গাংনী বাজার থেকে রেক্সিন কিনার অনুভূতি

in hive-129948 •  8 months ago 


আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগে সকলকে স্বাগতম



কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। গাংনী বাজারে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে উপস্থিত হয়েছিলাম। আর সে কেনাকাটা মুহূর্তের অনুভূতি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হলাম। আশাকরি এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন।


IMG_20240305_124912_543.jpg

photography device: Infinix Hot 11s

[What 3 word's location](https://w3w.co/assigned.rocketed.flies)



দিনটা ছিল ঠিক এমনই প্রচন্ড রোদ গরমের। তবুও ঈদের আগের মুহূর্ত। কেনাকাটা করা প্রয়োজন ছিল অনেক কিছু। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল আমাদের সামিয়া বাবুর জন্য জিরো সাইজের জামাকাপড় কেনা ও রেক্সিন কেনা। আপনারা সকলেই জানেন আমার ছোট জা এর মেয়ে হয়েছে ঈদের আগে। ছোট বাচ্চাদের জন্য জিরো সাইজের জামা কাপড় আর রেক্সিন প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই এই জিনিসগুলো কেনাটা বড় উদ্দেশ্য ছিল আমাদের। উপস্থিত হলাম গাংনী বাজারে। প্রচন্ড রোদ গরম। তবুও দেখলাম ঈদের আগে মানুষের কেনাকাটার ভিড় অনেক। আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার পর খুঁজতে থাকলাম কোথায় কোন দোকানের রেক্সিন বিক্রয় করে।


IMG_20240305_130511_290.jpg



সবজি ও ফলের বাজার থেকে কিছুটা পশ্চিম সাইডে এস এম প্লাজার দিকে আসলাম। সেখানে একটি দোকানে দেখতে পারলাম রেক্সিন বিক্রয় করে। কিন্তু সেখানে দাম এতটাই বেশি বলছিল নাগালের বাইরে। কারণ আমি জানি আরামদায়ক বড় খাটের সাইজের রেক্সিন গুলো সাড়ে ৪০০ টাকা করে দাও। আর নরমাল গুলো ৩৫০ টাকা করে। কিন্তু এখানে ৫৫০-৬০০ টাকা করে বলতে থাকলো। তাই আমরা সেখান থেকে চলে আসলাম। শুনেছিলাম এই বাজারে বড় একটি দোকান রয়েছে শুধু রেক্সিন ও খাটের জিনিস বিক্রয় করে সেই ঘরে। আমরা খুঁজতে থাকলাম সে দোকানটা। এর আগে কোনদিন এই দোকানে আসা হয়নি।


IMG_20240305_130506_972.jpg

IMG_20240305_130503_283.jpg



কিছু দোকান পার হয়ে মনে হল যেন খুঁজে পেয়েছি সেই দোকান। কারণ বাড়ি থেকে বের হয়ে এই দোকানের নাম শুনেছিলাম এবং যিনি বিক্রয় করেন তিনি একজন হুজুর টাইপের মানুষ। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম তিনি সঠিকভাবে চেয়ে থাকেন এবং কিছুটা ছাড় পাওয়া যায়। উপস্থিত হয়ে দেখলাম বিভিন্ন সাইজের রেক্সিন জানালা দরজার পর্দা, সিট কাপুড় সহ অনেক কিছু এই দোকানে রয়েছে। প্রথমে আমরা জিনিসগুলো দেখতে থাকলাম। কারণ তখন দোকানটায় অনেক ভিড় ছিল।


IMG_20240305_124916_467.jpg

IMG_20240305_124919_534.jpg

IMG_20240305_124922_852.jpg



এরপর উনারা বললেন আপনার যেমন পছন্দ ঠিক তেমন টা বেছে নিন। আমাদের গোডাউনের ভেতর যেতে বললেন। উপস্থিত হয়ে দেখলাম অনেক ডিজাইনের রেক্সিন সহ দরজা জানালার পর্দা। এরপর আমরা দেখে দেখে ভালোলাগার একটি রেক্সিন বের করলাম। সাথে দেখলাম ছোট সাইজের অনেকগুলো রেক্সিন রয়েছে। বাবুকে কোলে নিতে বা ঘুম পাড়াতে ছোট তা বেশি প্রয়োজন হয়। তাই সাথে একটি ছোট তাও নিয়ে নিলাম। এরপর উনাদের কাছে নিয়ে উপস্থিত হলাম।


IMG_20240305_124944_741.jpg

IMG_20240305_124928_030.jpg



উনারা বড় খাটের সাইজটার দাম বলেন ৫০০ টাকা। আর ছোট সাইজটার দাম বলেন ১২০ টাকা। তখন আমি দুইটা মিলে বললাম সাড়ে ৪০০ টাকা। উনি বললেন বড়টা সাড়ে চারশ টাকায় কেউ দেখ কি খুঁজে দেখেন। আমি বললাম আমি তো আমার বাবু হওয়ার সময় ৩৫০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। তখন উনারা বললেন এর আগে 350 ছিল এখন ৩৫০ এই। নরমাল গুলো ৩৫০ টাকায় পাবেন না। তখন বললাম তাহলে আপনাদের তারা এখন অন্য ঘর খুঁজে দেখি। এরপর উনারা বললেন আর কিছু টাকা বেশি দিতে হবে। আমি যখন বললাম দুইটা মিলে আরও ২০ টাকা বেশি দেব। কিন্তু অবশেষে দুইটা মিলে ৫০০ টাকায় মিটলো। এতে বেশ খারাপ হয়েছে তা কিন্তু নয়। কারণ খাটের আরামদায়ক উন্নত মানের রেক্সিন এর দাম ৫৫০ টাকার উপরে। নরমাল গুলো সাড়ে ৪০০-৫০০ টাকা। পাশাপাশি ছোট রেক্সিন ফ্রি হিসেবে পেয়ে গেলাম। এরপর উনারা প্যাকেট করে দিলেন। টাকা পরিশোধ করে রেক্সিন কিনে চলে আসলাম।


IMG_20240305_125002_234.jpg

IMG_20240305_124910_993.jpg

PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png


সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

ij42VfeLLLL7WCxzYedv2KU7aUqHk3RNyfwHxuumhaYnHGG1dsqAWnhgxDavkADTEGBJEwSdb572op7FjANMqWxnMxgRucn6JYEH18dx32zBsGYg8oAuC5Quz1do2uNbdFiF3z6Lk1Hw8qJ8jcr6SQ85SbvCaLy5VUwHxx3SRmPnXqteex2eVHV2cAzT5iwMRSwwYpQBkt5B8W7bPzGLjyAxm.gif


পোস্ট এর বিবরণ


বিষয়গাংনী বাজার থেকে কেনাকাটা
লোকেশনLocation
মোবাইলInfinix Hot 11s
ক্রেডিট@jannatul01
ব্লগারআমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি


আমার পরিচয়



আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।


2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনারা সচারচর গাংনী বাজার থেকে কেনা কাটা করে থাকেন। আজকে দেখছি আপনি আপনার পাশ্ববর্তী গাংনী বাজার থেকে রেক্সিন কেনাকাটা করেছেন। আসলে খাটের মধ্যে রেক্সিন ব্যবহার করলে অনেক আরামদায়ক হয়। আপনার কেনা রেক্সিন গুলো দেখছি বেশ সুন্দর। আপনি দোকান থেকে বেছে খুবই সুন্দর সুন্দর রেক্সিন চেয়েছ করে নিতে পেরেছেন।

হ্যাঁ এটা আমাদের উপজেলা বাজার।

যে গরম পরেছে এর মধ্যে বের হওয়াটা অনেকটা কষ্ট সাধ্য তবুও হতে হবে প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য।দারুন একটি পোস্ট আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর উপস্থাপন এর জন্য।

সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ

আপনাদের গাংনী বাজারে এই কেনাকাটার মুহূর্তটা জেনে খুবই ভালো লেগেছে আমার। খুব সুন্দর কেনাকাটা করেছিলেন। তবে তার মধ্যে বাবুর জন্য রেক্সিন কিনেছিলেন জেনে ভালো লেগেছে। আপনাদের দেওয়া সেই রেক্সিন এখনো ব্যবহার করে।

হ্যাঁ কিছুদিন আগে দেখলাম রেক্সিন ব্যবহার করছে।

আপনি দেখছি বেশ ভালোই দামাদামি করে কিনেছেন রেক্সিন। আসলে একটু দামাদামি করে না কিনলে ঠকতে হয়।রেক্সিন টি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।ধন্যবাদ রেক্সিন কেনার অনুভুতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

হ্যাঁ হ্যাঁ, বর্তমান বাজারে কোন কিছু কিনতে হলে পরে নিচের চালাক হতে হয়।

আপু আপনার জায়ের মেয়ে হয়েছে আমরা সবাই জানি। আর ছোট সামিয়ার জন্য রেক্সিন এবং প্রয়োজনীয় জামা কাপড় কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো। এই গরমে বাহিরে গিয়ে কেনাকাটা করা সত্যিই অনেক কঠি ব্যাপার। যাই হোক আপনি আপনার অনুভূতি তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

হ্যাঁ আপু সেই থেকে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।