আসলামুআলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন।
আমার বাংলা ব্লগে, আমি নতুন সদস্য।
আমার পরিচয় এবং আমার ব্যক্তিত্বের কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।
আমার নাম মোহাম্মদ জাহিদ হাসান
আমার বাড়ি চট্টগ্রাম, সীতাকুণ্ড।আমি এবার ইন্টার পরীক্ষা দিয়েছি। এডমিশন টেস্ট দিবো কি দিবো না সেই চিন্তায় আছি এখনো।নিন্ম মধ্যবিত্তদের এটাই জীবন।পরিবারের ভর কাধে তুলে নিতে হয় ছোট থেকেই। শখের পড়া লেখা করে সময় নষ্ট করা বা টাকা অপচয়ের উৎস নেই আমদের।আমাদের বল্লে ভুল হবে আমার।আমার বাবা ব্যাবসা করেন ছোট-খাটো( দোকান আছে)।অল্প বয়সে বুকে এবং কোমরে ব্যাথা সাথে ডায়াবেটিস তহ আছেই। এসবের মধ্যে আবার আমার ২য় মা-র ও ডায়াবেটিস সমস্যা প্রচন্ড।সাথে সংসার চালানো আর আমার পড়ালেখার খরচ চালানো তহ বলা যায় সম্ভব ই নাহ। এতদিন চাচাদের এবং দাদুর আশ্রয়ে বড় হয়েছি। তবে একটা জিনিস বুঝতে শিখেছি যত তাড়াতাড়ি নিজের পথ নিজে গুছিয়ে নেয়া যায় তত ভালো।কারন আপনার সম্মান তখনি যখন আপনার কাছে টাকা আছে।আর আপনার কাছে কিছু না থাকলে আপনি ঘরের ছোটদের সম্মানটা ও পাবেন নাহ।একে তহ বাবার টাকা নেই সাথে মা নেই তাই তাদের বোঝা।মাঝে মাঝে ভাবি বাবা থাকায় ভালো হলো না মা থাকলে ভালো হতো। আমি ৩য় শ্রেনীতে থাকাকালীন আমার মা ডেলিভারি অবস্থায় এই নশ্বর দুনিয়া ত্যাগ করে আল্লাহর দরবারে হাজিরা দিতে চলে যান।শুধু আমাকে নিঃস্ব করে রেখে যান এই দুনিয়াতে ।৩য় শ্রেনিতে আমি রোল-২ হওয়ায় আমার মা খুশিতে আত্নহারা হয়ে যান।তবে আমার চাচা-চাচীদের মধ্যে কোনো খুশি দেখা যায়নি।তারা আরো এটা বলে আমাকে নিরুৎসাহিত করলো যে আমি কেনো রোল-১ হতে পারলাম না? অথচো তাদের ছেলে সন্তানরা এখন ৫০,৬০,১০০ রোল নিয়ে বসে থাকে তবু ও তারা ভালো।যদি ও ক্লাস -৪ এ রোল-১ হলাম তবে মা সেই সুসংবাদ এ খুশি হওয়ার সুযোগ পেলোনা।সৃষ্টিকর্তা তাকে সেই সুযোগ দেন নি।আর মা হারা হলে একটা সন্তানের জীবন কেমন হয় একজন ২য় মার উপস্থিতি তে তা আপনারা সবাই কম বেশি আশা করতে পারেন।তিনি দুনিয়াতে ওনেক কষ্ট করেছেন।আমার বাবা মায়ের বিয়ের পর তাকে ওনেক নির্যতন সহ্য করতে হয়েছিলো প্রায় ১২-১৩ জনের খাওয়া আমার মা একাই রান্না করতেন।দিনে ৩ বেলা রান্না রাতে যে শান্তিতে ঘুমাবেন ওই সুযোগ টা ও ছিলো না। ঘুমাতেন প্রায় ১২ টা উঠে যেতেন ৫-৬ টার মধ্যে উঠে রান্না বান্না নাস্তা তৈরি। আমার মায়ের পর ২য় মা হলো আমার দাদু উনি আমাকে খুব ভালো বাসেন।এমন কোনো জিনিস নেই যা আমাকে ছাড়া মুখে তুলেন।তবে বয়সের কারনে তিনি আজ বৃদ্ধ হয়ে আসছেন।সবাই আলাদা হওয়ায় আমি উনার সাথে থাকি সাথে আমার এক চাচা থাকে (অবিবাহিত)।দাদুর সাথে থাকতে থাকতে দাদুর সাথে রান্না ও শিখলাম কিছুটা।তিনি অসুস্থ হলে যেনো খাবারটা আমি রান্না করতে পারি।তেমন আহামরি মজা করে রান্না করতে পারিনা।তবে চা বানাতে পারি ওনেক মজা করে।হোক লাল চা বা দুধ চা।এভাবেই আমার জীবনে বেড়ে উঠা। মা না থাকলে এসব মেনে নিতে হয়।আমার বাবার আমার সম্পর্কে কোনো মাথা ব্যাথা নেই কারন দাদুদের সাথেই আছি। টাকা ব্যাপার শুধু পড়ালেখা নিয়ে।আর কোনো ব্যাপারে টাকা দিতেন না। বছরে একবার জামা কাপড় কিনার টাকা ইদে।আর বড় হতে হতে আত্নসম্মানবোধটা ও আসতে লাগলো।আস্তে আস্তে আত্নসম্মানের কারনে সবার সাথে দুরত্ব বাড়াতে লাগলাম।বাবা,চাচা-চাচী সবার সাথে। ওই যে বল্লাম টাকা! হইতো ভাবতে পারে টাকার জন্য তাদের সাথে ভালো হয়ে চলা।আমার একটু আত্মসম্মানবোধটা বেশি।তাই একা থাকতে শুরু করলাম।একা চলতে শুরু করলাম।এর থেকেই আমার বন্ধু হয়ে উঠলো একাকীত্ব আর প্রকৃতি। একা একা সমুদ্র দেখা।প্রকৃতির মাঝে একা হারিয়ে যাওয়া আমার পছন্দের বিষয় হয়ে উঠলো।আমাদের এখানে সমুদ্র, পাহাড় দুটোই কাছে।প্রায় ১ কি.মি পূর্বে পাহাড়! প্রায়১ কি.মি পশ্চিমে সমুদ্র।আর এই এই জন্যই হইতো আমি একা হতে শুরু করলাম আরো বেশি করে।
একাকিত্বকে একটু ভালো করে কাটাতে শুরু করলাম ছবি তুলা।ছবি তুল্লে মুহূর্ত ফ্রেম বন্ধি হয়।আর সেই মুহুর্ত পরে দেখতে ও ভালো লাগে।
ছবি এডিট করা,ছবি আঁকা,কবিতা লিখা,গান শোনা এসব আমার চরম পছন্দের বিষয়।যদি ও আমার ভয়েস একদমই সুন্দর না তবে আমি গুন গুন করতে ওনেক ভালোবাসি।আমি মনে করি গান হলো একমাত্র জিনিস যা একটি লাইনে পুরো বিস্তর এক জীবনগাথা তুলে ধরতে পারে।হোক মন শান্ত,খারাপ,বা উৎফুল্ল! গানের বিকল্প নেই। আর চিত্র আঁকা! সে তো একসময় পড়ার টেবিলে বসলে প্রচুর আঁকতাম।আমার এখনো মনে আছে যখন ছোট ছিলাম মাত্র স্কুলে ভর্তি হয়েছি সবেমাত্র তখন ওনেক মাছের ছবি আঁকতাম।আর দেওয়ালে লাগাতাম। আমাদের বেড়ার ঘর ছিলো একটা কাঠের টুকরা দিয়ে খুঁচে দেওয়া ও সহজ ছিলো দেওয়ালে।এখন তেমন একটা সময় ও হয়ে উঠে না।টিউশন করি আর কোনো কাজের চেষ্টায় আছি।আল্লাহর রহমতে আমি Steemit সর্ম্পকে ইউটিউবে দেখি এবং Beauty of creativity তে কিছুদিন কাজ করি। তবে ইংলিশে লিখতে হওয়ার জন্য সেখানে জমাতে পারিনি। পরে দেখলাম বাংলা ভাষায় ও লেখার সুযোগ আছে এখানে।তাই আমি এখানে জয়েন হতে চাই।Discord সার্ভারে এখন জয়েন আছি।আশা করি এখানে ও বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পারবো।এবং আপনাদের দোয়া,ভালোবাসা আর সাপোর্ট পেয়ে আমি এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।সবাইকে শুভকামনা জানিয়ে আমার পরিচয় পর্ব এখানেই শেষ করছি
প্রথমে জানাই আপনাকে আমার বাংলা ব্লগে স্বাগতম। আপনার পরিচয় মূলক পোস্ট পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আশা করি আপনি আমার বাংলা ব্লগের সকল নিয়ম কানুন মেনে কাজ করবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইনশাআল্লাহ আমি সব রকমের নিয়ম কানুন মেনে চলার চেষ্টা করবো আশা করি এভাবে সাপোর্ট করে পাশে থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্টে ভুল আছে, পোস্টে অবশ্যই #abb-intro tag ব্যবহার করতে হবে। এখনি এডিট করে সঠিক করুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দুঃখিত আমি ব্যাপারটি জানতাম নাহ।বলে সঠিক করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি এভাবে সাপোর্ট করে যাবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Steemit platform এ আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আপনার পরিচয় মূলক পোস্ট টি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আশা করছি আপনার বাকি দিন গুলো খুব আনন্দের সাথে এই প্লাটফর্মে কাটবে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাদের মাঝে সাদরে গ্রহন করে নেওয়াট জন্য ধন্যবাদ। আশা করি সব সময় এভাবে পাশে পাবে। ইনশাআল্লাহ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম। খুব সুন্দর ভাবে আপনি আপনার পরিচিত মূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি চাইলে এখন মডারেটর এডমিনদের সহায়তা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইনশাআল্লাহ আমি চেষ্টা করছি এগিয়ে যাওয়ার। দোয়া করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit