পুকুরপাড়ের বাগান থেকে শিম উত্তোলন

in hive-129948 •  4 months ago 


আসসালামু আলাইকুম


কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি পুকুর পাড়ে সবজি উত্তোলনের সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি নিয়ে। আশা করবো আমার এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে এবং এই থেকে বেশ অনেক কিছু দেখার ও জানার সুযোগ পাবেন।

IMG_20240812_220145.jpg


এবার আমরা আমাদের পুকুর পাড়ে বেশ সুন্দর সবজি বাগান তৈরি করেছিলাম। যেখানে আমাদের সবজি বাগানের মধ্যে ছিল বিভিন্ন শীতকালীন শাকসবজি। তবে তার মধ্যে শিম ছিল অন্যতম। আমাদের পুকুর পাড়ে বেশ অনেকগুলো শিমের গাছ তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে শীতের সময় অনেক অনেক শিম ধরেছিল। আর এই শিমের ফটো ধারণ করতে বেশ ভালো লাগতো আমার। বিশেষ করে শিম গাছে যখন ফুল আসা শুরু হয়েছিল খুবই ভালো লাগতো আমার সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে থাকা দেখতে। বেশ লম্বা লম্বা বান তৈরি করা হয়েছিল। আর সম্পূর্ণ বান জুড়ে ফুল ফুটে থাকতো। এমন ফুল ফোটে থাকা চরিত্রগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। ফটোগুলো দেখলে বুঝতে পারছেন কতটা মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিল বাগানের মধ্যে। যেন চারিপাশে বিভিন্ন গাছের মধ্যে এক অপরূপ দৃশ্য তৈরি করা হয়েছিল।

IMG_20240209_123556.jpg

IMG_20240209_124232.jpg


শিম উত্তোলনের দিনগুলো আমরা সকাল করে রান্না খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তৈরি হতাম পুকুরে যাওয়ার জন্য। শীতের মাঝামাঝি এবং শেষদিকে বেশি শিম ধরত। দিন ছোট থাকায় বেশ দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে হতো। একদিকে সকালের বাড়ির কাজ। আরেক দিকে পুকুরের উপস্থিত হয়ে সবাই মিলে শিম উত্তোলন। মাঝে মাঝে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে হতো আমাদের। এদিকে দশটার পর প্রচন্ড রোদ শুরু হয়ে যেত। যেন ঐ রোদে শিম উত্তোলন করাটা বেশ কঠিন। আর বিকেল মুহূর্তে কখনো সম্ভব হতো নাসিম উত্তোলন করা। শুধু বাড়ির পুরুষরা একটু তোলার চেষ্টা করত। আর এভাবেই আমরা সবাই মিলে পুকুরপাড়ে উপস্থিত হয়েছেন উত্তোলন করেছি।

IMG_20240209_120929.jpg

IMG_20240209_123722_1.jpg


আমাদের বড় শিমবানের পাশে ছিল বাঁশের বাগান। পুকুর পাড়ে বেশ অনেকগুলো বাঁশ হয়েছে। তবে সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় বেশ অনেকগুলো বাঁশ গাছের সাথে সিম গাছ হয়েছে বাস মাটির সাথে সাঁটিয়ে ফেলেছিল শিম গাছে। সেখানেও অনেক অনেক শিম হয়েছে। আমরা যখন শিম উত্তোলনের জন্য উপস্থিত হতাম। তখন আমাদের হাতে বাজার করা ব্যাগ বাস্তা এবং গামলা থাকতো। যখন যে যার সুবিধা মত যেটা রাখতে পারে। গামলা ভর্তি হয়ে গেলে ব্যাগে অথবা বাসস্থার মধ্যে রাখতাম। আর এভাবে বড় একটি বাস্তা পরিপূর্ণ করে তারপর বাড়ি ফিরতাম। এবারও পুকুর পাড়ে অনেক গাছ লাগানো হয়েছে। তবে এই স্থানটাতে এখনো সেভাবে তারা প্রস্তুত করতে পারেনি। আশা করবো খুব শীঘ্রই আবার সুন্দরভাবে এখানে বান তৈরি করে ফেলবে।

IMG_20240209_115058.jpg

IMG_20240209_115104.jpg


খাওয়ার উপযুক্ত বা বিক্রয়ের উপযুক্ত শিম গুলো উত্তোলন করা হতো। বিশেষ করে যার আটি একটু মোটা হয়ে গেছে সেগুলো তুলতাম। এতে ওজনটাও যেমন ভালো হতো তেমন বিক্রয়টা ভালো হতো। এছাড়া নিজেদের খাওয়ার জন্য আলাদা করে রাখা হতো। আমরা পুকুর থেকে একবারে উঠে আনতাম। এরপর বাস্তা বুঝাই করে বাড়িতে নিয়ে এনে রুমের সানের উপর ঢেলে রাখতাম। আর সে শানের উপর থেকে বাছাই করে আলাদা করে রাখা হতো। যেন এই শিম সবার পছন্দ হয় এবং দ্রুত বিক্রয় করা হয় ভালো দামে সেই জন্য বাছাই করতাম। যেগুলো দেখতে কেমন কেমন সেগুলো ছাগলের খাওয়ার জন্য রেখে দিতাম। আর এভাবে বাছাই করে পাঠিয়ে দেয়া হতো গাংনী আড়তে। একবারে পাইকারি দামে বিক্রয় করে বাসায় চলে আসতো। আর এভাবে বেশ অনেকদিন আমরা শিম উত্তোলন করেছি এবং বিক্রয় করেছি।

IMG_20240206_173401.jpg

IMG_20240209_123908.jpg

IMG_20240209_125108.jpg


ধন্যবাদ সকলকে


পোস্ট এর বিবরণ


বিষয়সবজি তোলার অনুভূতি
স্থানজুগীরগোফা
লোকেশনজুগীরগোফা,গাংনী-মেহেরপুর
মোবাইলHuawei P30 Pro-40mp
ক্রেডিট@jannatul01
ব্লগারআমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি
দেশবাংলাদেশ


আমার পরিচয়


আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।


3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeJJwaZsefPk1zN6fEAs7MdkdJfudjGmTTgEGoGzxsz4JfVM6eKjD5LC9K3xQyuVYFwkWACxsp.png

2bP4pJr4wVimqCWjYimXJe2cnCgn9g1JDeoTfLth3BC.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আপনাদের পুকুরপাড়ে আপনারা প্রচুর পরিমাণে সবজি উৎপাদন করেন। আপনারা যেভাবে সবজি উৎপাদন করেন তাতে সহজেই আপনাদের পরিবারের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। এই বছরে দেখছি অনেক বেশি সিম হয়েছিল।

হ্যাঁ, আগামীতেও হবে

আপনার পোস্টটি দেখে সেই অতীতের কথা গুলো মনে পড়ে গেল। আমার বাসায় সিম গাছ না থাকলেও ছাদের উপরে একবার অনেক বেশি লাউ হয়ে ছিল এবং লাউ উত্তোলনের যে মুহূর্তগুলো ছিল সেগুলো কেন জানি হঠাৎ করে মনে পড়ে গেল। তারপরও আপনার জন্য শুভকামনা রইল এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অতীতের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।

বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য এবং লাউএর কথা জেনে।

আপনাদের পুকুর পাড়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি গাছ রয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন ধরনের সবজি গাছ দেখেছিলাম পোস্টের মাধ্যমে। নিজেদের শিম গাছ থেকে সবজি উত্তোলনের মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। নিজেদের গাছ থেকে সবজি তুলে নেওয়ার অনুভূতিটা অন্যরকম। বেশ অনেকগুলো শিম তুলেছেন দেখছি। ধন্যবাদ আপনাকে মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আমি চেষ্টা করব সবকিছু শেয়ার করার

আপু এর আগেও আপনার পুকুরের মাছ ও পুকুর পাড়ের অনেক সবজি উত্তোলনের পোস্ট দেখেছি। আসলে এ ধরনের পোস্টগুলো আমার অনেক ভালো লাগে। সিম গাছটা দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেকগুলো সিম হয়েছিল। আপনাদেরকে দেখে আমিও উৎসাহ পেয়েছি। তাই বারান্দায় সিম ও করলা গাছ লাগিয়েছি। আসলে নিজের গাছের সবজি দেখার অনুভূতি অন্যরকম।

বেশ ভালো করেছেন আপনি

আপনাদের অনেক পোস্টতে দেখেছি আপনারা পুকুর পাড়ে অনেক ধরনের সবজি চাষ করেন। তবে শিম খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আর গাছের মধ্যে যখন একসাথে শিম ধরে দেখতে বেশ ভালো লাগে। তবে আমার শ্বশুরবাড়ি তো আমরা শিম গাছ রোপন করি। তবে এটি শুনে বেশ ভালো লাগলো ভালো শিম গুলো বাছাই করে বাজারে বিক্রি করে দেন। আর যেগুলো কেমন কেমন লাগে এগুলো ছাগলের জন্য রেখে দেন। যাই হোক খুব সুন্দর করে শিম উত্তোলন পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

হ্যাঁ আপু, পুকুর পাড়ে কিন্তু একটু বেশি হয় সবসময়।

আপনাদের পুকুর পাড়ের শিম বাগান দেখে আমরা মুগ্ধ। আসলে বাংলাদেশের লাখ লাখ পুকুর আছে। এই সব পুকুর পাড়ে যদি এভাবে সবজি চাষ করতো। তাহলে আমাদের দেশে খাদ্যের এত দাম হতো না। সবাই খালি জাগার যথাযথ ব্যবহার করে না। আপনাদের সবাই ধন্যবাদ।

সবাইকে উদ্যোক্তা হতে হবে