। তবে ডিজিটাল যুগে এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পড়াশোনা সবারই করা উচিত। মেয়ে বলে পড়াশোনা করার দরকার নেই, বিয়ে দিয়ে দিবে এগুলো আদিযুগের চিন্তা ভাবনা। এখন যুগ পাল্টে গিয়েছে। মেয়েরাও পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমান তালে অগ্রসর হচ্ছে। তাই মেয়েদেরকেও প্রাধান্য দিতে হবে। তাহলে জাতি হিসেবে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো। যাইহোক যারা এমন চিন্তা ভাবনা করে,তাদের মেন্টালিটির পরিবর্তন হওয়া দরকার। আর যেন কোন সখিনা নিরক্ষর না থাকে সেই কামনা করছি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু। গল্পটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ভাইয়া। আসলে আমি এই প্রথমই গল্প লিখলাম এর আগে কখনো চেষ্টাও করিনি, তবে এবার গল্প লিখে বুঝলাম যে না মানুষ পারে না এমন কোন কাজ নেই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার গল্পটি এত মনোযোগ সহকারে পড়ে এতটা গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য। অপেক্ষার প্রহর শেষ ভাইয়া দ্বিতীয় পর্ব দিয়ে দিয়েছি সময় সুযোগ করে পড়ে নেবেন। আশা করি ভালো লাগবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান সময়ে দারিদ্রতা একটা অভিশাপ বলা যায়।কেননা গ্রামের দিকে মানুষ মেয়েদের কে উচ্চ শিক্ষিত করার চিন্তা ভাবনা করতেই পারেনা।সামসু মিয়া গাইড কিনে না দেওয়ায় এবং সখিনার মা হঠাৎ এক্সিডেন্ট করে মারা যাওয়ার এক পর্যায়ে পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায় সখিনার।পরবর্তীতে সামসু মিয়া আবার বিয়ে করার ফলে সখিনা কে আরও কষ্টে পড়তে হয়।কারণ সৎ মা ওকে একদমই দেখতে পারেনা।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিকই বলেছেন আপু দারিদ্রতা আসলে একটা অভিশাপ। কারণ দারিদ্রতা নিয়ে আমার বাবাও নিজেও এর ভুক্তভোগী তারপরও নিজের চেষ্টায় অনেকটা এগিয়েছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু খুবই মনোযোগ সহকারে আমার গল্পটি পড়ে গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য। আর অপেক্ষা করতে হবে না আপু দ্বিতীয় পর্ব দিয়ে দিয়েছি, সময় সুযোগ করে পড়ে নিবেন আশা করি ভালো লাগবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit