কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বিভিন্ন প্রকার পশু পাখির রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন ফটোগুলো দেখে আসি।
Photo Editing by college maker GridArt
Photo Editing by mobile gallery
প্রাথমিক পর্যায়ের ফটোতে আপনারা লক্ষ্য করে দেখছেন একজন বৃদ্ধ মানুষ মহিষের উপর বসে রয়েছে। আর দুইটা মহিষ ফসলের মাঠে চড়াই করে খাচ্ছেন। এমন মহিষের চড়াই করা বেশি রিক্স এর ব্যাপার। আমি একজন সুমন ভাইয়ার মুখের একটা ঘটনা শুনেছিলাম তার বন্ধুর নানার সম্পর্কে। সেই থেকে এমন মহিষের উপর বসে থাকা মানুষদের দেখলে বেশ ভয় লাগে। কখন না জানি অবলা প্রাণী ক্ষতি করে ফেলে এমন বৃদ্ধ মানুষদের। তবে দূর থেকে জুম করে ধারণ করেছিলাম ফটোটা তখন খুব ভালো লাগছিল। অনেক দূরে রাস্তা থেকে। এরপরে মোবাইলে জুম করে ফটো করার চেষ্টা করছিলাম কিসের পিঠে বসে থাকা মুরুব্বি মানুষের। আগেকার মানুষ এভাবে অনেক মহিষের উপরে বসে চলাচল করতো। তবে এখন এমন দৃশ্য বেশি একটা চোখে বাধেনা।
যেখানে বৃদ্ধ লোকটি মহিষ তরাই করছিল ঠিক তারই পাশে শেয়ালটা বসেছিল। একই জমিতে একই জায়গায় মহিষ শিয়াল দেখে তারছে না আবার শিয়াল ভয় পাচ্ছে না মানুষ দেখে। এমন দৃশ্য দেখে সত্যি খুব ভালো লাগছিল আমার। মাঝেমধ্যে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে গেলে মাঠের মধ্যে রাস্তা দিয়ে যখন চলাচল করি তখন অনেক কিছুই চোখে বাধে। আমি প্রায় দিন রাস্তার উপর খেয়াল লক্ষ্য করি কিন্তু তখন তো আর গাড়ি থামেনা। এজন্য ফটো ধারণ করা হয়ে ওঠেনা। এদিকে পুকুরপাড়ে সবজি উত্তোলন করতে গেলেও শিয়ালের দেখা মেলে কিন্তু ফটো তোলা হয় না সেভাবে আড়ালে চলে যায়। তবে ওই দিন স্পষ্ট না হলেও চেষ্টা করেছিলাম।
রাস্তার উপর লক্ষ্য করে দেখলাম অনেকগুলো শালিক পাখি কি যেন কুড়িয়ে খাচ্ছে। মাঝেমধ্যে শালিক পাখির লক্ষ্য করে দেখে থাকি একসাথে দলবদ্ধ হয়ে ঘুরে বেড়াতে। পাখির এমন চলাচল দেখতে বেশ ভালো লাগে। তাই একটু দূর থেকে জুম করে ফটোটা ধারণ করছিলাম।
দূর থেকে জুম করে ধারণ করা গরুর ফটোগ্রাফি। লক্ষ্য করে দেখেছিলাম ফসলের জমির মাঝখানে একটু ফাঁকা জায়গা রয়েছে সেখানে দুইজন ব্যক্তি গরু চরাই করছেন। তবে আমি মনে করি এভাবে ফসলের মাঠের মধ্যে গরু চড়াই করানো ঠিক নয়। কারণ এরা অবলা প্রাণী যখন তখন ফসলের মধ্যে লেগে যেতে পারে তাদের ঠেকানো মুশকিল হতে পারে এমনকি কোন কৃষকের ফসলের ক্ষতি হতে পারে। আমি যখন ফটো ধারণ করছিলাম লক্ষ্য করলাম তাদের মধ্যে একজন ব্যক্তি বারবার আমাকে লক্ষ্য করছে হয়তো কিছু ভাবছিলেন। তবে এই বিষয়টা সবার সচেতন হওয়া প্রয়োজন ফসলের জমির থেকে দূরে চরাই করানোটাই উত্তম বা যেখানে ফসল নেই সেখানে চডরাই করানোটাই উত্তম।
খালাম্মাদের বাড়ি থেকে বাড়ি ফিরতে হঠাৎ লক্ষ্য করে দেখলাম পাশের গ্রামের মাঠের রাস্তার মধ্যে এক পাল ছাগল চরাই করে বাড়ির দিকে ফিরছেন এক বৃদ্ধ লোক। মানুষটার মুখপানে তাকিয়ে বেশ মায়া লাগছিল আমার। বৃদ্ধ লোকটা দূর থেকে যখন ছাগলগুলো নিয়ন্ত্রণ করে সামনের দিকে খেদিয়ে আনছেন তখন আমি দূর থেকে ফটোগুলো ধারণ করছিলাম। বৃদ্ধ মানুষটা বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছিলেন। যেন কিছু বলবেন বা কিছু বলতে চান এমন মনোভাব। শুধু আমি একটা কথায় প্রশ্ন করছিলাম আজকের মত ছাগল চরাই করানো শেষ হয়ে গেল। উনি একটু হাসিমুখে বললেন হ্যাঁ বিকেল হয়ে যাচ্ছে বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর আরো কিছু ফটো ধারণ করলাম।
এর আগে ফটোতে আপনাদের দেখেছি শালিক পাখি রাস্তার উপরে অবস্থান করছিল। এবার দেখতে পাচ্ছেন শালিক পাখিগুলো কারেন্টের তারের উপর অবস্থান করছে। মাঝেমধ্যে পাখির ফটো ধারণ করতে আমার খুবই ভালো লাগে। কেন জানি পাখির প্রতি আমার অন্যরকম টান এবং ফসলের প্রতি অন্যরকম টান রয়েছে। তবে এটা বলতে পারি গ্রামে জন্মগ্রহণ গ্রামে বেড়ে ওঠা গ্রামে বসবাস এইজন্য হয়তো আমি পশু পাখিকে একটু বেশি পছন্দ করি এবং তাদের ফটো ধারণ করতে ভালো লাগে।
সবশেষে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম ঘুঘু পাখির ফটোগ্রাফি। এখানে দেখতে পাচ্ছেন কারেন্টের তারে ঘুঘু পাখি বসে রয়েছে অনেকগুলো। এছাড়াও বাঁশের উপরে বসে রয়েছে একটি পাখি। তবে একসাথে বসে থাকা সমস্ত পাখিগুলোর চেয়ে বেশি ভালো লাগছিল একা বসে থাকা পাখিটাকে। মাঝেমধ্যে বাইরের পরিবেশে ঘোরাঘুরি করলে বা চোখ রাখলে এমন সুন্দর সুন্দর ফটো ধারণ করার সম্ভব। আর এই থেকে অনেক কিছু ধারনা পাওয়া যায় অনেক কিছু সম্মুখীন হওয়া যায়। যাহোক অনেকটা ভালো লাগলো বিভিন্ন বিষয়ের পশুপাখির ফটো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | পশুপাখির রেনডম ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | জুগীরগোফা,গাংনী-মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
জুম করে আপনি দেখছি অনেক পশু পাখির ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। বৃদ্ধ লোক মহিষে বসে আছে আসলেই এই দৃশ্যটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ।ধন্যবাদ ভাইয়া । সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার খুব ভালো লাগে জুম করে ফটো ধারণ করতে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ ভালো লাগলো আপনার ধারণ করা সুন্দর সুন্দর এই পশু পাখির ফটোগ্রাফি গুলো। আপনি প্রায় জুম করে ফটোগ্রাফি ধারণ করেন। আপনার এ ফটোগ্রাফি ধারণ করাটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে তাই আমারও ইচ্ছে হয় এভাবে ফটো ধারণ করি। এটা কিন্তু একটা ভালো দিক দূরের কিছু খুব সহজেই ক্যামেরাবন্দি করা যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চেষ্টা করবেন জুম করে ফটো ধারণ করতে। দূরের জিনিস খুব সুন্দর ভাবে ফটো ধারণ করা যায় যদি সেট ভালো হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit