লাইফ স্টাইল || ছোট বোনের জন্মদিন উপলক্ষে কেনাকাটা

সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।

আজকে আপনাদের সাথে আমার ছোট বোনের জন্মদিনের কেনাকাটার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করবো। আমার ছোট বোনের জন্মদিন ছিল অক্টোবরের ২৫ তারিখে। এগুলো সেই দিন রাতের কিছু মুহূর্ত। আগে শেয়ার করতে একদমই মনে ছিল না। আজকে পোস্ট করতে গিয়ে তারপর দেখলাম ছবিগুলো রয়েছে তাই আজকে এগুলো শেয়ার করছি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

আমাদের বাসায় কারো বার্থডে কিংবা অন্য যেকোনো স্পেশাল ডে সেভাবে সেলিব্রেট করা হয় না। আমার আব্বু এসব একদমই পছন্দ করেন না। আমি ছোট থাকতে বেশ জোড় করে একবার আমার বার্থডে সেলিব্রেট করা হয়েছিল। এরপর আর কখনোই কেক কেটে সেলিব্রেট করা হয়নি। ফ্রেন্ড রা মিলে বাইরে করতাম। তাই এবারও আমার ছোট বোনের বার্থডে সেলিব্রেট করার তেমন প্ল্যান ছিল না। তবে ওর অনেক ইচ্ছা ছিল কেক কাটার। আম্মু কে বারবার বলছিলো বাসায় কেক বানানোর জন্য। আমার এবং আমার ছোট ভাইয়ের বার্থডে তে একবার হলেও কেক আনা হয়েছে । তবে ওর জন্য কখনোই কেক এনে কাটা হয়নি সবাই মিলে। তারপর আমি ভাবলাম যে একটা কেক নিয়েই আসি। কারণ আব্বু কে বললে আনবে না।

সেদিন শুক্রবার ছিল। শুক্রবার বাজারে মোটামুটি একটু ভিড় হয়। আর আমারও কয়েকটা স্টুডেন্ট ছিল। তাদের কে পড়ানো শেষ করে গিয়েছিলাম বাজারে। আমার ভার্সিটির ক্লাস থাকার কারণে শনিবার রবিবার ওদের পড়ানো হয় না আর এই জন্যই শুক্রবারেও আমার কোনরকম ছুটি নেই। যাইহোক পড়ানো শেষ করে আমি এবং আমার ছোট বোন চলে গিয়েছিলাম বাজারে। প্রথমেই গিয়েছিলাম জুতার দোকানে। আমার ছোট বোনের জন্য এক জোড়া জুতা কিনেছি। ওর জুতা পছন্দ করতে একটু দেরি হয়। সাইজের কারণে সমস্যা হয়। ওর পা একটু লম্বা কিন্তু চিকন। চিকন হওয়ার কারণেই সাইজ মত জুতা গুলো পাওয়া যায় না। তবে সেদিন কপাল ভালো ছিল দুটা দোকান দেখার পরেই জুতা পছন্দ হয়ে গিয়েছে এবং সাইজ মত মিলে গিয়েছে। আমার আবার ড্রেস পছন্দ করা থেকেও জুতা পছন্দ করতে অনেক বেশি লেট হয়।

প্রথমে গোল্ডেন কালার এবং পরে কালো কালার একটা জুতা দেখলাম। পায়ে কালো রঙের জুতাটা অনেক সুন্দর লাগছিল দেখতে। তাই পরে কালো রংয়ের জুতা টাই নিয়ে নিলাম। প্রথমে দাম চেয়েছিল ১৪০০ টাকা। পরে ৮০০ টাকা দিয়ে জুতা গুলো কিনেছি। তারপর চলে গেলাম কেকের দোকানে। বেশ কয়েকটা কেকের দোকান ঘুরেও কেক পেলাম না। প্রথমত সেদিন শুক্রবার ছিল যার কারণে অনেক কেক সেল হয়েছে। আর আমরা গিয়েছিলাম ও সন্ধ্যার পরে। যাইহোক পরে অনেক দেখে একটা কেক নিয়েছি। যেহেতু আমরা সবাই একসাথে থাকি আমাদের বাসায় মেম্বার বেশি। দোকানটাতে দুটো কেক ছিল। একটা ছিল দুই পাউন্ডের আর একটা এক পাউন্ডের। দাদু প্রথমে বলেছিল দুটোই নিয়ে নেওয়ার জন্য। তবে পরে ভাবলাম যেহেতু বাসায় একটা কেক বানানো হচ্ছে তাহলে দুটো নেওয়ার দরকার নেই। তারপর দুই পাউন্ডের একটা কেক নিয়ে নিলাম। সেই সাথে বাসার সবার জন্য কিছু বিস্কিট নিয়ে নিয়েছি।

আমরা বাজার থেকে বাসায় এসে দেখলাম বাসার কেকটাও প্রায় তৈরি হয়ে গেছে। আমার ছোট ফুফু এই কেকটা তৈরি করেছে। তারপর সবাই মিলে কেক কাটলো। আমার বোনও বেশ খুশি হয়েছে।

এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕

আমি ইসরাত জাহান মিম। বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে বর্তমানে অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।