হ্যলো বন্ধুরা কি করছেন সবাই, অবশ্যই ভাবছেন আজকে কোন বিষয় নিয়ে পোষ্ট করবেন। আমিও আজকে অনেক্ষন চিন্তা ভাবনা করে একটি বিষয় ঠিক করলাম। বিষয়টি নিয়ে পোষ্ট লেখার কথা আমি অনেকদিন যাবৎ ভাবতেছি। কিন্তুু সময় করে লিখতে পারতেছি না। আজ সিদ্ধান্ত নিলাম লিখেই ফেলবো। আপনারা হেডলাইন দেখে অলরেডি বুঝে গেছেন কোন বিষয় নিয়ে আজকে পোষ্টি করবো। চলোন তাহলে বিস্তারিত পড়া যাক।
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সমস্ত দেশে ট্রেন হলো পরিবহনের সবচেয়ে নিরাপদ মোডগুলির মধ্যে একটি। বাংলাদেশের মানুষ ট্রেনে ভমন করতে অনেক ভালবাসে এবং স্বাছন্দবোধ করে। কয়েক ঘন্টা স্টেশনে বসে হলেও মানুষ ট্রেনে যাতায়ত করে। ইহার অবশ্য অনেক গুলো কারন রয়েছে। কারন গুলো হলো যথা..
০১. যানজটে পড়ার চিন্তা থাকে না।
০২. সময়ের অপচয় হয় না।
০৩. তুলনা মূলক এক্সিডেন্ট কম হয়।
০৪. ট্রেনের রাস্তা সমান হওয়ায় জার্নি করার সময় শরীরে কোথাও ব্যাথা অনুভব হয় না।
০৫. গাড়ির কালো ধোয়া দেখা লাগে না।
০৬. গাড়ির ভাড়া থেকে ট্রেনের ভাড়া তুলনা মূলক কম থাকে।
০৭. গাড়ি থেকে ভাড়া কম কিন্তুু আরাম বেশি।
০৮.ট্রেনের মধ্যে টয়লেট থাকে, যা গাড়িতে থাকে না।
০৯. ট্রেনে স্বাছন্দভাবে হাটাহাটি করা যায়।
১০. ট্রেনে খুব আরামে ঘুমানোর জন্য সুব্যবস্থা আছে ইত্যাদি।
বাংলাদেশের রেলওয়ের সব থেকে বড় একটি দুর্নীতিগস্থ দিক হলো টিকেট কালোবাজারি। ব্ল্যাকারার আগে টিকেট সংগ্রহ করে যাত্রার দিন তিন ডবল দামে সে টিকেট বিক্রয় করে। আর এগুলোর সাথে জড়িত থাকে কিছু অসাধু রেলওয়ে কর্মকতা। আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এ দুর্নীতিটা বেশি হয় । সাধারন মানুষ টিকেট সংগ্রহ করতে গেলে টিকেট পায় না। অথচ ব্ল্যাকারদের কাছে টিকেট পাওয়া যায়। ব্রাহ্মনবাড়িয়া থেকে সোভন চেয়ার টিকেটের মূল্য ১৪৫ টাকা আর ব্ল্যাকাররা দাম চায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। এখন বুঝেন আমরা কোন দেশে বসবাস করি।
বাংলাদেশের রেলওয়ের আরেকটি সমস্যা হলো সিডিউল মিসটেক। ৯৯.৯% ট্রেন সঠিক সময়ে যাত্রা করতে পারে না। আবার সঠিক সময়ে আসতেও পারে না। আমি শুনেছি এ সমস্যটা শুধু বাংলাদেশেই আছে। ট্রেনের জন্য বসে থাকতে থাকতে পা ব্যাথা হয়ে যায় কিন্তুু ট্রেন আর অসে না। কত দিন ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রেনের জন্য স্টেশনে বসে ছিলাম তার কোন হিসাব নেই।
বাংলাদেশের কোন ট্রেন সাধারনত খালি যায় না।বরং যত গুলো আসন থাকে তার থেকে বেশি মানুষ দাড়িয়ে যায়। আর সবাই টিকেট কেটেই যায়। প্রতিদিন শুধু ঢাকা থেকেই তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মানুষ যাতায়ত করে। তারপরও রেলওয়েতে সারাবছর না কি ভর্তুকি দেওয়া লাগে। হিসাবে ডাবল লাভ হওয়ার কথা অথচ তারা সারা বছর শুধু লোকসান দেখায়। কোন মাসে কোন বছর লাভ হয় না।
এখন মূল কথায় আসি । গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে একটি বিষয় খুব আলোচনা হচ্ছে। রেডিও, টিভি, ফেসবুক,টুইটার সহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছেলের খবর প্রকাশ করছে। ছেলেটির নাম হলো মহিউদ্দিন হাওলাদার রনি। ছেলেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
রনি গত ১৩ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে ঢাকা-রাজশাহী রুটের ট্রেনের টিকেট কাটার চেষ্টা করেন। কিন্তু মোবাইলে বিকাশ থেকে ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে তার পিন কোড ছাড়াই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিয়ে যায়। কিন্তু ট্রেনের কোনো আসন তাকে দেয়নি, এমনকি কেন টাকা নেওয়া হলো, তার কোনো ম্যাসেজও তাকে দেয়নি।
এই কারনে রনি গত ৭ জুলাই থেকে রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবিতে হাতে শিকল বাঁধা অবস্থায় কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান করছেন। প্রথমে সে একা আসলেও পরে তার সাথে তার বন্ধুরা যোগ দেয়। সে জানায় তাকে নাকি কয়েক বার কমলাপুর রেলস্টেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তারপরও সে রেলস্টেশনের বাহিরে অবস্থান নিয়ে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
রনি ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে লিখিত ভা্বে দুটি অভিযোগও করেন। অভিযোগের সত্যতার প্রমান পাওয়ায় এক শুনানিতে সহজ ডটকমকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। নুরুল হক নুরের মত রনিও বাংলাদেশের দুর্নীতি নিয়ে আওয়াজ তুলেছে। রনি যে দাবি গুলো প্রকাশ করেছে সে দাবি গুলোর সাথে বাংলাদেশের সব সাধারন জনগন এক মত পোষেন করেছে।
আশা করি রেল কর্তৃপক্ষ খুব তারাতারি রনির দাবি গুলো মেনে নিবে। আন্দোলন একজনই শুরু করে। আন্দোলনের ডাক একজনই দেয়। যেটা রনি দিয়েছে। নেতা সবাই হতে পারে না। নেতার গুন সাবার মাঝে থাকে না। তবে রনির মনে রাখতে হবে কারো প্ররোচনায় ভুল পথে যেন না হাটে। কতদিন আন্দোলন চালিয়ে যাবে কখন বন্ধ করতে হবে সেটা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মাহাত্বা গান্ধী বলেছিলেন, “যদি তর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলোরে”
আমাদের উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। যেখানেই অনিয়ম দেখবো সেখানেই আওয়াজ তুলবো। দেশটা আমাদের, আমাদেরকেই রক্ষ করতে হবে। সবাই সচেতন হলে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যাবে। আর দুর্নীতিবাজদের ভাল ভাবে ভাইরাল করতে হবে। তাদের সাথে সর্ম্পক বিছিন্ন করতে হবে।
বন্ধুরা আজ এখানেই সমাপ্ত করলাম। কেমন হলো আজকের পোষ্টি কমেন্ট করবেন অবশ্যই। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোষ্ট নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন, চোখ,কান খোলা রাখবেন।। আল্লাহ হাফেজ।
আপনার আজকের লেখাটি ভাল হয়েছে এবং টপিক নির্বাচনটিও বেশ সুন্দর লিখেছেন। বানান ভুলের দিকে একটু নজর দিবেন, বাকিটা ভালো ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit