হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। প্রতিদিনের কাজের অংশ হিসাবে আমি @joniprins চলে এসেছি নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটক রিভিউ সেয়ার করবো। এই নাটকটি আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। হাসির একটি নাটক। নীলয় আলমগীরের নাটক আমার কাছে একটু বেশিই প্রিয়। চলুন তাহলে আপনাদের সাথেও সেয়ার করা যাক।
নাম | বেশরম |
---|---|
রচনা,পরিচালনা | জিয়াউদ্দিন আলম। |
সম্পাদনা | হাবিবুর রহমান হাবিব। |
অভিনয়ে | নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি, সাবেরী আলম, রকি খান, শাহবাজ সানি, বাশরী অনন্যা, মুস্তাক মুকুল, টাইগার মামুন এবং আরো অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৪৫ মিনিট |
সংগীত | ইয়াসিন হোসেন নেরু |
মুক্তির তারিখ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ |
ধরন | পারিবারিক নাট্য |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- নিলয় আলমগীর-সফিক
- জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি-রানু
সফিক বড়লোকের ছেলে হলেও সে গরীব সেজে এক বড়লোকের আদরের দুলালীকে বিয়ে করেছে তাও আবার কাউকে না জানিয়ে । তাদের বিয়ের ঘটনাটা শুধু রানুর বাবা জানে। রানুর বাবা সব কিছু জেনেও রানুর মার কাছে না জানার বান করছে। বিয়েটা করিয়েছে মূলত রানুর বাবা। রানুর মা একজন অহংকারী মহিলা। সে তার মেয়ের জন্য একজন বিসিএস ক্যাডার পাত্র খুজতেছে। পাত্র ভাল মানুষ কিনা সেটা তার জানার বিষয় না। সে চাই বিসিএস ক্যাডার পাত্র। রানুর বাবা গোপনে বিয়েটা করিয়ে কিভাবে রানুর মায়ের সামনে হাজির হবে সব কিছু শিখিয়ে দিল। সফিক শশুড়ের প্লান অনুযায়ী তার মেয়েকে নিয়ে শশুড় বাড়িতে হাজির হলো।
সফিক সরাসরি শশুড় বাড়িতে প্রবেশ করে শশুর শাশুড়িকে সালাম করলো। রানুর মা মানে সফকের শাশুড়ি, সফিক কে,কোথায় থাকে,তার সাথে রানুর কি সম্পর্ক সব কিছু জানতে চাইলো। সফিক বললো যে সে গ্রামের ছেলে। বর্তমানে সে বেকার একটি ম্যাসে থাকে। কিছুক্ষন আগে সে তার মেয়ে রানুকে বিয়ে করেছে। এখন সে তাদের জামাই। একথা শুনে রানুর মায়ের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। রানুর মা রানুকে জিঙ্গেস করলো কোন আক্কলে এমন একটি বেআক্কল কাজ করলো। রানু বললো মা তুমি তো সবসময় আমার জন্য বিসিএস ক্যাডার পাত্র চেয়েছো। আর আমি চেয়েছি ভাল একজন মানুষ । সফিক একজন ভাল মানুষ তাই আমি তাকে বিয়ে করেছি।
রানুর মা রেগে গিয়ে তার মেয়েকে বাড়ির ভিতরে রেখে সফিককে বাড়ি থেকে বের করে দিল। সফিক বাড়ির বাহিরে গিয়ে ফুটপাটে বসে পড়লো। আর দেয়ালে লিখে দিলো আমাকে ফকির মিসকিন ভাবিয়েন না,আমি এ বাড়ির নতুন জামাই। বাড়ির দারোয়ান এই চিত্র দেখে রানুকে,রানুর বাবাকে ও তার মাকে ডেকে নিয়ে আসলো। রানু এসে তার হাসবেন্ডের সাথে ফুটপাতেই বসে গেল। আর এলাকাবাসি,রাস্তার মানুষদেরকে বলতেছে ছবি তুুলে বিডিও করে তাদেরকে ভাইরাল করে দিতে। রানুর মা দারোয়ানকে বললো সবাইকে লাঠি পেটা করে ভাগিয়ে দিতে। কিন্তুু দারোয়ান বললো ম্যাডাম এত মানুষকে আমি একা কিভাবে তারাবো। রানুর মা কোন উপায় না পেয়ে পুলিশকে ফোন দিতে যাবে এমন সময় রানুর বাবা রানুর মাকে বললো এখন পুলিশ ডাকলে জানা জানি হয়ে যাবে যে সফিক তোমার মেয়ের জামাই। তার থেকে ভাল হয় আমরা রাস্তায় কিছু না করে বাড়ির ভিতরে গিয়ে চিন্তা ভাবনা করে ব্যাপারটা সামাল দিবো। একথা বলে রানুর বাবা সবাইকে নিয়ে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেল।
তারপর রানুর মা রানুর বাবাকে নিয়ে আর দারোয়ানকে নিয়ে মিটিং ডাকলেন সফিক কে রানুর জীবন থেকে কিভাবে সরানো যায়। দারোয়ান তাদের বুদ্ধি দিলো যে তারা যদি অনুমাতি দেয় তাহলে সফিককে মেরে বাগানে পুতে দিবে। তারপর তার কবরে গোলাপের চারা লাগিয়ে দিবে। কাক পক্ষিও টের পাবে না। রানুর বাবা খুন খারাপিতে রাজি হলো না। সে রানুর মাকে অন্য কিছু চিন্তা করতে বলেলো।
সফিককে তার শাশুড়ি জামাই হিসাবে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত দারোয়ানের সাথে দারোয়ানের ঘরে থাকতে দিলো। দারোয়ান প্রথমে সফিকের সাথে খারাপ ব্যবহার করলেও কাজের মেয়ে টুম্পার সাথে দারোয়ানের সম্পর্কটা সফিক জেনে ফেলার পর দারোয়ান সফিকের সাথে ভাল ব্যবহার করেছে। এদিক দিয়ে শাশুড়ি বুদ্ধি করলো চুরির মামলা দিয়ে সফিককে বাড়ি থেকে বিদায় করবে। । সেজন্য শাশুড়ি দারোয়ানকে পাচঁ লাখ টাকা দিলো সফিকের ব্যাগে রেখে দিতে। কিন্তুু এই গোপন সংবাদ শশুড় সফিকে জানিয়ে দিল। সফিক সেই টাকা তার ব্যাগ থেকে সরিয়ে দারোয়ানের ব্যাগে রেখে দিলো। সকাল বেলা পুলিশ এসে দারোয়ানের ব্যাগে টাকা খুজে পেল। আর সাথে সাথে দারোয়ানকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। এ ঘটনা দেখে সফিকের শাশুড়ি আশ্চর্য হয়ে গেল। পুলিশ কাকে নেওয়ার কথা আর কাকে নিয়ে গেল।
টাকা চুুুরির বুদ্ধি যখন কাজে আসলো না তখন রানুর মা সফিককে ১০ লাখ টাকা দিয়ে রানুকে ডিভোর্স দিতে বললো। যদি ডিভোর্স না দেয় তাহলে সফিককে খুন করার হুমকি দেয়। এই বিষয় গুলো নিয়ে যখন রানু তার বাবা ও সফিক কথা বলতেছিলো হঠাৎ রানুর মা সেখানে হাজির হয়ে সব কথা শুনে ফেললো। তখন রানুর বাবা রানুর মাকে সব কিছু খুলে বললো।
রানু তার মাকে এটাও বললো যে তারা নিজে নিজে বিয়ে করে নি। তার বাবাই তাদের বিয়ে করিয়েছে। রানুর বাবা সফিকের আসল পরিচয় দেয়ার পর রানুর মা তার ভুল গুলো শিকার করে লজ্জিত হয়। তারপর সফিককে রানুর জামাই ও এই বাড়ির জামাই হিসাবে স্বীকৃতি দিলো।
মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য বিবিএস ক্যাডার বা টাকা পয়সাওলা পাত্র না খুজে একজন ভাল মানুষ খুজা উচিত। টাকা পয়সা শিক্ষা, চাকরি, মান সম্মান আজ আছে তো কাল নেই। খারাপ মানুষের সাথে সাত তলায়ও শান্তি পাওয়া যায় না। কিন্তুু ভাল একজন মানুষের সাথে গাছ তলায়ও জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়। নিজের মেয়েকে একজন ভাল মানুষের সাথেই বিয়ে দেওয়া উচিত হোক সে গরীব বা ধনী।
৮/১০
💖💖💖সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖
নাটকটি আমি দেখেছি। নিলয় আলমগীরের নাটকগুলো আসলেই সুন্দর। আমি হলেও রেটিং পাওয়ার আপনার মতই দিতাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে রিভিউটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু আপনি ঠিকই বলেছেন নিলয় আলমগীরের নাটকগুলো আসলেই সুন্দর। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর একটি নাটক যদি ও আমি সময় সল্পতার কারণে নাটকটি পুরো দেখতে গিয়ে ও দেখতে পারিনি, তবে আপনার রিভিউ দেখে আবার পুনরায় দেখার সাধ জাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া সময় করে দেখে ফেলবেন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit