আজ--০১ আশ্বিন | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |সোমবার | শরৎকাল |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ রাত্রি সবাইকে......!!

প্রত্যেকটা মানুষের নিজের মধ্যে একটা আত্মসম্মানবোধ আছে। একটা মানুষ যে ধর্মের যে বর্ণের যে জাতির বা যত ছোটই হোক না কেন প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই একটা আত্মসম্মানবোধ থেকেই যায়। নিজের এই আত্মসম্মানকে কেউ কখনও বিক্রি করতে চায় না বা নিজের আত্মসম্মানকে কেউ কখনোই নষ্ট হতে দিতে চায়না। আমি মনে করি একটা মানুষের আত্মসম্মানবোধ থাকাটা খুবই জরুরী। যে মানুষের মধ্যে আত্মসম্মানবোধ নেই তাকে আসলে মানুষ বলা চলে না। যে মানুষের মধ্যে আত্মসম্মান বোধ নেই সেই মানুষকে কেউ কখনো দাম দিতে চায় না সবসময়ই তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। আর এই মানুষগুলো কখনোই কারো কাছে খুব একটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয় না। কারণ সকলে এটাই ভেবে নেয় যে এই মানুষটার মধ্যে কোন আত্মসম্মান বোধ নেই তাকে আমরা যতই অপমান অপদস্ত করি না কেন কোন একটা সময় তাকে যদি আমরা ডাকি অবশ্যই আমরা তাকে পাব মূলত সে মানুষের কাছে মূল্যহীন হয়ে ওঠে আস্তে আস্তে। তবে সেই মানুষটা কখনোই নিজ থেকে সেটা উপলব্ধি করতে পারে না। ভালোবাসার জন্য আমরা অনেকেই অনেক কিছু করতে পারি বা করতে চাই অথবা অনেকেই অনেক কিছু করেছি। দিনশেষে এমন অনেক মানুষ আছে যারা কিনা প্রিয় মানুষের কাছে নিজেকে অনেক বেশি ছোট করে ফেলে হয়তোবা কিছুটা ভালোবাসা পাবার আশায়। মানুষ ভালোবাসা পেতে এবং ভালোবাসা দিতে অনেক বেশি পছন্দ করে তবে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা সবসময়ই অন্যকে ব্যবহার করে।

সেই মানুষগুলোই অন্যের কাছে শুধুমাত্র ব্যবহৃত হিসেবেই ব্যবহার হয় যে মানুষগুলোর মধ্যে ন্যূনতম আত্মসম্মানবোধ নেই। এই কথাটা যদি আমি আপনাদেরকে আরো ভালোভাবে বোঝাতে চাই তাহলে কিছুটা এরকম হবে, মনে করেন আপনি কাউকে অনেক বেশি ভালোবাসেন এতটা বেশি ভালোবাসেন যে তার জন্য আপনি যে কোন কিছু করতে প্রস্তুত। এখানে যে আমি একজন প্রেমিক অথবা প্রেমিকার কথা বলছি সেটা কিন্তু নয় এখানে আমি একজন হাজব্যান্ড এবং ওয়াইফের সঙ্গেও তুলনা করতে পারি। মানুষ তার প্রিয় মানুষের জন্য অনেক কিছু সেক্রিফাইস করে শুধুমাত্র সেই প্রিয় মানুষটাকে খুশি রাখার জন্য। এমনও অনেক মানুষ আছে যারা কিনা নিজের শেষ আত্ম সম্মানবোধটুকু জলাঞ্জলি দিয়েও সেই প্রিয় মানুষের মন রক্ষা করে। কিন্তু অপরদিকের সেই মানুষটা কি আপনাকে সেরকম ভাবেই ভালোবাসে যেমন ভাবে আপনি তাকে ভালবাসেন..? অপর পাশের সেই মানুষটা কি সেই রকম ভাবেই আপনাকে যাচ্ছে যে রকম ভাবে আপনি তাকে চাচ্ছেন..? অপর পাশের সেই মানুষটা কি আপনাকে সেরকম ভাবেই খুশি রাখার চেষ্টা করছে যে রকম ভাবে আপনি তাকে খুশি রাখতে চাচ্ছেন..? হয়তোবা এক্ষেত্রে আপনার উত্তর হ্যাঁ অথবা না হতে পারে তবে যদি আপনার উত্তর না হয় তাহলে বুঝে নেবেন যে আপনি কার কাছে শুধুমাত্র প্রয়োজনে প্রিয়জন।

যখন আপনার খারাপ সময় আসবে তখন দেখবেন এই মানুষটা আপনাকে ছেড়ে দিতে এক মিনিটও দ্বিধাবোধ করবেন। এই মানুষটা আসলে আপনাকে তার প্রয়োজনে ব্যবহার করছে মাত্র সে কখনোই আপনাকে মন থেকে ভালবাসে নিজেরকম ভাবে আপনি তাকে ভালোবেসেছেন। ভালোবাসা খুবই ছোট্ট একটা শব্দ হলেও এই ভালোবাসার কারণেই কিন্তু পৃথিবীতে অনেক কাব্য অনেক উপন্যাস অনেক সাহিত্য রচনা হয়ে গিয়েছে। ভালোবাসার জন্য একটা মানুষ ব্যাকুল এবং মরিয়া পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে ভালোবাসার জন্য মানুষ সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিতেও দ্বিধাবোধ করে না। কিন্তু দিনশেষে যদি এই ভালোবাসাটা মিথ্যে হয়ে যায় তাহলে নিজেকে ধরে রাখবেন কিভাবে..? নিজেকে সান্ত্বনা দিবেন কিভাবে...?? আপনি যেই মানুষটার কাছে মূল্যহীন সেই মানুষটার কাছ থেকে আপনি কোন কিছু আশা করবেন কিভাবে..??

source

প্রত্যেকটা মানুষের নিজের একটা ওজন আছে আর নিজের এই ওজনটাকে কখনোই কমানো উচিত নয়, সে যত বড় মাপের মানুষই হোক না কেন সব সময় নিজের ওজনটা নিজের কাছেই রাখা উচিত এবং সেই ভাবেই একে অন্যের প্রতি আকৃষ্ট ভালবাসা মায়া-মমতা দেখানো উচিত। যখনই আপনি কারো প্রতি অনেক বেশি আকৃষ্ট হয়ে যাবেন কারো প্রতি অনেক বেশি মায়া মমতা ভালবাসা দেখাবেন ঠিক তখনই দেখবেন অপর পাশ থেকে কিছুদিনের জন্য সেই ভালোবাসার মায়া-মমতা একই রকম ভাবেই ফিরে আসছে, কিন্তু মানুষটা যদি সত্যিকার অর্থেই আপনাকে সেই মায়া মমতা ভালোবাসা না দেখায় তাহলে দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই সেটা অনেকটাই কমে গিয়েছে। আস্তে আস্তে সেটা একদমই শেষ হয়ে যাবে আর এদিকে আপনি তাকে আগের মতই হয়তোবা ভালোবেসে যাবে আগের মতই নিজের সবকিছু উজাড় করে দিবেন কিন্তু পক্ষান্তরে অপর পাশের মানুষের কাছ থেকে আপনি কখনোই সেই ভালোবাসাটা পাবেন। আস্তে আস্তে আপনি ভাবেন তার কাছ থেকে অনেক অবহেলা, দিনশেষে আপনি অবহেলা সাগরের নিমজ্জিত হবেন। পাবেন না কোন কুল কিনারা হতাশায় ডুবে যাবেন আপনি, কিন্তু দিনশেষে আপনার কিছু করার থাকবে না। আপনি শুধু এটাই ভাববেন আমি কি এর জন্যই তাকে ভালোবেসে ছিলাম...?? সে কি আদেও আমাকে সত্যিকার অর্থে ভালোবেসেছিলে...??

অনেকগুলো ছোট ছোট প্রশ্ন আপনার মনের মধ্যে জায়গা করে নেবে। কিন্তু এই ছোট ছোট প্রশ্নের কোন উত্তর আপনার কাছে নেই। এই প্রশ্নের উত্তরগুলো যখন আপনি তার কাছে খুঁজতে যাবেন তখন তার কাছ থেকেও আপনি যথার্থ কোন উত্তর পাবেন না। হয়তোবা বিপরীতে পেতে পারেন আরো বেশি অবহেলা কারণ ওই যে একটাই, কারণ আপনি নিজের সবটুকু আত্মসম্মানবোধ তার সামনে ঢেলে দিয়েছেন সে ইতোমধ্যে ভেবেই নিয়েছে যে আপনার নিজের কোন আত্মসম্মানবোধ নেই। আপনি তাকে এতটা বেশি ভালোবেসেছেন যে নিজের আত্মসম্মানবোধ জলাঞ্জলি দিয়ে ফেলেছেন ইতোমধ্যে আর সে ভেবে নিয়েছে যে আপনি খুবই সস্তা আপনাকে যখন ইচ্ছা তখনই কাছে পাওয়া যায়,যখন ইচ্ছা তখন ছোঁয়া যায়, আবার যখন ইচ্ছে তখনই দূরে ঠেলে দেওয়া যায়। এখানে আপনি কাকে দোষী বলে মনে করেন..? এখানে আমার মনে হয় আপনি নিজেই দোষী কারন আপনি নিজের আত্মসম্মান টা জলাঞ্জলি দিয়ে দিয়েছেন তার সামনে। ভালবাসলে দুজনের মধ্যে একই রকমের ভালোবাসা একই রকমের আবেগ একই রকমের মায়া থাকতে হয়। কিন্তু যখন একজনের থেকে কোন একটা হারিয়ে যায় তখন আর সেটা ভালোবাসা থাকে না তখন সেটা থাকে শুধুমাত্র প্রয়োজনে প্রিয়জন।

source

আপনি কি কখনো কারো প্রয়োজনে প্রিয়জন হয়েছে..? যদি আপনি কখনো কারো প্রয়োজনে প্রিয়জন হয়ে থাকেন তাহলে এই কথাগুলো মানে আপনি খুব সহজেই বুঝতে। কথাগুলো বলার শুধু মাত্র একটাই কারণ সেটা হচ্ছে যে ভালোবাসা পাবার আশায় কখনোই নিজের আত্ম সম্মানবোধ টা হারাবেন না। আত্ম সম্মানবোধ যদি একবার হারিয়ে যায় তাহলে সেটা হয়তোবা আপনি ফিরে পাবেন তবে ফিরে পাওয়ার আগের সময়টা হবে আপনার কাছে মৃত্যুর থেকেও কঠিন যন্ত্রণাদায়ক। আর এই কঠিন যন্ত্রণা আপনি সহ্য করতে পারবেন কিনা সেটাও ভাবার বিষয়। এমন অনেক মানুষ আছে যে মানুষগুলো এই কঠিন যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ইতোমধ্যে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছে।আমি চাই না আপনি তাদের দলের আওতাভুক্ত হন। নিজেকে এত ছোট মনে করবেন না কখনো আগেই বলেছি, প্রত্যেকটা মানুষের নিজস্ব একটা ওজন থাকে।আর এই ওজন কখনোই কমাতে হয় না।

অনেক আগে একটা লেখা পড়েছিলাম, ভালোবাসার মিছিলে আমি একা নই,বহু শেষের পরে আসে অবশেষ। আমি বাঁচতে গিয়ে দেখেছি মৃত্যুর ভয়ংকর রূপ। এই কথাটুকু মানে অনেক বিশদ এই কথাটুকু মানে যদি আমি বিশ্লেষণ করতে যাই তাহলে হয়তো বা আরো অনেক কিছু কথা চলে আসবে তবে আমি চাই আপনি এই অল্প কথাতেই সবকিছু বুঝে নেন। নিজের অবস্থান এবং নিজের আত্মসম্মান টা সবসময়ই ধরে রাখা উচিত এতে করে আপনি কখনোই অন্যের সামনে লাঞ্ছিত অপমানিত হবেন না। যাই হোক এটা ছিল আমার নিজস্ব কিছু ধারণা আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!

আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy