ঠান্ডা কাঁশি।

in hive-129948 •  7 months ago 
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

cough-6934063_1280.jpg

সোর্স

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরো একটি নতুন পোস্ট। তো আজকে টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন পোস্টটি কি নিয়ে হতে চলেছে। আসলে আমরা চাই সব সময় সুস্থ থাকতে। কিন্তু যত চেষ্টাই করি না কেন সব সময় সুস্থ থাকা প্রায় অসম্ভব। আর অসুস্থ হলেই বোঝা যায় সুস্থতা আল্লাহতালার কত বড় নেয়ামত। তো যাই হোক চলুন এবারে পোস্টের মূল বিষয় আসা যাক।

সেই ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ তারিখের কিছুদিন আগে থেকে ঠান্ডা কাশি হয়েছে। প্রথমে তো অত বেশি ছিল না কিন্তু ২৫ তারিখে এক জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার কারণে ঠান্ডা কাঁশির পরিমাণ আরো বেড়ে গিয়েছিল। তো যেহেতু অসুস্থ হয়েছি তাই শুরু করেছিলাম ওষুধ খাওয়া। কিন্তু দুই তিন দিন ওষুধ খাওয়ার পরেও তেমন একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করছিলাম না। তাই একদিন নিজে নিজেই কয়েকটা ওষুধ চুজ করে সেগুলো একসাথে খেয়ে নিলাম।

ওষুধগুলো খাওয়ার সাথে সাথে তেমন কিছুই বুঝতে পারেনি কিন্তু কিছুক্ষণ পরে দেখি ঘুম পাচ্ছে। আর আস্তে আস্তে ঘুমের পরিমাণটা বেড়েই চলেছে। এক পর্যায়ে ঘুমের কারণে আমি আর কাজ করতে পারছিলাম না যার কারণে কাজ ফেলে পাশের রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে নিয়েছিলাম। তো এখানে মজার বিষয় হচ্ছে আমি পাশের রুমে গিয়ে ঘুমিয়েছিলাম কিন্তু এতেও কেউ আমাকে তেমন কিছু বলেনি অর্থাৎ সবাই এটাকে পজিটিভলি নিচ্ছিল। তো আমি দোকান ফেলে পাশের রুমে প্রায় এক ঘন্টা ঘুমিয়েছিলাম তারপরেও ঘুমের ভাব যাচ্ছিল না। কিন্তু বেশি টাইম ধরে তো ঘুমানো যাবে না তাই এক পর্যায়ে উঠে চলে এসেছিলাম। তো প্রথমে ঘুম না গেলেও কিছুক্ষণ পর আস্তে আস্তে ঘুমের ভাব কেটে গিয়েছিল। তবে শেষে দেখলাম এই ওষুধগুলো খেয়ে ঘুম আসলেও বেশ উপকার পেয়েছিলাম। অর্থাৎ কাঁশিটা একদিনেই অনেক কমে এসেছিল। সেই থেকে কাঁশি থেকে অনেকটাই রেহাই পেয়েছিলাম। আর এখন বর্তমান কাঁশির পরিমাণটা অনেক কম। যদিও বা মাঝে এক পর্যায়ে কাঁশি সেরে গিয়েছিল।

তবে সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে ঠান্ডা। প্রথম দিকে কাঁশি থাকলেও ঠান্ডা ছিল না কিন্তু পরবর্তীতে হুট করে একদিন রাতে গরম পরছিল আর ফ্যান চালিয়েছিলাম তাতেই দেখি পরেরদিন থেকে ঠান্ডা লেগে অবস্থা খারাপ। তো সেই ঠান্ডা লেগে আছে তো আছেই এখন পর্যন্ত ঠান্ডা যাওয়ার কোনো নাম নিচ্ছে না। আবার আজ রাতে একটু কাঁশিও হচ্ছে। যদিও বা আমি বুঝতে পারছি এটার কারণ রাতে ফ্যান চালানো। কিন্তু রাতে গরমের কারণে ফ্যান না চালালে গা ঘেমে একাকার হয়ে যায়। তো এজন্য এখন মাঝে মাঝে যা করি শরীরের কিছু অংশ কম্বল গায়ে দিয়ে থাকি এবং বাকি অংশ ফাঁকা রাখি যেন মোটামুটি সবকিছু ব্যালেন্স থাকে।

তো যাই হোক আশা করি আল্লাহর রহমতে শীঘ্রই এগুলো থেকে রেহাই পাব।

তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আপনাদের কি কারোর আমার মত অবস্থা হয়েছে কিনা অবশ্যই কমেন্টে জানাতে পারেন । তো আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

শুনে খারাপ লাগল যে আপনি লম্বা সময় ধরে ঠান্ডা কাশিতে ভুগছেন।

ভাল হয় একজন রেজিস্ট্রারড ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা নেয়া, যদি এ পর্যন্ত না নিয়ে থাকেন।

আপনার সুস্থতা কামনা করছি।

Posted using SteemPro Mobile

ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের মাধ্যমে সুন্দর পরামর্শ দেওয়ার জন্য।

এই ঠান্ডার জন্য বাঁচার সবচেয়ে বড় উপায় কানে তুলা দিয়ে ঘুমানো! পাশে কম্বল বা কাথা রাখা। ফ্যান যতই চলুক না কেন রাত্রে ঘুমের ঘরে যদি ঠান্ডা অনুভব হয় গায়ের উপর ঘুমের মধ্যে কাঁথা দিয়ে ফেলা হয়ে যায়। তাই তখন আর ঠান্ডা লাগে না। এখন ঠান্ডা যেহেতু লেগেই গেছে বুঝো ঠ্যালা! সিনামিন আর নাপা এক্সট্রা খেলেই আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।

ধন্যবাদ সুমন ভাই আপনাকেই এত সুন্দর পরামর্শ দেওয়ার জন্য।

প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করি। তবে এখন একটু আবহাওয়া চেঞ্জ হওয়ার কারনে কাশি সর্দি এগুলো ধরতেছে।তবে আপনার লম্বা ঘুমানোর কথা শুনে আমারো হাসি পেলো।আবার সেই ঘুম থেকে আপনি অনেক টায় সুস্থ হয়েছেন।আর কিছুদিন ধরে আসলেই প্রচুর গরম থাকার কারনে সবাই রাতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমায় আর সেই ঠান্ডা টা শরীরে লেগেই সবাই অসুস্থতায় ভুগতেছে।যাইহোক সুস্থ অসুস্থ সকলেই আল্লাহ তায়ালার নিয়ামত। দোয়া করি আপনি খুব শীগ্রই সুস্থ হবেন।ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

আসলেই ভাই আবহাওয়া চেঞ্জ হওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে বলতে পারেন। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।

এটা আবার কেমন কথা ভাই, আপনি নিজে নিজে ওষুধ চুজ করে খেয়ে নিয়েছেন! হা হা হা...আমার তো মনে হয়, যাই কিছু হোক না কেন অন্তত ডাক্তার দেখিয়ে তারপর ওষুধ খাওয়া উচিত। যেহেতু আপনার কাশির সমস্যা, সে ক্ষেত্রে আপনার একবার অন্তত ডাক্তার দেখানো উচিত ভাই। তবে আপনি বলছেন যে কিছুটা সেরে গিয়েছে, কিন্তু পরবর্তীতে তো আবার হতে পারে। তাই একজন ভালো ডাক্তার দেখালে হয়তো কিছুটা নিশ্চিত হতে পারবেন এই ব্যাপারটা নিয়ে।

আসলে ভাই আমি ফার্মেসিতে কাজ করি। তার জন্য মূলত একা একা ওষুধ চুজ করে খেয়েছি। আর কিছু কিছু ওষুধ খেলে কয়েকজনের ঘুম আসে তার জন্য হয়তোবা আমার ঘুম এসেছিল।

আসলে ভাই আমি ফার্মেসিতে কাজ করি। তার জন্য মূলত একা একা ওষুধ চুজ করে খেয়েছি।

আচ্ছা ভাই, এইবার ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছি।

জি ভাই।

প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করছি৷ আসলে এখন আবহাওয়া পরিবর্তন এর কারণে অনেকে অনেক অসুস্থতায় শিকার হচ্ছে৷ এখন যেভাবে বিদ্যুৎ আসছে এবং চলে যাচ্ছে এর ফলে একবার পাখা চলছে আবার বন্ধ হচ্ছে৷ এর ফলে ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে৷ এই ঠান্ডা লাগা থেকেই অনেক ধরনের রোগ সৃষ্টি হচ্ছে৷ আপনি অনেক লম্বা সময় ঘুমিয়ে আপনার শরীর অসুস্থ থাকা থেকে কিছুটা ভালো হয়ে গিয়েছে শুনে খুব হাসি পেল৷ ধন্যবাদ এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷

আসলে ভাই ওই ওষুধগুলো খেলে একটু ঘুম পায় তবে আমার একটু বেশি পেয়েছিল যার কারণে না ঘুমিয়ে আর থাকতে পারিনি। তবে ওষুধগুলোতে কাজ হয়েছিল। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।

আমাদের সাথেও এরকম অনেকবার হয়েছে

Posted using SteemPro Mobile