আসলে কি আমরা কেউ সুখী
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছ সবাই। সবার প্রতি অনেক অনেক ভালবাসা। আমি একটি গল্প বলব আশা করি কিছুটা হলেও ভাল লাগবে আর ভাল লাগলেই স্বার্থকথা।
গ্রামের রমিজ মিয়া ঢাকা এসেছে চাকরি করার জন্য, সে একটা ছোট কোম্পানিতে গাড়ি চালক হিসেবে যোগদান করেছেন।চলছে রমিজ মিয়া চাকরি জীবন, মাস শেষে রমিজ মিয়া যা বেতন পাই তা থেকে অল্প পরিমান নিজে রেখে বাকিটা পাঠিয়ে দেয় বউ ছেলে মেয়ের জন্য। রমিজ মিয়া যে পরিমান টাকা তার নিজের জন্য রাখে সেই টাকা দিয়ে রমিজ মিয়া অনেক কষ্ট করে মাস শেষ করতে হয়, চাইলেই কোন কিছু কিনে খেতে পারেনা, মনতো অনেক কিছুই চাই পকেটের যে অবস্থা ভাল না।
রমিজ মিয়া ভেবে নিয়েছে গরীবরা বুঝি এমনই হয় চোখের সামনে কত খাবার কিন্তু টাকার অভাবে খেতে পারেনা। রমিজ মিয়ার মালিক সে অনেক টাকার মালিক, সে তার পরিবার নিয়ে বড় বড় রেস্তোরাতে যায় খেয়ে দেয়ে অনেক টাকা খরচ করে আসে। রমিজ মিয়ার হিংসে হয় যে আমিও মানুষ আর আমার মালিকও মানুষ তারা কত সুখে আছে তাদের কত টাকা তাদের বিশাল বিশাল অট্টালিকা, তারা যখন যা চাইছে তখনই করতে পারছে যা খাইতে পরতে ইচ্ছে করছে সব করতে পারছে আহারে সুখ। আর ঐ দিকে রমিজ মিয়ার সুখ দেখে, রমিজ মিয়ার স্যারের বাসার দারোয়ান হিংসে মরে আর ভাবতে থাকে আহারে রমিজ মিয়া কত সুখে আছে সারা দিন এ সির ভিতরে বসে গাড়ি চালায় অনেক টাকা বেতন পাই।
রমিজ মিয়ার স্যার প্রায়ই তাকে নিয়ে ফাইভ ষ্টার হোটেলে নিয়ে যায় অনেক রাত করে বাড়িতে ফিরে নেশা করে, আর রমিজ মিয়ার ম্যাডাম তো সারাক্ষণই বন্ধুদের নিয়ে আড্ডায় মেতে থাকেন। রমিজ মিয়া ভাবেন আসলেই কি আমার স্যার সুখি?
রমিজ মিয়া একদিন তার স্যার কে জিজ্ঞেস করে স্যার আপনি এত নেশা করেন কেন?স্যার বলে সুখ নামক সোনার হরিণ ধরার জন্য, রমিজ মিয়া আবার বলে উঠল তাহলে আপনি সুখী না,। স্যারে আবার বলে আমার জায়গা থাকলে তুমি বুঝতে। রমিজ মিয়া বাসায় শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলো আসলে পৃথিবীতে যার যার জায়গা থেকে কেউ সুখী নয়।
বন্ধুরা সত্যি বলতে কি আমরা নদীর এপাড় বসে ভাবি ঐ পাড়ে বুঝি সুখ, আর ঐ পাড়ে বসে আরেক জন ভাবে এপাড়ে বুঝি সুখ। আসলে পৃথিবীতে আমরা কেউই সুখী নই, আমাদের একটা না একটা অপূর্ণতা থেকেই যাবে তবুও নিজেকে সুখী ভেবে জীবনকে এগিয়ে নিতে হবে,,,,,। বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই ভাল থেকো সুখে থেকো এই কামনায়,,,,,,,,।