ফটোগ্রাফি মেলা ভ্রমণ স্থান বাদিয়াপাড়া মহাব্বতপুর লোকেশন Location মোবাইল Infinix Hot 11s ক্রেডিট @jannatul ব্লগার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি
ওয়াজ মাহফিলের মেলা থেকে ফটোগ্রাফি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। উপস্থাপন করব গাংনী মেহেরপুরের বাদিয়াপাড়া মহাব্বতপুর পীর দরবার শরীফের ওয়াজ মাহফিলের মেলা ভ্রমণ এবং সেখান থেকে উঠানো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
মেলা ভ্রমণ করতে আমি খুবই পছন্দ করি। কারণ মেলাতে বিভিন্ন প্রকার খেলনা পাওয়া যায় এছাড়াও প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায়। আর মেলা ভ্রমণ করার প্রতি ভাললাগা আমার সৃষ্টি হয়েছিল খেলনা জাতীয় জিনিস থেকে। ছোটবেলায় খালাম্মার বাসায় ঘুরতে যেতাম। খালাতো ভাই-বোনদের হাতে বিভিন্ন প্রকার খেলনা দেখে কান্না করতাম। তাই দেখে আমার আব্বা কিনে দিত। এরপর যখন খালাদের বাসার নিকটে ওয়াজ মাহফিল হত সেই ওয়াজ মাহফিলে বড় আয়োজন থাকতো। আর ওয়াজ মাহফিল কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রকার মেলা বসতো। সেই থেকে আমার খেলনা পাওয়া আর খেলনার প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছিল।
যখন ভালো বুদ্ধি জ্ঞান হলো তখন দেখতাম খালাতো ভাই বোন এবং তাদের চাচাতো ভাই বোনেরা মেলায় অংশগ্রহণ করত আর এটা ওটা অনেক কিছু কিনতো। তাদের দেখাদেখি আমিও আব্বার কাছে বাইনা ধরতাম মেলা থেকে জিনিস কিনতাম। আর সেই থেকে এই পর্যন্ত কত জিনিস কিনেছি এখান থেকে তা বলে শেষ করতে পারবো না। আর বড় সুবিধা জনক বিষয় ছিল খালাম্মাদের বাড়ির পাশেই প্রত্যেক বছর একই জায়গায় দুই থেকে তিনবার ওয়াজ মাহফিল হয়। ছোটবেলায় দেখেছি পূজার অনুষ্ঠানে অনেক প্রকার মেলা বসতো। সেখান থেকে অনেক কিছু কেনা হতো। তবে এবার আমি মেলা ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম আমার বাবুর খেলনা জাতীয় জিনিস কিনে দেওয়া আর ছোট ভাইবোনদের খেলনা কিনে দেওয়ার জন্য।
এখানে বেশ বিভিন্ন রকমের প্লাস্টিকের খেলনা যেন চোখ জুড়িয়ে দেয়। আমাদের ছোটবেলায় এত প্রকার খেলনা পাওয়া যেত না বেশিরভাগ মাটির খেলনা লক্ষ্য করতাম। আমার ঘরে খুঁজলে এখনো মাটির অনেক খেলনা খুঁজে পাওয়া যায়। তবে এখন বেশিরভাগ হয়ে গেছে প্লাস্টিক সামগ্রী। আমি মেলাতে অংশগ্রহণ করার পর ইচ্ছেমতো খেলনা, প্রয়োজনীয় জিনিস, কানের দুল সহ কসমেটিক সামগ্রী দেখেছি আর ফটো ধারণ করেছি। এদিকে কিছু কিছু জিনিস লক্ষ্য করলাম হাতের ব্রেসলেট অথবা গলার চেন অনেক এসেছে। তবে কিছু কিছু জিনিস রয়েছে, যেগুলা মানুষকে বদভ্যাস সৃষ্টি করায় বা অভদ্র কার্যকলাপে লিপ্ত করায়। অনেক ছেলেরা আছে ফোর টুয়েন্টি গিরি করতে এর মধ্য থেকে কিছু জিনিস কিনে থাকে। যেমন হাতের বালা গলার চেন সহ আরো অনেক কিছু।
এখানে ছোট-বড় সকলের জন্য বিভিন্ন প্রকার সানগ্লাস ও চশমা ছিল। আমি আমার ছোট ভাইয়ের জন্য একটি সানগ্লাস কিনে দিলাম। তবে চাচাতো ছোট বোন এসব পছন্দ করেনা, তাই তার জন্য তেমন কোন কিছু কেনা লাগেনি। সানগ্লাস গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছিল কিন্তু আমার তো প্রয়োজন নেই। এখানে এই সমস্ত জিনিস গুলা বেশ কম দামে সস্তায় পাওয়া যায়। তাই ওয়াজ মাহফিলের মেলাতে ঘুরতে এসে প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস কেনা সম্ভব হয়।
এদিকে ছোট বোনটার হাতের আংটি কিনে দেওয়ার জন্য উপস্থিত হলাম। সেখানে দেখতে পেলাম বেশ অনেক সুন্দর সুন্দর কানের দুল রয়েছে। দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। কিন্তু এগুলা বেশিদিন লাস্টিং করে না। তবে তার মধ্য থেকে আমি পেয়ে গেলাম নেল কাটার। অনেকদিন ধরে নেল কাটার নিবো নেব আশায় ছিলাম কিন্তু কোথাও চোখে বাধে না। আবার বাজারে গেলে পারে মনে থাকে না। তাই এখান থেকে সুন্দর একটি নেল কাটার নিয়ে নিলাম। আর এদিকে বিভিন্ন জিনিস দেখতেও থাকলাম মন ভরে। অনেক সুন্দর সুন্দর মাথার ট্রাই, মানুষের মুখোশ সহ নাম না জানা অনেক কিছু রয়েছে এখানে। তবে মানুষের ভিড়ে শান্তিতে ফটো ধারণ করতে পারি নাই। সময় সুযোগে যে কয়টা সম্ভব হয়েছে।
খেলনা জাতীয় জিনিস কেনার মুহূর্তে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল পিঠা তৈরি করার ছাস দেখে। এখানে বিভিন্ন প্রকার পিঠা তৈরি করা যায় এমন প্লাস্টিকের ছাস বিক্রয় হয়েছিল। এছাড়া ছিল বিভিন্ন সবজি ছোলার যন্ত্র। মাছ এর আঁশটি তোলার যন্ত্র। এখান থেকে বেশ অনেকগুলো জিনিস কিনে ছিলাম। এ সমস্ত জিনিসগুলো বেশ কাজে লাগে। একা কাজ করার মুহূর্তে দ্রুত কাজ করতে বেশসহতা পেয়ে থাকি এই সমস্ত যন্ত্রের মাধ্যমে।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
ওয়াজ মাহফিলে এই ধরনের খেলনা দেখতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। আপনি ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ওয়াজ মাহফিলে গেলে এই ধরনের মুহূর্তগুলো সত্য অসাধারণ হয়ে থাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি ছোট থেকেই দেখে আসছি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখনকার সময় ওয়াজ মাহফিলে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায়। আপনি ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিসের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ বিভিন্ন জিনিস পেতে কিন্তু ওয়াজ মাহফিল এর মেলাগুলো এনাফ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বড় হবার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শখ আহ্লাদ অনেকটাই কমে যায়, ছোটবেলায় যে জিনিসগুলোর জন্য বাবার কাছে বায়না ধরতাম বড় হবার সে জিনিসগুলো কেনার জন্য আর বায়না ধরিনা। যাইহোক ওয়াজ মাহফিলের মেলায় গিয়ে দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন এই সকল মেলায় গেলে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে যায়। আপনার এই ফটোগ্রাফি এবং মেলার দৃশ্যটা দেখে ছোটবেলার কিছু কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছে যেগুলো কখনোই ভোলার নয়। ধন্যবাদ অতীত মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কমে গেলেও আমার কিন্তু এখনো ইচ্ছে রয়েছে তাই সুযোগ পেলেই যাওয়ার চেষ্টা করি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ আপনি তো খুব সুন্দর করে ওয়াজ মাহফিল মেলা থেকে চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। তবে আগে বিভিন্ন মেলাতে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দেখা যেত। এখন ওয়াজ মাহফিলে অনেক ধরনের জিনিসপত্র দেখা যায়। তবে মেলা এবং ওয়াজ মাহফিলে সবাই কমবেশি অনেক স্মৃতি আছে। যাইহোক খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন । তা আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু এখানে অনেক কিছু পাওয়া যায়
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit