পাতি হাঁসের রেনডম ফটোগ্রাফি

in hive-129948 •  12 days ago 


আসসালামু আলাইকুম

আমার বাংলা ব্লগে সকলকে স্বাগতম


কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার উদ্দেশ্যে। বিভিন্ন সময়ের বেশ অনেকগুলো পাতি হাঁসের ফটো ধারণ করেছিলাম। মনে করলাম পাতিহাঁস গুলোর সুন্দর একটি ব্লগ সাজাবো। তাই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে পড়লাম। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে।

IMG_20250117_142553_1.jpg



রেনডম ফটোগ্রাফি


আগে প্রায় পুকুর পাড়ে বেশি বেশি উপস্থিত হতাম। তবে ইদানিং পুকুরে যাওয়াটা কমে গেছে। যাইহোক পুকুরে যাওয়ার পথে আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করতাম। বাসা থেকে বাগানের দিকে নাবতে একটি পুকুর রয়েছে। সে পুকুরটার মধ্যে পাড়াগাঁয়ের অনেক পাতিহাঁস একসাথে চড়াই করে। যত সম্ভব মনে হয় পুকুরটা নতুন রিপেয়ার করা হয়েছে তাই পাতিহাঁস গুলোর কাছে বেশি ভালো লাগে। সেই জন্য হয়তো বিভিন্ন বাড়ির হাঁসি হাঁসি গুলো একসাথে আনন্দ করে এ পুকুরের মধ্যে নেমে পড়ে। তাই আমি যেতে আসতে একটু বেশি এদের খেয়াল করতাম। আর ফটো ধারণ করতাম। বিভিন্ন সময়ের বিভিন্নভাবে সুন্দর সুন্দর এই ফটোগুলো ধারণ করতে পেরেছি।

IMG_20241110_100113.jpg

IMG_20241110_100122.jpg

IMG_20241110_100128.jpg

IMG_20241110_100136.jpg


একটা সময় ছিল আমি আমার নিজ দায়িত্বে আব্বু আম্মুর ঘরে অনেক বেশি পাতিহাঁস পেলেছি। ঘুম থেকে উঠে পাতিহাঁস গুলো যখন ঘর থেকে ছেড়ে দিতাম তখন ঘরের মধ্যে দশ বিশটা পর্যন্ত ডিম পড়ে থাকত। তখন ডিমের বেশি দাম ছিল না। কিন্তু এখন ডিমের অতিরিক্ত দাম। দেশি হাঁসের ডিম গুলো ১৫ টাকা পিস কিনে খেতে হয়। সেই সময় ছিল পাঁচ সাত টাকা। পাতিহাঁস দুই রকমের ডিম দিয়ে থাকে। একটা দেখতে সাদা, আরেকটা দেখতে অন্য বর্ণের হয়ে থাকে বর্ণটার নাম মনে নেই। তাহলে বুঝতেই পারছেন নিজের হাতে কত সুন্দর সুন্দর পাতিহাঁস ফেলেছি এবং ডিম সংরক্ষণ করেছি। কিন্তু এখন বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে হাতে কোলে বাচ্চা থাকায় সেভাবে হাঁস পাতি হাঁস মুরগি কোনটাই পোষা হয় না। তাই বেশ আফসোস করতে হয়।

IMG_20241110_100142.jpg

IMG_20241110_100154.jpg

IMG_20241110_100202.jpg

IMG_20241128_140507.jpg


সেখানে মাত্র দুইটা পুকুর ছিল। একটা পুকুর আমাদের সে বাড়ির পিছনে। সেটাই কোন মাছ হয় না। পচা পুকুর নামে পরিচিত। একটা পুকুর ছিল সেটাতে মাছ হয়। চারটা চাচাদের চারটা অংশ। কিন্তু সে পুকুরটার মধ্যে পাড়াগাঁয়ের অনেক মানুষের পাতিহাঁস চরাই করত। সব থেকে সুবিধা ছিল পাশের খাল। সেখানে অনেক হাঁস চরায় করার জায়গা পেত। তবে এখানে বিয়ে হয়ে আসার পর বাড়ির সামনে পিছনে উত্তর দক্ষিণে সবদিকে শুধু পুকুর আর পুকুর। এখানে এই হাঁস পালা অনেক সহজ। কিন্তু একটা সমস্যা রয়েছে সন্ধ্যা বেলায় এদের খুঁজে বের করে আনতে হয়। এইজন্য সে রিক্স নেওয়া হয় না।

IMG_20241128_140509.jpg

IMG_20241128_140515.jpg

IMG_20241128_140518.jpg

IMG_20250111_144920.jpg

IMG_20250124_135332.jpg


PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png


ডিভাইসHuawei P30 Pro-40mp
বিষয়পাতিহাঁস এর ফটোগ্রাফি
লোকেশনগাংনী- মেহেরপুর
ক্রেডিট@jannatul01
দেশবাংলাদেশ ‌


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


আমার পরিচয়

আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।


2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif


IMG-20241121-WA0011.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আজকের কাজ সম্পন্ন

Screenshot_20250124_220747.jpg

Screenshot_20250124_220644.jpg

Screenshot_20250124_220455.jpg

আপু নিজের হাতে হাঁস মুরগি পালা একদিকে যেমন ভালো লাগে। অন্যদিকে অনেক সুবিধা আছে। নিজের ঘরে হাঁস মুরগি গোশত খাওয়া যায়। এমনকি ডিমও খাওয়া যায়। বাজারে এখন ডিমের দাম প্রচুর। যাইহোক আজ আপনার পাতি হাঁসের ফটোগ্রাফিগুলো দারুন লেগেছে। কি সুন্দর করে হাঁসগুলো পুকুরে খেলা করছে।

এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন আপনি

পাতিহাঁস গুলো বেশ চমৎকার সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। চমৎকার সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। বেশি পুকুর থাকলে হাঁস পালনে সুবিধা হয়।হাঁস গুলো জলে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বিশ্রাম নিচ্ছে দেখে ভালো লাগছে।ধন্যবাদ আপনাকে পাতিহাঁসের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।

হ্যাঁ আপু এমন দৃশ্য আমি পছন্দ করি।

পাতি হাস গুলো যখন পুকুর কিংবা নদীর মধ্যে সাঁতার কেটে কেটে গোসল করে, তখন তাদের সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে বেশ কয়েকটি হাঁসের ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

আমি অনেক পছন্দ করি আর ফটো ধারণ করি।

আপনি আজকে পাতি হাঁসের ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করেছেন দেখছি। আসলে হাঁস গুলো যখন পুকুরে সারি বেঁধে সাঁতার কাটে তখন দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি দারুন হয়েছে আপু।

পানি পূর্ণ পুকুরে পাতি হাঁসের খেলা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।

আপু আপনি দেখছি অনেকগুলো পাতি হাঁসের ফটোগ্রাফি করেছেন। বাড়িতে পুকুর থাকলে পাতি হাঁস গুলো পুকুরের উপর বা পানির মধ্যে দেখা যায়। তবে অনেকে ই আমাদের এদিকেও পাতি হাঁসের পালন করে। সকাল বেলা যখন হাঁস বাসা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তখন বাসার মধ্যে ডিম পাওয়া যায়। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে পাতি হাঁসের। ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।

এক সময় আমার অনেক পাতিহাঁস ছিল।

পাতি হাঁস গুলো দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। পাতি হাঁস গুলো দেখার পর ছোটবেলায় পুকুর ঘাট থেকে পাতি হাঁস উঠিয়ে আনার কথাগুলো মনে পড়লো। অনেক সুন্দর সুন্দর ছিল ফটোগুলো।

অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।

পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এবং পুকুরের মধ্যে ভাসমান অবস্থায় পাতি হাঁসের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগলো। একই সাথে সুন্দর বর্ণনা গুলো পড়েও ফটোগ্রাফি পোস্টের যথার্থতা সম্পর্কে জানতে পারলাম। দারুন একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

অসংখ্য ধন্যবাদ

আপনি আজকে বেশ চমৎকার কিছু হাসের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এত সমর্থক ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।

এটি গ্রামগঞ্জের খুবই সুন্দর একটি চিত্র। আপনার পাতি হাঁসের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। হাঁস যখন পানিতে ভাঁসে তখন দেখতে দারুণ লাগে। ধন্যবাদ।

একদম ঠিক বলেছেন