আমার বাংলা ব্লগে সকলকে স্বাগতম
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বিভিন্ন প্রকার ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে আজকে ফটোগ্রাফি শেয়ার করব আমাদের এক বড় ভাইয়ের কার্যক্রমের। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে।
photo editing by college maker gridArt app
দীর্ঘদিন যারা ভাল মানুষ দেখেননি বা ভাল মানুষ খুঁজে পান না, তারা এই মুখটা দেখতে পারেন। উনি আমাদের বড় ভাই, উনার নাম মোঃ আব্দুর রহমান। এক কথায় পাড়ার অনেকের মিয়া ভাই বললেই চলে। যেমন সত্য ন্যায় পরায়ণ এত নিষ্ঠা সত্যবাদী মানুষ। উনার মনের মধ্যে রয়েছে এক অন্যরকম মায়া-মমতার অনুভূতি। আমি দীর্ঘদিন ভাইয়াকে লক্ষ্য করে আসছি এবং ভাইয়ার কাজকর্মগুলো দেখে আসি, এমনকি রাজ্যের আব্বুদের কাছেও জেনেছি ভাইয়া সততা এবং সুন্দর ব্যবহার। উনি খুব সুন্দর সাদা মনের মানুষ। নিরবে পরিশ্রম করে চলে সারাদিন। উনি ওনার নিজের কাজের পাশাপাশি আমাদের অনেক সহায়তা প্রদান করে থাকেন। মাছ বিক্রয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনে ভাইয়া এত সুন্দর সহায়তা করেন, বর্তমান যুগে কোন মানুষ এতটা সহায়তার হাত বাড়ান না। তবে যাই হোক ভাইয়াকে লক্ষ্য করে দেখলাম অনেক সুন্দর একটি বাগান তৈরি করেছেন। বাগানে শীতকালে সবজি দিয়ে শুরু করে এখন পর্যন্ত অনেক সবজি রয়েছে ওনাদের বাগানে। শীতের সময় আমরা যখন আমাদের পুকুর পাড়ে শিম তলায় ব্যতিব্যস্ত। তখন লক্ষ্য করে দেখলাম ভাইয়া তাদের এই বাগানের মধ্যে শীতকালীন বিভিন্ন শাক সবজির পাশাপাশি আলু লাগিয়েছেন।
অনেকদিন ধরে লক্ষ্য করে দেখি ভাইয়া বেশ পরিশ্রম করে এই বাগানের মধ্যে। কিন্তু পাশে যেয়ে দেখা হয় না কখনো। একদিন কি মনে হল হঠাৎ করে ছেলে কোলে করে ওখানে গেলাম। আমাদের বাড়ির পরের বাড়িটাই অর্থাৎ আমাদের রাস্তার পাশে পুকুরের পরে এ বাগানটা। কিন্তু সেভাবে ভাইয়ার কাজ গুলো দেখা হয় না আমার। যাইহোক উপস্থিত হয়ে দেখলাম ভাইয়া একদিকে আলুর গাছগুলোর লাইনের মাঝখানের নিড়িয়ে দিচ্ছেন এবং খুব সুন্দর করে আলু গাছগুলো মাটি দিচ্ছেন। ওদিকে মোটরে লাইন থেকে পানি আসছে সেচ হওয়ার জন্য। আর এভাবেই ভাইয়া দীর্ঘক্ষণ রোদ গরমের মধ্যে কাজ করে চলছেন। উনি একনিষ্ঠা এভাবে মুখ বুজে নিজেদের কাজগুলো করতে থাকেন। লক্ষ্য করে দেখলাম সেখানে বাগানের মধ্যে আলু গাছ বেশ সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছিল। আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখেছি শীতের সময় আমাদের এই গ্রামে প্রায় মানুষ অনেক রকমের শাকসবজি উৎপাদন করা চেষ্টা করে থাকেন। তবে বাড়িতে এ বিষয়টা শুনতে পেরেছি যে আগে এখান কর মানুষগুলো গ্রামে তত বেশি শাকসবজি উৎপাদন করত না অর্থাৎ পাড়া গায়ে উৎপাদন করত না। তবে এখন খুব শাকসবজি উৎপাদনের জন্য ঝুকে পড়েছে এবং বেশ ভালই উৎপাদন করে থাকে। তবে এই ভাইয়া পুকুর পাড়ে বিভিন্ন জায়গাতে শাকসবজি উৎপাদন করেন। এবার প্রথম পাড়ার মধ্যে উদ্যোগ নিয়েছেন আলু চাষের জন্য।
তবে একটা বিষয় খুব খারাপ লাগছিল ভাইয়া বেশ অনেকদিন ধরে এরমধ্যে পরিশ্রম করছেন কিন্তু কিছু কিছু জায়গাতে আলুর গাছ ভালো বের হয়নি। ভাইয়া বলছিলেন যে সময় আলু লাগিয়েছিলেন ওই মুহূর্তে বেশ বৃষ্টি হয়েছিল আর তাই অনেক আলু পচে গেছিল। তবুও চেষ্টা করে চলছেন খুব সুন্দর ভাবে আলু গাছগুলো যেন বৃদ্ধি পায় সে প্রচেষ্টায়। তবে এরপর আমি লক্ষ্য করে দেখেছিলাম যে সমস্ত জায়গাতে বেশি আলু গাছ হয়নি সেই জায়গাতে পেঁয়াজ লাগিয়েছিলেন। কিছু কিছু জায়গায় পালন শাক লাল শাক আর টমেটো গাছ লাগিয়েছিলেন। সেগুলো বেশ ভালো হয়েছিল। তবে সেই দিন এসে ফটোগুলো কাছে থাকায় আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারলাম। সবাই যদি এভাবে টাটকা শাকসবজি উৎপাদন করার চেষ্টা করে তাহলে সত্যিই অনেক ভালো হয়। এভাবে নিজেদের হাতে উৎপাদিত শাকসবজি গুলো নিজেদের জন্য খুব উপকারে আসে এবং ফরমালিনমুক্ত শাকসবজি হয়। তবে এই প্রথম এই গ্রামে এসে পাড়ায় লক্ষ্য করলাম ভাইয়া আলু চাষ করছেন। শুনেছিলাম বেশ ভালোই আলু হয়েছিল। এখনো এ বাগান টার মধ্যে অনেক শাকসবজি রয়েছে। দোয়া করি এমন ভাইদের জন্য,যারা মানুষের সহায়তা করেন মানুষকে সুপরামর্শ দেন। মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করেন। বেঁচে থাকুক এমন মানুষগুলো সুস্থ সবল অবস্থায় হাসিখুশি মুখে।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনার বড় ভাইয়ের আলুর বাগানে। ফটোগ্রাফি দেখে মনে হলো আলু খুব সুন্দর হয়েছে । কিন্তু পোস্টটি পরে বুঝতে পারলাম যে বৃষ্টি হওয়ার কারণে আলু অনেক টাই পচে গেছে ,এবং অনেক জায়গায় ফাঁকা ফাঁকা বেড় হয় নাই। তবে অবশ্যই আপনার ভাইয়া পরিশ্রমের মূল্য পাবে এত পরিশ্রম করে তিনি, সেটা তো বৃথা যাবে না। ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু এমনটাই হয়েছিল ভাইয়ার বাগানে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বড় ভাইয়ের আলুর বাগান থেকে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এখন সব জিনিসের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে আমাদের সকলেরই উচিত বাড়ির আশেপাশে থাকা জমিতে এমন জিনিস লাগানো যেন পরিবারের চাহিদা পূরণ করা যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছেন আপনি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মিয়া ভাইকে দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। উনি অনেক ন্যায়পরায়ন মানুষ এবং সৎ মানুষ জেনে ভালো লাগলো। এরকম মানুষ আজকাল খুব একটা দেখাই যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে আপু দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার আব্দুর রহমান ওরফে মিয়া ভাইয়ের আলু বাগানের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। আপনার পোস্ট পড়েই বুঝতে পারলাম লোকটি খুব ভালো। আসলে তাজা শাকসবজি বা ফসল দেখলে নিজের কাছেও খুব ভালো লাগে। তবে আমার মনে হয় মিয়া ভাইয়ের মন খুব ভালো। সরল মানুষগুলো সব সময় মানুষের হেল্প করার চেষ্টা করে। যাহোক আলু বাগানের খুব চমৎকার ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুন্দর করে পোস্টটি উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক খুশি হলাম
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনার বড় ভাইয়ের আলু বাগান দেখে অনেক ভালো লাগলো। সেই সাথে আপনার মুখে আপনার ভাইয়ের প্রশংসা শুনেও ভালো লাগলো। উনি অনেক ভালো মানুষ বুঝতে পারছি। ভালো মানুষের প্রশংসা সবাই করে। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে। সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit