বাংলাদেশের জাতীয় বন সুন্দরবন ভ্রমনের অভিজ্ঞতা [১০% @shy-fox ]

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)
আসালামুআলাইকুম
আমি @joniprins বাংলাদেশ থেকে।
আজ সোমবার ২৩শে মে,২০২২ খ্রিস্টাব্দ,৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ,২১শে শাওয়াল, ১৪৪৩ হিজরি, গ্রীষ্মকাল।

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি কেমন আছেন সবাই,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি আলহামদুল্লিাহ। আমার বাংলা ব্লগের ফাউন্ডার,মডারেটর ও সমস্ত সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের পোষ্ট শুরু করলাম। আমি আজকে আপনাদের নিকট বাংলাদেশের জাতীয় বন সুন্দরবন ভ্রমনের অভিজ্ঞতা সেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।

1653206782617.jpg

ফটোগ্রাফি নাম্বার-০১

1653211824741.jpg

Location

আমি আর আমার এক ফ্রেন্ড দুইজন মিলে কোর্টচাদপুরের উদ্যেশ্যে বেনাপোল এক্সপ্রেসে চড়ে রওয়ানা দিলাম। যশোরের উদ্যেশ্যে বেনাপোল এক্সপ্রেস ছাড়ে ১১.৩০ মিনিটে কিন্তুু আমাদের কপাল খারাপ তাই সেই ট্রেন লেইট করে ছাড়ছে রাত ১টার সময়। টিকেট অগ্রিম কাটা ছিল তাই সিট পেতে কোন সমস্যা হয়নি। অন্যদিনের তুলনায় ট্রেনটা খুব ধীর গতিতে চলছিল। শহর-গ্রাম মাঠ পেরিয়ে ঝক ঝক ঝক করে ট্রেনটি চলতে লাগলো।

ফটোগ্রাফি নাম্বার-০২

1653213577870.jpg

Location

আনুমানিক সকাল ৫টার সময় ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে বিরতি নেয়। তখন আমরা ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে চা পান করলাম। তারপর চুয়াডাঙ্গা লেখাটা খুদাই করা নেইমপ্লেইটের সামনে থেকে কয়েকটা পিক নিলাম। সেগুলোর মধ্য থেকে একটি পিক সেয়ার করলাম।

আমরা সকাল ৯টার সময় ঝিনাইদহ কোর্টচাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌছলাম। সেখান থেকে আমার ফ্রেন্ডের বাসায় যায়। তার বাসায় দিনে এবং রাতে বিশ্রাম নিয়ে পরদিন সকাল বেলা বাসে চড়ে যশোর পেরিয়ে খুলনা পৌছলাম সকাল ১১ টার সময়। খুলনা স্টেশনে হালকা নাস্তা করে মংলা সমুদ্র বন্দরের উদ্যেশ্যে বাসে চড়ে বসলাম। মংলা সমুদ্র বন্দর বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত।

আমাদের বাসটি খানজাহান আলী সেতু পেড়িয়ে বাগেরহাটের ভিতর দিয়ে মংলার উদ্যেশ্যে চলতে লাগলো। রাস্তার দুই দিকে অনেক বড় বড় চিংড়ি মাছের ঘের দেখতে পেলাম। চিংড়ির ঘের গুলি মুলত লবণাক্ত হয় তাই এতে প্রধান চিংড়ি হিসাবে বাগদা চিংড়ি,গলদা চিংড়ি চাষ করা হয়। এছাড়াও দেশি বিদেশি মাছও চাষ করে। তারা চিংড়ি মাছের ঘেরের চার পাশে শাকসবজিও চাষ করে। দুপুর ১টার সময় আমাদের বাসটি মংলা সমুদ্র বন্দরে পৌছলো।

ফটোগ্রাফি নাম্বার-০৩

1653215628740.jpg

Location

মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ছোট টলারে করে সুন্দরবনে যেতে হয়। আমরা যখর বন্দরে পৌছলাম তখন অনেক টলারের মাঝি আমাদের কাছে এসে বলতে লাগলো যে তারা সুন্দরবনে আমাদেরকে নিয়ে যাবে এবং রিটান নিয়ে আসবে অর্থাৎ রিজাভ যাবে। আর রিজাবের সম্পূর্ন টাকা আমাদের দুইজনকেই পরিশোধ করতে হবে। তখন দেখলাম একজন মধ্য বয়সের লোক সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য টলার ভাড়া করতেছে। আমরা দুইজন উনার দিকে গেলাম, যাওয়ার পর তিনি আমাদের কে বললেন তার সাথে যেতে এবং যতজন যাবে সবাই সমান ভাড়া দিবে। আমারা উনার প্রস্তাব টা গ্রহন করলাম এবং উনার সাথে টলারে যাওয়ার জন্য রাজি হলাম।

কিন্তুু টলারের মাঝিরা আমাদের সবাইকে এক সাথে এক টলারে নিবে না। সবাইকে একসাথে নিলে আমাদের সবার টাকা পাবে একজন মাঝি আর আমাদের প্রত্যেককে দিতে হবে তিন থেকে চারশত টাকা করে। আর দুইজন চারজন করে নিলে আমাদের প্রত্যেককে দিতে হবে এক থেকে দেড় হাজার টাকা করে। মানে টুরিষ্টদের কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়ার ধান্দা। তখন মধ্য বয়সের আংকেল মাঝিদের সাথে চিৎকার চেচামেচি শুরু করলেন। তখন একজন মাঝি আংকেলকে থামিয়ে বললেন ঠিক আছে সবাই এক সাথেই আসেন। আমরা ১২ জন এক সাথে এক টলারে উঠলাম। আমরা ১টার সময় রওয়ানা দিলাম সুন্দরবন ঘুরে পাচঁটার সময় ফিরে আসবো।

ফটোগ্রাফি নাম্বার-০৪

1653206687618.jpg

Location

সুন্দরবন পরিদর্শন করার কয়েকটা স্পট আছে । তার মাঝে কয়েকটা স্পট হলো বাগেরহাট জেলার আওতাধীন আর কয়েকটা হলো সাতক্ষীরা জেলার আওতাধীন। আমরা যে স্পটে প্রবেশ করলাম সেটা হলো করমজল চাদঁপাই রেঞ্জ পূর্ব সুন্দনবন। যেটা বাগের হাট জেলার আওতাধীন। মংলা বন্দর থেকে এক ঘন্টার মত সময় লাগে করমজল স্পোর্টে যেতে।

ফটোগ্রাফি নাম্বার-০৫

1653206782395.jpg

Location

করমজল স্পোর্টে নেমে এক দুই মিনিট ভিতরে প্রবেশ করলেই দেখা যায় হরিণ প্রজনন কেন্দ্র, কুমির প্রজনন কেন্দ্র। ঘাস অথবা গাছের পাতা হাত দিয়ে ধরলেই হরিণ ‍গুলো কাছে চলে আসে। সেখানে পাচঁ টাকা ও দশ টাকার ঘাস বিক্রয় করা হয়। হরিণ গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়।

ফটোগ্রাফি নাম্বার-০৬

1653209141458.jpg

Location

হরিন প্রজনন কেন্দ্রের পাশে একটি বড় বেনারে লেখা ছিল বাঘের খাবারের ৮০ শতাংশ আসে হরিন থেকে। বাঘ সংরক্ষনে সহায়তা করুন হরিনের মাংসকে না বলুন

ফটোগ্রাফি নাম্বার-০৭

1653206687854.jpg

Location

জোয়ারের সময় পর্যটকরা যেন বনের ভিতরের অংশ দেখতে সমস্যা না হয় এবং সাপ বিচ্ছু যেন পর্যটকদের কোন ক্ষতি করতে না পারে তার জন্য সরকারি ভাবে ব্রিজের মত রাস্তা করা হয়েছে। এই রাস্তা গুলোর মাঝে বানর বসে থাকে। তবে বানর পর্যটকদের কোন ক্ষতি করে না। এই রাস্তা গুলো দিয়ে হেটে হেটে বন পরিদর্শন করতে অনেক ভাল লাগে।

ফটোগ্রাফি নাম্বার-০৮

1653206901617.jpg

Location

সুন্দর বনের পাশে কিছু উপজাতি থাকে তারা সুন্দর বনের অনেক গাছ কেটে নিয়ে যায়। দাড়িয়ে দাড়িয়ে সেগুলো দেখছিলাম আর চিন্তা করছিলাম কিভাবে তারা বনের গাছ কেটে বনকে উজার করে ফেলতেছে। দেখার মত কেউ নেই। যদি সুন্দর বন রক্ষা কারী বাহিনী সতর্ক না হয় তাহলে সুন্দর বন ধংস হতে বেশি সময় লাগবে না। এই সুন্দর বন বাংলাদেশের জন্য আশির্বাদ।আমাদের সবার দায়িত্ব হলো সে আশির্বাদকে রক্ষ করা ।

ফটোগ্রাফি নাম্বার-০৯

1653206687874.jpg

Location

সুন্দরবনের মাঝ খানে একটি টাওয়ার আছে। এই টাওয়ারে উঠলে বনের উপরের অংশ দেখা যায়। আমরা টাওয়ার উপরের অংশে উঠতে পারি নাই। কারন টাওয়ারের তৃতীয় তলায় চার পাচঁটা মধুর বাসা ছিল। মধু পোকা গুলোর কামড়ের ভয়ে আমরা বেশি উপরে উঠতে পারি নাই।

ফটোগ্রাফি নাম্বার-১০

1653206901571.jpg

Location

আসার সময় খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনে ঢাকায় আসি। খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে দুইজন বিদেশি পর্যটক দেখেছিলাম । তাদেরকে ঢাকা আসতে সাহায্য করেছিলাম। সম্ভবত তারা চীনের পর্যটক ছিল। খান জাহান আলীর মাজার পরিদর্শন করতে গিয়েছিল।

ফোনের বিবরণ
ডিভাইসমোবাইল
ক্যামেরারেডমি নোট-৬ প্রো
ক্যাপচার@joniprins
ধরনসুন্দরবন ভ্রমনের অভিজ্ঞতা
স্থানসুন্দরবন, মংলা,বাগেরহাট,বাংলাদেশ

বন্ধুরা সবার প্রতি আবারও কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা জানিয়ে এখানেই আমার অগুছালো পোষ্টির ইতি টানলাম। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভাল লাগবে। আর এটাও আশা রাখি যে ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

qjrE4yyfw5pEPvDbJDzhdNXM7mjt1tbr2kM3X28F6SraZjkUU94jHvij1iDpSpYUxXLAfXr1ovFRuXRbXmkSRA2VJuhrrvUVNq1Y22vEEtUwAGawcENEyhFk.png

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt3FXCCx9xHQ3EJGUNJZfT98esxh6zgoeDzHTCw1cFeaZYqtRTj2ExoZTSPNen4XQBkUckMWGcD1xJkAFpZk.png

সবাইকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সুন্দরবন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো তাছাড়াও সেখানকার দৃশ্যপট দেখে অনেক ভালো লাগলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন। আশা করি সব সময় পাশে পাবো।

সুন্দরবন ভ্রমনের চিত্রগুলো অনেক ভালো ছিল সেই সাথে আপনার অভিজ্ঞতার কথা বেশ দারুন ভাবে প্রকাশ করেছেন। তবে আপনার ঘুড়ে বেড়ানো দেখে আমার মনে মধ্যে এই সাধ জাগল। অনেক সুন্দর এবং ভালো একটি ভ্রমন ছিল। শুভেচ্ছা

জী ভাইয়া অনেক সুন্দর জায়গা,সুযোগ পেলে ঘুরে আসবেন। আর বাঘ থেকে সাবধান ভাইয়া, যদিও আমরা বাঘ দেখি নাই....হা হা হা .....ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনার বন্ধু সহ সুন্দরবনে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। মাঝি দের ব্যাপার টা খারাপ লাগলো। ওরা সবাই সিন্ডিকেট করে বসে থাকে যাতে মানুষ এর পকেট কাটতে পারে। সুন্দরবন এ বাঘ দেখতে পেরেছিলেন কি?

জী ভাইয়া যদি কখনো সুন্দরবনে যান তাহলে মাঝিদের ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন। আর আমরা বাঘ দেখিনাই ভাই। আপনাদের ভাগ্য ভাল থাকলে দেখতেও পারেন। আশা করি সবসময় আপনাদের কে পাশে পাবো।ধন্যবাদ ভাইয়া।

আমার সুন্দরবন যাওয়ার ইচ্ছা আছে। পদ্মা সেতু হয়ে গেলে একদিন সবাই মিলে যাব ভেবে রেখেছি। আপনি খুব সুন্দর ভাই আপনার সুন্দরবন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সেই সাথে পুরো দিন উপভোগ করেছেন এবং অ্যাডভেঞ্চার সময় কাটিয়েছেন। এত সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

সুন্দরবন আমাদের জাতীয় বন, সবাই কমপক্ষে একবার দেখা দরকার। আপনি যাবেন শুনে ভাল লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল। ধন্যবাদ ভাইয়া।

ওয়াও সুন্দরবন ভ্রমণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগতেছে। সুন্দরবন অনেক অসাধারণ একটি জায়গা। আমারও ইচ্ছে রয়েছে সুন্দরবন ঘুরতে যাব। অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এমনকি আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে। এইরকম সুন্দর একটি মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

জী আপু অবশ্যই যাবেন,অনেক সুন্দর জায়গা। আমরা সর্ট টাইমে গিয়েছিলাম। আপনারা অবশ্যেই চেষ্টা করবেন সময় নিয়ে যেতে। কমন্টে করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি আমার কলেজ লাইফে একবার সুন্দরবন ভ্রমণে গিয়েছিলাম। আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পড়ে আমার সেই ভ্রমণের কথা মনে পড়ে গেলো। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনাকে অনেক দূর থেকে আসতে হয়েছে সুন্দরবনে। এতোদুর থেকে কষ্ট করে এসে অল্প সময়ে সুন্দরবন ঘুরে খুব একটা মজা নেই। আপনি চেষ্টা করবেন জাহাজে বা লঞ্চে করে সুন্দরবনের ভেতর একটা ট্যুর হয়। সেই ট্যুরে যেতে। সেখানে দু-তিনদিন সুন্দরবনের বিভিন্ন স্পটগুলোতে ঘুরেফিরে দেখানো হয়। এই ট্যুরে গেলে সুন্দরবনটাকে অনেক ভালভাবে দেখা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।

জী ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন আমরা শর্ট টাইমে গিয়েছিলাম। এত ভাল লাগতেছিল আসতেই মন চাচ্ছিল না। আর জাহাজে বা লঞ্চে করে সুন্দরবনের ভেতর যে ট্যুর হয় সেটার নিউস টা কিভাবে পাবো ...জানালে খুশি হবো। মূল্যবান সময় খরচ করে খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন তার জন্য আমার অন্তস্থল থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার সুন্দরবনের ভ্রমণের অভিঙ্গতা দেখে বা পড়ে আমার আমার সুন্দরবনের ভ্রমণের কথা মনে পড়ে গেল।আমি নিজে ও তিন তিনবার ভ্রমণ করেছিলাম।জাষ্ট অসাধারণ ছিলো পুরো ভ্রমণটি।বনের ভিতরে বানরের দৌঁড়াদড়ি এবং টাওয়ারের উপর থেকে পাখির কুঞ্চন আহ্ কি যে ভালো লাগে বলা খুবই মুশকিল।আপনার ভ্রমণটি ছিলো জাষ্ট অসাধারণ। যাইহোক, আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

জী ভাইয়া খুব মজার একটি সময় পার করেছিলাম। আপনিও সুন্দরবনে গিয়েছিলেন শুনে ভাল লাগলো। কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

সুন্দরবন যাওয়ার খুব ইচ্ছা বহুদিন ধরে। মনের ভিতর ইচ্ছাটা পূষণ করে রেখেছি। আজকে আপনার অভিজ্ঞতা ও ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ইচ্ছেটা আরো বেশি জাগ্রত হয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে খুব শীঘ্রই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেতে পারি।

ভাইয়া মনের ইচ্ছাটা পূরণ করার জন্য হঠাৎ করে একদিন চলে যাবেন। অনেক সুন্দর জায়গা,খুব ভাল লাগবে। আর আমরা আপনার ফটোগ্রাফির অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন।

জি ভাই কয়েকবার প্ল্যান বৃথা হয়েছে, যাবো যাবো করে যেতে পারেনি। কিন্তু সামনের বৃথা হবে না। ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।

আপনার সুন্দরবন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন খুবই ভালো লাগছে ভাই ।কখনো সুন্দরবন ঘুরতে যাওয়া হয়নি তবে আপনার অভিজ্ঞতা গুলো জেনে খুব ভালো লাগছে। আর আপনি দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন খুব সুন্দর ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো তবে আশা আছে যে সুন্দরবনের একদিন ঘুরতে যাব

জী ভাইয়া অবশ্যই একদিন ঘুরে আসবেন। অনেক সুন্দর মনোরম পরিবেশ ঘুরতে অনেক ভাল লাগে। আর সাথে করে সুন্দরবনের মধু নিয়ে আসবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।

ভাই সুন্দর বনে হরিণ তো দেখলেন। আর হরিণের সাথে খুব সুন্দর একটি ছবি তুলেছেন। তবে ভাই আমাদের জাতীয় পশু কিন্তু এই বনেই থাকে। তার দেখা পেলে আরো ভালো লাগতো। আর আমি শুনছিলাম সুন্দর বনে জল দস্যু থাকে। তবে যাইহোক, আপনার অভিজ্ঞতার কথা জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

ভাইয়া হরিণ দেখছি সেটাও আবার বন্দী অবস্থায়। আমরা বেশি গভীর বনে যায়নি তাই জাতীয় পশু বাঘ আর জল দস্যু দেখতে পারি নাই। দেখলে হয়তো আর পোষ্ট করতে পারতাম না হা হা হা...। ধন্যবাদ ভাইয়া কমন্টে করে পাশে থাকার জন্য।

মংলা পোর্ট থেকে ট্রলারে সুন্দরবন যেতে মোটামুটি ৪৫ মিনিট সময় লাগে। এবং করমজল এখানে আমিও গিয়েছে। আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে হরিণকে ঘাস খাওয়াচ্ছিলেন ঠিক ঐ খানে দাঁড়িয়ে আমিও হরিণদের ঘাস খাইয়ে ছিলাম।আপনার মতোই ঐ মাচা দিয়ে বনের মধ্যে দিয়ে ঘুরেছিলাম। আমার এখনো মনে আছে ২০১৮ সালে গিয়েছিলাম। দারুণ পোস্ট ছিল। স্মৃতিটা মনে করিয়ে দিলেন।।

ভাই আপনিও সুন্দরবনে গিয়েছিলেন সেটা জেনে খুশি হলাম। আমরা অনেক আনন্দ করেছিলাম। আবার যাবো ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ ভাইয়া আশা করি সবসময় পাশে পাবো।

যদিও এখন পর্যন্ত সুন্দরবন এ যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমার মনে নাই। তবে আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাই। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত পার করেছেন আপনি। আরে সুন্দর মুহূর্তটাকে আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।

জী ভাইয়া খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত পার করেছিলাম। আবার যাবো একদিন বড় লঞ্চ অথবা জাহাজে করে ইনশাআল্লাহ। ভাইয়া মূল্যবান সময় খরচ করে অনেক সুন্দর একটি কমন্টে করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে সুন্দরবন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আমরাও বেশ কয়েক মাস আগে সুন্দরবন ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সুন্দরবন আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে বিশেষ করে বনের মধ্যে চার তলা টাওয়ার এর উপরে উঠে চারদিকের পরিবেশ দেখতে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।

জী ভাইয়া বনের মধ্যে চার তলা টাওয়ার এর উপরে আমরা উঠতে পারি নাই। কারণ তৃতীয় তলায় অনেক গুলো মধুর বাসা ছিল। যার কারনে ভয়ে যায়নি। আপনি সুন্দরবন ভ্রমন করেছিলেন জেনে খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া আশা করি সবসময় সাপোর্ট দিবেন।