ভ্রমণ // হঠাৎ কোনো রকম পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই মিরপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণ।(পর্ব-৩)

in hive-129948 •  2 years ago 

দ্বিতীয় পর্বের পর থেকে

যেহেতু আমি এই প্রথমবারের মতো চিড়িয়াখানায় এসেছি তাই চিড়িয়াখানা সম্পর্কে আমার তেমন একটা ধারণাই ছিল না। আমি মনে করেছিলাম ছোট্ট একটা পরিসরে চিড়াখানাটি রয়েছে তবে সত্যি বলতে চিড়িয়াখানার মেইন ফটোকে যে মানচিত্রটি রয়েছিল সেটা দেখে অনেকটা আইডিয়া করতে পেরেছিলাম যে এ চিড়িয়াখানা অনেক বড় পরিসরে তৈরি করা হয়েছে। তাই একটা পশু পাখির স্থান থেকে আরেকটা পশু পাখির স্থান অনেকটা দূরেই স্থাপন করা হয়েছে। সেজন্যেই অনেকটা পথ হেঁটে যেতে হয় একটা শেষ করে আরেকটা দেখার জন্য। দুপুরে যেহেতু ক্লান্ত সবাই সকলেরই কম বেশি অনেক অস্থিরতা কাজ করতেছে তবে তার পরেও সবকিছু উপেক্ষা করে পশু-পাখি দেখা যে আনন্দ সেটা সেই কষ্টকে হার মানিয়ে দিল। তাই আমরা সবাই আবারো আস্তে আস্তে হাঁটতে হাঁটতে পরবর্তী পশুগুলো দেখতে চলে গেলাম এবং সেগুলো আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

20230728_104233_0000.png

  • *
    এবার আরো কিছুদূর হেঁটে যেতেই আমাদের চোখের সামনে নজরে পড়ল অনেক বড় একটি চিত্রা হরিণের দল যারা একসাথে অনেকটা দূরে অবস্থান করছিল। আমরা যে হরিণগুলোর ছবি তুলব সেরকম অবস্থায় ছিল না, তার কারণ হচ্ছে হরিণের যে স্থানটি ছিল বা যে খাচাটি ছিল সেটা অনেক বড় ছিল যার কারণে দর্শনার্থীরা হরিণগুলোকে অনেক দূর থেকে দেখতে পাচ্ছিলো। বেশ কিছুক্ষণ আমরাও সেখানে অপেক্ষা করলাম তারপর হরিণগুলো আস্তে আস্তে আমাদের কাছে চলে আসলো এবং তারা এসে সবগুলো একসাথে ঘাস খাচ্ছিল দেখতে বেশ ভালই লাগছিল।

IMG_20230728_104907.jpg

IMG_20230728_104842.jpg

IMG_20230728_104929.jpg

IMG_20230714_160336.jpg

  • *
    হরিণ দেখা মোটামুটি আমারা শেষ করে আবারো সামনের দিকে অগ্রসর হলাম। আরো সামনে গিয়ে আমাদের নজরে পড়ল আফ্রিকান সিংহের খাঁচা যেহেতু দুপুর বেলা ছিল তাই সিংহ দুটি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে শুয়ে রয়েছে হাটাহাটি অবস্থায় তাদের কোন ছবি উঠাতে পারিনি। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছিলাম কিন্তু তারা ঘুমাচ্ছে বিশ্রাম নিচ্ছে তাই আর সেখানে অপেক্ষা না করে কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম এবং সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।

IMG_20230728_105010.jpg

IMG_20230728_105021.jpg

IMG_20230714_161505.jpg

  • *
    তারপর আবারো আরো সামনে গিয়ে আমাদের নজরে পড়ল মিঠা পানির কুমির। যদিও পাশাপাশি জায়গায় লোনা পানির কুমির রয়েছে সেগুলোও আমরা দেখেছি তবে আমি মিঠা পানির কুমিরের কয়েকটা ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমি মনে করেছিলাম কুমিরগুলো অনেক বড় হবে কিন্তু এবারে খুব ছোট ছোট কুমির দেখতে পেলাম কিন্তু মানুষের কাছে যেটা শুনলাম আগে অনেক বড় বড় কুমির ছিল সেগুলো এখন আর নেই।

IMG_20230728_104954.jpg

IMG_20230728_104620.jpg

IMG_20230728_104808.jpg

  • *
    যাক মোটামুটি আমরা চিড়িয়াখানার মেইন ফটো দিয়ে ঢুকতে হাতের ডান পাশে যতগুলো পশু পাখির খাঁচা ছিল সেগুলো আমাদের দেখা হয়ে গিয়েছে এবার আমরা কিছুটা বাম পাশে গিয়ে আবারো সামনে এগিয়ে গেলাম তারপরে গিয়ে দেখতে পেলাম অনেকগুলো বানরের খাঁচা সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির বানর রয়েছে যদিও মেইন ফটকের সামনে কিছু বানর ছিল সেগুলো আমি প্রথম পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম অনেকগুলো বানর সেই সাথে অনেক হনুমান এবং ছোট ছোট বানরের বাচ্চা ছিল। বেশ লাফালাফি করছিল সেই সাথে দৌড়াদৌড়ি করছিল, আমাদের পরিবারের সকলের অনেক মজা হচ্ছিল এটা দেখে। তাই সেখান থেকে কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।

IMG_20230714_163948.jpg

IMG_20230714_164256.jpg

IMG_20230714_164501.jpg

  • *
    আসলে বানরের বানরামি দেখতে কিন্তু সকলেই কম বেশি পছন্দ করে তো মোটামুটি মেইন ফটকের বানরগুলো তেমন একটা উশৃংখল ছিল না কিন্তু এখানের বানরগুলো অনেক উশৃংখল ছিল এবং তারা অনেক লাফালাফি ও দৌড়াদৌড়ি করছে, সে সাথে হনুমান গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

তো বন্ধুরা আজ এই পর্যন্ত পরবর্তী পর্ব নিয়ে আবার হাজির হব সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সকলের জন্য শুভকামনা অবিরাম।

লোকেশন

চলবে............

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

আসলে মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরতে গেলে পরিকল্পনা ছাড়া যাওয়াই ভালো পরিকল্পনা করলে আর যাওয়া হয় না। চিড়িয়াখানায় গেলে অনেক জীবজন্তুর সাথে পরিচয় হয়। হরিণগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগছে আর এখানে দেখছি অনেক গুলো হরিণ। বানর কি দেখতে কেমন জানি লাগছে। মনে হয় অসহায় অসহায়।

সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

মিরপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করতে গিয়ে বেশ সুন্দর করে ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করেছেন। মিরপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করতে অনেক আগে গিয়েছিলাম। মিরপুর চিড়িয়াখানার বেশ কিছু নতুন জিনিস দেখলাম। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি আমিও ঘুরতে যাবো ইনশাআল্লাহ ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

সম্ভব হলে একবার গিয়ে ঘুরে আসবেন আশা করি আপনার কাছে ভালো লাগবে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মানচিত্র দেখেই চিড়িয়াখানার কিছুটা আয়ত্ত করা সম্ভব হয় কোথায় কি আছে। যাই হোক বেশ ভালই ঘোরাফেরা করেছেন চিড়িয়াখানার মধ্যে। অনেকগুলো পশু পাখির ফটো দেখে নিলাম।

সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই চিড়িয়াখানায় একটা পশুর খাঁচা থেকে অন্য একটা পশুর খাঁচা বেশ দূরে।তাইতো হেঁটে হেঁটে সবাই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল।তারপরে ও পশু পাখি দেখার আগ্রহ সবাইকে অনেকটা ই চালিত করেছিল।যাক আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষন ভালো লাগলো। ক্লান্ত হলেও সবাই খুব মজা করেছেন আশাকরি।ধন্যবাদ আপু আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

ক্লান্ত হয়ে গেল ও সবাই মিলে হাটার মজাটাই আলাদা। সবাই মিলে খুব আনন্দের সময় কাটিয়েছিলাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।