আমার বাংলা ব্লগে সকলকে স্বাগতম
Photography device: Huawei P30 Pro-40mp
মানুষের জীবনে আলো যেমন আসে আধার ঠিক তেমনি আসে, দিন যেমন আসে রাত ঠিক তেমনি আসে। ঠিক একইভাবে সুসময় যেমন আসবে দূর সময় তেমন আসবে। আর এই দুঃসময়ের মুহূর্ত মানুষের জীবনে অনেক শিক্ষা বয়ে আনে। দুঃসময়ে আমাদের যেমন কষ্ট সহ্য করতে হয়, ঠিক এই মুহূর্তটা আমাদের কষ্টের পাশাপাশি বেশ কিছু শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। তবে দুঃসময়ে সবচেয়ে শান্তনামূলক কথা একটাই তা হচ্ছে ধৈর্য ধারণ করা। কারণ সু সময় আমরা যেমন আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে তেমন দুঃসময়ে ধৈর্য ধারণ করতে পারলে খুব শীঘ্রই আবার সুসময়ের মুখ দেখা যায়। আর এই দুইটা সময় যারা নির্ণয় করতে জানে,দুইটা সময় থেকে শিক্ষা নিতে জানে তারাই জীবনে জয় লাভ করে।
তবে এই মুহূর্তটা আমাদের জন্য এতটা শিক্ষা নিয়ে আসে, সুসময় ততটা শিক্ষা কখনো এনে দিতে পারে না। উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে বলা যায়, আমরা যখন সুখে থাকি, আমাদের যখন সুসময় থাকে, তখন আমাদের আশেপাশে আপনজনের অভাব হয় না। আর সুসময়ের মুহূর্তে যদি আপনার টাকা পয়সা অনেক বেশি থাকে আপনি যদি আপনজন সহ পর মানুষের জন্য খরচ করতে পারেন দেখবেন আপনার সুসময় খয় ফুটছে। কারণ আপনার আপনজন বলতে এত এত মানুষ উপস্থিত হবে যাদের আপনি চেনেন না, জীবনে আপনার সাথে কেউ পরিচয় করতে আসেনি, শুধু আপনার সময় টাকা-পয়সা রয়েছে বা টাকা-পয়সা খরচ করছেন এমন তার জন্যই আপনার পিছে সে সমস্ত মানুষ দাঁড়িয়ে গেছে। তবে মনে রাখতে হবে এরা সুসময়ের বন্ধু,সোজা কথাই বলতে গেলে মধুর চাকে বা মধু বা মিষ্টি যখন আলগা জায়গায় রাখা হয় অনেক মৌমাছি এসে যায় ঠিক তেমনি তারা। আরো সহজ উদাহরণ দিয়ে বলা যায় এখন কাঁঠাল পাকার সময়, একটা পাকা কাঁঠাল আপনি আগলা জায়গায় ভেঙে রেখে দিন দেখবেন কত মাছি এসে লেগে গেছে। আপনার সুসময়ে দেখবেন এমন অনেক মানুষ আপনজন হয়ে পাশে এসে দাঁড়াবে। তবে সবাই আসবে স্বার্থের টানে। আর প্রকৃতপক্ষে যে আপনার আপনজনরা বন্ধু সে থাকবে সুখে দুঃখে অর্থাৎ সুসময় ও দুঃসময়।
যখনই আপনার জীবনে দুঃখের মুহূর্ত বা দুঃসময় নেমে আসবে দেখবেন সেই সমস্ত মানুষ গুলো ছাড়াও আপনার অতি নিকটের মানুষগুলো পিছুটান দিয়েছে। আপনার দিকে দুই একবার ঘুরে তাকালেও পরবর্তীতে ঘুরে তাকাবে না। আপনি বিশেষ প্রয়োজন মনে করলেও তাদের খুঁজে পাবেন না। অর্থাৎ আপনার থেকে তারা যত দূরে দূরে থাকতে পারে এড়িয়ে চলতে পারে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখে চলতে পারে ততই তাদের কাছে যেন মঙ্গল মনে হবে। কারণ আপনার দুঃসময় তাদের জন্য বোঝা স্বরূপ। আপনি বিপদে পড়েছেন যে কোন মুহূর্তে তার শরণাপন্ন হতে পারেন সেটাকে সে ঝামেলা মনে করবে অর্থ খরচের ভয় মনে করবে। আপনার বিপদে আগিয়ে আসবে না, বিপদ উদ্ধার করা থেকে তারা বিরত থেকে পালিয়ে বেড়ানোর চিন্তা করবে। আর তাই দুঃসময় আপনাকে এভাবেই শিক্ষা দিবে প্রতিটা পদে পদে। তবে আপনজন দের সাথে মাতামাতি না করে প্রতিবেশী আপনজন সবার সাথে আপনার একমত পোষণ করে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হবে কারণ বিপদে আপনজনের চেয়ে প্রতিবেশী আগে কাছে আসে। তবে প্রতিবেশীর মধ্যে থেকে আত্মীয়ের মধ্যে থেকে বন্ধুদের মধ্য থেকে সেই মানুষকে নির্বাচন করতে হবে তার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে যারা স্বার্থ বোঝে না, বুঝে সুসম্পর্ক, মায়ার বন্ধন, মনুষ্যত্ববোধ রয়েছে তাদের মধ্যে।
তবে আমি আমার দৃষ্টিকোণ থেকে একটা বিষয়কে প্রাধান্য দিতে চাই, সুসময়ের চেয়ে দূর সময়টা সচেতন থাকা এবং সেই দুঃসময়ের শিক্ষাটা সারা জীবন মাথায় রেখে পথ চলা। কারণ ওই শিক্ষা আপনার জীবনে মঙ্গল বয়ে আনবে। আর দুঃসময়ের শিক্ষা যদি আপনি গ্রহণ করতে না পারেন, দেখবেন যে আপনার জীবনে অমঙ্গল বয়ে আসছে। কারণ এটাই বাস্তবতা। যারা এ বিষয়টা সজাগ ভাবে আমলে নিয়েছে, তারাই সঠিক পথে চলতে পেরেছে। তবে কেউ ভুল ভাববেন না, আমি কাউকে অবহেলা করতে বলছি না কারো সাথে খারাপ আচরণ করতে বলছি না। আমি এখানে সেটাই বুঝাতে চেয়েছি দুঃসময়ের পাশে থাকা বন্ধুটা প্রকৃত বন্ধু যার মাধ্যমে আপনার ক্ষতি হবে না। তবে বর্তমান সময়ে এমন কিছু বন্ধু রয়েছে দুঃসময়ে পাশে থেকে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। তাই সর্বোপরি দুঃসময়ের বিষয়টা আমাদের মাথায় রেখে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
অনেক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা সুন্দর এই পোস্ট দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। এক কথায় অসাধারণভাবে আপনি সুসময় আর দুঃসময়ের বিষয় তুলে ধরেছেন। অবশ্যই দুঃসময় থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া প্রয়োজন রয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এভাবে পাশে থাকলে খুশি হব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা অবশ্য বাস্তব ঘটনা আপু মানুষের সুসময়ে মানুষের অভাব হয় না। কারণ সুসময়ে চারপাশে অনেক মানুষ ঘুরঘুর করে। কিন্তু যখন বিপদে পড়বেন তখন কাউকে পাবেন না আপনার পাশে। কারো সহযোগিতা একদম পাওয়া যায় না বিপদ আসলে। তাই আমাদের সু সময়ে চেয়ে দুঃসময়ে আমরা জীবনে অনেক কিছু শিখতে পারি। ভালো লাগলো আপনার এমন সুন্দর মূল্যবান কথাগুলো পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম আপু। দুঃসময়ে যে শিক্ষা পাওয়া যায়, তা সত্যিই জীবনের মূলধন হয়ে দাঁড়ায়। আপনার কথাগুলো খুবই বাস্তব আমি তা গভীরভাবে অনুভব করতে পারলাম। সুসময়ের বন্ধু এবং দুঃসময়ের প্রকৃত আপনজনদের পার্থক্য বোঝাতে আপনি দারুণ উদাহরণ ব্যবহার করেছেন। ধৈর্য ধরে এবং বাস্তবতা মেনে চললে জীবনের সকল চ্যালেঞ্জ সহজে মোকাবিলা করা যায়। আপনার এই মূল্যবান অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
[@redwanhossain]
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনারা খুব সহজে দিলে আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখালেখির করতে পারব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit