কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। গাংনী বাজারে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে উপস্থিত হয়েছিলাম। আর সে কেনাকাটা মুহূর্তের অনুভূতি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হলাম। আশাকরি এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন।
বেশ কিছুদিন ধরে শরীরের অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। এজন্য গাংনী জেনারেল হাসপাতালের নিকটে সেবার ডায়গনস্টিক সেন্টারে রক্ত পরীক্ষার জন্য গিয়েছিলাম। সেখানে আমার খালাতো ভাই ডক্টর আমির হামজা বসেন। উনি বলেছিলেন রক্ত পরীক্ষা করতে। তাই তার কথামতো রক্ত দিতে গিয়েছিলাম বেশ কিছুদিন আগে। মাঝে মাঝে শরীর দুর্বল মনে হয় গ্যাসের প্রবলেম করে অতিরিক্ত। যখন তখন হাফ লেগে যায়। বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যা তাই ভাইয়া বলল দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করা হোক আরো কিছু টেস্ট কর। এরপর ভাইয়ার কথা মত আমি সেখানে উপস্থিত হয়েছিলাম। ২০১১ সালে এসএসসি পাস করার পর যখন এই শহরে আসা যাওয়া করতাম কলেজে যার জন্য। তখন অনেক গাছ ছিল রাস্তার পাশ দিয়ে। তাই তখন বাজারটা দেখতে খুব ভালো লাগলো। কিন্তু এখন রাস্তার সংস্কার এর জন্য অনেক গাছ কেটে ফেলায় কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। তবে যাই হোক ভাইয়া বলেছিলেন সকাল দশটার মধ্যে এসে রক্ত দিতে। ভাইয়ার প্রথমত এসে উপস্থিত হয়ে গেলাম।
সেবা ডায়গনস্টিক সেন্টারে এসেই ছেলেকে কল থেকে নামিয়ে দিলাম। আমার ছেলে তো এক দৌড়ে চলে গেল সুন্দর জিনিস দেখে। এদিকে নিজের শরীর চলছে না আর ছেলেকে সামলানো একটু ঝামেলার বিষয়। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এতটা ছটফটে ছিলাম না। কোন কিছু দেখলে ভয় পেতাম, মায়ের কোলের কাছে দাঁড়িয়ে থাকতাম। কিন্তু এখনকার ছেলেরাও হয়েছে অনেক চালাক চতুর। যাই হোক কাউন্টারের কাছে গেলাম এরপর কাউন্টারে থাকা একটি মেয়ে আমাকে পূর্বে চেনেন। তখন মেয়েটার জিজ্ঞেস করল আপু কি কোন সমস্যা কি করবেন। তখন বললাম হামজা ভাইয়ার সাথে কথা বলিয়ে দেই। এরপর ভাইয়ার কাছে ফোন ধরলাম ভাইয়া বলল কাউন্টারের মেয়েটাকে দিতে। ভাইয়া কি বলল জানিনা তারপরে মেয়েটা বলল আপু আপনি রুমে যান, সেখানে আমি বলে দিচ্ছি।সেখানে আপনার ব্লাড নেওয়া হবে।
ব্লাড দেওয়ার রুমে প্রবেশ করে লক্ষ্য করে দেখলাম যিনি পরীক্ষা করবেন তার বাচ্চাটা চেয়ারে বসে গেম খেলছে। বাবুটার সাথে কথা বললাম। বাবুটা তার নাম বলল। তবে বাবুটার নাম এখন আমার মনে নেই। এরপর আমার ছেলেকে ছেলেরা আব্বু ধরে রাখল। আমি ব্লাড দেওয়ার জন্য জায়গা মত বসে পড়লাম। রুমের মধ্যে দেখতে পারলাম ব্লাড টেস্টের বিভিন্ন মেশিন রয়েছে। এই সমস্ত মেশিনগুলোর নাম সঠিক আমার জানা নেই। এরপর ব্লাড দিলাম। দুইবার ব্লাড নিল। বেশ কয়েকটা পরীক্ষা করবে তাই। ব্লাড দেওয়া শেষে হামজা ভাইয়াকে আবার ফোন দেওয়া হল। আমির হামজা ভাইয়া বলল বসে থাকার কোন প্রয়োজন নেই বাসায় চলে যাও। আমি দ্রুত রিপোর্ট তৈরি করে রিপোর্টের কাগজ নিয়ে তোমাদের বাসায় চলে আসব দুপুরে। বেশি ভালো লাগলো তখন। কারণ হসপিটালে বা ডায়গনস্টিক সেন্টারে গিয়ে বসে থাকা বেশ কঠিন ব্যাপার। আর এদিকে পরিবারে অনেক কাজকর্ম রয়েছে নিজের ছেলের খাওয়ানো পোরানো গোসল করানো। ব্লাড দেওয়ার শেষে ভাইয়ার কথা শুনে আমরা দ্রুত বের হয়ে পড়লাম এবং বাজার থেকে বেশ কিছু জিনিস কেনাকাটা করলাম, এরপর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এরপর বিকেল মুহুর্তে ভাইয়া ব্লাড টেস্টের রেজাল্ট নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে উপস্থিত হলেন। রেজাল্টের ধরা পরল আমার শরীরের রক্ত সল্পতা। আর এই রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিলেন আর ওষুধের কথা বললেন ভাইয়া। দেখলাম ভাইয়া বেশ কিছু ঔষধ এনে দিয়েছেন। এই দেখে অনেক অনেক ভালো লাগলো, নিজেদের একজন ডাক্তার ভাই রয়েছেন এবং উনি আমাদের সবসময় সহযোগিতা করেন।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | ব্লাড টেস্ট |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
শরীরের যত্ন নিন আপু। আয়রণ যুক্ত খাবার খান৷ রক্তের অভাবে আপনি দুর্বল হয়ে পড়বেন৷
বেশিরভাগ মেয়েদেরই এই সমস্যাটা থাকে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনি সঠিক চিকৎসার মধ্যে থেকে তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যান৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রক্ত স্বল্পতা খারাপ জিনিস। তাই এই নিয়ে টেনশন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শরীরের যত্ন নিন আপু। আয়রণ যুক্ত খাবার খান৷ রক্তের অভাবে আপনি দুর্বল হয়ে পড়বেন৷
বেশিরভাগ মেয়েদেরই এই সমস্যাটা থাকে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনি সঠিক চিকৎসার মধ্যে থেকে তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যান৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দোয়া করবেন আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit