হ্যালো বন্ধুরা,সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে অত্যান্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে একটি অপরাধ সম্পর্কে ব্লগ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের সবার সাপোর্ট পাবো।
গত কয়েকদিন যাবৎ পত্রপত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বামীকে আটকে বহিরাগত এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। আর সেই ধর্ষনটা হয়েছে বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এরিয়াতে। চিন্তা করেন বাংলাদেশের ছেলেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে কি শিক্ষা লাভ করে। আমাদের সোনার ছেলেদের কি সব নিউজ আমাদের শুনতে হয়। আবার তাদের বিচারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনা শুধু যে এটা তা নয়। আরো অনেক আছে। একজন স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে গিয়ে নিরাপদে ফিরে আসতে পারে না। চিন্তা করেন সেখানে আপনার আমার ছেলে মেয়ে বোন ফ্রেন্ডরা কতটুকু নিরাপদে আছে।
বিভিন্ন জায়গার তথ্য অনুযায়ী মূল ঘটনা হলো, ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়ি আশুলিয়ার জিরানী বাজার এলাকায়। তাঁদের নিজের বাসায় ভাড়া থাকতো মামুন নামের একটি ছেলে। এই মামুন আবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বাবিদ্যালয়ের ছাত্র মোস্তাফিজের সাথে সম্পর্ক আছে। প্রায় সময় মামুন মোস্তাফিজের সাথে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে থাকেন। উল্লেখ যোগ্য বিষয় হলো, মামুন ছেলেটি কিন্তুু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বাবিদ্যালয়ের কোন স্টুডেন্ট না। সেখানে বহিরাগত হয়েও সে মোস্তাফিজের সাথে সম্পর্ক থাকার কারনে বিশ্বাবিদ্যালয়ের হলে থাকতে পারে। আর অরিজিনাল ছাত্ররা বিভিন্ন জাগায় ভাড়া থেকে পড়াশোনা করে। এই হলো স্মার্ট বাংলাদেশের ডিজিটাল নিয়ম।
গত শনিবারে ভাড়িটিয়া মামুন ভুক্তভোগীর স্বামীকে নিয়ে সন্ধার পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বাবিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঘুরতে যায়। সেখানে যাওয়ার পরে ঐ মহিলার স্বামী মামুনকে বলে সে তার বউয়ের জন্য কিছু জিনিষ পত্র কেনাকাটা করবে। মামুন বলে তার এক পরিচিত দোকান আছে,সেই দোকানে তাকে নিয়ে যাবে। তার আগে মামুন ভুক্তভোগীর স্বামীকে বলে সে যেন বাসাতে ফোন করে তার বউকে নিয়ে আসে। আর আসার সময় মামুনের রুম থেকে কিছু কাপড় নিয়ে আসে। কারন সে কিছুদিন ক্যাম্পাসে থাকবে। ভুক্তভোগীর স্বামী মামুনের কথা অনুযায়ী তার বউকে ফোন করে সব কিছু বলে।
ঐ মহিলা ক্যাম্পাসে আসার আগেই মামুন আর মোস্তাফিজ দুইজন মিলে ঐ মহিলার স্বামীকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বাবিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকিয়ে তার মোবাইল সহ সব কিছু ছিনিয়ে নেয়। তারপর ক্যাম্পাসে ঐ মহিলা আসলে তারা বলে আপনার স্বামী জঙ্গলের এই রাস্তা দিয়ে আসবে। এই কথা বলে জঙ্গলে নিয়ে মহিলাকে মামুন আর মুস্তাফিজ সহ আরো চারজন মিলে সর্বমোট ছয়জন তাকে র্ধষণ করে। ঘটনার পরে ভুক্তভোগী নারী সাভার থানায় মামলা করে। এখন পর্যন্ত পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করলেও মামুন সহ একজন পলাতক আছে। অভিযুক্ত সবাই সরকারি দলের সমর্থক ও ছাত্রলীগের কর্মী।
সিলেট এমসি কলেজের ঘটনা আশা করি সবারই মনে আছে। ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেট এমসি কলেজের ক্যাম্পাসে ঘুরতে যায় এক নারী ও তার স্বামী। সেই সময় কলেজ বন্ধ থাকলেও ক্যাম্পাসে ছিল ছাত্রলীগের কিছু কর্মী সমর্থক। তারা ঐ মহিলার স্বামীকে আটক রেখে মারধর করে ঐ মহিলাকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় তিন বছর আগে ছাত্রলীগের আট নেতা-কর্মী গ্রেফতার হলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোন শাস্তি বা বিচার হয়নি।
দেশে এমন হাজারো ঘটনা ঘটছে। লিখতে গেলে সারাদিন লেগে যাবে। তবে উল্লেখ যোগ্যহারে তেমন কোন বিচার হচ্ছে না। যার ফলে এমন অপরাধ বেরেই চলছে। এখন পর্যন্ত আলোচিত কুমিল্লার তনু হত্যা,ফেনীর নুসরাত হত্যার বিচারের কোন চিত্র দেখতে পায়নি। রায় হলেও রায় কার্যকর হয়নি। প্রতিদিন পত্রিকার কোথাও না কোথাও ধর্ষণের খবর পাওয়া যায়। অথচ ধর্ষনের বিচার হয়েছে এমন খবর পায়নি। সরকার ও প্রভাবশলীদের মদদে আইনের ফাঁক ফুকর দিয়ে অপারাধীরা বের হয়ে যায়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন ছাত্রছাত্রীরা ধর্ষনের বিচার দাবিতে মিশিল করছে। আমার কথা হলো ধর্ষনের বিচারের জন্য তারা মিশিল করবে কেন। প্রশাসন কি করে। প্রশাসন উল্টো আন্দোলন কারীদের উপর চড়াও হয়। তারা যেন একত্রিত হতে না পারে,প্রশাসন সেই চেষ্টা করে। এই যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে,তাদের কি আদো বিচার হবে কি না,সন্দেহ আছে। কারন সবাই সরকারি সমর্থক লোক। আমি আশা করি সরকার যেকোন একটি আলোচিত অপরাধের বিচার করে হলেও সরকার তার সচ্চতার প্রমান দিবে। আর প্রশাসনের প্রতি আশা রাখি আপনারা ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে না থাকেন,কমপক্ষে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেন না। আশা করি ছাত্রছাত্রীরা ন্যায় বিচার নিয়েই ক্লাশে ফিরবে। সবাইকে ধন্যবাদ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই ঘটনাটি দুঃখজনক একটি ঘটনা।আমি পুরো ঘটনাটি নিউজ থেকে শুনেছি।যিনি ভুক্তভুগী তার হাজবেন্ড কে আটকে রাখা হয়েছিল।যারা এই অন্যায়ের সাথে যুক্ত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।আর ভবিষ্যতে যাতে কেউ এধরনের অপকর্ম করার সাহস না পায়।আশ্চর্যের বিষয় ওরা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ গুলোতে পড়াশুনা করে কিন্তু ওদের মানসিকতা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একজন অসহায় মানুষের উপর কিভাবে যে জানোয়ারেরা অত্যাচার করে। আমার এ সমস্ত ঘটনা শুনলে মাথায় রক্ত উঠে পড়ে, মনে হয় যদি কাছে পেতাম সাথে সাথে জবাই করে দিতাম। কারণ ওই সমস্ত মানুষগুলো ছাড়া পেয়ে গেলে আবারো ক্ষতি করবে আর ওদের দেখাদেখি অন্যরাও খারাপ পথে লিপ্ত হবে। দোয়া করি যেন অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় আর বিশেষ করে ফাঁসি হলে তো আলহামদুলিল্লাহ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই ঘটনাটি আমিও ফেসবুকে দেখেছিলাম। আসলে একজন অসহায় মানুষের উপর এরকম নির্যাতন যা খুবই দুঃখজনক। স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীর উপর এরকম অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। তাদের খুব শীঘ্রই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। অথচ তারাই বড় বড় ভার্সিটিগুলোতে পড়ালেখা করছে। এদের চেয়ে নিকৃষ্ট আর কেউ হতে পারে না। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কয়েকদিন যাবত ফেসবুকে এই বিষয়টা নিয়ে অনেক লেখালেখি হচ্ছে। আসলে অনেক সময় আমরা শিক্ষিত হলেও আমাদের মনুষত্ব শিক্ষিত হয় না। জ্ঞানের অভাব থেকেই যায়। এই ঘটনাটি সত্যিই অনেক হৃদয়বিদারক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা ভাইয়া আসলে এই ধরনের ঘটনা গুলো আমাদের বাংলাদেশে অহরহ ।কয়েকদিন পর পর ঘটে যাচ্ছে। কিন্তু কোন বিচার হচ্ছে না। আর এ ঘটনাগুলোর শিকার হচ্ছে সাধারণ নিরীহ মানুষগুলো। আর তাদের না আছে কোন টাকার জোর, আর না আছে কোন মামার জোর। আমার মনে হয় যদি কোন বিচারই না হয় তাহলে এই বিষয় গুলো কেন তুলে ধরা হয়। প্রতিদিন নিউজে দিলেই তো হয় বাংলাদেশ অনেক শান্তিতে আছে।বাংলাদেশে কোন অরাজাকতা কোনো দুর্ঘটনা বা কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে না। বাংলাদেশের মানুষ বাস করে অনেক নিরাপদে। খুবই সুন্দর একটি বিষয় এবং তার ভিতরের কথাগুলো খুব সুন্দর করে তুলে ধরে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কিছুদিন পরপর এমন কিছু ঘটনা ভাইরাল হয় সত্যি লজ্জা জনক ব্যাপার। বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ভাইরাল হয় আমাদের বাংলাদেশ থেকে। এত অসামাজিক কাজ এখনো থেকে গেছে দেশের মধ্যে। দেশ যত ডিজিটাল পদ্ধতি হোক না কেন মানুষের মন মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হচ্ছেনা। একজন বিবাহিত মেয়েকে ধর্ষণ করা মানে খুব লজ্জাজনক। যেহেতু তার স্বামী ছিল তাকে আটকে রেখে এ কাজটি করা হলো। সত্যি এর জন্য উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা হওয়া দরকার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit