আজ - ০৯ চৈত্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | বুধবার | বসন্তকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- সুন্দর মুহূর্ত
- আজ ০৯ ম চৈত্র, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
- বুধবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে.....!!
সেদিনের সেই দিনটি ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু অন্যরকম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি চারিদিকে সোনালী রৌদ্র ঝিকিমিকি করছে। আর এই ঝিকিমিকি রুদ্র গুলো আমার রুমের ক্যান্টিলিভার এর ভেতর দিয়ে প্রবেশ করে কিছুটা আমার বিপরীত পাশের দেয়ালে গিয়ে ঠেকেছে। এরকম দৃশ্য দেখেই আমার সেদিনের সেই সকালের ঘুমটা ভেঙে ছিল। ঘুম ভেঙে রোদ্রের এই রকম দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল কোন এক অজানা দূর থেকে কে যেন টর্চ লাইট খুবই নিখুঁতভাবে ক্যান্টিলিভার এর উপর ত্যাগ করেছে। আর সেই লাইটের আলো ক্যান্টিলিভার এর মধ্য দিয়ে আমার রুমে প্রবেশ করেছে। যাই হোক সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে তড়িঘড়ি করে চলে যায় কলেজে। কারণ অষ্টম পর্বের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং শেষ হওয়ার পরে আমাদের আবার কলেজে কিছুদিনের জন্য বাস্তব প্রশিক্ষণ করতে হয়। যেহেতু বাস্তব প্রশিক্ষণ ছিল সেহেতু আর বেশি দেরি না করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে অতি দ্রুতই কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পরে কলেজের সকল রকম কাজকর্ম শেষ করে আমি দুপুর একটার সময় মেসে ফিরে আসি। মেসে এসে প্রতিদিনের মতোই দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি আবার ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ....!!
আমার ফোনের রিংটোনের শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ঘুম চোখে ফোন রিসিভ করে কিছু বলার আগেই অপর পাশ থেকে একটি শব্দ ভেসে আসে, কোথায় তুমি...? অপর পাশের ফোনের শব্দে বুঝতে আর বাকী রইল না এই মানুষটিকে। কণ্ঠ শুনেই বুঝে গিয়েছি এটা আমার মামা। তারপরে তার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলার পরে সে বলল আমরা তো কয়েকজন কুষ্টিয়াতে ঘুরতে এসেছি তুমি দ্রুত রেডি হয়ে তোমার কলেজে আসো আমরা এখানেই আছি। এই কথাটা শুনেই আমার চোখের ঘুম যেন নিমিষেই পালিয়ে গেল কোন এক দূর অজানায়। আমি তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে চলে যাই কলেজের উদ্দেশ্য। কলেজের উদ্দেশ্যে গিয়ে দেখি তারা কয়েকজন মিলে কলেজ ক্যাম্পাসের মাঠে বসে রয়েছে। তাদের সঙ্গে প্রথমে যে মতবিনিময় করি এবং অনেক সময় আড্ডা দিতে থাকি।
প্রথম দর্শন
বেশ অনেকটা সময় আমরা সকলে কলেজ ক্যাম্পাসের মাঠে আড্ডা দিতে থাকি অনেক ধরনের খোশগল্প করতে থাকি। খোশগল্প করতে করতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে আমরা বুঝতেই পারিনি। যাইহোক যখন মসজিদে আজান করল তখনই আমরা বুঝতে পারলাম যে সন্ধা ঘনিয়ে এসেছে। সন্ধ্যা মুহূর্তে ক্যাম্পাস সেজেছে এক অন্য রকম সাজে। আমরা কয়েকজন মসজিদে চলে যাই নামাজ আদায় করার জন্য, মসজিদ থেকে নামাজ আদায় করে আমরা ঠিক ক্যাম্পাসের মাঠের মাঝখানে বসে আবার আড্ডা দেওয়া শুরু করি। বেশ কিছুদিন বাদে সবাইকে একত্রে এরকম দেখতে পেয়ে নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিল। সত্যি বলতে আমি তখনই অনেক বেশি খুশি থাকবেন অনেক বেশি ভালো থাকবেন যখন আপনার আশেপাশে ভালোবাসার মানুষ গুলো একত্রে দেখতে পারবেন। ভালোবাসার মানুষগুলোর সাথে এরকম একত্রে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে আপনারাই বলুন...?? নিশ্চয়ই ভালোবাসার মানুষগুলো সঙ্গে সময় কাটাতে সবারই অনেক বেশি ভালো লাগে ঠিক তেমনি ভাবে আমারও সেদিনের সেই সন্ধ্যা টা অনেক সুন্দর কেটেছিল অনেক আবেগ ভালোবাসা নিয়ে এসেই সন্ধ্যাটা আমি উপভোগ করেছিলাম।
যেহেতু, কিছুদিন পরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ছিল সে তোর জন্মদিন উপলক্ষে আমাদের ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছিল। ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছিল রঙিন সাজে এই রঙিন সাজানো চারিদিকে আরো রাঙিয়ে তুলেছে। এর আগেও প্রতিবারের ন্যায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে এরকম করে ক্যাম্পাস সাজানো হয় কিন্তু এবার মনে হচ্ছে আরো সুন্দর ভাবে দক্ষতার সঙ্গে অনেকটা সময় নিয়ে ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে। নিজের কাছে চেনা-পরিচিত ক্যাম্পাসকে এক নতুন লেগেছিল, প্রথমে হয়তো দেখে নিজের কাছে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে ক্যাম্পাসটা এত সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে কিভাবে..!! রীতিমত মুগ্ধ করা এক বিষয় ছিল চারিদিকে অনেক ধরনের লাল নীল হলুদ অনেক ধরনের কালারের লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই সাথে ক্যাম্পাসের মাঠের চারপাশে অনেক বড় ধরনের বাল্ব লাগানো হয়েছিল যার কারণে ক্যাম্পাসের মাঠ একদম আলোতে একাকার হয়েছিল। এরকম দৃশ্য দেখে কার না ভালো লাগতেই পারে আপনারাই বলুন। মন চাইছিল না ক্যাম্পাসের মাঠ থেকে উঠে যেতে তাই আমরা সবাই সেখানে বসে অনেকটা সময় আড্ডা দিতে থাকি।
আড্ডা দেওয়ার মুহূর্ত
ফটোগ্রাফি করতে সচরাচর আমরা সকলেই অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আমি তেমন ভাল ফটোগ্রাফি করতে পারি না তবে মাঝে মাঝে চেষ্টা করি নতুন নতুন ফটোগ্রাফি আপনাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমি আমার কলেজ ক্যাম্পাসের রাতের বেলা কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এখন আমি আপনাদের মাঝে সেই ফটোগ্রাফির গুলো শেয়ার করতে চলেছি।
এটা আমাদের কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মেইন গেট।
মেইন গেট দিয়ে প্রবেশ করলেই বামপাশে একাডেমিক ভবন। এই একাডেমিক ভবনে ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল এই দুইটি ডিপার্টমেন্টের ক্লাস নেওয়া হয়। একই পথ ধরে সামনের দিকে এগিয়ে গেলে দেখতে পাওয়া যাবে প্রশাসনিক ভবন।
এটা হচ্ছে বকুলতলা। এই বকুলতলা নাম হওয়ার পেছনের কারণ হলো আপনারা ছবিতে যে গাছটি দেখতে পাচ্ছেন এই গাছটি মূলত একটি বকুল ফুলের গাছ। এই গাছের ছায়া তলে অনেক অনেক শিক্ষার্থীর আনন্দ-বেদনা সুখ-দুঃখ সব কিছু এই বকুলতলার ছায়া তলে বসেই একে অপরের কাছে শেয়ার করে থাকে। এই বকুলতলা টি আমাদের ক্যাম্পাসের একটি দর্শনীয় স্থান। সময় পেলে শিক্ষার্থীরা এখানে এসে আড্ডা দিতে থাকে। এই বকুল গাছটি অনেক চমৎকার ভাবে লাইটিং এর মাধ্যমে সাজানো হয়েছিল, বকুল গাছটা দেখতে আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছিল।
এটা হচ্ছে পলিটেকনিক এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু চত্বর। এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে।
এটা হচ্ছে আমাদের ক্যাম্পাসের হোস্টেল। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে হোস্টেলগুলো সেজেছিল এক রঙিন সাজে। এই রঙিন সাজ গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছিল। আমাদের ক্যাম্পাসে দুইটি হোস্টেল আছে একটি লালনশাহ হোস্টেল অপরটি মীর মশাররফ হোসেন হোস্টেল। দুইটি হোস্টেলে অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছিল দেখতে অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছিল।
আমরা সকলে মিলে অনেকটা সময় নিয়ে ক্যাম্পাসে চারিদিক অনেক চমৎকার ভাবে পরিদর্শন করে ছিলাম। রাতের বেলা সকলের সঙ্গে এরকম ক্যাম্পাস পরিদর্শন করতে খুবই ভালো লাগছিল। বেশ কিছুদিন বাদে এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটাতে পেরে নিজের কাছে সত্যিই অনেক আনন্দিত মনে হচ্ছিল। আজকে আমি আপনাদের মাঝে এতোটুকুই শেয়ার করব পরবর্তীতে আবার কোন এক পোস্টে আমি আপনাদের মাঝে আরো কিছু সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত উপস্থাপন করবো যেগুলো আপনাদের আরো বেশি সুন্দর লাগবে বলে আমি মনে করি। আজকের মত আমার পোস্ট এখানেই শেষ করলাম আবার দেখা হবে কোন এক নতুন পোস্ট এর নতুন রূপে নতুন ভাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনাই করি। ধন্যবাদ সকলকে....!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
বিভাগ | ঘুরাঘুরি |
---|---|
ডিভাইজ | Realme 6i |
বিষয় | রাতের ক্যাম্পাস |
ছবির কারিগর | @jibon47 |
ছবির অবস্থান | Source |
মাঝে মাঝেই এভাবে ঘুরতে গেলে আমাদের মন অনেক ভাল হয় ,আর শরির অনেক ভালো থাকে। সেজন্যই ঘুরতে যাওয়া উচিত আপনি রাতের বেলা ক্যাম্পাসে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন সেটা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পেরেছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনার ক্যাম্পাস সত্যিই অনেক সুন্দর।বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে সকল ক্যাম্পাস অনেক সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছিল।আপনার রাতের বেলায় ক্যাম্পাসে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।আপনাদের ক্যাম্পাসে ঘুরাঘুরির সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরেহ বাহ আপনাদের ক্যাম্পাস তো অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে ভাই। সামনে যেহেতো স্বাধীনতা দিবস। আমাদের ক্যাম্পাসও দেখলাম লাল নীল বাতি দিয়ে অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে। ভালোই সময় পার করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রাতের বেলা ক্যাম্পাসে ঘুরাঘুরি করে খুব আনন্দ করেছেন দেখে ভালই বুঝতে পারছি। সেইসাথে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে দেখতে খুবই ভালো লেগেছে আপনার রাতের ক্যাম্পাসের দৃশ্য গুলো। দিনের বেলা আপনার ক্যাম্পাস দেখতে কেমন লাগে সেটা আমার জানা নাই কিন্তু রাতের সৌন্দর্য্য আমার খুব ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার ক্যাম্পাস ঘোরার অনুভূতি জেনে সত্যি খুব ভালো লাগলো। খুব মজা করেছেনা আপনারা। সাথে কিছু সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়েছেন এতে পোস্টটি দেখতে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন সব। শুভেচ্ছা রইলো আপনাদের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্টের বকুল তোলার মতো আমাদেরো একটা বকুল তলা আছে সেখানে আমাদের স্কুল জীবন টা পার করেছিলাম।বেশ উপভোগ্য একটা সময় ছিল বোঝায় যাচ্ছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য👀
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি খুবই সুন্দর একটা মুহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে অনেক আনন্দ করেছেন। ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই মুহুর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit