আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম আমাদের প্রিয় খালাতো ডাক্তার ভাইয়ের বিবাহ উপলক্ষে আমার অনুভূতিমূলক পোস্ট। ইতোমধ্যে বেশ কিছু পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজকে আবারো হামজা হাজার বিয়ের কেনাকাটার ব্যস্তময় মুহূর্তের আরো একটি পর্ব শেয়ার করতে আসলাম। এ পর্বে কেনাকাটা শেষে মিষ্টি খাওয়ার মুহূর্ত আর মিষ্টি কেনার মুহূর্তটা প্রকাশ করব।
হামজা ভাইয়ার বিয়ের মুহূর্তটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দঘন আর ব্যস্ততম মুহূর্ত ছিল। একদিকে কন্যা দেখার কাজ সম্পন্ন হতে না হতেই গায়ে হলুদ দেওয়ার আয়োজন। এদিকে মেয়ের অন্যান্য গেস্ট ছেলের বাড়ি দেখবে আলাদা বিষয়ে আলাপ আলোচনা করবে এই নিয়ে অনেক ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠলো। সেই সুযোগে ভাইয়ার দৌড়াদৌড়ি ছোটাছুটি। ভাইয়ার সাথে যেন আমাদেরও কাজ বেড়ে গেল। একদিকে রান্নাবাড়া আরেক দিকে ছেলের আব্বুকে রেডি করে সাথে পাঠানো। এমনকি মাঝে মধ্যে আমারও যেতে হল গয়না জাতীয় জিনিস, পোশাক জাতীয় জিনিস এবং কসমেটিক্স কেনার উদ্দেশ্যে।
আমরা যখন বাজারে কেনা কাটা শেষ করছিলাম সে মুহূর্তে ফোন আসলো। মেয়ে পক্ষের লোকেরা পরের দিন হামজা ভাইয়াদের বাসাতে যাবেন। তখন হামজা ভাইয়ার আব্বু ফোন দিয়ে জানালেন, বাসায় মিষ্টি ও ফল বেশি একটা নেই। যা রয়েছে বেশ কয়েকদিন আগের কেন। তাই টাটকা মিষ্টি ও ফল নিয়ে আসা প্রয়োজন। তখন হামজা খাইয়া সিদ্ধান্ত নিলেন কাপড় কিনেই তার গাংনীর বাসাতে রাখবেন। এরপর বাসা থেকে ফিরে এসে গাংনী বাজার থেকে মিষ্টি ও ফল কিনবেন। তাই দ্রুত পোশাক গুলো গুছিয়ে নিয়ে টাকা পরিশোধ করে সোজা বামুন্দি থেকে গাংনীতে চলে আসা হলো।
এরপর গাংনী বাজার থেকে কিছুটা পশ্চিমে ভাইয়ার শাহারবাটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপস্থিত হলাম। মূলত এই হসপিটালের দ্বিতীয় তলায় ভাইয়া বাসা নিয়েছেন। ভাইয়ার বাসর ঘর সেখানে হওয়ার কথা ছিল। এইজন্য বাসাটা অনেক সুন্দর ভাবে পরিপাটি করে প্রস্তুত করে দেয়ার কথা ছিল আমাদের। কিন্তু পারিবারিক বিভিন্ন কাজের জন্য সম্ভব হয়নি। ভাইয়া অন্যান্য মানুষ দিয়ে রেডি করে নিয়েছেন। তবে আমাদের দেখায় একান্ত প্রয়োজন। তাই ভাবলাম এই সুযোগে বাসা দেখে আসি। বাসায় গিয়ে দেখলাম অনেক সুন্দরভাবে পরিপাটি করে ফেলেছেন। সেখানে আমাদের সাথে আরো কিছু মানুষ যুক্ত হলো। ততক্ষণে মাগরিবের আজান হয়ে গেল। সবাই মিলে আমরা আবার গাংনীর উদ্দেশ্যে চলে আসি।
এরপর গাংনীতে এসে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো আলাদা আলাদা ভাবে দুই জায়গায় মিষ্টি রাখবেন। পোশাকের সাথে মেয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে হবে। আর কিছু মিষ্টি ভাইয়ার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাবে আগামী দিন সকালে। কারণ মেয়ে পক্ষরা আগামী দিন দুপুরবেলায় হামজা ভাইয়ার বাড়িতে যাবেন। সেখানে মিষ্টি আর ফল দিতে হবে। আবার মেয়ের বাড়িতে নিজেরা পোশাক আর মিষ্টি দিয়ে আসতে হবে। তাই এখানে দায়িত্বপূর্ণ আমাদের। পোশাক ও মিষ্টি পাঠানোর বিষয়টা আমরা নিলাম। মিষ্টি কেনার পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন রকমের মিষ্টি খাওয়া আর বিভিন্ন প্লান পরিকল্পনা ও হাসাহাসি আনন্দে মেতে উঠলাম। ঠিক এভাবেই অনেক সুন্দর মুহূর্ত চলতে থাকলো আমাদের।
মিষ্টি খাওয়াও কেনাকাটার শেষে লক্ষ্য করে দেখলাম বেশ অনেক রাত হয়ে গেছে। গাংনী শহরে মানুষের পরিপূর্ণ। ভালো লাগছিল অনেকদিন পর সন্ধ্যাকালীন মুহূর্ত আমরা সবাই মিলে গাংনী বাজারে অবস্থান করছি। হামজা ভাইয়া আমাদের জানিয়ে দিলেন মেয়ের পক্ষরা যখন ভাইয়াদের বাসা থেকে রওনা দিবে উনিও সাথে সাথে আসবেন এরপর আমাদের বাসায় অবস্থান করবেন। পরের দিন সন্ধ্যা বেলায় আমি আর বাবুর আব্বা সাথে আমার চাচাতো ভাই মেয়ের বাসায় যাব। বিয়ের পাত্রীদের পরিবারের জন্য যা কেনা হয়েছে, ফল মিষ্টি শহর সেগুলো সব দিয়ে আসব। আর এভাবেই হামজা ভাইয়াকে বিদায় জানিয়ে আমরা বাসায় চলে আসলাম। ওদিকে ভাইয়া আবার তার বাসায় চলে গেলেন।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | হামজা ভাইয়ের বিয়ে |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix Mobile |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করে বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
X--promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকের কাজ সম্পন্ন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার হামজা ভাইয়ের বিয়ের ইতিমধ্যে ১০ পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আজ আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারছি যে, আপনি অনেক ভালো কেনাকাটা ও দায়িত্ব পালন করতে পারেন। আসলে যে দায়িত্ব পালন করতে পারে তার উপরে সব সময় এত বড় বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর আপনি একসাথে অনেকগুলো দায়িত্ব পালন করেছেন দেখছি। আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে আমার ভীষণ ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরো বেশ কয়েকটা পর্ব রয়েছে। এখানে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমজা ভাইয়ার বিয়ের কেনাকাটা থেকে বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনি গুছিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। যেখানে পোশাক কেনাকাটার বিষয়, বাসাতে রাখা ও বাসা সুন্দরভাবে গোছানোর বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। এছাড়াও আমাদের গাংনী শহর থেকে মিষ্টি কেনা ও খাওয়ার অনুমতি প্রকাশ করেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট পড়ে এবং বিস্তারিত জানতে পেরে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বি ভাইয়া সবকিছুতে বেশ ব্যস্ত সবাই ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একটা বিয়ে বাজলে এরকমইতো হয় আপু কাজের পর কাজ দৌড়াদৌড়ি। এতো কাজের মধ্যেই অনেক আনন্দ থাকে। আপনি দায়িত্ব নিয়ে অনেক কাজ করেছেন দেখেই বুঝতে পেরেছি।হামজা ভাইয়ের বিয়েতে অনেক মজা করেছেন নিশ্চয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম সত্য কথা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ডা. হামজা ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে অনেক তথ্যই জানতে পারলাম। বাসাটা খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। বিয়ে উপলক্ষে কত কিছু কেনাকাটা করতে হয়। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখনো অনেক বাকি আছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit