গ্রামীন সুন্দর্য। 10% Beneficiary To @shy-fox

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

সবে কয়েকদিন হলো বাড়ি থেকে আসলে। কোনো একটা জরুরি কাজেই যাওয়া হয় বাড়িতে। তা নাহলে এমন অসময়ে কোনো সময় বাড়িতে যাওয়া হয়না।
যাইহোক , এইবার বাড়িতে গিয়ে ভালোই আনন্দ করলাম। এইবার আমি ভেবেছিলাম বৃষ্টির কারণে হয়তো ঘর থেকে বের হওয়াই মুশকিল হয়ে যাবে। কারণ ঢাকার যে আবহাওয়া ছিল সেটা খুবই খারাপ অবস্থা। সারাদিন বৃষ্টি টানা পড়তেই থাকতো। এমন অবস্থায় বাড়িতে যাওয়া , মনে তো হওয়াটাই স্বাভাবিক। এইবার বাড়িতে যাওয়াটা একদমই সংক্ষিপ্ত ছিল। মাত্র ৩ দিনের জন্য যাই বাড়িতে। কিন্তু ওই ৩ দিনই সত্যি অনেক আনন্দের ছিল ।

ট্রেন ছিল শুক্রবার এর। আগে থেকেই টিকেট কিনা। সকাল ৭ : ৪৫ এর ট্রেন। সকাল ৬ : ৩০ তার দিকেই রওয়ানা দিয়ে দিলাম কমলাপুর এর উদ্যেশে। ভেবেছিলাম হয়তো কমপক্ষে ৩০-৪০ মিনিট তো লাগবেই কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাবে আমি ১০ মিনিট এর মধ্যে এ পৌঁছে গেলাম। গিয়ে ভাবছি মনে হয় তাড়াতাড়ি বের হয়ে গেলাম বাসা থেকে। কিন্তু তখন ট্রেন এসে দাঁড়িয়েই ছিল। তাই ট্রেন এ গিয়েই বসে পরি আমরা। তখনা বাজে প্রায় ৬ : ৫০ এর মতো। মানে আরো প্রায় ঘন্টা খানেক ট্রেন ছাড়তে। তাই ট্রেন থেকে নেমে বাইরে স্টেশন এ বলতে থাকি আমরা। আর সকালে না খেয়েই এসে পড়ি। তাই স্টেশন থেকে আমরা কিনে নাস্তা খেয়ে নেই আগে। না খেলে আবার গ্যাস্ট্রিক্ট এ সমস্যা হতে পারে। খিদে যদিও ছিল না তেমন কিন্তু সবাই হালকা পাতলা একটি নাস্তা করে নেই।

IMG_20211226_145403.jpg

এটা আমাদের গ্রামের তিতাস নদীর পার। মাঝে মধ্যেই সেখানে আমি পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাই। এইবারও সবাইকে নিয়ে ঘুরতে যাই। ভালোই লাগছিলো ঐদিন। দিনটা ছিল মেঘলা দিন। তাই নদীর পারে প্রচন্ড বাতাস ছিল। বাতাসে মনে হচ্ছিলো উড়েই যাবো। নদীর তীরে কিনারা অনেক গুলা নৌকা ছিল , ভেবেছিলাম আজকে একটা নৌকা ভাড়া নিয়ে সবাইকে নিয়ে ঘুরবো কিন্তু হটাৎ করে মা মানা করলো , এই আবহাওয়ার মধ্যে নৌকা চালানোটা ঠিক হবে না। আমিও বিষয়টা বুঝতে পেরে আর এগুয়নি। তখন প্রায় ২-৩ ঘন্টা ঘুরে বাসায় চলে আসি। ঐদিনেরই একটা চা খাবার গল্প আছে , যা আপনাদের মাঝে অন্যএকদিন উপস্থাপর করবো। তাহলে আজকে মতো বিদায় নিচ্ছি।

IMG_20211230_192134.jpg

IMG_20220603_183827.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

গ্রাম বাংলার খুবই সুন্দর সুন্দর দৃশ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনি এবং খুবই সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপনা করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

গ্রামীন পরিবেশের অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। খুব সুন্দর বর্ণনার সাথে ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

গ্রামীণ প্রকৃতি এমনিতেই অনেক সুন্দর হয় ,ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনি খুবই চমৎকার ভাবে গ্রাম বাংলার প্রকৃতির সৌন্দর্য নিয়ে কিছু কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যে গুলো সত্যি অনেক বেশি ভালো লাগলো। সত্যি বলতে গ্রাম বাংলার প্রকৃতির দৃশ্য নিয়ে যতই বলি না কেন কম হয়ে যাবে। আমার কাছে গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য সবথেকে বেশি ভালো লাগে।

হ্যাঁ ভাইয়া , ঠিক বলেছেন , প্রাকৃতিক সুন্দর্যের সাথে পৃথিবীর কোনো সুন্দর্যেরই তুলনা হয়না। ধন্যবাদ আপনাকে।

গ্রামীণ সৌন্দর্যের এক অপরূপ দৃশ্য গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলা দেখে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন উপস্থাপনার মাধ্যমে শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য ভাইয়া পরবর্তীতে আরো ভালো ভালো ফটোগ্রাফি দেখতে চাই আপনার কাছ থেকে

হ্যাঁ , দাদা অবশ্যই, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

বাহ ভাইয়া ছবিগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে আপনি কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পুরো পোস্টটি পড়তে পেরে অনেক ভালো লাগলো। নদীর পাড়ে নৌকা বেঁধে রাখা ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল

ধন্যবাদ ভাইয়া।

প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে সময় কাটাতে আমার বেশ ভালো লাগে। এবং কিছু সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর করে গ্রামীন পরিবেশের সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।দূরদূরান্তের এমন সবুজ শ্যামল প্রকৃতি দেখতে খুব ভালো লাগে।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।

আসলে বৃষ্টির ঘরে ঘোরাঘুরি করার মধ্যে মজাটাই অন্যরকম। বৃষ্টির পরে প্রকৃতি এক অন্যরকম সৌন্দর্য্যে পরিণত হয়। আপনি চমৎকারভাবে গ্রামীণ প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।