জেনারেল রাইটিং পোস্ট
মানুষ সামাজিক জীব। তাই সমাজে বসবাস করে। আমরা জানি সমাজে বিভিন্ন পরিবার মিলে একটা সমাজ গঠন হয়। আর এই সমাজ গঠনের পেছনে থাকে বিভিন্ন রকমের কারণ। কারণ ছাড়া কোন জিনিস হয় না। কারণ আছে বলে সমাজ গঠন হয়েছে। আর তার মধ্যে বড় কারণ মানুষ দলবদ্ধভাবে বসবাস করে একে অপরের সহায়তা প্রদানের জন্য আর সহায়তা পাওয়ার জন্য। কিন্তু আমরা প্রায় লক্ষ্য করে থাকি এই দলবদ্ধ জীবন যাপনের মধ্যে মানুষ একে অপরের সাথে মারামারি হানাহানি কাটাকাটি কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। আর এখানে যাদের ক্ষমতা বেশি তারা ক্ষমতাহীনদের উপর আক্রমণ করে থাকে। যার শরীরের শক্তি বেশি সে দুর্বলের উপর আঘাত করে। আর এভাবেই সমাজে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকমের বিশৃঙ্খলা ঘটতে আছে চোখের সামনে। আর এই ক্ষমতাধর মানুষের ক্ষতির কার্যক্রম গুলো আইনের আওতায় আনতে এবং তাকে জব্দ করতে বেশ অনেক সময় লাগে এবং অনেকেই ক্ষমতার দাপটে পার পেয়ে যায়।
তবে সেই ক্ষমতাধর ব্যক্তিদেরকে আমি কাপুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করি। কারণ ক্ষমতা থাকলে যে অপব্যবহার করতে হবে তা কিন্তু নয়। ক্ষমতা থাকলে সেই ক্ষমতা কে কাজে লাগাতে হবে ভালো কাজে। যে ভালো কাজটা ক্ষমতা ব্যক্তির মাধ্যমে দুর্বলের উপকারে আসবে। কিন্তু দুর্বলের অপকার হলেই তো হয়ে গেল কাপুরুষের পরিচয়। ঠিক তেমনি বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আমি অনুভব করে দেখেছি। একটা পরিবারের স্বামী স্ত্রী মিল মহব্বত থাকে কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় অনেক পরিবারের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিল মহব্বত নেই। স্বামীর গায়ে জোর রয়েছে মনে রাগ রয়েছে, অন্য কোন খানে সে তার পেসি শক্তি প্রয়োগ করতে পারেনা, দিনশেষে যে মেয়েটা তাকে এত ভালবাসে তার উপরে অত্যাচার গায়ে হাত তোলা মারধর এগুলো করতে থাকে। আবার অনেক সময় এমন কিছু কাপুরুষ রয়েছে যারা যৌতুকের জন্য তার দুর্বল বউকে মারতে থাকে। বিভিন্ন অজুহাতের তার গায়ে হাত উঠায়। কারণে অকারণে অপমান অপদস্থ করে কান্দাতে থাকে। আমি তাদেরকে কাপুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করি। কারণ সুপুরুষ হলে কখনো সে অন্যকে আঘাত করতো না বরঞ্চ চেষ্টা করত অসহায়ের মুখে হাসি ফোটানোর।
ঠিক তেমনি সমাজে এমন কিছু ক্ষমতাবান মানুষকে দেখা যায় অসহায় অবহেলিত মানুষের উপর নিজের ক্ষমতার পাওয়ার দেখায়। মাঝেমধ্যে দেখা যায় একে অন্যের জিনিস লুট করে নিচ্ছে জোর করে নিচ্ছে গায়ের শক্তি দেখিয়ে বা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দখল করে নিচ্ছে। যখনই দুর্বল প্রতিবাদ করতে যায় তখনই তার উপর চড়াও হয়ে ওঠে। তার ক্ষমতার দাপট এতটাই সীমা ছাড়িয়ে যায় অনেক সময় হত্যাকান্ড সৃষ্টি হয় এমনকি দুর্বলকে আঘাত করে হসপিটালে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু দেখা যায় না তার সঠিক বিচার হয়েছে এই দেশে। দুর্বল সঠিক বিচার পেতে গেলে তার অনেক টাকা খরচ করতে হয় আবার অনেকেই টাকা খরচ করার ভয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারে না কোনটা হয়ে সবলের অত্যাচার সয়ে যায়।
ইদানিং এমন কিছু কাপুরুষের অত্যাচার চোখে পড়ছে যা দেখে সত্যিই আমি মর্মাহত। আমাদের দেশ সোনার বাংলাদেশ, এদেশের মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান বিভিন্ন ধর্মের মানুষ রয়েছে। সবার মাতৃভূমি বাংলাদেশ সবার মাতৃভাষা বাংলা সবার রয়েছে এদেশে মুক্ত বা স্বাধীনভাবে বসবাস করার। কিন্তু কিছু কাপুরুষ আজ সংখ্যালঘু মানুষদের উপর অত্যাচার করছে ঘরবাড়ি ভেঙে দিচ্ছে বিভিন্ন প্রকার অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি তারা কাপুরুষ যারা আজকে এভাবে অত্যাচার করে দুর্বল সংখ্যালঘু মানুষদেরকে হয়রানি স্বীকার করছেন। ভাবতে তো অবাক লাগে এখানে জাতির ভেদাভেদ কি? আমরা না সবাই বাঙ্গালী আমাদের মাতৃভাষা বাংলা আমরা এই বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছি? তবে কেন আজ ধর্ম নিয়ে মারামারি হানাহানি হবে। তবে কেন আজকে হিন্দু ভাইদের অত্যাচার করা হবে। তবে কেন আজকে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হবে। কেন আজকে তারা রাস্তায় এসে কান্না করবে, আহাজারি করবে। আমি মনে করি ওই সমস্ত ক্ষমতা দেখানো মানুষগুলা কাপুরুষ। কারণ দুর্বলের উপর আঘাত করা মানুষ কখনো সুপুরুষ হয় না।
কেউ যদি ভুল করে তার ভুল কে শুধরানোর চেষ্টা করতে হয়, কেউ এক পা ভুলের দিকে আগালে তাকে দুই পা শুধরে আনতে হয়। কিন্তু সমাজের মানুষের দিন দিন এতটাই মূর্খের পরিচয় দিচ্ছে লেখাপড়া শিখে, ভাবতে যেন অবাক লাগে। একসময় মানুষ আশা করতো মানুষ শিক্ষিত হলে তারা সুন্দর সমাজ গড়বে যেখানে কোন মারামারি হানাহানি কাটাকাটি খুন-খারাবি একে অন্যের উপর জুলুম থাকবে না। শিক্ষিত মানুষেরা দেশের মধ্যে সুশৃংখল বয়ে আনবে শান্তি বয়ে আনবে, কিন্তু আজকে দেখা যায় মানুষ অতিমাত্রায় শিক্ষিত হয়ে জানোয়ার পশুর পরিচয় দিচ্ছে। জেনো অতি দ্রুত এই সমস্ত খারাপ কার্যকলাপগুলো সমাজ থেকে দূর হয়, মানুষের মধ্যে মহান সৃষ্টিকর্তা সেই ঈমান দান করেন। মানুষের মধ্যে যেন সেই ভালোবাসা বিবেক জাগ্রত হয়, যেন এক ক্ষমতা আলা মানুষের মাধ্যমে অন্য ক্ষমতাহীন মানুষের উপকার হয়। কারণ ক্ষমতার দাপট শরীরের শক্তি অধ্যাপক সারা জীবন থাকে না। আর দুর্বল ব্যক্তি সবসময় দুর্বল থাকে না। কারণ যুগ যুগ ধরে নিপীড়িত নির্ধারিত অনেক মানুষ ধ্বংস হয়ে গেছে দুনিয়ার বুক থেকে তার পাশাপাশি কিন্তু সেই অত্যাচারী মানুষেরাও হারিয়ে গেছে। কেউ তার অত্যাচার দ্বারা নিজেকে বাহ নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে পারিনি। এখানে শুধু কাপুরুষের পরিচয় দিয়ে গেছে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s-50mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আপু কাপুরুষ তো কাপুরুষ ই হয় এরা কোনদিন শোধরায় না। আপনি আজকে কাপুরুষদের কে কেন্দ্র করে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন। আপনার লেখা প্রতিটি লাইন পড়ে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন এখন আমাদের সমাজে অনেক শিক্ষিত মানুষও কাপুরুষদের মতো আচরণ করছে। এটা সত্যি আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর একটি বিষয়। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর মন্তব্য দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আপু কাপুরুষ গুলো দুর্বলের উপর এমনিতে আঘাত করে। তবে এটি ঠিক বলেছেন ভুল হলে ভুল ধরিয়ে দেওয়া ঠিক। কারো উপর আঘাত করা বা ক্ষমতা প্রয়োগ করা একদম ভালো কাজ না। স্বামী স্ত্রী এর মধ্যে মহব্বত থাকবে। আর কোন কারণে আমি নিজেও মনে করি স্বামী স্ত্রীর গায়ে হাত তোলা ঠিক না। তবে সব জায়গাতে অনেক মানুষ দেখা যায় তারা বিনা অন্যায় ভাবে মানুষের উপর জুলুম করে। ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটি পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কাপুরুষ সবসময় দুর্বলের উপর আঘাত করে নিজেকে সফলভাবে সফল করতে চায়। আপনার টাইটেলটা দেখেই মূলত আপনার পোস্টটি পড়ার আগ্রহ বাড়লো। আমরা সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ একসাথে মিলেমিশে সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। আর স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করার অধিকার আমাদের সকলেরই রয়েছে। আসলে কাপুরুষরা সব সময় সফল হয় না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার এই পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দুর্বলরা সবসময় অত্যাচারের শিকার হয়। আর যারা অত্যাচার করে তাদেরও অনেক দুর্বলতা আছে বলেই তারা নিজেকে ভিন্নভাবে জাহির করে। আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। দারুন লিখেছেন আপনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একবারে সঠিক এবং বাস্তবিক একটি কথা আজকে আপনি আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আসলে কিছু কিছু মানুষ যখন দুর্বল মানুষদের উপরে অত্যাচার করে তখন তারা ভাবে যে তারা অনেক বড় প্রভাবশালী এবং অনেক ক্ষমতাবান৷ আসলে তা কোনভাবেই সঠিক নয়৷ তারা সব সময় দুর্বলদের উপর আঘাত করে এমন একটা ভাবে থাকে যা তাদেরকে অনেক উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে দেয়৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit