ওয়াজ মাহফিলের মেলা থেকে কেনাকাটার মুহূর্ত

in hive-129948 •  8 months ago 


আসসালামু আলাইকুম


কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। প্রায় এক বছর আগে খালা বাড়ির পাশে ওয়াজ মাহফিলের মেলা ভ্রমণ করেছিলাম। আর সে মেলা থেকে বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছিলাম আমি। আজকে সে ফটো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে এলাম। আশা করি এরই মধ্য দিয়ে আমার মেলা ভ্রমণের বেশ অনুভূতি জানতে পারবেন।


img_1711215762004.jpg

আমি ছোট থেকে ওয়াজ মাহফিলের মেলা ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। আব্বুর হাত ধরে অনেক ওয়াজ মাহফিলের মেলায় খাবার জাতীয় জিনিস কিনে খেয়েছি আবার খেলনা জাতীয় জিনিস কিনে বাসায় এনেছি। আর এভাবেই ছোটবেলার অনেক মধুর স্মৃতি আমার জীবনে রয়েছে। তবে এখন নিকটস্থ এক ওয়াজ মাহফিলে বেশ চলাচল হয়ে থাকে আমার। আমাদের বাসা থেকে পাঁচ কিলো দূরে মোহাব্বতপুর নামক স্থান। ওখানে আমার খালামনি বাসা এবং একটু এগিয়ে গেলেই নানির বাসা। সেই সুবাদে ছোট থেকে আজ পর্যন্ত সুযোগ পেলে ওয়াজ মাহফিলের এই মেলায় কেনাকাটার উদ্দেশ্যে উপস্থিত হতে পারি খুব সহজে। খালাতো বোনদের সাথে উপস্থিত হয়েছিলাম ওয়াজ মাহফিলের মেলাই। নিজের জন্য কিছু কিনব এবং ছোট ছোট ভাইবোনদের জন্য ও আমার ছেলের জন্য কিছু কিনব এই উদ্দেশ্যেই উপস্থিত হয়েছিলাম। ওয়াজ মাহফিলের মেলায় উপস্থিত হলেই তো ছোট ভাইবোনদের বায়না তাদের খেলনা কিনে দিতে হবে। তাই সন্ধ্যা রাতেই তাদের সাথে সেখানে উপস্থিত হলাম। বেশ অনেক খেলনা দেখতে থাকলাম।


IMG_20230225_195159_622.jpg

IMG_20230225_200941_254.jpg




ছোট ভাই আর চাচাতো ছোট বোন তারা তাদের মত খেলনা দেখতে থাকলো। এদেরকে আমি আর আমার খালাতো বোন আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস দেখতে থাকলাম। ওয়াজ মাহফিলের মেলাতে দেখলাম অনেক প্রকার জিনিস এখানে বিক্রয় করতে এসেছে। এগুলো নতুন করে দেখার কিছুই নেই প্রত্যেক বছর আমি দেখার সুযোগ পেয়ে থাকি। এরপরে দেখার চেষ্টা করলাম নতুন কোন কিছু ভাললাগার আছে কিনা।


IMG_20230225_195215_835.jpg

IMG_20230225_195236_023.jpg



মেলাতে ঘুরতে আসলে আমার একটা সমস্যা হয়, সেটা হচ্ছে কারোর কোন জিনিস কিনে দিতে পারি আর না পারি আমার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় এটা সেটা কিনবই। ছোট ছোট ভাইবোনদের লাগিয়ে রাখলাম তোরা তোদের মত জিনিস দেখ কিনে দিতেছি, এই বলে উপস্থিত হয়ে গেলাম আমার প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাতে। এখানে বিভিন্ন প্রকার সুন্দর দেখার মত গার্ডার রয়েছে আয়না চিরুনি। এছাড়াও সুন্দর কসমেটিক সামগ্রী যা দেখলে সবকিছুই কিনতে মন চায়। ঘুরতে থাকলাম দামদর করতে থাকলাম, আর কয়েকটা জিনিস কিনেও ফেললাম। আর এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকলাম আংটি কানের দুল সহ সুন্দর সুন্দর সব জিনিস দেখে। আমি আমার জীবনে অনেক কানের দুল কিনেছি এমন মেলা থেকে। তাই পুরাতন অভ্যাস রয়ে গেছে। মেলাতে ঘুরতে আসলে কানের দুল নিতে হয় আমার। ঠিক তেমনি দুই জোড়ার নিয়েছিলাম।


IMG_20230225_201744_275.jpgIMG_20230225_201738_175.jpgIMG_20230225_201326_523.jpg
IMG_20230225_200513_909.jpgIMG_20230225_200318_123.jpg



এরপর মেলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখার চেষ্টা করলাম। অতিরিক্ত মানুষের ভিড়ের কারণে চলাচল আমাদের জন্য তেমন সুবিধার নয়। যত রাত বাড়তে থাকলো মানুষের চলাচল বাড়তে থাকলো মেলার আশেপাশে। এজন্য দ্রুত এখান থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করলাম কিছু ফটোগ্রাফি আর কেনাকাটা করে। এরপর রাস্তার দিকে যেখানে খাবারের দোকান রয়েছে সেই দিকে উপস্থিত হলাম।


IMG_20230225_200917_121.jpg

IMG_20230225_201332_586.jpg



আমি ছোটবেলা থেকে কদমা বাতাসা জাতীয় মিষ্টি গুলো খুব পছন্দ করে থাকি। তাই মিষ্টির ছোট দোকানগুলোতে এই জিনিসগুলো খোঁজ করলাম। দেখলাম দেখার মত অনেক সুন্দর সুন্দর মিষ্টি জাতীয় রেসিপি পাশাপাশি জিলাপি আর সিঙ্গারা জাতীয় রেসিপির অনেক দোকান রয়েছে এখানে। তবে সব জায়গা থেকে ফটো ধারণ করা সম্ভব হলো না। কিছু কদমা ও জিলাপি কেনার পর এখান থেকে বের হয়ে এলাম। খালাদের বাসার ২ কিলো পরেই আমার নানী শাশুড়িদের গ্রাম। অনেকদিন এই লেখা দেখেই যাচ্ছিলাম কিন্তু আগে জানতাম না এই গ্রামটা আমার নানী শাশুড়িদের গ্রাম। বিয়ের পর থেকে জানতে পেরেছিলাম। ওয়াজ মাহফিলের এই জায়গায় আসলে বারবার মনে পড়ে যায় আগের দিনের কথা। তবে ঐদিন আপনজনদের সাথে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম ওয়াজ মাহফিলের মেলাগুলোতে এসে।


IMG_20230225_203417_446.jpg

IMG_20230225_202208_941.jpg


ফটোগ্রাফি ডিভাইসInfinix Hot 11s
লোকেশনগাংনী- মেহেরপুর
ক্রেডিট@jannatul01


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


আমার পরিচয়

আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ওয়াজ মাহফিলে ঘোরার সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝেও তুলে ধরেছেন আপু। এটা শুনে ভালো লাগলো যে আপনি অন্য কারোর জন্য কোন কিছু কিনতে পারেন আর না পারেন নিজের জন্য অবশ্যই কিছু না কিছু কিনে থাকেন এই জাতীয় মেলাগুলো থেকে। যেমন এই মেলাতে গিয়ে দুল জোড়া কিনেছিলেন। সাথে কদমা সহ আপনার প্রিয় মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো খুঁজছিলেন। আপনার বাসা থেকে পাঁচ কিলো মিটার দূরে এই ওয়াজ মাহফিলের ঘোরার সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

ওয়াজ মাহফিল শুনতে আমার অনেক ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য।

ওয়াজ মাহফিলের মেলায় গিয়ে ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। আর অনেক সুন্দর এবং বেশ ভালোই কিছু কেনাকাটা করেছিলেন লিখছি। ছোট বাচ্চাদের অনেক খেলনাও রয়েছে। মেলায় ঘুরতে আমি খুব পছন্দ করি। আর গ্রামের মেলাগুলো অনেক সুন্দর। আপনি নিজের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনেছেন শুনেও ভালো লেগেছে। আপনার কাটানো মুহূর্তটা আপনি কিন্তু অনেক সুন্দর করেই সবার মাঝে শেয়ার করে নিয়েছেন। ভালো লাগলো দেখে।

এই ধরনের ওয়াজ মাহফিলে ঘোরাঘুরি করতে এবং কেনাকাটা করতে আমি অনেক পছন্দ করি।