জেনারেল রাইটিং পোস্ট
একটা মানুষ দুনিয়ার বুকে জন্মগ্রহণ করে সাহসিকতার ও সততার পরিচয় দিতে পারে না। তার পরিবেশ তাকে সাহসিকতা ও সততার শিক্ষা দিয়ে থাকে। পরিবেশ বলে দেয় কোথায় তাকে সাহসি ব্যক্তির পরিচয় দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে হবে। কারণ মানুষের জীবন বড়ই সংগ্রামী ময়। যতদিন পিতা-মাতা বা অভিভাবকদের ছায়াতলে বড় হবে ততদিন সাহসিকতার বিশেষ কোন প্রয়োজন থাকে না, তবে মনের মধ্যে গড়ে তুলতে হয় সততা ও সাহসিকতা। আর এই শিক্ষাটা প্রথমত একটি পরিবার দিতে পারে যে পরিবারের মধ্যে এমন সততা ও সাহসিকতা রয়েছে। কিন্তু যখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কর্মক্ষেত্রে পা রাখতে হয়, জীবন সংগ্রামের পথে নামতে হয়,তখনই প্রয়োজন হয় সততা ও সাহসিকতা। তবে সেই সাহসিকতা হতে হবে সৎ পথে। সৎপথে সাহসিকতা নিজের জীবনকে ধন্য করে তোলে। অসৎ পথে সাহসিকতা মানুষকে খারাপ রুজি কামাই ও খারাপ কর্মে লিপ্ত রাখে। কিন্তু আমরা সমাজের লক্ষ্য করে দেখি,মানুষ সৎপথে সাহসিকতা খুব কম দেখায় অসৎ পথে সাহসিকতা একটু বেশি দেখিয়ে থাকে। আমাদের মনের মধ্যে সাহসিকতা ও সাহস থাকতে হবে। তবে তার মানে এই নয় যে সৎ পথকে ভুলে গিয়ে অসৎ পথে সাহসিকতা দেখিয়ে আয় উপার্জন করতে হবে এবং জীবন যাপন করতে হবে। আমি এ সমস্ত বিষয়গুলো একটু উদাহরণস্বরূপ বলতে পছন্দ করি। কারণ এই সমস্ত বিষয়গুলো আমি শিক্ষনীয় মনে করি এবং সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই বলার চেষ্টা করি পাঠকের মাঝে।
মনে করুন একটি বনে বিভিন্ন হিংস্র প্রাণী থাকতে পারে। তবে সেই হিংস্র প্রাণীর মধ্যে বেশ দুর্বল প্রাণী বাস করে। অনেক সময় হিংস্র প্রাণীর কবলে পড়ে দুর্বল প্রাণী ধ্বংস হয়ে যায় বা জীবন শেষ হয়ে যায়। অনেক দুর্বল প্রাণী জানে এই বনে হিংস্র প্রাণী রয়েছে। তারপরেও নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য সে সংগ্রাম করে চলে। একদিকে সংগ্রাম করে প্রতিনিয়ত আহার জুগিয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আরেকদিকে সেই দুর্বল প্রাণী সাহস রেখে বসবাসের চেষ্টা করে থাকে আবার অন্যান্য কারো প্রতি সে হিংস্র হয়ে ওঠে না। কিন্তু সমাজে এমন কিছু মানুষ দেখা যায়। যেখানে হিংস্র প্রাণীর মতো মানুষ রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত একে অপরের অত্যাচার করে চলে। তবে সীমিত শঙ্খক এমন হিংস্র প্রাণীর মতো মানুষগুলোকে ঘায়েল করা বা সমাজ থেকে প্রতিহত করা, সমাজের মানুষের কাছে কোন ব্যাপারই নয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় মনোবল থাকা সত্ত্বেও অনেক মানুষ সাহস পায় না। মনের মধ্যে সে সাহসিকতা থাকে না বিভিন্ন কারণে। এই কারণে শক্তিশালী জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিরাও সাহসিকতার ভয়ে নিজেকে লেজ গুটিয়ে রাখা বিড়ালের মত পরিচয় দিয়ে থাকে। তবে সে যদি ভাবে যেখানে হিংস্র প্রাণীর পাশাপাশি দুর্বল প্রাণীরাও বনে জঙ্গলে বেঁচে থাকে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য। সেখানে সমাজের শত শত মানুষ কেন দু-একজন অসৎ পথে উপার্জন করা হিংস্র মানুষের সম্মুখীন হতে পারে না, মনের সাহস দেখাতে পারেনা। আমাদের সবাইকে মনের সেই মনোবল তৈরি করতে হবে, যে মনবল নিজেকে সাহসী ব্যক্তি হিসেবে প্রকাশ করতে পারবে।
আমি মনে করি একজন মানুষ যদি খারাপ কাজে লিপ্ত হয়। সেই খারাপ ব্যক্তির দেখাদেখি আরো ১০ জন মানুষ খারাপ কাজে উৎসাহ পায়। যখন চায়নারা টিক টক তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছাড়তে লাগল, তখন বাঙালিরাও দেখে অনুপ্রাণিত হলো। যখন তারা অশ্লীল টিক টক ছাড়তে থাকলো তাদের দেখাদেখি সমাজের কিছু কুরুচিপূর্ণ ছেলে মেয়েরাও তেমন টিকটক তৈরি করা শুরু করলো। তারা ভাবলো না এতে তাদের ধর্ম কর্ম সমাজকে ধ্বংস করা হচ্ছে। তবে আমার দৃষ্টিপাত সেই দিকে নয়। শুধু এটাই বোঝাতে চাই। একজন মানুষ আরেক জনের দেখে শিখে থাকে। তবে আমাদের মধ্যে সেই সাহসিকতা লালন করতে হবে, যে সাহসিকতা নিজেকে সৎপথে রেখে বাঁচতে শেখাবে এবং নিজের দ্বারা আরো ১০ জনকে অনুপ্রাণিত করবে। কারণ আমি যদি সাহসিকতার সাথে জীবন যাপন করতে পারি এবং সৎ পথে চলতে পারি তাহলে আমার দেখা দেখি আরো ১০ জন ভালো কিছু শিখবে এবং নিজেকে প্রতিবাদী হিসেবে সাহসের পরিচয় দিবে। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের পথচলা হোক সাহসিকতা। যে সাহসিকতা আমাদের সুন্দর জীবন এনে দিবে, সৎ পথে চলার সহজ মাধ্যম হয়ে দাঁড়াবে। নতুন প্রজন্মকে শিক্ষাদান করবে সাহসিকতার কত মূল্য। তারাও আপনার আমার দেখাদেখি সাহসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসবে এবং সুন্দর একটি সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করবে, যেখানে কোন প্রকার অসৎ পথে সাহসিকতা দেখানোর মানুষ থাকবে না এবং সেই সমস্ত অসৎ ব্যক্তিদেরকে ধ্বংস করবে। তাই আমাদের প্রত্যেকদিনের চলাচল হোক সাহসিকতার সাথে এবং সততার সাথে। যেখানে সুন্দর একটি সমাজ ব্যবস্থা নিহিত।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।