পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে ছিচকে চোরের ফটোগ্রাফি

in hive-129948 •  2 months ago 


আসসালামু আলাইকুম


কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য, এখানে শেয়ার করব পুকুরপাড়ে উপস্থিত হওয়ার মুহূর্তের বেশ কিছু বিষয়। এই পোস্টের মধ্য দিয়ে আপনারা বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ পাবেন।

IMG_20241122_154307.jpg


কয়েকদিন আগে পুকুরে মাছ ধরার জন্য আমরা গেছিলাম। প্রথমে ছোট পুকুর রয়েছে। সেখানে পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা রয়েছেন। পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার খাবার দেওয়ার পর কয়েকটা পুকুর অতিক্রম করে বড় পুকুরে মাছ ধরতে হবে। পাঙ্গাস মাছের খাবার দিতে বেশ অনেকটা সময় লাগে। বিভিন্ন অসুখের জন্য খাবারের সাথে ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ায়। তাই রাজের আব্বু যখন খাবার দিচ্ছিল। তখন বিরক্তিকর মুহূর্তর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল সেখানে। শুধু মনের মধ্যে চিন্তা ছিল কখন সেই পুকুরটাতে যাবে এবং মাছ ধরবে আর আমি মাছ খুটবো। ঠিক এভাবে খাবার দিতে অনেকটা সময় লাগলো ততক্ষণ আমিও এখানে দাঁড়িয়ে থাকে মাছের খাবার খাওয়া দেখলাম।

IMG_20241122_121142.jpgIMG_20241122_121155.jpgIMG_20241122_121157.jpg

IMG_20241122_121200.jpg


এরপর তার আরও একটি কাজ ছিল। বড় পুকুরে চুন ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরবর্তীতে পুকুরে সেগুলো ছিটাবে। তবে এই প্রথম স্বচক্ষে নতুন দৃশ্য দেখলাম। ধূম পানির মধ্যে দেওয়ার পর আগুন হয়ে যায়, টগবগ করে ফুটে গরম হয়ে থাকে। স্বচক্ষে এভাবে কোনদিন দেখা হয় না। তবে সেদিন এমন দৃশ্য দেখলাম ধোয়া বের হয়ে যেতে লাগলো আর জোরে জোরে ফুটতে থাকল। মনে হল যেন হাড়িটাই বাস্ট করবে এমন অবস্থা। থেকে এই মুহূর্তে আমরা শিমগাছের এক সাইডে অবস্থান করছিলাম। আর অমনিতে একজন ছোট মাছ ধরা চোর কোয়ালিটির মানুষ পুকুরে এসে উপস্থিত। আমরা একপাশে আর সে মানুষটা আরেক পাশে। এদিকে রাজের আব্বু পাশাপাশি দুইটা পুকুরের পশ্চিম সাইডের পুকুরটাতে মাছ ধরা শুরু করেছে। লোকটা আমাদের কাউকে দেখেনি। আমি শিম গাছের সাইডে থাকায় সেও আমাকে লক্ষ্য করেনি। আমি তাকে দেখে ফেললাম।

IMG_20241122_122500.jpgIMG_20241122_122512.jpgIMG_20241122_122547.jpgIMG_20241122_124644.jpg

IMG_20241122_124644_1.jpg


আমি তখনই রাজের আব্বুকে বললাম একটি লোক এসেছে আমাদের পুকুরে নামছে। তখন সে পাশের পুকুর থেকে জাল তুলে সেই লোকটার পানের লক্ষ্য করল। তখন বলল এই সমস্ত লোকরা নাইটোজাল দিয়ে চুরি করে চিংড়ি দাড়কি তেকুচি মাছ লোকের পুকুরে ধরার নাম করে তেলাপিয়ার বাচ্চা জাপানি মাছের বাচ্চা সহ তাদের এই জালের যে মাছ উঠে, সেগুলো চুরি করে নিয়ে চলে যায়। এরা ঠিক এমন দুপুর টাইমে আসে। যে সময় মাঠের পুকুরগুলোতে লোকজন কম থাকে। সে লোকটাকে তারা করলো। তাকে ডাক দিয়ে বলল দাড়া কোথায় কি কি মাছ ধরেছিস দেখব। তখন লোকটা দ্রুত পুকুর থেকে উঠেই পাশের পুকুর দিয়ে জোরে চলে যাওয়া শুরু করলো। তখন রাজের আব্বু আইডিয়া করলো এই ষোলটাকা গ্রামের লোক। শুক্রবার এবং সোমবার বামুন্দি হাটের দিন। এই দিনগুলোতে এই জাতীয় চোরেরা মাছ চুরি করে সে বাজারে বিক্রয় করে। রাতের আব্বু বাজারে গিয়ে খেয়াল করে দেখে ছোট মাছের পাশাপাশি তেলাপিয়া সহ অন্যান্য মাছ এই সমস্ত লোকেরা চুরি করে নিয়ে যায় পুকুর থেকে এবং সেখানে বিক্রয় করে।

IMG_20241122_124645.jpgIMG_20241122_124648.jpgIMG_20241122_124657_1.jpg


এই সমস্ত মানুষদের কেউ কখনো মাছ ধরার জন্য অনুমতি দেয় না। তারা এভাবেই পুকুরে পুকুরে মাছ ধরে বেড়ায়। পুকুর আলা যখন এদেরকে দেখে তখন ওদেরকে তাড়া করে। অনেকে ভয় তে কিছু বলতে পারেনা, যদি সামান্য কোন গ্যাঞ্জামে পুকুরে বিষ ঢেলে দেয়। এজন্য এ জাতীয় ছিসকে চোর অনেক রয়েছে, যারা মানুষের পুকুরে পুকুরে মাছ ধরে। কাজের আব্বু আমাকে বলল তুমি লোকটার ফটো ধারণ করার চেষ্টা করো। তখন আমার হাতে এর মোবাইলটা ছিল। তাই আমি দূর থেকে জুম করে তার মুখটা দেখার চেষ্টা করলাম। খেয়াল করে দেখলাম সে বারবার শুধু আমাদের দিকে লক্ষ্য করছি আর দুটো হাঁটছে। আর এভাবে হাটতে হাঁটতে অনেক দূরে চলে গেল। এরপর আমরা আমাদের মত মাছ ধরে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। তবে তারপরে নাকি কোন একজন পুকুরে নেমে ছিল। পুকুরে ভাসমান টপগুলো জায়গায় জায়গায় গোছানো দেখে বোঝা গেছে। কারণ পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে বেশ কয়েকজন এই দুইটা দিনে এসে থাকে। আর এভাবে পুকুর থেকে অনেক মাছ হারিয়ে যায়। এমনকি বড় বড় ব্লাক কাপ, কাতলা, গ্লাস কাপ হারিয়ে যায়।

IMG_20241122_124659_1.jpgIMG_20241122_124708.jpgIMG_20241122_124713.jpg
IMG_20241122_124659.jpgIMG_20241122_124657.jpgIMG_20241122_124656.jpg
IMG_20241122_125010.jpgIMG_20241122_130253.jpgIMG_20241122_154258.jpg


ধন্যবাদ সকলকে


পোস্ট এর বিবরণ


বিষয়বরশি দিয়ে মাছ ধরা প্রতিযোগিতা
স্থানজুগীরগোফা
লোকেশনজুগীরগোফা,গাংনী-মেহেরপুর
মোবাইলHuawei P30 Pro-40mp
ক্রেডিট@jannatul01
ব্লগারআমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি
দেশবাংলাদেশ


আমার পরিচয়


আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।


3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeJJwaZsefPk1zN6fEAs7MdkdJfudjGmTTgEGoGzxsz4JfVM6eKjD5LC9K3xQyuVYFwkWACxsp.png

2bP4pJr4wVimqCWjYimXJe2cnCgn9g1JDeoTfLth3BC.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আজকের কাজ কমপ্লিট

Screenshot_20241126_154424.jpg

Screenshot_20241126_154537.jpg

Screenshot_20241126_154602.jpg