কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম আমাদের প্রিয় খালাতো ডাক্তার ভাইয়ের বিবাহ উপলক্ষে আমার অনুভূতিমূলক পোস্ট। ইতোমধ্যে বেশ কিছু পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি, আজকেও আবার আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম আরেকটি পর্ব নিয়ে। আজকের পর্বে থাকবে বিয়ে উপলক্ষে বরের শিরওয়ানি কেনার অনুভূতি। আশা করব এই পর্বটা আপনাদের ভাল লাগবে।
হামজা ভাইয়ের বিয়ের জন্য ধুমধাম কেনাকাটা চলছে। যেমন আনন্দ উল্লাস তেমনি মজার মজার কথা নিয়ে বিকেল গুরিয়ে চলতে থাকলো। ইতোমধ্যে পাত্রীর জন্য বিয়ের শাড়ি, বিয়ের শাড়ি চেঞ্জ করলে এক্সট্রা যে শাড়ি প্রয়োজন সেটা কেনার বিষয়, পাত্রীর মায়ের জন্য নতুন এবং প্রথম শাড়ি কেনার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। যখন এই সমস্ত জিনিসগুলো প্যাকেট করবে দোকানের ছেলেটা ঠিক এই মুহূর্তে হঠাৎ হামজা ভাইয়া বলে বসলেন বিয়েতে নরমাল পাঞ্জাবি পরে যাব নাকি শেরওয়ানি পড়ে যাব। আমরা তখন সবাই এক বাক্যে বলে দিলাম পাঞ্জাবি পরলে ভালো লাগবে না। বিবাহ বলে কথা। বারবার তো আর বিয়ে হচ্ছে না। একবার যখন বিয়ে অবশ্যই সেভাবে সাজগোজ করে যেতে হবে। এদিকে লিস্টেও টিক মারা রয়েছে কি কিনতে হবে। তখন হামজা ভাইয়া বললেন তাহলে শেরওয়ানি কই বের করুন। এদিকে দোকানের কাপড় সাজানো সব লক্ষ্য করে দেখলাম শেরওয়ানি নাই।
ছেলেটা কাপড় ভাঁজ করতে করতে বলল শেরওয়ানি তো আমাদের শেষ হয়ে গেছে। তখন ভাইয়া বলল ভেবেছিলাম সব বন্ধুর দোকান থেকে নিয়ে যাব,এখন দেখছি শেরওয়ানি অন্য দোকান থেকে নিতে হবে। ছেলেটা বলল শেরওয়ানি অর্ডার করা রয়েছে কিন্তু এখনো নিয়ে আসা হয়নি। তখন ভাইয়া তার বন্ধুর কাছে ফোন দিল। ভাইয়ার বন্ধু ঢাকায় কোন কাজে গিয়েছেন। উনি বললেন আমার ঘরে আপাতত শেরওয়ানি নাই তবে মোবাইল করছি এখনই ম্যানেজ হয়ে যাবে।
হামজা ভাইয়া ফোন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তার বন্ধু অর্থাৎ এই দোকানের মালিক পাশের অন্য দোকানে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিল। এরপর দোকানে থাকা ছেলেটার কাছে বলে দিল পাশের সেই দোকান থেকে দেখার মত ভালো একটি শেরওয়ানি নিয়ে আসতে। ভাইয়া প্রশ্ন করল কেমন কি রেট পড়তে পারে। তখন ছেলেটা বলল দেড় থেকে আড়াই হাজারের মধ্যে ভালো তা পাওয়া যায়। টাকা পয়সার বিষয় নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নাই। কেনার দামে আপনাকে দিয়ে দিবে আপনার বন্ধু। এরপর ছেলেটা দ্রুত চলে গেল মার্কেটের অন্য একটি দোকানে। সেখান থেকে খুব সুন্দর একটি শেরওয়ানি নিয়ে চলে আসলো।
শেরওয়ানি টা দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। তখন হামজা ভাইয়া বলল পরে চেক করে নেব নাকি। আমরা সবাই বললাম অবশ্যই পরে দেখেন। এখানে চেক করে না নিলে পরে আবার ঝামেলায় পড়তে হবে। তাই ছেলেটাও রাজি হল আপনি এখান থেকে গাড়ি দিয়ে গায়ের সাথে ঠিকঠাক হয় কিনা দেখে নিন। কারণ এটা না হলে অন্য একটা এনে দিবে। জয় হোক তারপর ভাইয়া আনন্দের সাথে গায়ে দিতে থাকলো আমরা ছবি তুলতে থাকলাম। যেন বিবাহের আনন্দ এখানে অ্যাডভান্স পেয়ে গেলাম আমরা বিভিন্ন আনন্দ হাসির মাঝে। ভাইয়া শেরওয়ানি গায়ে দিলেন দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। তবে শুধু শেরওয়ানি গায়ে দিলে তো হবে না তার সাথে অবশ্যই পায়জামা বা প্যান্ট প্রয়োজন। তখন ভাইয়া বলল সবই নেব। ছেলেটা বলল সবকিছু আমি এখান থেকে ম্যানেজ করে দিতেছি। আপনারা শুধু দেখেন ঠিকঠাক হয়েছে কিনা এবং পছন্দ হয়েছে কিনা।
হামজা ভাইয়া শেরওয়ানি গায়ে দিয়ে বেশ ফটো সেলফি তুলতে থাকলেন। ভালো লাগছে কিনা বারবার জানতে চাইলেন। বললেন টাকা দিয়ে কিনব সমস্যা কি,এটা যদি না মানায় অন্যতা নিয়ে আসতে বলি। বুঝতে পারছেন বাজেট ৭০ হাজার টাকা। বিবাহের কেনাকাটা বলে কথা। ভাইয়ার মনে যেন রং লেগে গেছে। এরপর আমাদের বললেন মেয়ের কাছে ফটো পাঠিয়ে দাও দেখতে কেমন লাগছে সে একটু বলুক। সাথে সাথে মেয়ের বোনের কাছে ফটো পাঠিয়ে দেওয়া হল। তারাও দেখে খুশি হল হ্যাঁ অনেক মানিয়েছে। তাই আর অন্য শেরওয়ানির প্রয়োজন মনে হলো না। মেয়েরা যখন পছন্দ হয়েছে তখন এটাই রাখা হলো। আর এভাবেই বিয়ের শেরওয়ানি কেনার কাজ সম্পন্ন হয়।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | হামজা ভাইয়ের বিয়ে |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করে বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।