আজ - ১১ আশ্বিন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | রবিবার| শরৎকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
তো চলুন শুরু করা যাক
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে.....!
বিকেল....!বিকেল শব্দটার সাথে অনেক কিছুই মিশে থাকে। আমরা সারা দিনে যত কাজ কর্ম করি না কেন,বিকেল বেলা ঠিকই সময় শেষ হয়ে যায়। আমি মনে করি বিকেল হলে অনেক মানুষই ফ্রি হয়ে যায়। যেমন, ধরুন-একজন দিন মজুরি সারা দিন তার মালিকের বাড়ি কাজ করে নিদিষ্ট একটা সময় শেষ হওয়ার পরে কিন্তু সেও আর কাজ করে না। ঠিক তেমন আমরা কোথাও ঘুরতে যেতে যাইলে সব সময় এই বিকেলটা কে-ই বেছে নেই। যদিও এর একটি অনেক গুলো কারন আছে, তার মধ্যে একটি কারন বলি,বিকেল বেলার রৌদ্র আমাদের কাছে তেমন বেশি রৌদ্র মনে হয় না। বিকেলের আবহাওয়া টা থাকে মিষ্টি মধুর। চারিদিকে সূর্যের আলো মিটিমিটি করে কিরণ দেয়। বিশেষ করে বিকেলের রক্তাক্ত সূর্য দেখতে অনেক ভালো লাগে। তাই আমরা ঘুরাঘুরি করার জন্যে সব সময় বিকেল টা বেছে নেই। আমরাও এমন একটি বিকেল বেছে নিয়েছিলাম।ঘুরাঘুরি করার জন্য।
ছবিঃ-আমরা সবাই এক সাথে
আমরা মানব জাতি, আমরা ভালোবাসা প্রিয় হয়ে থাকি। আমরা সেখানেই যাই যেখানে গেলে আমরা কিছু সময়ের জন্যে একটু ভালো থাকবো, একটু খুশি থাকবো। আমরা সব সময় চেষ্টা করি চেনা ও পরিচিত মুখ গুলোর মাঝে থাকতে। যদিও প্রথমে কোথায় গেলে সবাই অপরিচিত থাকে,সময়ের ব্যবধানে আমরা সবাই একে অপরের সাথে পরিচিত হই। আর এই পরিচয়ের মাধ্যমেই ভালোবাসা গড়ে ওঠে। আর এই ভালোবাসা এমন ভাবে গড়ে ওঠে যা কখনো ভুলা যায় না। সেই পরিচিত মুখ গুলোর থেকে যদি কখনো দূরে ও চলে যাই,তাহলে তাদের কথা খুবই মনে পরে। মনে পরে সেই পুরনো স্মৃতি। আর সেই স্মৃতি স্বরন করে আবার ফিরে আসি সেই পুরনো জায়গায়, হয়তো এটাই ভালোবাসা। আমি এটাকে ভালোবাসা নামেই অভিহিত করবো।কারন,আমরা যাকে ভালোবাসি তাকে কিন্তু আমরা খুব করে কাছে পেতে চাই।
ছবিঃ-বিকেলের দৃশ্য
ঠিক তেমনই ভাবে ভালোবাসার টানে আমার মেসে ঘুরতে আসে আমার দুই কাকু। আমি যখন মেসে প্রথম আসি তখন তারা আমার মেসেই থাকবো, একজন ছিল মেসমেট আর একজন ছিল রুমমেট। দুজনের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি,অনেক কিছু জেনেছি। সে গুলো এখন সবই অতীত। যাইহোক,তারা দুজন শারিরীক অসুস্থতার কারনে ডাক্তারের কাছে এসেছিল, কাজ শেষ করে ভালোবাসার টানে ছুটে চলে আসেছে সেই পুরনো জায়গায়, যেখানে তারা অনেক বছর পার করেছে। তাদের দেখে খুবই ভালো লাগছিল। অনেক গল্প গুজব করে আমরা সিদ্ধান্ত নিই আজ একটু বিকেল বেলা ঘুরাঘুরি করবো। আমার ও পরিক্ষা থাকার কারনে তেমন ঘুরাঘুরি হয় না তাই মনের আনন্দে রাজি হয়ে যাই
ছবিঃ-হরিপুর ব্রিজে
দিন টা ছিল শুক্রবার, আমরা আসরের নামাজ শেষ করে চলে যাই হরিপুর ব্রিজে। শুক্রবারে সেখানে অনেক মানুষ ভিড় করে। ভীর করার কারন হলো, পরিবেশ টা খুবই খুবই সুন্দর। নদীর উপর দিয়ে ব্রিজ। নদীতে নৌকা দিয়ে অনেক ছেলেপেলে এই দিনে পিকনিক করে। দেখতে অনেক মজা লাগে। আমরা অনেক সময় সেখানে অতিবাহিত করি। খুবই ভালো লাগছিল। চারিদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ এই মানুষের যেন শেষ নাই। ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে থাকার কারনে মাঝেমধ্যে যানযট এর সমস্যা হচ্ছে,তবুও মানুষের যেন শেষ হয় না।
ছবিঃ-ব্রিজের উপরের দৃশ্য
দুপুর শেষ হওয়ার সাথে সাথে এখানে মানুষের ভিড় জমে,আর সন্ধ্যা নামার অনেক পরে এখানে ভিড় শেষ হয়। মানুষ একটা সপ্তাহে মধ্যে শুধু মাত্র শুক্রবার দিনেই এখানে এসে ভিড় করে। সপ্তাহে ছয় দিন যেমনই কাটুক না কেন শেষ দিন সবার খুবই ভালো যায়, বিশেষ করে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার সবারই এখানে আসলে ভালো কাটে। আমরাও সেখানেই গিয়েছিলাম। নদীর বাতাস শরীরে লাগার সাথে সাথে শরীর ও মন দুটোই ভালো হয়ে যায়।
ছবিঃ-ব্রিজের নিচের দৃশ্য
ব্রিজের নিচের দৃশ্য খুবই সুন্দর, নদীর দুই ধার দিয়ে অনেক মানুষের চলা চল। অনেক মানুষ সেখানে বসে থাকে। বিকেল বেলা নদীর পারে বসে থাকতে খুবই ভালো লাগে।আমরা প্রায় অনেক সময় ব্রিজের উপর বসে ছিলাম,দাড়িয়ে গল্প করছিলাম। গল্প গুজব শেষ করে সন্ধ্যা পরে আমরা ব্রিজ থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই।
ছবিঃ-ল্যাম্প পোষ্ট
সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে ব্রিজের ল্যাম্প গুলো জ্বলে ওঠে। ব্রিজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই ল্যাম্পপোস্ট লাগানো আছে। রাতের বেলা এই ল্যাম্প পোস্টের জন্যে এই ব্রিজটাকে অসম্ভব সুন্দর দেখায়। এবং এই ল্যাম্পপোস্টর জন্য পথচারীরা খুবই সুন্দর ভাবে চলাচল করতে পারে।
বিকেলবেলা ব্রিজের ভিডিও
ইউটিউব লিংকঃ-Source
কুষ্টিয়া হরিপুর ব্রীজ বিকেলের সময়টা কাটানোর জন্য খুব ভালো একটা জায়গা। যদিও আমি এখনো যায়নি। বিকেলে খুব একটা সময় অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া।3 নং ছবিটি অসম্ভব সুন্দর।টিকে থাকুক চিরদিন আপনাদের বন্ধুত্বের বন্ধন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু🥰
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit