কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম আমাদের প্রিয় খালাতো ডাক্তার ভাইয়ের বিবাহ উপলক্ষে আমার অনুভূতিমূলক পোস্ট। আমি বেশ কিছু পর্বে নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ভাইয়ার বিবাহর বিস্তারিত অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। আজকে আমি হামজা ভাইয়ের বিবাহের ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করতে চলেছি। আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরব বিয়ের জন্য শেরওয়ানি এর সাথে ম্যাচিং করে নাগরা জুতা কেনার অনুভূতি।
ইতোমধ্যে হামজা ভাইয়ার বিবাহের জন্য বেশ অনেক কিছু কেনাকাটা করা হয়ে গেছে। তবে এখনো লিস্ট অনুসারে অনেক কিছু বাকি রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল শেরওয়ান এর সাথে ম্যাচিং করে নাগরা জুতা কেনা। হামজা ভাই আর বন্ধুর যে দোকানে আমরা বিয়ের শাড়ি কিনেছিলাম সে দোকানে অবস্থান করলাম। কোথা থেকে নাগরা জুতা কেনা যায় এই বিষয়টা জানতে চাইলাম দোকানের ছেলেটার কাছে। ছেলেটা বলল আপনারা কোন চিন্তা করবেন না বিয়ের যত কিছু কেনার প্রয়োজন আমাদের এই দোকান নিয়ে থেকেই ম্যানেজ করে দিব। আপনারা শুধু লিস্ট টা দেখুন এবং বলতে থাকুন কোনটা কোনটা প্রয়োজন। ছেলেটার কথা শুনে আমরাও বেশ স্বস্তি পেলাম কারন বিয়ের কেনাকাটা বলে কথা অনেক হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয় রয়েছে। আর যেহেতু এটা হামজা ভাইয়ার বন্ধুর দোকান। ছেলেটা বন্ধুর কুটুম। তার এখানে সকল মার্কেট পরিচিত। আশা করি সুলভ মূল্যে সবকিছু ম্যানেজ করে দিতে পারবে যেগুলো তার কাছে নেই। তাই আমরা নিশ্চিত হয়ে গেলাম। বললাম পাঞ্জাবিটা অর্থাৎ শেরওয়ানি অনুসারে জুতা ম্যানেজ করে দিতে। সে দোকান টাতে আর একটা ছেলেকে বসিয়ে রেখে আমাদের সাথে করে নিয়ে চলে গেল পাশের একটা রুমে, যেখানে জুতার দোকান। ছেলেটা নিজেই দোকানদার ভাইকে বলল শেরওয়ানি দেখিয়ে ম্যাচ করবে এমন এক জোড়া নাগরা জুতা দিতে। ছেলেটা হামজা ভাইয়াকে চেনে, যেহেতু হামজা ভাইয়া ডাক্তার। তাই বলি তার দোকানে যত নাগড়া জুতা রয়েছে সব সামনে বের করে দিলেন। বললেন স্যার আপনার যেটা পছন্দ সেটা পাই দিয়ে যাচাই-বাছাই করে নিন।
আসলে আপন মানুষ যে যত বড় পোস্টের চাকরি করুক না কেন আমরা তাকে মূল্যায়ন করি না। উনি আমাদের কাছে হামজাদ ভাই মানে খালাতো ভাই ইয়ার্কি আড্ডার মানুষ। কিন্তু বাইরের পরিবেশে গাংনীর বিভিন্ন প্রান্তে তার যত সুনাম রয়েছে। সেই সুনাম আমাদের অর্জন করতে হলে বৃদ্ধ হয়ে যেতে পারি। কারণ সে নামকরা একজন ডাক্তার এবং দুইটা ক্লিনিকের পাঁচজনের একজন। যাইহোক ওই মুহূর্তে জুতার দোকানদার যখন তাকে সম্মান করে কথা বলছিলেন তখন ভাইয়ার প্রতি আমাদের কেমন জানি একটা সম্মান বেড়ে গেল মনের মধ্যে। এদিকে ভাইয়া নাগরা জুতা পছন্দ করায় ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। জুতার দোকানদার বললেন আপনি যেটা পাই দিয়ে সুবিধা বোধ করবেন সেটা নিয়েন একটু হাটাহাটি করেন স্যার, জুতা নিয়ে আপনার চিন্তা করা লাগবে না।
এদিকে সুমন ভাইয়া নাগরা জুতা হাতে নিয়ে বেশ নাড়াচাড়া করছে। হুট করে বলে বসলাম ভাইয়া আপনি নিবেন নাকি। ভাইয়া বলল আমি নিয়ে আর কি করবো। কারণ আমরা ভাইয়া পায়ে দিয়ে পরীক্ষা করছে আর সুমন ভাইয়া হাতে ধরে দেখে দেখে পরীক্ষা করছেন। এই মুহূর্তে আমি আর কি করবো। কারণ এটা তো আর আমার চয়েজ করার বিষয় নেই। তাই দোকানের বিভিন্ন জুতাগুলো দেখছিলাম আর ফটো ধারণ করছিলাম। তাদের কথার প্রসঙ্গের মাঝে আমিও যেন কোথায় সায় দিচ্ছিলাম। এদিকে বাইরে হঠাৎ প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। সবাই বলতে থাকলো স্যারের বিবাহ শুভ হবে। কেনাকাটার দিনে বৃষ্টির আবির্ভাব। তবে আমার বেশ ভালো লাগছিল দোকানটা এত সুন্দর ভাবে সাজানো। বিভিন্ন সাইজের বিভিন্ন রকমের স্যান্ডেল জুতা থেকে শুরু করে অনেক কিছু রয়েছে। তবে দেখলাম দোকানদারটা মোটামুটি অনেক ভালো। এরপর হামজা ভাইয়া তার মত চয়েজ করে ফেলল।
নাগরা জুতার মূল্য আড়াইশো টাকা নিল। যতক্ষণ তারা কথা বলাবলি করলো তার মধ্যে আমিও আমার মত করে দেখতে থাকলাম কত সুন্দর সুন্দর সেন্ডেল জুতোগুলো। দোকানদারের সাথে বেশ পরিস্থিত হয়ে গেলাম। কারণ মাঝেমধ্যে আমরাও মোটরসাইকেলে বাজার করতে শপিং করতে এসে থাকি। যদি সুযোগ পাই বা প্রয়োজন হয় তাহলে এখান থেকেই কিনে নিতে পারব। আর এভাবেই একটা মুহূর্তে আমাদের হামজা ভাইয়ার বিয়ের জন্য নাগড়া জুতা কেনা হয়ে গেল।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | হামজা ভাইয়ের বিয়ে |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করে বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আসলে কেউ যত বড় চাকরিই করুক না কেন যদি তার সাথে আন্তরিকতা থাকে তাহলে কোনো ব্যাপারই না।বিয়ে উপলক্ষে অনেক সুন্দর কেনাকাটার মুহূর্ত এবং বরের সাথের সম্পর্কের সুন্দর বর্ণনা করেছেন আপু। বেশ ভালো লাগলো পড়ে। আপনার ভাইয়ের জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি কিন্তু ঠিক বলেছেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit