প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
সত্যি সেই সময়টাতে যে রকম মজা অনুভব করতাম সেটা হয়তোবা ইহকালে আর সম্ভব না। যাইহোক আপনারা টাইটেলে নিশ্চয়ই দেখতে পারছেন আমি লিখেছি এক বছর ছুটি।ছোটবেলায় আমার মনে একটি আশা জাগত, আর সেটা হচ্ছে যদি কখনো এক বছর ছুটি পেতাম কতই না ভালো হতো। একটা বছর কতইনা মজা করে খেলাধুলা করে কাটাতে পারতাম। কিন্তু এটা তো কখনোই সম্ভব ছিল না। আর সকলে এটাই ভাবতো এটা কখনোই সম্ভব না। তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলাই উত্তম পরিকল্পনাকারী এই দুনিয়ায় কখন কি হবে একমাত্র তিনিই জানেন।
আপনাদের নিশ্চয়ই কোভিড-১৯ অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের কথা মনে আছে। এই ভাইরাসের বদলতে হলেও পেয়েছিলাম একটা লম্বা ছুটি। যদিও বা এটা আমাদের জনজীবনে অনেক ক্ষতি নিয়ে এসেছিল। তবে এই করোনাভাইরাস আমাদের জীবনে অনেক চেঞ্জ ও নিয়ে এসেছে। তো সেগুলো নিয়ে আজকে আর আলোচনা করলাম না। আমার আজকের মূল বিষয় হচ্ছে ছুটি। এই ভাইরাসের কারণে পেয়ে গিয়েছিলাম লম্বা একটা ছুটি। যে সময়টাতে কারোর ছিল না স্কুলে যাওয়ার খোঁজ,বন্ধ ছিল অনেক প্রতিষ্ঠান,সবাই কোনো রকমে জান বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিল।
বাইরে বেরোতে হলেই মানতে হতো অনেক নিয়ম। তবে আমরা পাড়ার মধ্যে কোনো রুলস মানতাম না। সারাদিন শুধু এটা সেটা করে কাটিয়ে দিতাম। না ছিল কারোর পড়াশোনা না ছিল কারোর অন্য কিছু। তাই মাঝে মাঝে ছোট বড় সবাই মিলে বিকেল টাইমে লেগে পড়তাম বিভিন্ন খেলা খেলতে। যারা একদম কাজের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল তারা হয়তো ভেবেছিল আর কখনোই এরকম সুযোগ পাবে না। অর্থাৎ তাঁরা আর কখনো ফ্রী টাইম পাবে না। কিন্তু সময়ের বদলতে এবং আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় পেয়েছিল এই করোনা ভাইরাস। এই সময়টাতে বেশ কিছু জিনিস ভালো লাগার মত ছিল আবার খারাপ লাগার মত ছিল অনেক জিনিস। তবে আমার মনে হয় মোবাইলের ইউজ,ইন্টারনেট ইউজ বেড়ে গেছে এই টাইমটাতেই। যেটার কারণে অবশ্য আমরা অনলাইন নামে আরেকটা জগত খুঁজে পেয়েছি। যেটার ভালো দিক আছে আবার খারাপ দিকও আছে। তবে আমার কাছে আপাতত দৃষ্টিতে দেখে মনে হয় অনলাইনের খারাপ দিকেই ডুবে আছে অনেক জন।
যাইহোক একদিন ভাবতে ভাবতেই এই বিষয়টা আমার মাথায় এসেছিল। আমি না ছোটবেলায় ভাবতাম এক বছর ছুটির কথা? সেই ইচ্ছাটা তো আমার পূরণ হয়েছিল এই করোনা ভাইরাসের মাধ্যমে। তাই সেদিন থেকেই নিয়ত করে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে এই বিষয় নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করব। আর সেই নিয়ত থেকে মূলত আজকে আমি আপনাদের মাঝে সেই বিষয় নিয়ে পোস্টটি শেয়ার করলাম। তবে আমি সঠিক জানিনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক কতদিন বন্ধ ছিলো।
তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আপনারা কি কখনো এরকম লম্বা ছুটির কথা ভাবতেন কিনা কমেন্টে জানাতে পারেন। তো আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://twitter.com/MdJohir65/status/1792248262168293675?t=wNBo_PbRDoDCeI2imLV4BQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে এই করোনার সময় বিশেষ করে গরিব মানুষেরা অনেক বেশি কষ্টতে দিন কাটিয়েছে। কেননা হয়তোবা যারা চাকরি করে তারা কিন্তু ঘরে বসে বসে কাজ করতে পেরেছে। আর যারা বাইরে পরিশ্রম করে টাকা পয়সা উপার্জন করত তাদের কষ্টের কোন সীমা ছিল না। যাইহোক আজকের আপনার এই পুরনো দিনের কথা পোস্টটি অনেক সুন্দর ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে সেই সময় অনেকেই কষ্টের মাঝে জীবন পার করেছিলেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মত আমিও ছোটবেলায় ভাবতাম যদি কখনো এক বছর ছুটি পায় তাহলে সেটা দারুন হবে। আর সেই সেটা হয়তো করোনাভাইরাসের ভেতরেই পূর্ণ হয়ে গিয়েছিলো। তবে করোনাভাইরাস আমাদের সবার জন্য ঘাতক ছিলো। আর করো না ভাইরাস চলাকালে গরিব-দুঃখীদের অনেক কষ্টে থাকতে হয়েছিলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন পড়ে ভালো লাগলো ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাই, সেই সময় অনেকের অবস্থাটা ছিল বেশ খারাপ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোটবেলায় কেন, হয়তো সবসময়ই আমরা যে কাজের মাঝেই থাকি না কেন, টানা এক কাজ করতে ভালো লাগে না। ছোটবেলায় আপনি যেমন মনে মনে এক বছর ছুটির কথা ভাবতেন, আনেকেই হয়তো এমন ই চাইতো... তবে আমি কখনো একসাথে টানা এতদিন ছুটি চাইতাম না, আমার মনে হতো মাঝে মাঝে টানা কয়েকদিন এর ছুটি পেলে মন্দ হতো না। চাকরীক্ষেত্রেও তাই ই মনে হতো। কোন মাসে টানা দুই- তিন দিন ছুটি পেলে ভীষণ ভালো লাগতো। কোভিডের সময় টায় আসলে অনেকেই বুঝতে পেরেছে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘরে বসে থাকাটা উপভোগ্য নয়। বরং কাজের মাঝে মাঝে ছুটিটাই বেশি উপভোগ্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে কাজের মাঝে ছুটিটা সবসময়ই উপভোগ্য। কিন্তু অনেক মানুষ আছে যারা ভেবেছিল যে কখনোই হয়তো তারা আগের মতো ফ্রি টাইম পাবে না কিন্তু তারা করোনাভাইরাসের মাধ্যমে সেই সময়টা পেয়েছিল। তবে সেই সময়টা সবার জন্য উপভোগ যোগ্য ছিল না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া মনে আছে সেই এক বছর ছুটির কথা। সেই এক বছর ছুটির জন্য ছাত্রদের আজীবন কান্না করতে হবে। কত স্টুডেন্ট অটো পাশ করে এখন মানুষের তিরষ্কার শুনতেছে। আমাদের অফিসে চাকরির জন্য অটোপাশ করা দুইটি ছেলে এসেছিল। এক মাত্র অটোপাশ করার জন্য তাদের চাকরি হয়নি। এমন ভাবে সব জাগায় তারা অপমান হচ্ছে। একবছর ছুটিতে বারো বছর কান্না করতে হবে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে সেই সময় ভালো খারাপ অনেক কিছুই হয়েছে। তবে অটোপাস হওয়ার কারণে যে চাকরি হয়নি এটা বেশ খারাপ একটি বিষয়। ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যটি করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit