বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি বাচ্ছাদের কিছু মজার চকলটের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো সবার কাছেই ভালো লাগবে।
কিছুদিন আগে আমি রাতের বেলা বাসায় ফেরার পথে আমাদের বাসার নিচতলার একটি দোকানে প্রবেশ করি। দোকান বললে ভুল হবে, বলতে হয় সুপার শপ। এই শপটিতে এমন কোন আইটেম নাই, যেটা পাওয়া যায় না। মানে মাছ তরকারি বাদে সব কিছু এই দোকানটিতে পাওয়া যায়। আমি প্রায় দুই বছর ধরে এই বাসাতে ভাড়া থাকি। কোন দিন কোন জিনিষ কিনতে গিয়ে ফেরত আসতে হয় নি। দেশি বিদেশি সব ধরনের আইটেম দোকানটিতে পাওয়া যায়। শুধু তাই না, এমন কিছু আইটেমও তিনি রাখেন যেটা শুনলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন।
একদিন রাতের বেলা বারোটার সময় আমার ওয়াইফের মাথা ব্যাথা শুরু হয়। এত ব্যাথা যে সহ্য করতে পারছে না। যদিও আমি মাঝে মাঝে ঘরে প্যারাসিটামল জাতীয় বা ব্যাথার কিছু ট্যাবলেট আমার বাসায় রাখি। তবে ঐদিন বাসায় সেলাইন ছাড়া কিছু ছিল না। তাই চিন্তা করলাম বাহির থেকে গিয়ে মাথা ব্যাথার জন্য টাফনিল ট্যাবলেট নিয়ে আসি। নিচে গিয়ে দেখি মেইন রাস্তার সাইটে যত গুলো দোকান ছিল, সব গুলো দোকান বন্ধ। শহরের মধ্যে বারোটার সময় তো দোকান বন্ধ থাকার কথা না, তাহলে বন্ধ কেন....? একজনকে জিঙ্গেস করে জানতে পারলাম সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরে এলাকায় রাতের বেলা গেঞ্জাম হয়েছে। যার ফলে রাস্তার পাশের সব দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। ফার্মেসী বন্ধ থাকায় হতাশ হয়ে ফিরে আসার সময় আইসক্রিম নেওয়ার জন্য এই দোকানটিতে প্রবেশ করলাম। দোকানদার আমাদের বাড়িওয়ালার ছেলে। আমাকে জিঙ্গেস করলো কোথায় গিয়েছিলেন। আমি তখন বললাম ফার্মেসীতে গিয়েছিলাম, মাথা ব্যাথার ট্যাবলেট আনার জন্য। কিন্তুু গিয়ে দেখলাম সব দোকান বন্ধ। তিনি আমাকে বললেন মাথা ব্যাথার কোন ট্যাবলেট লাগবে। আমি বললাম টাফনিল। তিনি সাথে সাথে তার দোকান থেকে টাফনিল ট্যাবলেট বের করে দিলেন। আমি বললাম আপনি ঔষুধও বিক্রয় করেন না কি....? তিনি বলেন, প্যারাসিটামল, গ্যাস্টিক, মাথা ব্যথা, ঠান্ডা, এলার্জি জাতীয় কিছু ঔষুধ বিক্রয় করি। চিন্তা করেন তাহলে তিনির দোকানে আর কি কি না আছে...।
যায়হোক ঐদিনই তিনির দোকানে বাচ্ছাদের কিছু মজার মজার চকলেটের জিনিষ দেখে আমি ফটোগ্রাফি করেছি। এখন সে গুলো শেয়ার করতেছি-
বাচ্ছাদের খাবারের জিনিষের অভাব নেই, তারা যে কত রকমের খাবার খায় চিন্তাও করা যায় না। বিশেষ করে দোকানে গেলে দেখা যায়, তাদের খাবারের কত জিনিষ পাওয়া যায়। এটা এক রকমের চকলেট। যেটা সম্ভবত চায়নাতে আবিষ্কার হয়েছিল। এই চকলেট নিয়ে চায়নাতে একটি মুভিও বের হয়েছে। আমি নিজে সেই মুভিটা দেখেছিলাম। এই চকলেট গুলো খেতে কেমন সেটা কিন্তুু আমি জানি না।
এখানে আরেকটি মজার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন, এটা বাচ্ছা বড় সব মানুষ খেয়ে থাকে। এই ললিপপ টা ছবিতে ছোট দেখা যায়, তবে বাস্তাবে ইয়া....... বড়। এটা সম্পূর্ণটা প্লাস্টিক দিয়ে বানানো, তবে ভিতরে ছোট একটি ললিপপ রয়েছে। এটাও হাতে নিয়ে ফটোগ্রাফি করলাম।
এটা অরেঞ্জ আকৃতির চকলেট। কালারটাও দিয়েছে অরেঞ্জ কালার। তবে এটা বানাতে গিয়ে উপকরন হিসাবে অরেঞ্জ দিয়েছে কি না, সেটা আমার জানা নেই। এটা বাচ্ছাদের খাওয়ানো কতটা ভালো সেটা আপনারা নিজেরা বুঝে নিবেন। কারন এগুলো বানাতে অবশ্যই কোন না কোন ক্যামিকেল অবশ্যই ব্যবহার করে। আর বাংলাদেশে মাঝে মাঝে তালাশ অনুষ্ঠানে বা বিভিন্ন অনুসন্ধানে যা দেখি, কিছু বলার ভাষা নেই। নিজের ভালো নিজেই বুঝতে হবে।
খরগোশ আকৃতির চকলেট। এটাতেও এমনি একটি কালার দেওয়া হয়েছে, যেটা দেখলেই বাচ্ছারা খাওয়ার জন্য নাগিন ড্যান্স শুরু করবে,হা হা হা। দেখতে কিন্তুু অনেক সুন্দর। তবে এগুলো দাম কত হবে, সেটা আমি জিঙ্গেস করি নাই। কমপক্ষে বিশ ত্রিশ টাকা হতো হবেই। কারন এখন বাংলাদেশের টাকার কোন মূল্য নেই, বাজারের অবস্থা তো সবাই কম বেশি জানেন।
আমার সব থেকে বেশি পছন্দ হয়েছে, এই চকলেটটি। এটা পাঁকা ভুট্টার আদলে তৈরী করা হয়েছে। মানে বুঝিয়েছে যে, এটাতে ভুট্টা দেওয়া হয়েছে। কিন্তুু আসলে দিয়েছি কিনা, আল্লাহই ভালো জানে। প্রত্যেকটা চকলেট দেখতে অনেক সুন্দর ও আকর্ষনীয়। সাধারনত নতুন যত গুলো আইটেম বের করা হয়, উনার দোকানে আগে দেখি। আর এই দোকানটিতে সব সবময় ভিড় লেগে থাকে। কোথায় থেকে যেন এত কাষ্টোমার আসে চিন্তা করে পায় না।
যায়হোক আর কথা বাড়াচ্ছি না, বিদায় নেওয়ার সময় হয়েছে। আবার আগামীকাল অন্য কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
নাম | বাচ্ছাদের কিছু মজার চকলেট।। |
স্থান | শিবুমার্কেট, নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৮/০৮/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাচ্চাদের পছন্দের বেশ কয়েকটি চকলেট এর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। এসব ফটোগ্রাফি গুলো যদি আমার মেয়ের চোখে পড়তো তাহলে এগুলো খাওয়ার জন্য সে বায়না ধরতো। কারণ তার চকলেট খুবই পছন্দ। আপনার চকলেটের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলোকে উপস্থাপন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু বাচ্ছারা এটাকে অনেক মজা করে খায়। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। চকলেট আমার খুবই প্রিয়। ছোট থেকে এ পর্যন্ত এখনো আমি পছন্দ করি চকলেট। বাচ্চাদের অসাধারণ চকলেট নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন আপনি। মনে হচ্ছে যেন চকলেট গুলো দেখে আমিও বাচ্চার মত মনোভব ফিল করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু এই চকলেট দেখলে বাচ্ছারা না নিয়ে ফেরত আসে না,হা হা হা। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ মজার মজার কয়েকটি চকলেটের ফটোগ্রাফি আপনি দেখছি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। চকলেট গুলো দেখতে অনেক বেশি কিউট লাগছে। এই চকলেট গুলো কোন বাচ্চার চোখে পড়লে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এগুলো না কিনে বাড়িতেই ফিরবে না। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু চকলেটের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু চকলেট গুলো দেখতে অনেক কিউট লাগে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit