হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে ক্রিকেট খেলার একটি আলোচিত বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করবো। আশা করি মনযোগ সহকারে পড়লে বিষয়টা সুন্দর ভাবে বুঝতে পারবেন।
আপনারা সবাই জানেন যে ২০২৫ সালে এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আর সেখানে মাত্র আটটি দল খেলতে পারবে। এবারের আসর ২০২৩ বিশ্বকাপে যারা এক থেকে আট নাম্বারে থাকবে তারাই ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারবে। এছাড়া আর কোন দল সেখানে খেলতে পারবে না। এই আসরে বাংলাদেশের বাজে পার্ফমেন্সের কারনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারবে কিনা সেটা নিয়ে সন্ধেহ রয়েছে। তাই সাকিব বাহিনী মরনপণ চেষ্টা করছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা বাচিঁয়ে রাখতে।
আপনারা সবাই অবগত আছেন যে, গত ০৬ই নভেম্বর রোজ সোমবার বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ দল জয়লাভ করেছে। আমি এই বিষয়ে আপনাদের সাথে একটি ব্লগও শেয়ার করেছিলাম। ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলার মধ্যে লুকিয়ে আছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চাবি। তাই স্বভাবগত ভাবেই যে কোন দল চাইবে কমপক্ষে এক থেকে আট নাম্বারে থাকতে। শ্রীলঙ্কার এবং বাংলাদেশ দুই দেশের জন্যই ঐ দিনের খেলাটা সমান গুরুত্ব ছিল।
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার গত ম্যাচে একটি বিষয় নিয়ে খুবই আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। আর সেটা হলো টাইমড আউট। শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম টাইমড আউটের শিকার হয়। ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি এই নিয়মটি করে রেখেছেন। আর সেই নিয়ম ভেঙ্গে ফেলার কারনে অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুস আউট হন। বিষয়টি হলো ম্যাথুস যে হেলমেট নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন, সেটা তার কাছে পুরোপুরি নিরাপদ মনে হচ্ছিলো না। যে ফিতা দিয়ে হেলমেট আটকে রাখা হয়, সেই ফিতাটি বাঁধতে গিয়ে ছিঁড়ে বা খুলে গেছে। পরে তার জন্য আরেকটি হেলমেট আনা হয়। কিন্তু সেটি পড়েও তিনি স্বস্তিবোধ মনে করেন নি। যার ফলে তিন মিনিট অতিক্রম হওয়ার পরেও তিনি ব্যাট করার জন্য প্রস্তুত হতে পারেন নি। আইসিসির আইনের ৪০.১.১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, একজন ব্যাটসম্যানের আউট হয়ে যাওয়া বা অবসরে যাবার পরে যে ব্যাটসম্যান আসবেন, তাকে অথবা অন্য ব্যাটসম্যানকে ৩ মিনিটের মধ্যে বলের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। অন্যথায় যে ব্যাটসম্যান নামবেন, তাকে আউট হতে হবে।
অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুস উক্ত নিয়মটির ব্যাপারে উদাসিন থাকলেও সেটা নিয়ে সজাগ ছিলেন বাংলাদেশ ক্যাপটেন সাকিব আল হাসান। যার ফলে তিনি আম্পায়ের কাছে আবেদন করেন। বিচারকগণও বিষয়টা জানেন এবং অনেক যাচাই বাছাই করে সাকিবের আবেদেনের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুসকে আউট দিয়ে দেন। যার ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুস এবং সাকিব আল হাসান টাইমড আউট নিয়ে ইতিহাস হয়ে রইলেন। এখানে উল্লেখ্য যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি প্রথম টাইমড আউট হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে এর আগে ৬ বার টাইম আউট হয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। সুতরাং এটি একটি নরমাল বিষয়। এটা নিয়ে এত আলোচনা সমালোচনা করার কিছু নেই। যুদ্ধে জেতার জন্য মাঝে মাঝে বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে হয়।
এখানে অনেক ভাই বন্ধুরা সাকিবকে কটু কথা বলছেন, সাকিবের এই কাজটি করা ঠিক হয়নি,এটা না করলেও পারতো, এটা সেটা,ব্লা ব্লা ইত্যাদি। আমার কথা হলো আরে ভাই এই নিয়মে যদি আউট না হয় তাহলে এই নিয়ম রেখে লাভ কি...? আইসিসিকে বলেন এই নিয়ম পরিবর্তন করতে বা নিয়মটি বাতিল করে দিতে। নিয়ম থাকবে অথচ কার্যকর করলে সমালোচনা করবেন এটা কেমন ধরনের কথা। সাকিব তো আম্পায়রকে চাপ দেয়নি,জবরদস্তি করেনি বা আউট না দিলে তার নামে মামলা দেওয়ার হুমকিও দেয়নি। নিয়মে আছে যার ফলে সে আবেদন করেছে। এখানে আম্পাায়র আউট না দিলে তার কিছু করার ছিল না। এখন আউট দিয়েছে এক্ষেত্রেও তার কিছু করার নেই। শুধু শুধু সমারোচনা করে লাভ কি।
একবার চিন্তা করে দেখেন সাকিবের জাগায় আপনি হলে কি করতেন। সে একজন ক্যাপটেন। সারা দেশের দায়িত্ব তার উপরে। সে একজন যুদ্ধা,একজন কমন্ডার, সে সুযোগ বুঝেই বুদ্ধির ব্যবহার করেছে। আজকে যদি সে এই নিয়মের ব্যাপারে না জানতো, খেলা শেষ হওয়ার পরে অন্য কেউ সাকিবের দুষ দিয়ে নিয়মটা জানিয়ে দিতো, তখন তো অনেক মানুষ সাকিবের সমালোচনা করতেন,শুধু টাকার ধান্ধায় থাকে,ক্যাপটেন হয়ে কোন নিয়ম কানুন জানেনা, ইত্যাদি ইত্যাদি।
আজকে বাংলাদেশ দল একটু খারাপ খেলছে,দেশ হিসাবেও তেমন ধনী নয়। তাই বড় বড় উন্নত দেশের মানুষরা সাকিবের সমালোচনা করছে। অথচ আজকে যদি ইংলেন্ড,অস্ট্রেলিয়া,ইন্ডিয়া,সাউথ আফ্রিকার কোন ক্যাপটেন এই কাজটি করতো তখন সবাই বাহবা দিতো,তার নলেজের প্রশংসা করতো। ২০১৪ সালে ইংলেন্ড ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টোকে শ্রীলঙ্কার খেলোয়ার সচিত্র সেনানায়েকে মানকাডিং করেছিলেন, তখন তো অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুস সেটা প্রত্যাহার করেন নি। ইতিহাসকে ভুলে যেতে নেই। এক ইতিহাস আরেক ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকে। সবাইকে ধন্যবাদ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সব সময় শক্তি এবং ক্ষমতা দেখে সবকিছু জয় করা যায় না। মাঝে মাঝে বুদ্ধি ও কাজে লাগে ঠিক যেমন বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার ম্যাচটিতে সেই বুদ্ধি কাজে লাগিয়েছে। আর এতে করে ম্যাথিউস আউট। বাংলাদেশ খুব সহজেই জয়লাভ করে। তাই মানুষের উপস্থিত বুদ্ধি অনেক সময় কাজে লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া সাকিব বুদ্ধির কাজ করেছে। যেহেতো নিয়ম আছে সে নিয়মটা সাকিব কার্যকর করেছে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এবারের এই বিশ্বকাপে নতুন ধরনের একটা আউট দেখতে পেলাম। আসলে খেলায় জেতার জন্য সব সময় যে শক্তি দিয়ে জিততে হবে তা কিন্তু নয় বুদ্ধি দিয়েও অনেক কিছুই জয় লাভ করা যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া সাকিব যদি এই আউটটি না করতো তাহলে অনেকেই জানতো না টাইমড আউট হিসাবে কিছু আছে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit