অনেক দিন পরে মাছ-বাজারে

in hive-129948 •  2 months ago 

আজ--০৫ জৈষ্ঠ্যমাস | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রবিবার | গ্রীষ্মকাল |



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে অনেক দিন পরে মাছ বাজার থেকে মাছ কেনার নতুন এক অভিজ্ঞতার গল্প শেয়ার করবো, আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সবার ভালো লাগবে।



  • প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
  • অনেক দিন পর মাছ বাজারে
  • আজ--০৭জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • রবিবার


তো চলুন শুরু করা যাক...!


শুভ বিকেল সবাইকে......!!


Picsart_24-05-19_14-58-52-679.jpg

কভার ফটো তৈরিতে--@jibon47



বাজার করতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে। বাজারের কথা বললে ছোটবেলার একটা কথা খুব গভীরভাবে মনে পড়ে যায়। ছোটবেলায় আব্বুর সঙ্গে বাজারে যাওয়ার জন্য কতটা যে কান্নাকাটি এবং বায়না ধরতাম সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমার এখনো মনে আছে যেদিন আব্বুর বাজারে যেত সেদিন আব্বুর সঙ্গে বাজারে যাওয়ার জন্য অনেক বেশি বায়না ধরতাম কিন্তু বেশিরভাগ দিনেই আব্বু আমাকে নিয়ে যেত না। কেন যে নিয়ে যেত না সেটাই বুঝতে পারতাম না তবে মাঝে মাঝে যখন বাজারে নিয়ে যেত তখন বাজারে গিয়ে সিঙ্গারা চপ পেয়াজু এগুলো খেতাম। মূলত বাজারে যাওয়ার এই একটাই উদ্দেশ্য ছিল, বাজারে গেলেই কোন না কোন জিনিস খাওয়া যাবে এই চিন্তা ভাবনাটা মাথার মধ্যে কেন জানি সেট হয়ে গিয়েছিল। যার কারণেই বাজারে যেতে চাইতাম খুব করে। তবে বড় হবার সাথে সাথে চিন্তাভাবনা টা একদমই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এখন আর বাজারে যেতে ইচ্ছে করে না মাঝে মাঝে আব্বু এখন বাজারে যাওয়ার জন্য অনেক করে বলে তারপরও কেন জানি যাওয়া হয় না তবে মাঝে মাঝে আব্বুর সঙ্গে বাজারে যাওয়া হয় ভীষণ ভালো লাগে। সত্যি বলতে বয়স এর সাথে সাথে সবকিছুই পরিবর্তন হয়ে যায় যার কারণে আগে বাজারে যেতে ভালো লাগলেও এখন খুব একটা বেশি ভালো লাগে না।

যাই হোক যেহেতু সময় পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে আর সময় একই রকম থাকে না। এখন যেহেতু ঢাকাতে ব্যাচেলার থাকা হয় যার কারণেই মাঝে মাঝে নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়েও বাজারে যেতে হয়। তবে ভাই ব্রাদারের সঙ্গে বাজারে যেতে ভীষণ ভালো লাগে একা একা যেতে খুব একটা ভালো লাগে না। অনেকদিন হলো বাজারে যাওয়া হয়না তবে কিছুদিন আগেই আমরা তিনজন বাজারে গিয়েছিলাম সন্ধ্যেবেলায়। বাজার করতে সব সময় সন্ধ্যেবেলায় যাওয়া হয় কারণ দিনের বেলাতে অথবা বিকেল বেলাতে বাজারে যেতে মন চায় না আর যে পরিমাণে গরম এই গরমের মধ্যে বিকেলবেলা বাজারে যাওয়াটা আসলেই অনেক বেশি কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার। যাইহোক সেদিন সন্ধ্যেবেলায় হঠাৎ করেই মাছের বাজারে গিয়েছিলাম যদিও আগে থেকেই সবজি কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু বাসায় এসে দেখি ফ্রিজে কোন মাছ নেই যার কারণে আবার যেতে হয়েছিল মাছ কেনার উদ্দেশ্যে মাছ বাজারে। মাছের বাজারে গিয়ে যখন পৌঁছেছিলাম তখন চারিদিকে প্রায় অন্ধকার হয়ে এসেছিল। এরপরে আমরা প্রতিনিয়ত নিজেই বাজার থেকে মাছ কেনাকাটা করি সেই বাজারে গিয়ে দেখি প্রায় সব মাছ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমাদের আর একটু দূরে অন্য আরেকটা বাজারে যেতে হয়েছিল।

অন্য আরেকটা মাছের বাজারে গিয়ে সত্যিই রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সেই বাজারে এত বেশি মাছ ছিল যে মনে হয়েছিল সমস্ত মাছ বুঝি এখানেই এসে জমা হয়েছে। অনেক রকম মাছ দেখেছিলাম এবং অনেকটা দেখে শুনে বুঝে আমরা মাছ কিনেছিলাম। পাঙ্গাস মাছ অনেক বেশি পছন্দ করি কেন জানি পাঙ্গাস আমাদের প্রতি আমার ছোটবেলা থেকেই অনেক বেশি ভালোলাগা এবং ভালোবাসা কাজ করে। আর বাসায় এতটা সুস্বাদু করে পাঙ্গাস মাছ রান্না করা হত যে পাঙ্গাস মাছ দিয়ে দু প্লেট ভাত খাওয়া আমার কাছে কোন ব্যাপারে ছিল না হাহাহা। এখানে এসেও সেই আগের মতই পাঙ্গাস মাছ খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে, কিন্তু বাসায় কয়েকজন আবার পাঙ্গাশ মাছ খুব একটা বেশি খেতে চায় না যার কারণে পাঙ্গাশ মাছ খুব একটা বেশি কেনা হয় না। এরপরেও সেদিন পাঙ্গাস মাছ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম যেদিন বাসায় কেউ থাকবে না সেদিন আমরা দুজন এই পাঙ্গাস মাছ রান্না করে খাব।

IMG20240131220053.jpg

IMG20240131220110.jpg

IMG20240131220236.jpg

IMG20240131220212.jpg

IMG20240131220245.jpg

IMG20240131215914.jpg

নতুন সেই বাজারে গিয়ে অনেকটাই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের নিজেদের কাছে মনে হয়েছিল মাছগুলো অনেক বেশি টাটকা। অনেক প্রজাতির মাছ দেখেছিলাম বিশেষ করে ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, বোয়াল মাছ, রুই মাছ,চাপিলা মাছ আরো অনেক প্রজাতির মাছের দেখা পেয়েছিলাম সেদিন। বাজারটা আমরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হেঁটে হেঁটে মাছ দেখছিলাম কিন্তু কি মাছ কিনবো সেটাই ভেবে পাচ্ছিলাম না। ওই যে একটা কথা আছে যে বেশি বাসা-বাছী করলে প্রায় সবকিছুই পছন্দ হয়ে যায় শেষমেষ কোনটাই নেয়া হয় না। আমরা আসলে সিদ্ধান্ত নিতেই পারছিলাম না যে কি মাছ কিনব বাসার জন্য। অবশেষে একটা ফাঁকা জায়গায় গিয়ে আমরা দাঁড়ালাম দাঁড়ানোর পরে সিদ্ধান্ত নিলে আমি বেশি আর ঘোরাঘুরি করব না অনেকটাই রাত হয়ে যাচ্ছে বাসায় গিয়ে আবার রান্না করতে হবে যেহেতু রান্না করার জন্য খালা বাসায় আসেনি। এরপরে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম কিছু ইলিশ মাছ কিনব সেই সাথে পাঙ্গাস মাছ তো থাকবেই, এই দুটো মাছের সঙ্গে থাকবে রুই মাছ এবং চিংড়ি মাছ। যদিও চিংড়ি মাছ আমি নিতে চেয়েছিলাম না তবে বড় ভাই বলল ধন্দুল দিয়ে যদি চিংড়ি মাছ রান্না করা যায় তাহলে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগবে আর আজকে রাতে এই রেসিপিটাই রান্না হবে।

যেহেতু সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে যে রাতের বেলাতে রান্না হবে সেহেতু আর বসে থেকে বা দাঁড়িয়ে থেকে কোন লাভ নেই। আমরা দ্রুতই মাছের বাজারের ভেতরে আবার প্রবেশ করি। মাছের বাজারের ভেতরে প্রবেশ করে আমরা দ্রুত আমাদের প্রয়োজনীয় কয়েক প্রজাতির মাছ কিনে ফেলি। যদিও মাছগুলোর দাম অনেক বেশি দেখা হয়েছিল তবে দাম বেশি রাখার যথেষ্ট কারণ ছিল কারণ মাছগুলো অনেক বেশি টাটকা এবং সতেজ ছিল। চিংড়ি মাছগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছিল এগুলো এখন পর্যন্ত বেঁচে আছে আর রুই মাছ নিয়েছিলাম সেগুলো মোটামুটি ভাবে জীবিত ছিল শুধুমাত্র এই ইলিশ মাছ এবং পাঙ্গাস মাছ এই দুটো মাছ মারা গিয়েছিল। যাই হোক সেটা বড় কথা নয় মাছগুলো কিনে নিয়ে আমরা দ্রুত বাসায় চলে এসেছিলাম। তবে সেদিন মাছ বাজারে গিয়ে আসলেই অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে আমরা সকলেই অনেক বেশি ভালোবাসি আর সেদিন মাছ বাজারে গিয়ে অনেক নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলাম যদিও এর আগে কখনো একা একা মাছ ক্রয় করতে দেওয়া হয়নি সব সময়ই ভাই ব্রাদারের সঙ্গে যাওয়া হয়। যার কারণে অনেক অজানা জিনিস সম্পর্কে জানা যায়।

IMG20240131215139.jpg

IMG20240131215131.jpg

IMG20240131215119.jpg

IMG20240131215113.jpg

IMG20240131215102.jpg

IMG20240131215105.jpg

কিছু কিছু কাজকর্ম এবং সেই সাথে কিছু কিছু অভিজ্ঞতা কখনোই বিফলে যায় না। মাছ কিনতে গিয়ে সেদিন ধারণা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলাম আর এই অভিজ্ঞতাটা নিয়েই ভবিষ্যতে আরো অনেক মাছ কেনার কাজে লাগাতে পারব বলে আমার মনে হয়। সব থেকে নিখুঁতভাবে একটা জিনিস শিখেছি সেটা হচ্ছে যে বড় মাছ কিনতে গেলে সব সময়ই মাছের ফুলকার নিচের অংশ দেখতে হয় ফুলকার নিচের অংশ যদি লাল থাকে তাহলে এই মাছ মোটামুটি ভাবে টাটকা এই ব্যাপারটা আমি আগে জানতাম না তবে সেদিন বাজারে গিয়ে বড় ভাইদের থেকেও জানতে পেরেছিলাম। যাই হোক আমি জানি আপনারা অনেকেই মাছ চেনার ব্যাপারে অনেক বেশি দক্ষ আমি খুব একটা ভালো মাছ চিনতে পারিনা। আপনারা কি কখনো বাজারে গিয়ে এরকম ভাবে অনেক দেখে শুনে মাছ কিনেছেন..?? আমার মনে হয় আপনারা অনেকেই এই ব্যাপারটার সাথে জড়িত। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলে নিজের কাছে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে।

যাইহোক এটাই ছিল আমার অনেকদিন পরে মাছ বাজারে কাটানো সুন্দর এক মুহূর্ত। করছি আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আজকের এই পোস্ট। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, নতুন করে আবার কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে। ততক্ষণ পর্যন্ত সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!



সমাপ্ত


আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

বিবরণ
বিভাগজেনারেল রাইটিং
বিষয়অনেক দিন পরে মাছ-বাজারে
পোস্ট এর কারিগর@jibon47
অবস্থান[সংযুক্তি]source


এটাই আমি..!!

IMG-20231204-WA0004-02.jpeg

আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@jibon47



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে মাছ বাজারে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে। আমার কাছে তো চিংড়ি মাছ এবং ইলিশ মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে। এই দুটো ফটোগ্রাফি দেখে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আরো অনেক ধরনের দেখলাম মাছের ফটোগ্রাফি করলেন। ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে ধন্যবাদ।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

আপনার আজকের লেখা পড়ে ছোট বেলায় স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আমিও ছোট বেলায় আমার নানার সাথে বাজারে যেতাম বিভিন্ন ধরণের মজা খাওয়ার জন্য। এখন সেই মধুর স্মৃতি গুলো মনে পড়লে ভীষণ ভালো লাগে। প্রথম প্রথম বাজার করা আসলেই খুব কষ্টকর পরে আসতে আসতে বাজার করলে সব কিছু ঠিক হয়ে যায়। আপনার পোস্ট দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।

আসলে ভাইয়া সময় পরিবর্তন। সত্যি ছোট বেলা সবাই বাজারের যাবার জন্য পাগল থাকতো কিন্তু যখন প্রয়োজন তখন আর যেতে ইচ্ছে করে না। আপনি ঠিক বলেছেন অন্য বাজারে দেখছি অনেক মাছ। মাছ গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনার পোস্ট পড়ে আমিও একটি অভিজ্ঞতা পেয়ে গেলাম ভাইয়া। বড় মাছের ফুলকার নিচে যদি লাল হয় তাহলে সেই মাছটা টাটকা হয় এটা আমি আগে জানতাম না। তবে অনেক সময় দেখবেন ভাইয়া ছোট ছোট বিষয় থেকে আমরা অনেক বড় বড় অভিজ্ঞতা অর্জন করি। আপনার ভাইয়ের সাথে যদি বাজারে যায় তাহলে অবশ্যই আমি মাছের বাজারে যাই কেননা ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের মাছ দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর মাছের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।

ভাইয়া মাছের ছবি গুলো দারুন ছিল। এখানে পাবদা মাছ,সুরমা মাছ ও আইড় মাছটা আমার খুবই প্রিয়। এখন তো মাছের বাজারে গেলে মাছের দাম শুনলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়। কারন এখন দেশে পানির সংকট ও মাছের সংকট। যায়হোক আপনার অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।

image.png

আসলে ছোটবেলায় যেগুলা ভালো লাগতো বড় হয়ে তার মধ্যে অনেকগুলো আর ভালো লাগে না ‌। আপনার মত আমারও ছোটবেলায় বাজারে যেতে খুব ইচ্ছে করতো কিন্তু বড় হয়ে আর যাওয়া হয় না। আর হ্যাঁ আপনার মত পাঙ্গাস মাছ খেতে ছোটবেলা থেকে আমারও অনেক ভালো তবে মাঝে বেশ কিছু সময় পাঙ্গাস মাছ খাওয়া হয়েছিল না ‌। যাই হোক আপনারা কয়েকদিন আগে মাছের বাজারে মাছ কিনতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আর মাছের বাজারে গিয়ে আপনি নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে কোনো কিছুর মধ্যে না গেলে সেটা সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা যায় না। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনার বাজারে যাওয়ার অনুভুতি গুলো পড়ে আমার ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। আমি ও আমার ছোট চাচার সাথে বাজারে যেতাম।ফেরার পথে দারুন দারুন খাবার কিনে দিত।এই লোভেই আসলে রোজ যেতে চাইতাম।সত্যিই ছেলেবেলার মতো দিন গুলো এখন আর নেই।তাই বাজারে যেতে আপনার ভাল ও লাগেনা।তবে যেহেতু ব্যাচেলর তাই বাজারে না গিয়ে উপায় নেই আপনার মতো আমার ও নদীর পাঙ্গাস ভীষণ পছন্দ। তবে অনেকেই খেতে চায় না তেলের জন্য। আপ্নারা বেশকিছু মাছ কিনে নিলেন।আর মাছের ফুলকো লাল হলে মাছটি তাজা বোঝা যায় আমি জানি।অনেককেই দেখি ওভাবে দেখতে।সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ছোটকালের আপনার মত আমি নিজেও বাজারে যাওয়ার জন্য বাবার সাথে বায়না ধরতাম। কোন সময় বাজারে নিয়ে যেতে আর কোন সময় নিতেন না। আপনি দেখতেছি বড় বাজারে গেলেন অনেক ধরনের মাছ দেখা যাচ্ছে ওখানে। আসলে মাছ বাজারে গেলে অনেক ধরনের মাছ পছন্দ হয় কিন্তু দামে পছন্দ হয় না। আর তাজা মাছ কিনা মজাই আলাদা। যাই পছন্দের মাছ কিনেছেন এটাই বড় কথা। সুন্দর করে পোস্টটি করার জন্য ধন্যবাদ।

বাজার করতে আমার কাছে ও অনেক বেশি ভালো লাগে, তবে সেটা নিজের টাকায় নয় বাবার টাকায় হলে ভালো হয়। আপনি দেখছি আজকে মাছের বাজারের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আপনি বেশ কয়েক প্রজাতির মাছ কিনেছিলেন জেনে খুশি হলাম।আর আপনি মাছ কেনা কাটা করার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

আমিও আব্বুর সাথে অনেকবার বাজারে গিয়েছি। আসলেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। আপনি মাছ বাজারের মুহূর্ত গুলো শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। মাছের ফুলকার ব্যাপারটা আমারও জানা ছিল। আব্বুর থেকেই শিখেছি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো বেশ ভালো লাগলো। বেশ বড় বড় মাছ দেখলাম। চিংড়ি মাছ গুলোও দারুন লাগছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।