শিক্ষাই আলো, সুশিক্ষা জাতির মেরুদন্ড-
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আমার স্বপ্নের ইউনিভার্সিটি ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের কিছু ফটোগ্রাফি আর অনুভূতি শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের নিকট অনেক ভাল লাগবে।
আমি এসএসসিতে পড়ার সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানতে পারি। আমাদের বাংলা স্যার বাংলা বিষয় পড়ানোর সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আমাদের অবহিত করেন। বাংলা বইয়ের মধ্যে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আছে। তার জীবন কাহিনী বলতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টা উঠে আসে। স্যারের মুখে ঢাকা ইউনিভার্সিটির অনেক গল্প শুনেছি। সেইদিন থেকে আমিও ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সপ্ন দেখা শুরু করলাম। তারপর এসএসসি পাশ করলাম,এইচএসসি পরিক্ষা দিয়েই ঢাকা চলে আছি কোচিং করার জন্য। ফার্মগেইট ফোকাস কোচিং সেন্টারে কোচিং করি। সালটা হলো ২০১৫ সাল। ঐ বছরই সর্বশেষ সেকেন্ড টাইম পরিক্ষার্থীরা পরিক্ষা দিতে পেরেছিল। যায় ফলে ঐ বছর ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি স্টুডেন্ট পরিক্ষা দিয়েছিলো। আমিও পরিক্ষা দিয়েছিলাম ৪৩৩৪ তম সিরিয়াল নিয়ে ওয়েটিং লিষ্টে থাকি। সেকেন্ড টাইম পরিক্ষা দেওয়ার চান্স না থাকায় কেউ সীট ছাড়ে নাই। যার ফলে আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন,স্বপ্ন হয়েই রয়ে গেল। বাস্তবায়িত আর হয়নি।
কিছুদিন আগে আমার ভাগিনা বললো সে এখনো ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে যায়নি। তাই সে ঢাকা ইউনিভার্সিটি দেখতে চায়। গত মাসের একুশ তারিখ রোজ শুক্রবারে তাকে নিয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলাম। মানুষ ধীর্ঘদিন পরে তাদের সাবেক গার্লফ্রেন্ডকে দেখলে যেমন কষ্ট লাগে আমারও তেমন কষ্ট লেগেছিল। যায়হোক আবেগ দিয়ে জীবন চলে না। বাস্তব অনেক কঠিন। সেখানে ভর্তি হতে হলে অনেক কষ্ট করতে হয়। দিন রাত এক করে পড়াশোনা করতে হয়। আর কমপক্ষে দুই বছর আগে থেকেই প্রস্তুুতি শুরু করতে হয়। যায়হোক ঐদিন অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম। ধীরে ধীরে ফটোগ্রাফি গুলো বর্ণনা করতে যাচ্ছি।
প্রথমে আমরা ফিজিক্স ডিপার্টমেন্ট ঘুরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ঢাকা ইউনিভার্সিটি বর্তমানে ১০২ বছর চলতেছে। ছবির মধ্যে যে বেল্ডিংটি দেখা যাচ্ছে সেটাও ১০২ বছর ধরে এভাবে দাড়িয়ে আছে। এই জাগায় এই বেল্ডিংয়ে কত মানুষ আসলো আর গেলো কিন্তুু প্রতিষ্ঠান নিজ জাগায় এখনো কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে।
আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন ছিল শুক্রবার। আর ঐদিন ইউনিভার্সিটি বন্ধ থাকায় স্টুডেন্ট খুবই কম ছিল। যার ফলে রাস্তা ঘাট মানুষ শূন্য ছিল। পরিবশটা কিন্তুু দারুন ভাবে সাজানো ঘুছানো। দেখলেই মনটা ভাল হয়ে যায়। বাংলাদেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানই বিশাল জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
যদিও শুক্রবার তারপরও কিছু মানুষ সাজুগুজো করে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ঘুরতে এসেছে। বিকালের দিকে মানুষের সংখ্যাটা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। আমার ইচ্ছা ছিল বিকালের দিকে যাবো কিন্তুু সময় না থাকায় ঠিক দুপুর বেলা যেতে হয়েছে। আর তখন এত রোদ ছিল যে সূর্যের দিকে তাকাতে পারছিলাম না। এক রিকশাওলা মামা গাছের ছায়াঁয় বসে আছে। হয়তো কেউ উনাকে রিজার্ভ করে নিয়ে এসেছে। তারা ঘুরতেছে মামা তাদের অপেক্ষায় বসে আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস হয়তো সবাই জানেন। সে জন্য আমি বিস্তারিত না বলে মৌলিক কিছু তথ্য এখানে তুলে ধরছি। বঙ্গভঙ্গ রদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এর ফলে পূর্ব বাংলার মানুষ হতাশা প্রকাশ করে। অবশেষে অনেক জল্পনা কল্পনার পরে ১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকার রমনা এলাকায় ৬০০ একর জমির উপর ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সর্বপ্রথম ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে প্রতি বছর পনের হাজারের উপরে স্টুডেন্ট পাশ করে বের হয়।
বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করছি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে পেরেছি। আবার আগামীকাল দেখা হবে। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-১০ |
শিরোনাম | প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু সময়।। |
স্থান | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা,বাংলাদেশে। |
তারিখ | ২১-০৭-২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
ঢাকা ভার্সিটির সৌন্দর্য এমন যে যতবারই যাওয়া হোক না কেন, প্রতিবারেই নতুন লাগে! 😍 কার্জন হলের সামনের মাঠ, পুকুরপাড় সবগুলোই যেন শান্তির জায়গা। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমারো মন কেমন করে উঠলো। শুক্রবার বিকেল ছাড়া তো এখন আর সময় হয় না যাওয়ার মতোন, তবে শুক্রবার বিকেলে এত বেশি ভীড় থাকে যে তখন আবার বিরক্ত লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু ভার্সিটিটা যতই দেখে ততই প্রেমে পড়ি। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার এই পোস্ট করার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ইতিহাস জানা গেল ভাইয়া। আমিও দুই বছর প্রচুর পরিমাণে পড়াশোনা করেছিলাম এখানে ভর্তি হবার জন্য। শুক্রবারে আপনি এখানে গিয়েছেন বলে ভিড় কম ছিল। কয়েকদিন আগে আমিও এখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া শুক্রবারে বন্ধ থাকে। তাই মানুষ কম। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই। বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। কার্জন হলের সৌন্দর্যের অসাধারণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো মুহূর্ত গুলো অনুভূতি আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া কার্জন হলটাই সব থেকে বেশি পুরনো। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit