হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় শেয়ার করবো। আশা করি আপনারা মনযোগ সহকারে পড়লে অনেক তথ্য জানতে পারবেন।
বর্তমানে বাংলাদেশের সব থেকে বেশি আলোচনার বিষয় হলো আমেরিকার ভিসানীতি। যদিও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি,মুদ্রাস্ফীতি,ডেঙ্গু এই সব কিছু নিয়েও আলোচনা হয়। তবে বেশি অংশ মানুষের মুখে ভিসানীতির কথাই বেশি শুনা যাচ্ছে। পশ্চিমা দেশ আমেরিকা বাংলাদেশের উপরে তাদের ভিসানীতি প্রয়োগ করার ফলে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিবিদ,প্রশাসন ও সরকারি উপর লেভেলের কর্মকর্তারা। কি সেই ভিসানীতি এবং কেন প্রয়োগ করা হলো বাংলাদেশের উপর সেটাই আমার আজকের আলোচনার বিষয়।
গত তিন চার বছরের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে বাংলাদেশের কিছু মানুষ অতিদ্রুত ধনীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এই বিষয়টা নিয়ে গভেষনা শুরু করে আমেরিকা সহ বিশ্বের নামি দামি কিছু প্রতিষ্ঠান। সেই সাথে গত দশ বছর ধরে বাংলাদেশে প্রচুর মানবাধিকার লঙ্ঘন,দুর্নীতি,হত্যা,গুম সহ নানা ধরনের অপরাধ বেড়েই চলছে। এই বিষয় গুলো নিয়ে বার বার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা রির্পোট প্রকাশ করে। কিন্তুু আমাদের দেশের দুর্নীতিবাজরা সেই রিপোর্ট আমলে নেয় নি। বরং যারা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে,কলম ধরেছে,নিউজ করেছে তাদেরকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামে নতুন আইন করে গ্রেফতার,হত্যা,দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছে। সব মিলিয়ে অপরাধ যখন চরম পর্যায়ে পৌছে যাচ্ছে তখনই আমেরিকা বাংলাদেশের র্যাবের কয়েকজন সদর্স্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তাতেও হুশ ফিরেনি দুর্নীতিবাজদের।
বেশ কয়েক মাস ধরে আমেরিকা বলে আসছে যে বাংলাদেশের কিছু সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি ও রাজনৈতিক নেতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। সেই লিষ্ট করা হচ্ছে। অবশেষে জলপনা কল্পনার অবশান ঘটিয়ে কয়েকদিন আগে সেই লিষ্ট প্রকাশ করা হয়। সেই লিষ্টে রয়েছে বাংলাদেশের টপ লেভেলের নেতা ও কর্মকর্তারা। তবে লিষ্টে কয়জন আছে বা কারা কারা আছে সেটা এখনও সিউর করে কিছু জানায়নি আমেরিকা। তারপরও যারা দুর্নীতি করেছে,অন্যাই করেছে। অবৈধ ভাবে অর্থ পাচার করেছে তাদের রাতের ঘুম নষ্ট হয়ে গেছে। ঘুমের ঔষুধ ছাড়া তাদের ঘুম আসছে না।
বাংলাদেশের অনেক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তার পরিবার আমেরিকায় রয়েছে। তাদের ছেলে মেয়েরা সে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। আর তাদের সেই খরচ যোগান দিচ্ছে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষ। বর্তমানে দুর্নীতির কারনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ভাবে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমই দুর্বল হয়ে গেছে যে রিজার্ভের অর্থও খরচ হয়ে যাচ্ছে।
আমেরিকা এটাও বলছে যে, যারা অবৈধ ভাবে অর্থ পাচার করে তার দেশে অর্থ সম্পদ ও বাড়ি গাড়ি করেছে সেই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাদেরকে আমেরিকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ২০২৪ সালে জানুয়ারির প্রথম সাপ্তাহে বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। যারা এই নির্বাচনে অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগ করবে তাদের বিরুদ্ধেও সেই ভিসানীতি কার্যকর করা হবে।
আজকে বাংলাদেশের মানুষ তিন বেলা আহার যোগার করতে হিমশিম খাচ্ছে। আর বাংলাদেশের কিছু মানুষ অবৈধ ভাবে দেশের অর্থ পাচার করে অন্য দেশে জমা করছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। অবৈধ ভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে। ক্ষমতা চলে গেলেই যেন বিদেশে চলে যেতে পারে সে ব্যবস্থা করছে। তবে আমেরিকার ভিসানীতিতে যাদের নাম আসবে তারা যে দেশের টপলেভেলের দূর্নীতিবাজ সেটা প্রমান হয়ে যাবে। আর এই জন্যই বর্তমানে সবার আলোচনার বিষয় এখন আমেরিকার ভিসানীতি।
আমি ভাই সাধারন মানুষ। বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। আমার আত্বীয় স্বজনদের মাঝেও কেউ সরকারি চাকরিজিবী নেই,কোন নেতাও নেই। আমরা দুই বেলা দুমুঠো খাবার খেতে পারলেই খুশি। দেশে বা বিদেশে বাড়ি গাড়ি করার ইচ্ছা আমাদের নেই। যারা দূর্নীতি করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে,তারা যদি সেই অর্থ ব্যবহার করতে না পারে,তাদের টেনশন দেখলেই আমরা সাধারন মানুষ শান্তি পায়। এছাড়া আর কিছু নেই। কারন সেই পাচার করা অর্থের মধ্যে দেশের প্রত্যেকটা নাগরিকের ভাগ রয়েছে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি পৃথিবীর সবটুকু সোনার দেশ হলো বাংলাদেশ। কেন বলবে এই কথা আমাদের দেশে এক মুঠো মাটির উপরে একটা বীজ ফেলে দিলে গাছ তৈরি হয়ে যায়। যে দেশাল অর্থনৈতিকভাবে উন্নতির শীর্ষে থাকার দরকার সে দেশে আজ দুর্নীতির কারণে দেশের মধ্যে হাহাকার চলছে। কিছু লোভী পিপাসু লোক যারা দেশকে চুষে খাচ্ছে। এরপরে গরিব মানুষরা না খেয়ে মরছে। প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। আর তৈরি হচ্ছে কানাডায় বেগম বাড়ি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া আপনি গুরুত্ব পূর্ণ পয়েন্ট টা তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit