প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
যদি প্রথমে ঘুমের কথাই বলতে হয় তাহলে বলতে পারব যে আগে রাত দশটা এগারোটার মধ্যে ঘুমিয়ে যেতাম কিন্তু এখন ঘুমাতে ঘুমাতে রাত দুইটা তিনটার বেজে যায়। আর আগে সকালে ঘুম থেকে উঠতাম সকাল ভোর চারটা পাঁচটার সময় আর এখন ঘুম থেকে উঠতে দশটা,এগারোটা,বারোটা,সাড়ে বারোটা বেজে যায়। আর এই সময়মতো না ঘুমানোর কারণে সকালের নামাজটা পড়তে পারছিনা। এছাড়াও সময়মতো না ঘুমানোর কারণে সকাল সকাল উঠতে পারিনা। আর সকাল সকাল ঘুম থেকে না ওঠার কারণে সকালের খাওয়া দাওয়া টাও হয় না। দিনে দুইবার খাওয়া হয়। গোসলটা মোটামুটি ঠিক ভাবেই হয়। আর যেদিন দশটার সময় ঘুম থেকে উঠতে পারি সেদিন শুধু কলেজ যাওয়া হয়। আর পড়াশোনা তো হয় না বললেই চলে। এটা অবশ্য ঘুমের কারণে নয়,আমারই গাফিলতির কারণে হয়। এবারে আসা যাক কমিউনিটির কাজের কথায়। যখন আপু বাড়ি থাকতাম তখন সারাদিন ফ্রি থাকতাম তার জন্য কমিউনিটির কাজ মোটামুটি ঠিকঠাকই হত। আর এখন বাড়ি এসে প্রতিদিন পোস্ট করতে পারলেও কমেন্ট ঠিকভাবে করতে পারিনা। যাই হোক এগুলো ছিল মূল কথা।
এবারে বলা যাক যে কাজগুলো আমার রুটিনে আবশ্যক না সেগুলোর কথা। এখানে প্রথমে একটা কথা বলতে হচ্ছে তাহলোঃ যে কাজগুলো অবশ্যক নয় সেই কাজগুলোই বর্তমান আমি বেশীরভাগ করে ফেলছি। যেমন খেলাধুলা ঘুরে বেড়ানো ইত্যাদি। এগুলো যে দরকার না তা কিন্তু নয়। এগুলো আমাদের জীবনে অবশ্যই দরকার আছে। তবে বর্তমান আমি এগুলো একটু বেশি করে ফেলছি। এই রুটিন মত না চলার সমস্যাটা কিছুদিন আগে হতো না। সমস্যাটা শুরু হয় মূলত আপু বাড়ি যাওয়ার আগে থেকে। তবে তখন সমস্যাটার পরিমাণ অতটা বেশি ছিল না। কিন্তু আপু বাড়ি থেকে আসার পর সমস্যাটা পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গেছে। মনে হয় চলাফেরার রুটিন চেঞ্জ করার কারণে এই সমস্যাটির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ আপু বাড়ি থাকতে এক রুটিন অনুযায়ী চলাফেরা করতাম । আর বাড়িতে অন্য আরেক রুটিন অনুযায়ী নিয়ে চলাফেরা করি। যাই হোক যেহেতু সমস্যাটাই পড়ে গিয়েছি তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চেষ্টা করব সমস্যাটা থেকে বেরিয়ে আসর জন্য। আর চেষ্টা করবো সবকিছু একটি রুটিন অনুযায়ী নিজের আত্তে আনার জন্য। যাই হোক খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে ইনশা-আল্লাহ।
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন ও বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আজকের লেখাটা আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ খুব সুন্দর কথা বলেছেন। ভাইয়া আপনার রুটিনের সাথে আমার একদম মিলে গিয়েছে। এখন আমি আর আগের মতো সবকাজ ঠিকঠাক করতে পারি না। আমার সবকিছু অগোছালো হয়ে গিয়েছে। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে একটা রুটিন অনুযায়ী জীবন পরিচালনা না করলে সবকিছু অগোছালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে নিয়মের বাইরে যাওয়ার মধ্যে একটা আনন্দ রয়েছে আর কিছু বয়স এই আনন্দটাই পেতে চায়। আপনি সেই বয়সটা পার করছেন তাই নিয়মের মধ্যে চাইলেও আসতে পারছেন না। সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে দায়িত্ববোধ এবং কিছুটা নিজেকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা। যখন দায়িত্ব এবং কর্তব্য ঠিকমতো বুঝতে পারবেন তখন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। তবে আমি বলবো আমাদের কমিউনিটির একজন ভেরিফাইড ব্লগার হিসেবে অবশ্যই দায়িত্বের সাথে আপনার কাজগুলো করতে পারলে ইনশাআল্লাহ সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন। নিয়মের মধ্যে খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবেন আশাকরি। শুভ কামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চেষ্টা করব সবকিছু নিজের আয়ত্তের মধ্যে আনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit