অবশেষে টেনশন মুক্ত হলাম।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার বাকি অংশটা শেয়ার করবো।

বন্ধুরা আমি গত কালকে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম যে আমার ছোট বোনকে নিয়ে আমি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তথা পিজি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আমার বোনের গলার মধ্যে থাইরয়েডের প্রবলেম ছিল। গতকালকে পিজিতে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। ডাক্তার আমার বোনের অবস্থা দেখে পাঁচটি টেস্ট দিয়ে ছিল। চারটি টেস্ট গতকালকেই করেছিলাম, গলার আলট্রাসনোগ্রাফিটা বাকি ছিল। আর চারটি টেস্টের রিপোর্ট ও বাকি ছিল।

আজকে সকালবেলা আবার পিজি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। প্রথমে আমরা গলার আলট্রাসনোগ্রাফির জন্য টিকিট কেটে সিরিয়ালে দাঁড়ালাম। সেখানে খুব সীমিত সংখ্যক আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। সাড়ে নয়টার দিকে আমার বোনের গলার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। তারপরে রিপোর্টের জন্য বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। আল্ট্রাসনোগ্রাফির ভবনটা সবার থেকে আলাদা আউটডোরে রয়েছে, আমার বোনকে সেখানে বসিয়ে আমি গেলাম গতকালকের ব্লাড টেস্টের রিপোর্টগুলো আনতে।

সেটা আবার ডেন্টাল অনুষদ ভবনে, সেখানে গিয়ে আবার সিরিয়ালে দাঁড়ালাম। মানে যেখানে যাওয়া হয় সেখানেই সিরিয়াল। প্রচুর মানুষ, একজন রোগীর সাথে কমপক্ষে দুই থেকে তিনজন মানুষ থাকে। যেখানে ১০০ রোগী সেখানে ৩০০ জন মানুষ। যাইহোক ডেন্টাল অনুষদে গিয়ে রিপোর্ট নিয়ে আবার আল্ট্রাসনোগ্রাফির ভবনে গেলাম। সেখানে তারা বলতেছে আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট দিবে দেড়টার পরে। অথচ আজকে বৃহস্পতিবার হওয়ার কারণে হয়তো একটা পর্যন্ত ডাক্তার থাকবে। দেড়টার সময় রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তার দেখানো অসম্ভব। সেজন্য আমি আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টটি একটু তারাতারি দেওয়ার জন্য রিকুয়েস্ট করলাম।

অবশেষে সাড়ে এগারোটার সময় আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টটি হাতে পেলাম। সেখান থেকে রিপোর্ট নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি করে ৫০৯ নম্বর রুমে ডাক্তার দেখাতে গেলাম। সেখানে বিশাল বড় সিরিয়াল ছিল। কিছু কৌশল অবলম্বন করে একটু আগে দেখানোর চেষ্টা করলাম। তারপর সাড়ে বারোটার দিকে রিপোর্ট গুলো ডাক্তারকে দেখালাম। ডাক্তার থাইরয়েডের একটি ওষুধ লিখে নাক কান গলা বিভাগে রেফার করলেন।

সেখানে আবার সিরিয়াল ধরে দাঁড়িয়ে রইলাম। অনেক ঝামেলার পরে অনেকক্ষণ দাঁড়ানোর পরে অবশেষে আমার বোনোর সিরিয়াল আসলো। সেখানে ডাক্তার বেশ কিছু ওষুধ লিখে দিলেন। গলার মধ্যে থাইরয়েডের কোন প্রবলেম ছিল না, কোন কারনে কোন ইনফেকশন হয়েছে। সেটার জন্য ওষুধে লিখে দিলেন। সবগুলো রিপোর্ট নরমাল এসেছে। সেজন্য কিছুটা টেনশন ফ্রি হলাম।

সব কাজ শেষ করে আমরা দুপুর একটার দিকে হসপিটাল থেকে বের হলাম। হসপিটালে সামনে থেকে মেট্রোরেলে চড়ে মতিঝিল আসলাম। সেখান থেকে বাসে বাসায় আসলাম। আজকে রাস্তায় তেমন যানজটের সমস্যা হয়নি, যার ফলে একটু তাড়াতাড়ি চলে আসলাম।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।