ফটোগ্রাফি গৃহপালিত পশু পাখি স্থান সিন্দুর কোটা, গাংনী-মেহেরপুর লোকেশন Location মোবাইল Infinix Hot 11s ক্রেডিট @jannatul01 ব্লগার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি
আত্মীয়ের বাসা থেকে পশু পাখির ফটোগ্রাফি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের নিয়ে যাব আমার নানী শাশুড়ি বাড়িতে। যেখান থেকে আমি ধারণ করেছিলাম তাদের বাড়ির বিভিন্ন পশুপাখির ফটো। আশা করি আমার তোলা এই ফটোগুলো আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এবং পাশাপাশি অনেক কিছু জানতে পারবেন।
পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য মিলে নানী শাশুড়িদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। নানা নানি আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগেই মারা গেছে। বিয়ের পর শাশুড়ির সাথে সেখানে যাওয়ার খুব শখ ছিল। এই প্রথম দেখলাম তাদের বাড়ি দেখতে কেমন। তাদের গ্রামে পাড়া পরিবেশটা কেমন। বিকেল মুহূর্তে আমরা পরিবার থেকে চার পাঁচ জন সদস্য নারী শাশুড়ি বাড়িতে অবস্থান করেছিলাম। এই গ্রামের নাম সিন্দুর কোটা। গ্রামে উপস্থিত হয়ে জানি কেমন কেমন মনে হচ্ছিল। কারণ গ্রামের ঘরবাড়ির একদম শেষ ঘরবাড়িটা আমার আত্মীয়দের বাসা। তবে সেখানে উপস্থিত হয়ে আমার খুবই ভালো লাগছিল। বিশেষ করে নারীদের বাড়িতে ছাগল মুরগি গরু রয়েছে অনেক। আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে এত ছাগল মুরগি গরু দেখে অবাক হয়ে গেছিলাম। তারা ফাঁকা পরিবেশে থাকায় অনেক পশুপাখি পালতে পারে।
তাদের বাড়ির মধ্যে পা রাখতে না রাখতে লক্ষ্য করলাম দেশি-বিদেশি অনেক মুরগি। আর মুরগিগুলো এতটাই হাত তোলা, আমাদের দেখে যেন কোন ভয় মনে করছিল না। প্রথমে উঠানে দুইটা সাদা মোরগ বেড়াতে দেখলাম। এই দুইটা দেখতে বেশ সুন্দর ছিল। আমার তো দেখে একদম মন ভরে যেতে লাগলো।
এরপর লাল রংয়ের মুরগি রয়েছে কয়টা দেখলাম। বড় মামনিকে প্রশ্ন করলাম এত কিছু পোষে কী? উনি হাসতে হাসতে আমাদের মাঝে উত্তর দিলেন তার বড় ছেলে বেশ কাজে। ছাগল গরু দেখাশোনার পাশাপাশি মুরগিগুলোও সে দেখাশোনা করে। তার একটিমাত্র বড় মেয়ে রয়েছে সে কুষ্টিয়াতে পড়ে। এদিকে মামারা তিন ভাই দুইজন বাইরে চাকরি করেন, মামুনিরা বাসায় থাকেন। এজন্য বাড়িতে মেয়ে না থাকায় মায়ের কাজে সহযোগিতা করে বড় ছেলে। কিন্তু ছোট ছেলে তেমন কাজে আসে না। এবার এসএসসি দেবে, লেখাপড়ার প্রতি গুরুত্ব কম। সারাদিনে তাকে নাকি বাড়িতেই পাওয়া যায় না। কিন্তু বড় ছেলেটা সর্বদা এ সমস্ত পশুপাখি পালন করার প্রতি বেশি আগ্রহী। কারণ পরিবারের হাল ধরার বিষয়ে তার যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে।
আমরা যখন নানিশাশুড়ি বাসায় উপস্থিত ছিলাম। তখন বড় মামাতো ভাইটা আমাদের পাশে উপস্থিত ছিল। সে অনেক ভালো ও নম্র ভদ্র। তার নাম ইব্রাহিম। সে এবার এইচএসসি দেবে। সে আমাদের সাথে অনলাইনে এই ব্লগের কাজ শিখতে আগ্রহী। বেশ কয়েক বছর ধরে সে তার ফুফাতো ভাইদের ব্লগের কাজ সম্পর্কে অবগত রয়েছে। আমরা আশ্বাস দিয়েছি সে পরীক্ষা দিয়ে নিক, তারপরে তাকে সহায়তা প্রদান করব এই কমিউনিটিতে কাজ করতে শেখার। আমরা নাস্তা পানি করার পর যখন বাড়ির বারান্দার সামনে রকের উপর বসে ছিলাম, তখন গৃহপালিত ছাগলগুলো আমাদের আশেপাশে ঘুরঘুর করছিল। তারা বলছিল আমাদের এই ছাগলগুলো খুবই গা লাগোয়া। বাড়ি থেকে একটু দূরে যায় না। ছয় সাত টা ছাগল রয়েছে। চারটা গরু রয়েছে। মুরগি পাখি দেখলাম অনেক। কথায় আছে পুরাতন চাল ভাতে বাড়ে। তাই বড় মামুনির কাছ থেকে অনেক পরামর্শ নিলাম মুরগি পালন বিষয়ে। তাদের বাড়িটা চারিপাশে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা, এই জন্য সুবিধা বেশি। বিদেশি মুরগিগুলো বাড়িতে ছেড়ে রাখে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করার মাঝে কিন্তু এভাবে ফটো ধারণ করেছিলাম। যাইহোক এভাবে অনেক কিছু জানতে পারলাম এবং আত্মীয়র বাসা ঘুরে আসা হল।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আপনার আত্নীয় বাড়িতে তো বেশ অনেক রকমের পশুপাখি তারা লালন পালন করে। আসলে বর্তমানে এরকম খুব কমই দেখা যায় যে বাড়িতে নিজেরা এভাবে অনেক পশু পাখি লালন পালন করতে। এখন গ্রামগঞ্জে তো খামারে এসব কিছু করে আগে কোন এক সময় প্রত্যেকটা বাড়িতে বাড়িতে এরকম গৃহপালিত পশুপাখি লালন পালন করা হতো। তাছাড়া আপনার মামীর বড় ছেলে লেখাপড়ার পাশাপাশি এই পশুপাখি গুলোকে দেখাশোনা করে এবং তার আগ্রহ রয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মামনিদের বাড়িতে এমনটাই দেখলাম,আর দেখে খুবই ভালো লাগছিল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit