পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার ভাইরাস ও ওজন পরীক্ষা

in hive-129948 •  2 months ago 


আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগে সকলকে স্বাগতম


কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ প্রধান আমাদের দেশ। তবে নদী না থাকলেও মাছ রয়েছে আমাদের এলাকায়। এমনকি আমাদের পরিবারেও মাছ চাষ করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে পাঙ্গাস তেলাপিয়া মাছ প্রধান। আর এ পাঙ্গাস মাছ ছোট থেকে বড় করা পর্যন্ত বেশ পরিচর্যা করতে হয়। তারি একটি মুহূর্ত আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে চলেছি আমি।

IMG_20240904_082415.jpg

photography device: Huawei P30 Pro-40mp

[What 3 word's location](https://w3w.co/halves.controls.reactors)


কিছুদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা পুকুর থেকে ধরে মেপে দেখার অনুভূতি। তবে ঠিক তারই কিছু অংশ বিশেষ অনুভূতি আপনাদের মাঝে আজকে ব্যক্ত করব। পাঙ্গাস মাছের ছোট বাচ্চার বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। আর এই জন্য তাদের পিছনে অনেক খরচ করতে হয় অনেক ট্রিটমেন্ট করতে হয় অনেক কিছু বুঝে শুনে চলতে হয়। আর এমনটা আমি এখানে আসার পর প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করে যাচ্ছি প্রত্যেক বছর কোলের বাচ্চা পালন করার মত পাঙ্গাস মাছের বাচ্চাকে যত্ন নিতে দেখিয়ে। আমি বেশ কয়েক বছর ধরে বাড়ির পুকুরগুলোকে মাছের খাবার দিয়ে থাকি। তবে পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার ট্রিটমেন্ট এর কাজ তেমন একটা করার সুযোগ পায় না তবে পাশে থেকে সহায়তা করি এবং এ বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা অর্জন হয়ে যাচ্ছে আমার। কিছুদিন আগে রাজের আব্বু পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা ধরেছিল। ওজন দিয়ে দেখার জন্য এবং তাদের গায়ে কোন ভাইরাসজনিত দাগ আছে কিনা দেখার জন্য। বেশ কয়েকদিন ধরে মাছের মাঝেমধ্যে ভাইরাস জনিত সমস্যা লক্ষ্য করছে। এই মুহূর্তে পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার কেমন বেশি ভাইরাস লাগে না। ভাদ্র মাসের শুরুর দিকে একবার হয়ে থাকে। আর ওই মুহূর্তে পাঙ্গাসের বাচ্চা ম্যানেজ করে না তারপরে অথবা আগে ম্যানেজ করে। আর ঠিক সেই মুহূর্তটা আমাদের অতিক্রম হয়ে গেছে। পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা কিনে পুকুরে দেওয়ার পরে অনেক নষ্ট হয়েছে। তবে এখন মোটামুটি ভালো রয়েছে। কিছুদিন আগে ভাইরাস দেখলাম। ভারতে কিছু মারা গেছে এটাও লক্ষ্য করলাম। তবে প্রতিনিয়ত ছোট ভাইয়া এবং রাজের আব্বু পরিচর্যা করে চলেছে। তবে এই মুহূর্ত টাই আমি যখন উপস্থিত ছিলাম তখন দুইটা পরীক্ষা করার জন্যই ধরা হয়েছিল, প্রথমত ওজন কেমন আর গায়ে কোন ভাইরাসের দাগ আছে কিনা সেটা দেখতে হবে।

IMG_20240904_082155.jpg

IMG_20240904_082207.jpg


পূর্বেই দেখেছেন ওজন দেওয়ার জন্য যা প্রয়োজন তা ম্যানেজ করে নেওয়া হয়েছে। এদিকে মাছের খাবার ডিজিটাল স্কেল আর একটি ঝুড়ি। এ সমস্ত জিনিসগুলো নিয়ে আমরা পুকুর পাড়ে উপস্থিত হয়ে রেডি হয়ে পড়লাম। রাজের আব্বু রেডি হল মাছের খাবার দেওয়ার জন্য। তবে একটা বিষয় মাছের বাচ্চারা কিন্তু দারুন ভাবে খাবার খায়। এই মুহূর্তটা দেখতেও অনেক ভালো লাগে। প্রায় মাঝেমধ্যে আমি মাছের খাবার দিয়ে থাকি,বড় মাছের তুলনায় ছোট মাছের খাবার দিতে বেশ ভালো লাগে। কারণ ছোট ছোট বাচ্চাগুলো আনন্দ সহকারে খায়। আর এগুলো দেখার মধ্যে একটা ভালো লাগার দৃশ্য সামনে উপস্থিত হয়। যাইহোক খাবার দেওয়ার মুহূর্তে মাছের বাচ্চাগুলো পুকুরের দূর-দূরান্ত থেকে এগিয়ে আসতে থাকলো। আবার অনেক মাছ খাবারের দেয়ার স্থানেই থেকে থাকে। খাবার ফেলার সাথে সাথে তারা টগবগ করে ফোটা শুরু করে দিল। আসলে ওটা বলতে তারা কাড়াকাড়ি করে খাবার গ্রহণ করছে। কিছুটা আনন্দের ছলে কিছুটা খেলার ছলে কিছুটা তাড়াহুড়ার ছলে।

IMG_20240904_082224.jpg

IMG_20240904_082227.jpg

IMG_20240904_082232.jpg

IMG_20240904_082238.jpg


আর এমন অবস্থার মধ্যেই ডালা দিয়ে মাছ ধরা হয়। বেশি ওঠেনা সামান্য কয়েকটা ওঠে, তাদের পরীক্ষাটা খুব সহজেই করা হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে যদি বেশি সমস্যা মনে হয় তখন পানি পরীক্ষা করে নেওয়া হয় বাইরে থেকে আসা পানি পরীক্ষা কারী মানুষদের মাধ্যমে। তবে পানি পরীক্ষা করলে নাকি সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। পানিতে গিয়ার সৃষ্টি হলে মাছের বিভিন্ন ভাইরাস সৃষ্টি হয়। তবে এখন তো পুকুর পরিষ্কার করে নতুন পানি দিয়ে মাছ দেওয়া হয়েছে এখন অনেক দিন ও সমস্যাটা হওয়ার কথা নয়। পানি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সমস্যাটা শীতের দিকে দেখা যায়। এই মুহূর্তে মাছের বাচ্চার শরীর দেখলে বোঝা যায় ভাইরাস এবং পানির সমস্যার বিষয়গুলো।

IMG_20240904_082255.jpg

IMG_20240904_082331.jpg

IMG_20240904_082333.jpg

IMG_20240904_082337.jpg


যাইহোক এরপর খুব মনোযোগ সহকারে মাছগুলো দেখা হয় গায়ে কোন জায়গায় লাল লাল দাগ রয়েছে কিনা। আবার লেজ অথবা পাকনা বা কাটার অংশগুলো খত হয়েছে কিনা। মূলত পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার ভাইরাস এগুলাই বেশি লক্ষণীয় হয়ে থাকে। বাইরের অংশে লক্ষণ বোঝা যায়। আর সে মোতাবেক বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট করে থাকেন। ট্রিটমেন্ট করা ওষুধগুলো আমি সংরক্ষণ করে ঘরে রাখি। প্রয়োজনের সময় আমি ঘর থেকে বের করে দেই তাদের হাতে। আর এভাবেই উভয় মিলে আমরা নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা করি মাছগুলো দেখাশোনা করার। মাঠের পুকুরের মাছগুলোর খাবার দেওয়া সম্ভব হয় না কিন্তু বাড়ির মাছ গুলোর খাবার সুযোগ মতো দেওয়া হয়। সবাই দোয়া করবেন যেন মাছ গুলো ভাল থাকে সুস্থ থাকে আর যে উদ্দেশ্যে আমরা পাঙ্গাসের বাচ্চা গুলো এনেছি সেভাবেই যেন চাষ করে উদ্দেশ্য সফল হয়।

IMG_20240904_082344_1.jpg

IMG_20240904_082346.jpg

PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png


সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

ij42VfeLLLL7WCxzYedv2KU7aUqHk3RNyfwHxuumhaYnHGG1dsqAWnhgxDavkADTEGBJEwSdb572op7FjANMqWxnMxgRucn6JYEH18dx32zBsGYg8oAuC5Quz1do2uNbdFiF3z6Lk1Hw8qJ8jcr6SQ85SbvCaLy5VUwHxx3SRmPnXqteex2eVHV2cAzT5iwMRSwwYpQBkt5B8W7bPzGLjyAxm.gif


পোস্ট এর বিবরণ


বিষয়পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা
What3words LocationGangni-Meherpur
মোবাইলHuawei P30 Pro-40mp
ক্রেডিট@jannatul01
ব্লগারআমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি


আমার পরিচয়


আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করে বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে এত ছোট ছোট পাঙাশ মাছের বাচ্চা আমি এর আগে কখনো দেখিনি। আর এই পাঙ্গাস মাছ মনে হয় ওই পুকুরটাতে একদম প্রায় ভর্তি ছিল। যাইহোক মাছগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য মনে হয় প্রতিদিন এই একই রকম কাজগুলো করতে হয়। আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট আজ আমাদের মাঝে আপনি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আমার আইডি ফলো করলে আপনি অনেক কিছু দেখতে পারবেন। কারণ আমাদের মাছ চাষ করা হয়

মাছ চাষ করলে দেখছি সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। মাছের কোন রোগ ব্যাধি হয়েছে কিনা আর অন্য কোন সমস্যা হয়েছে কিনা সব বিষয়েই নজর রাখতে হয়। মাছের ওজন দেখলেও হয়তো অনেক কিছুই বোঝা যায়। ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে।

হ্যাঁ আপু কিছুদিন পরপর ওজন দিলেও ধারণা পাওয়া যায়

আপু আপনি দেখছি পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার ওজন ও এর সমস্যা নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে আপু মাছগুলোর যখন ভাইরাস লেগে যায় তখনই মাছগুলো অনেক ক্ষতি হয়। এতে করে মৎস্য চাষিরা লাভবান হতে পারে না। তবে আপনার পোস্ট পড়ে এবং দেখে জানতে পারলাম কিভাবে এটা জানা যায় যে একটা মাছের ভাইরাস লেগেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন

আমার সব থেকে ভালো লাগলো পাঙ্গাশ মাছের বাচ্চা গুলো।কখনো আমি পাঙ্গাশ মাছের বাচ্চা দেখিনি।পাঙ্গাশ মাছের পরিচর্যা বিষয়ে অনেক খুটিনাটি জানতে পেলাম।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

সাথে থাকুন অনেক মাছ দেখতে পারবেন

মাছ চাষ আমার খুব শখের। আপনার পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার ভাইরাস ও ওজন পরীক্ষা করেছেন বেশ ভালো হলো। কারণ সময় অনুযায়ী ভাইরাস পরীক্ষা না করলে পরবর্তীতে ভাইরাসে মাছ মারা যেতে পারে। আর কাঙ্খিতো সাফল্য অর্জনের জন্য সময় অনুযায়ী মাছের ওজন বৃদ্ধি খুবই প্রয়োজন। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আমাদের অনেক মাছ চাষ হয়