টেম্পু ড্রাইভার না...অন্য কেউ।

in hive-129948 •  last year 

images (1) (4).jpeg

ব্রিফকেসটা হাতে নিয়ে বাস থেকে নেমেই ঘড়ির দিকে তাকালাম। রাত দুটো ছুঁই ছুঁই। বাজারে লোকজন নেই বললেই চলে। ছোট-বড় সব দোকান-পাটই বন্ধ। এরই মধ্যে কয়েকজন লোকের অস্তিত্ব মিললো। চা-স্টলের বেঞ্চে বসে বিড়ি ফুঁকছে আর হাসাহাসি করে গল্প করছে।
২০০১ সালের কোনো এক রাতে সুনসান পরিবেশে দাঁড়িয়ে মধুখালি বাজারে আমি। রাস্তায় আর ফেরীঘাটে তীব্র যানজট মাথায় নিয়ে এই পৌঁছুলাম মধুখালি। বুকের মধ্যে হু হু করে উঠলো বাজারের এই জনশূন্য পরিবেশ দেখে। এখন কী করি, কোথায় যাই! বাসগুলো সারিবদ্ধভাবে স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে। হয়তো পরের দিনের ট্রিপের সিরিয়ালে। দিন হলে এই বাসেই যাওয়া যেতো। আমার গন্তব্য আরও আট কিলোমিটার দূরে বেতাঙ্গা গ্রামে। সেখানে আমার স্ত্রী -পুত্র -কন্যা রয়েছে। বেড়াতে এসেছে একমাসের সফরে।
লোকগুলোর কাছে গিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করবো ---সে ভরসা পাচ্ছি না। আমার কাছের ব্রিফকেসে রয়েছে বেশ কিছু টাকা। মাসের বেতনের সাথে আরও কিছু এক্সট্রা বোনাসেরও টাকা রয়েছে এই ব্রিফকেসেই। বলা তো যায় না --- যদি ওরা ব্রিফকেসের সাথে কিছু একটা করেই ফেলে। সব অচেনা মানুষ। কাউকে তো চিনি না। কার মনে কী আছে কে জানে! ঠাঁই দাঁড়িয়েই রয়েছি। কোথাও বসার সাহস হচ্ছে না। মনে পড়লো,

এক কিলোমিটার দূরে আমার শ্যালকের শ্বশুর বাড়ি। পরীক্ষিতপুর গ্রামে। কিছুদূর হাইওয়ের পথে হেঁটে তারপর গ্রামের রাস্তা। সেখানে গেলেও হয় --- কিন্তু নানান আতঙ্ক ভর করছে মনে। যদি ব্রিফকেসটা কেউ টান মেরে নিয়ে যায়। না থাক ওদিকে গিয়ে কাজ নেই। অামি যেনো এক গোলকধাঁধায় পড়ে গেছি। কী করবো, কোথায় যাবো,কীভাবে যাবো, কিচ্ছু মাথার আসছে না।
হঠাৎ দূরে নজর পড়লো একটা টেম্পোর দিকে। মধুখালি বাসস্ট্যান্ড থেকে যে রাস্তাটা চিনিকলের দিকে গেছে সেই রাস্তার মুখে। কিছু না ভেবেই এক'পা দু'পা ক'রে এগুলাম। শুধু একটাই টেম্পো, আর কিছু নেই। ভালো ক'রে লক্ষ্য করলাম। ভেতরে একজন লোক বসা। সম্ভবত টেম্পোর ড্রাইভার। জিজ্ঞেস করলাম, " যাবেন ভাই? "
লোকটি জানতে চাইলো," ক'নে যাবেন? "
বললাম, "বেতাঙ্গা। "
হতাশায় আমার কণ্ঠ শুকিয়ে কাঠ। আমার জবাবটা ঠিক-ঠাক শোনেনি লোকটা। তাই পুনরায় জিজ্ঞেস করলো, " ক'নে যাবার কথা কইছেন ? "
" বেতাঙ্গা,মানে আড়কান্দির কাছে বেতাঙ্গা। "
"ও বুজছি, তা ক'নথে আসছেন? "
" চট্টগ্রাম থেকে। "
" না ভাইডি এই রাতে তো যাবার পারবো না। আমি মাছের চালানের অপেক্ষায় রইছি। "
এবার একটু অনুরোধ করলাম। বেশ মোলায়েম কণ্ঠে, " ভাইসাব, যদি যেতেন, খুব উপকার হতো। "
" সেডা তো বুজছি ভাইডি। কিন্তু আমি তো অপারোক। ঐযে দেখছেন, চাস্টলে ক'ডা লোক ব'ই রয়ছে,ওনরা মাছের ব্যাপারী। বাইলিকান্দি থেকে মাছ নিবার আইছে। ঢাকার গারির অপেক্ষায় অনেক্ষণ ব' ই রয়ছি। "
এবার আরও একটু যুক্তি দিয়ে কনভিন্স করার চেষ্টা করলাম, " দেখুন ভাইসাব মাত্র তো এক ঘন্টার ব্যাপার । ওরা ততক্ষণ অপেক্ষা করুক। আপনি আমাকে নামিয়ে দিয়েই চলে আসবেন। "
বোঝা গেলো এবার লোকটা একটু নরম হলো। তবে না যাবার অজুহাতটা তখনও মাথা থেকে নামেনি তার। বললো, আপনি তো যাবেন ভাইডি কিন্তক রাস্তা তো সারা (বেজায়) খারাপ। "
মনে করলাম রাস্তায় পিচ-টিচ উঠে খাদ-খন্দক হয়েছে ---তাই সঠিক সময় -সীমায় ফিরতে ব্যর্থ হবে। আর এজন্যই নতুন অজুহাত খাড়া করছে। আবারও আমি খুব ক'রে ধরলাম লোকটাকে, একেবারে নাছোড়বান্দার মতো, " একটু দেখে -টেখে চলবেন, তাহলেই তো হলো। "
" আপনে যিডার কথা ভাবতিছেন সিডা তো না ভাইডি। আপনেকে একা নিবার রিক্স আছে। তা ভাইডি,আপনে তো একা, না-কি আপনের সাথে আর কেউ আছে? "
" না,কেউ নেই আমি একা। পরিবারের সবাই বেতাঙ্গায়। আমার শ্বশুর বাড়িতে। "
মনে হলো লোকটা এবার নড়েচড়ে বসলো। বললো, " তা ভাড়া কিন্তুক একটু বেশি দেওন লাগবি ভাইডি। "
এবার একটু প্রাণ সঞ্চার হলো। জানে পানি এলো আর কী। বললাম, "কতো নেবেন? "
" পুরা তিনশ খান ট্যাকা দিবার লাগবে। "
আমি আর কোনো দর কষাকষিতে না গিয়ে টেম্পোর ভেতর ঢুকে পড়লাম। টেম্পো ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দিলো। গোঁ গোঁ শব্দ করে চলতে লাগলো টেম্পোটা। স্রষ্ঠার কাছে শুকরিয়া জানালাম আপাত সমস্যার সমাধান হলো ভেবে।
মধুখালি বাজার পেরুতেই একটা অদ্ভুত প্রশ্ন করলো লোকটা। খুবই স্বাভাবিক কথা তবু আমার কাছে অদ্ভুতই লাগছিলো,
" আপনার বিটকেসে ম্যালা ট্যাকা-পয়সা আছে না-কি? "
অবাক ভঙ্গিমায় জিজ্ঞেস করলাম, " কেনো ভাই? "
" আছে, কারণ আছে। সত্যি কইয়েন, মিথ্যে কইলে বিপদও হইবার পারে। "
" তার মানে! "
" মথুরাপুর আর আশাপুরের মাঝখানে একটা খুব খারাপ জায়গা আছে। সেখানে বধ্যভূমির নাহান মাঠ। কোনো বাড়ি-ঘর নাই। কিছু ঝাপটাবাজ টয়ে টয়ে থাহে। সুযোগ পালিই ছোঁ মাইরে টাইনে নিবি। তাই আগাম ক'য়ে দিছি। অন্য কিছু ভাইবেন না ভাইডি। "
আমি লোকটাকে কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, " যদি বেশি টাকা থাকে তাহলে কী করা যায়? "
" আমি ইশারা দিলে আপনি ফেইলে দিয়েন। রাস্তার পাশে অনেক জঙ্গল আছে।একটায় ফেললিই হবে । "
" তারপর ব্রিফকেসটা আবার পাবো কীভাবে? "
" বিয়েনের আগ দি নিয়ে যেতি হবি। হারাবে না ---যেনের জিনিস সেনেই থাকবি। "
লোকটার কথা যতই শুনছি ততই মনের মধ্যে এক ধরনের উৎকন্ঠার জন্ম নিচ্ছে। ভাবছি লোকটার মনে কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নেই তো! যাক কপালের ফের! মানতে তো হবেই।
অন্ধকার ভেদ করে ছুটে চলেছে টেম্পো। চারদিকে কোনো আলো নেই। দু'পাশে দু'একটা ঘর আবছা চোখে পড়ছে। এ এলাকার বাড়িগুলোতে কোনো বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুতের সংযোগ তখনও পর্যন্ত আসেনি। আশ-পাশের দৃশ্যমান বাড়ি গুলোর কেউ জেগে নেই। পুরো এলাকা জুড়ে একধরনের নিস্তব্ধ - নিশুতি পরিবেশ। আর এই তিমিরে ঢাকা গ্রামের রাস্তায় আমরা দু'জন জীবন্ত মানুষ --সাথে দুটো নির্জীব আধার। একটি যন্ত্রদানব ছুটেছে গন্তব্যের পথে ---ড্রাইভারের টেম্পো। আর অপরটি ভয়ে কুঁকড়ে মুকরে রয়েছে পায়ের পাশে ---আমার ব্রিফকেস।
টেম্পোটা ভালোই চলছিলো ---কিন্তু একটা ঝাঁকুনি দিয়ে হঠাৎই থেমে গেলো কেঁপে কেঁপে। হেডলাইটটাও নিভে গেলো। পুরো অন্ধকার এসে গ্রাস করলো চোখে -মুখে। আর কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না। লোকটিকেও না,এমনকি নিজেকেও দেখছি না। মনে হচ্ছে কেউ নেই ---কিচ্ছু নেই। আমি ভীত-সন্ত্রস্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলাম, " ভাইসাব কী হয়েছে, গাড়ি থেমে গেলো যে। "
" ভাইডি,বড়ো বেপদ তো, আপনের কাছে টচ-মচ আছে নাহি? "
"কেনো ভাই কী হয়েছে? "
"ক্ল্যাসের তার ছিঁড়ছে নাহি কে জানে। জোড়া দিবার লাগবে। "
বিদ্যুৎ বিহীন গ্রামে যাচ্ছি তাই একটা পেন্সিল টর্চ এনেছিলাম সাথে। বললাম "হ্যাঁ ভাই ব্রিফকেসে আছে কিন্তু লক খুলবো কীভাবে! আলো লাগবে তো। "
লোকটি দেশলাই জ্বালালো। টর্চ বের করে জিজ্ঞেস করলাম, " এবার কী করতে হবে বলুন ভাই। "
" আপনি টচটা ধরেন আমি জোড় দিই। "
আমি টর্চটা ধরে আছি আর লোকটি তার জোড়া দিচ্ছে। কাজ করতে করতে লোকটি একটা গল্প শুরু করলো, " জানেন ভাইডি,ক'দিন আগে ঐ মাটটার মধ্যে একটা মারাত্মক ঘটনা ঘটছিলো। "
" কী ঘটনা, কোথায় ঘটেছিল? "
"যে মাটটার কথা আপনেকে আগেই কইছিলাম সেহানে। একটা বিজাত লোক তার তিন বছরের ছোট্ট ছাওয়ালডারে তামান দিন ঘুরা ঘুরা বিস্কুট -লজেন খাওয়াইছে। আর সাজের বেলায় ছাওয়ালডারে কী করছে জানেন। "
" কী করেছে? "
" মাঠের আইলে আইলে ঘুইরে কখন যে গলা টিপে মাইরে দিছে। ক'বো কী ভাইডি সে এক করুণ দৃশ্য। সকালে মানুষ যাইয়ে দ্যাখে তিন বছরের বাচ্চাডা ঢিলের নিচে মইরে পইড়ে আছে। "
" কী কারণে ঐ দুধের শিশুটাকে মারলো, জেনেছিলেন? "
" কারণ ! ঐ পরকিয়া-টরকিয়া হবে হয়তো। "
"আর পরকিয়ার বলি হলো ঐ ছোট্ট শিশুটা। "
ঐ অন্ধকার রাতে লোকটার কাছ থেকে গল্প শুনে মনে কষ্ট তো পাচ্ছিই , আবার ভয়ও। ক্ল্যাসের তার জোড়া লাগানোর পর লোকটি বললো, " কাজ শ্যাষ। ভাইডি গারিতে উইঠে ব'ন। "
টেম্পো ঠিক হলো। আবার চলতে লাগলো গন্তব্যের দিকে। লোকটা আবার গল্প শুরু করলো," ভাইডি আপনি যাবেন কাগের বাড়ি"
" ইউসুফ খান আমার বড়ো কুটুম। "
" ও বুজছি আপনি খা গের (খাঁন দের) বাড়ি যাবেন। আমি খুব ভালো ভাবে চিনি। আপনার শ্বশুর নিচ্চয় আজিজ খা। ওগার বারি আমি দু'বার গিছিলাম ---একবার পানের খুতা আনবার, আরেক বার পাট। উনরা গিরামের বড়ো চাষি। এক নামে সবাই চিনে খা বারি (খাঁন বাড়ি)। আপনি জিরোন --আমি ঠিক বারিতেই নেবো আপনেরে। "
আমি চুপ করে শুনছি লোকটার অনর্গল কথাগুলো। একটু দম নিয়ে আবারও বলতে শুরু করলো, " ভাইডি আপনে বিরাক্ত হইয়েন না। আমি কথা কইতিছি ঢুলুনির ভয়ে। আপনার তো জানবার কথা --চোখে ঢুলুনি থাইলে এক্সিডেন হবার পারে। তাই একটু বক বক করতিছি। "
আমি বললাম, " ঠিক আছে, আপনি বলেন। "
এবার লোকটি আবার ভয়ের গল্প শুরু করলো। বললো, " জানেন ভাইডি আমি যে মাটটার কথা কইছিলাম সে'নে আরও এট্টা সাংঘাতিক ঘটনা ঘটছিলো কয়ডা দিন আগেই। এক বেডি তার স্বামীরে জনমের মতো মাইরে দিছে। ভাড়া করা গুন্ডো দিয়ে। সারা রাত রাস্তার পাশে লাশ পইড়ে ছিলো। খুব নিশংশ খুন। ইডাও পরকিয়ার জন্যি। দ্যাশটার যে কী হলো ভাইডি। এজাগায় আ'লি সবাই ভয় পায়। এখুন রাতে গারি চালালি কেমন যেন ভার ভার লাহে শইলের মদ্দি। "
এভাবে লোকটি কথা বলেই চলছিলো বিরতিহীন একটানা। এরপর আর কী কী গল্প করেছিলো এক রত্তিও মনে নেই।
চলতে চলতে টেম্পোটা ঐ আলোচিত মাঠের কাছে এসে দড়াম করে থেমে গেলো। কে জানে থামিয়েই দিলো কি-না কেউ। কয়েকজন লোক ধারালো অস্ত্র -শস্ত্র নিয়ে আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলো। ঐ সাথে টেম্পো ড্রাইভার লোকটাও অস্ত্রধারী দের সাথে যোগ দিয়ে আমাকে বললো,
" ভাইডি, বিটকেসটা রাইখি নাইমে যান। নাইলে আপনে খুন হয়্যা যাবেন। "
ব্রিফকেসটা ড্রাইভার লোকটা কেড়ে নিলো একরকম জোর করেই। আর ধাক্কা মেরে আমাকে নামিয়ে দিলো অন্ধকারাচ্ছন্ন পথের মাঝখানে। তারপর ওরা একসাথে গাড়িতে উঠে মধুখালির দিকে দিলো টান। জনশূন্য ঐ পথের মাঝে আমি সম্পুর্ন একা। হঠাৎ একটা ছোট্ট বাচ্চার কান্নার আওয়াজ। আবার কখনও হেসেও উঠছে ' হি হি হা হা ' ক'রে। আমার তখন ভয়ে জুবুথুবু অবস্থা। চারদিকে এক ভুতুড়ে পরিবেশ। কে জানে লোকটির গল্পের ঐ শিশু বাচ্চাটির অাত্মা কি-না। আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, বোঁ বোঁ করে ঘুরছে মাথা। বুকের মধ্যে ধড়ফড় করছে,মাথা চক্কর দিচ্ছে। আমার দু'চোখে রাজ্যের আঁধার নেমে এলো। তারপর কী হয়েছে কিচ্ছু জানিনা।
আমার হুঁশ ফিরলো পরদিন বেলা এগারোটায়। আমার তিন বছরের ছেলেটা আমাকে পেয়ে হেসে কুটিকুটি। আমার গলা জড়িয়ে আমার পাশে শুয়ে। বাবাকে অনেক দিন পর কাছে পেয়ে আনন্দে -সুখে আটখানা। সহধর্মিণীকে কাছে ডাকলাম। বললাম, " রাতে একটা শিশুর হাসি-কান্না শুনেছিলাম। কে ঐ শিশুটি? "
" তোমার এই ছেলে। তুমিতো গাড়ির মধ্যে জ্ঞানহীন, নিঃসাড় পড়েছিলে। গাড়ির হর্ণ শুনে আমরা দৌড়ে গিয়ে তোমাকে সেন্সলেস অবস্থায় এনেছি ঘরে। আর তখুনি তোমার এ ছেলে কাঁদছিলো তোমাকে অজ্ঞান দেখে। "
জিজ্ঞেস করলাম, " লোকটি কোথায়? "
" কোন লোকটি? "
" ঐ যে টেম্পো ড্রাইভার! "
" সে তো রাতেই চলে গেছে। "
" আর ভাড়া! "
" দিয়েছি তো। তিনশ' দিয়েছি, ঠিক আছে তো? "
" হ্যাঁ আছে। আর আমার ব্রিফকেসটা! "
" ঐ যে ওখানে। "
" টাকাগুলো সব ঠিক আছে তো? "
" হ্যাঁ সবকিছুই ঠিক আছে। "
একধরনের বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে আরও একটি কথা জিজ্ঞেস করলাম সহধর্মিণীকে,
" আচ্ছা বলো তো ঐ লোকটা টেম্পো ড্রাইভার, না অন্য কেউ? "
" অন্য কেউ ---মানে! "
" ঐ যে মানুষের মধ্যে কিছু থাকে না!! "
" কী থাকে? "
" ফেরেস্তার মতো মানুষ ---লোকটি বোধ হয় সেরকমই কেউ।। "

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!