কয়েকটি বড় গরুর ফটোগ্রাফি।।

হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই জানেন যে গতকাল 17 ই জুন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে পবিত্র ঈদুল আযহা পালন করা হয়েছে। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদ উপলক্ষে অনেক ভাবে আমরা আনন্দ করে থাকি। অন্যান্য আনন্দের মতো ঈদুল আযহার একটি আনন্দ হলো কোরবানির পশু কেনাবেচা করা। বড়দের সাথে হাটে গিয়ে গরু পছন্দ করা, তারপর গরু কিনে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাড়িতে আসা, গরু এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করা, সেগুলো উপভোগ করা, অন্যরকম একটি আনন্দ। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমার আব্বু ঈদুল আযহার জন্য গরু পালন করতেন। সবাই খুব শখ করে যথা সম্ভব পছন্দের গরু পালন করে থাকে। আমরা ছোট সময় বাবার সাথে গরু নিয়ে হাটে যেতাম। যখন স্কুল মাদ্রাসায় পড়তাম তখন গরুর হাটের দিন ছুটি নিয়ে নিতাম। কারণ গরু হাটে নেওয়ার সময় পেছনে পেছনে গরুর সাথে হাটে যাওয়ার আনন্দ অনুভূতি লিখে শেষ করা যাবে না।

আর যারা গরু কিনতে হাটে যায়, তাদের সাথেও ছোট ছেলে মেয়েরা গরুর হাটে যায়। গরু কিনার এক সপ্তাহ আগে থেকেই প্লান প্রোগ্রাম হয় কে কে বড়দের সাথে সাথে গরু কিনতে যাবে। হাটের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ঘোরাঘুরি করা, বড় বড় গরু দেখা, সেগুলোর ফটোগ্রাফি করা, সেটা ছিল এক অন্যরকম আনন্দ। তারপর পছন্দের গরু কিনে গরুর পেছন পেছন হেটে বাড়িতে আসা খুবই আনন্দের ছিল। শুধু তাই নয় গরু বাড়িতে আনার পর সেই গরুকে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে দেওয়া, খর, ভুসি, ভাতের মার, পানি খেতে দেওয়া খুব আনন্দের ছিল। আমরা গরু কিনে এনে জমিন থেকে ঘাস কেটে এনে গরুকে খাওয়াতাম, কাঁঠাল গাছের পাতা খাওয়াতাম, আম গাছের পাতা কেটে গরুর সামনে নিয়ে ধরতাম। এগুলো ছিল অন্যরকম একটি আনন্দ। আজকে বাজার থেকে কিনে আনা বড় বড় কয়েকটি গরুর ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি।

আমি নারায়ণগঞ্জে যে বাসায় ভাড়া থাকি, সে বাসার মালিক এই গরুটি কিনেছেন। এ গরুটির দাম হল দুই লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার টাকা। এই গরুটার কালার কিন্তু অনেক সুন্দর। এই ঈদে দেখা আমার সব থেকে সুন্দর একটি গরু হলো এটি। তারা পার্শ্ববর্তী হাট থেকে শনিবারে এই গরুটি কিনেছিল।

আপনারা এখানে আরেকটি বড় গরু দেখতে পাচ্ছেন, এই গরুটির সামনের দিকের অংশ কালো কালার, আর পেছনের দিকের অংশ হালকা সাদা। বন্ধুরা এই গরুটি কত টাকা দিয়ে কিনেছিল সেটা আমি সিওর বলতে পারতেছি না। তবে এই বছর গরুর যা দাম ছিল সে আনুপাতিক হারে এক লাখ চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজারের মতো হবে।

এখানে একটি কালো কালার গরু দেখতে পাচ্ছেন। এই গরুটাও মোটামুটি অনেক বড়। এই গরুটির মধ্যে একটি বিষয় লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন গরুর মাথার সামনের দিকে সম্পূর্ণ সাদা কালার। এক কালারের গরু খুব কমই দেখা যায়। এটার দাম প্রায় দেড় লাখ টাকার মত হবে।

এখনে আপনারা সম্পূর্ণ সাদা কালারের বিশাল বড় একটি গরু দেখতে পাচ্ছেন। এই গরুটার দাম আবার একটু বেশি। এটার দাম এক লক্ষ আশি হাজার টাকা। দুইটা গরুর ফটোগ্রাফি আমি রাতের বেলা নিয়েছিলাম। ঢাকা শহরে ঈদুল আযহার সময় রাস্তার পাশে এরকম বড় বড় অনেক গরু দেখা যায়। যদি আমি শনিবারের রাতের বেলা ৫-১০ মিনিট এলাকাটা ঘুরতাম, তাহলে আরো অনেক গুলো বড় বড় গরুর ছবি সংগ্রহ করতে পারতাম।

এখানে লাল এবং হালকা কালো কালারের একটি গরু দেখতে পাচ্ছেন। এই গরুটা ও কিন্তু অনেক সুন্দর। এই গরুর চটিটা অনেক বড় দেখলাম। অনেক গরু রয়েছে চটি এত বড় যে হেলে পড়ে যায়। তবে এই বছর এরকম গরু আমার চোখে পড়ে নাই। গরুর হাটে গেলে এমন গরু চোখে পড়ে।

বন্ধুরা আপনারা এখানেও খুব সুন্দর একটি গরু দেখতে পাচ্ছেন। এগরুটার কালার অনেক সুন্দর। এ গরুটা দাম ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। এবার যারা যারা আগে গরু কিনেছে তাদের গরু গুলোর দাম কিছুটা বেশ ছিল। এখন ছোটখাটো একটি গরুর দাম ও লাখ টাকার উপরে।

বন্ধুরা এখানে খুবই সুন্দর একটি গরু দেখতে পাচ্ছেন। এ গরুটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এই গরুটার দাম আমি শিউর দিয়ে বলতে পারতেছি না, তবে আনুমানিক তিন লাখ টাকার মত হবে। এগরু টার কালার টা যেমন সুন্দর তেমন বডি স্টাকচারও অনেক সুন্দর। যাইহোক এখানে যতগুলো গরুর ছবি আমি শেয়ার করেছি সবগুলো গরুই অনেক সুন্দর ছিল। গরুর মালিকরা খামারের মধ্যে গরু গুলো খুবই যত্ন সহকারে লালন পালন করে থাকে। তারপর যারা কিনে নিয়ে আসে তারাও খুবই আদর যত্ন করে থাকে।

বন্ধুরা আমার আজকের ব্লগটি এখানেই সমাপ্তি করলাম। আগামীকাল আবার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো, ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।