কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বিভিন্ন প্রকার রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে।

রাস্তায় চরাই করছিল বেশকিছু রাজহাঁস। তাদের একসাথে এমন দলবদ্ধ ভাবে চরাই করা দেখতে খুবই ভালো লাগছিল আমার। আর ঠিক সেই ভালোলাগার মুহূর্তে ধারণ করেছিলাম এই ফটোটা। তাদের লম্বা লম্বা গলা এগিয়ে রাস্তা থেকে দুবলা ঘাস তুলে খাচ্ছিল। আর মাঝে মাঝে তাদের নিজস্ব ভাষায় ডাকছিল। ঠিক গভীরভাবে অনুভব করছিলাম তাদের এমন একত্রে চড়াই করার সুন্দর মুহূর্তটা।

এটা গ্রামের রাস্তা। নিজের গ্রাম অতিক্রম করে কিছুটা ফাঁকা মাঠ এর রাস্তা রয়েছে। এ রাস্তা হয়ে মায়ের বাসায় চলাচল করতাম। বাড়ির নিকটে আরেকটা রাস্তা সংস্কার হওয়ায় এই রাস্তা দিয়ে চলাচল টা অনেক কমে গেছে এখন। তবুও এই রাস্তা আমার কাছে ভালো লাগে। কারণ দীর্ঘদিন বাবুর আব্বুর সাথে এই রাস্তা দিয়ে খালাম্মার বাসায় মায়ের বাসায় নানির বাসায় গেছি।

এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ফসলের মাঠের একটি স্থানে অনেকগুলো পাটের খড়ি খাড়া করা রয়েছে। হয়তো কোন ব্যক্তি এভাবেই তার পাটের খড়ি গুলো শুকাতে দিয়েছিলেন রোদে।

এটা একটি দুপুর মনি ফুল। এই ফুলটা দুপুরের দিকে ফোটা শুরু হয় এবং রাত পর্যন্ত ফুটে থাকে। আমার কাছে খুব ভালো লাগে এই জাতীয় সুন্দর সব ফুলগুলো। হাওড়া লক্ষ্য করলে দেখতে পায় বিভিন্ন রকমের ফুল রয়েছে আমাদের চারিপাশে। আর সেই সমস্ত ফুলের মধ্যে দারুন সব সুন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায়।

এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি তেলাকুচি ফুল। তেলাকুচি ফুলগুলো কিছুটা ইস্টার আকৃতির হয়ে থাকে। তবে এগুলো দেখতে সাদা কালারের। আবার অনেকটা ঢোল কলমি বা কলমি শাকের ফুলের মত আকৃতি। সবুজ প্রকৃতির মাঝে সাদা এই ফুলগুলো অনেক সুন্দর দেখায়।

এখানে দেখতে পাচ্ছেন বাগানের মধ্যে জমে থাকা পানি। এক কথায় বেশ কিছুদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে জায়গায় জায়গায় এমন জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল। আর সে জলবদ্ধতার মাঝখান থেকেই ধারণ করেছিলাম এই ফটোটা।

কৃষক যখন কষ্ট করে তার ফসল ফলায় তখন কিন্তু তার অনেক পরিশ্রম করা লাগে। অনেক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ফসল ঘরে উঠান। কিন্তু এই ফসল ঘরে উঠানোর পিছনে অনেক পরিশ্রম করা লাগে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবেলা করা লাগে এমনকি গৃহপালিত পশুপাখির অত্যাচার সহ্য করা লাগে অনেকের। ঠিক তেমনি দেখতে পারছেন প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টিতে অনেক দাম পড়ে গেছে। আবার সেই ধানের মধ্যে ছাগল ঢুকে খেয়ে যাচ্ছে সোনালী ফসল। হঠাৎ চোখে বাঁধায় ছাগলটা তাড়িয়ে দেওয়ার মুহূর্তে ধারণ করেছিলাম ফটোটা।

এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ফ্রিজ থেকে বের করা বেশ কয়টা আম একটি পাত্রের মধ্যে রাখা হয়েছে। এবার আমাদের গাছে প্রচুর আম হয়েছিল। সে আম ফ্রিজে রাখা হয়েছিল অনেক। মাঝেমধ্যে ঠিক এভাবে আটটা দশটা করে বের করা হয়েছে এবং খাওয়া হয়েছে। অসময়ে আম খেতে বেশ ভালো লাগে।

আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।