হ্যালো বন্ধুরা,সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আবার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে মূলত ক্রিকেট খেলা নিয়ে আলোচনা করবো। দুইটি খেলার মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য নিয়ে কিছু কথা বলবো।
বর্তমানে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ব ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩ নিয়ে উন্মেদনায় ভাসছে। সবার নজর এখন ইন্ডিয়ার দিকে। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত সবাই অনলাইনে প্রবেশ করেই ক্রিকেট বিশ্বকাপের খোঁজখবর নেয়। কোন দল কত রান করলো, কোন দেশ কেমন খেললো, এসব নিয়ে চলে জলনা কল্পনা ও আলোচনা। তেমনি ভাবে প্রত্যেকের কর্মস্থলে,বাসস্থানে,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলে আনন্দ উল্লাস। সবাই এ দলের ভুল ধরে ঐ দলের ভুল ধরে। এভাবে খেললে এমন হতো,ওভাবে খেললে এমন হতো। সবাই যেন ক্রিকেট বিশ্লেষক হয় যায়। বিশেষ করে গত কালের দুুইটি ম্যাচ বেশি আলোচনার জন্ম দেয়।
গত কাল সকাল এগারোটায় হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম ধর্মশালাতে বাংলাদেশ বনাম ইংলেন্ডের খেলা শুরু হয়। বাংলাদেশ দলের ক্যাপটেন সাকিব আল হাসান টস জিতে বলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। তখন সবাই সাকিবের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। সবাই তখন চিন্তা করেছিলো ইংলেন্ডকে যদি তিনশো রানের ভিতরে আটকানো যায় তাহলে বাংলাদেশ ব্যাটিং করে সেই রান ক্রস করে জয় তুলে আনতে পারবে। সেই লক্ষ নিয়ে মাঠে নামে টাইগার বাহিনী।
ইংলেন্ড দলের অপেনিং এ ব্যাটিং করতে মাঠে নামে বেয়ারস্টো এবং মালান। প্রথম থেকে তারা মারকুটে হয়ে খেলা শুরু করে। প্রত্যেক অভারেই দুই একটি করে বল ভাউন্ডরীতে পাঠানো শুরু করে দুই ইংলিশ অপেনার। মুস্তাফিজ, শরিফুল,তাসকিন কেউ তাদের নিয়ন্ত্রন করতে পারছিলো না। দলীয় ১১৫ রানে তাদের প্রথম উইকেটের পতন হয়। বেয়ারস্টোকে ৫২ রানে ফেরানো গেলেও মালানকে কিছুতেই আটকানো যাচ্ছিলো না। মালান ১০৭ বল খেলে ১৬টি চার ৫টি ছয় মেরে ১৪০ রান তুলে ক্ষ্যান্ত হয়। মালান যখন আউট হয় তখন দলীয় রান ২৬৬। তারপর জো রোট- ৮২,জজ বাটলার-২০ হ্যারি ব্রুক-২০ রান করে। দুই উইকেট বাকি থাকতে ৫০ অভার বল খেলে সর্বমোট ৩৬৫ রান তুলে মাঠ ছাড়ে ইংলিশরা।
দ্বিতীয় পর্বে রানের পাহাড় মাথায় নিয়ে ব্যাটিং করতে নামে টাইগারদের প্রতিনিধি লিটন দাশ ও তানজিদ হাসান তামিম। ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সাকিব বাহিনী। ২ বল খেলে ১ রান করে সাজ ঘরে ফিরে তানজিদ। তার পর ০ রানে আউট হয় শান্ত। ক্যাপটেন সাকিব আল হাসানও কিছু করতে পারে নি ৯ বল খেলে ১ রান করে মাঠ ছাড়ে। এক পাশ দিয়ে লিটন দাশ ধরে রাখলেও অন্য পাশে তাকে সঙ্গ দেওয়ার কেউ ছিল না। তবে মুশফিক আর তৌহিদ হৃদয় কিছু রান করার কারনে মান সম্মান রক্ষা পেয়েছে। সব শেষে ১০ ইউকেট হারিয়ে ২২৭ রান করতে সক্ষম হয় টাইগার বাহিনী।
গত কাল ২ টার সময় শ্রীলংকা আর পাকিস্তানের দারুন একটি খেলা হয়েছে। শ্রীলংকা প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খায়। চার বলে ০ রান করে মাঠ ছাড়ে কুসল পেরেরা। তারপর ম্যাচের হাল ধরে পথুম নিসাঙ্কা এবং কুসল মেন্ডিস। তারা দুইজন নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং করে। পথুম নিসাঙ্কা ৫১ রান করে আউট হলেও কুসল মেন্ডিস থেকে যায়। তারপর আসে উইকেট রক্ষক সামারাবিক্রমা। এই দুইজন মিলে পাকিস্তানের বলার দের উপর চড়াও হয়। শুধু এই দুই জনই ২৩০ রান যোগ করে। যার ফলে সর্বমোট তাদের রানের সংখ্যা দাড়ায় ৩৪৪। বিশাল বড় একটি রানের পাহাড় করে মাঠ ছাড়ে শ্রীলংকান প্রতিনিধিরা।
দ্বিতীয় পর্বে রানের পাহার মাথায় নিয়ে মাঠে নামে অন্যতম শক্তিশালী দল পাকিস্থান। তবে চার অভার যেতে না যেতেই হোঁচট খায় পাকিস্তান শিবির। মাত্র ১২ বলে ১২ রান করে অপেনার ইমামুল হক ও ১৫ বলে দশ করে সাজ ঘরে ফেরে
ক্যাপটেন বাবর আজম। তখনই পাকিস্তানীদের মন ভেঙ্গে যায়। সবাই মনে করতে লাগলো আজকে পাকিস্থানের কপালে দুঃখ আছে। তবে হাল ছাড়েনি অপর পাশের অপেনার আবদুল্লাহ শফিক। তাকে সঙ্গ দিয়ে যায় ইউকেট রক্ষক মোহাম্মাদ রিজওয়ান। তারা দুই জন মিলে নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং করে। দুই জনই অদম্য সাহস নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকে। অবশেষে তাদের মরনপন লড়ায়ে সুফল দেখা যেতে লাগে। আবদুল্লাহ শফিক ১১৩ রান যোগ করে আউট হলেও বিজয়ের মালা গলায় নিয়ে মাঠে ছাড়ে রিজওয়ান আহমেদ। ১০ বল বাকি থাকতে ৩৪৫ রানের বিশাল বড় পাহাড় টপকে যায় পাকিস্থানের বীর সেনারা। অবশেষে ৪ উইকেটে জয় পায় পাকিস্থান।
মতাতাম-
আমি আজকে দুইটি খেলার সংক্ষিপ্ত আলোচনা উপস্থাপন করলাম। দুইটি খেলার পার্থক্য হলো প্রথমে ব্যাট করে ইংলেন্ড এবং শ্রীলংকা দুই দলই রানের পাহাড় করে। দ্বিতীয় পর্বে যারা খেলবে এত রান দেখে স্বাভাবিক ভাবেই ঘাবড়ে যাবার কথা। এবং সেই কাজ করেছে টিম বাংলাদেশ। কিন্তুু অদম্য শক্তি নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছে পাকিস্তান। পাকিস্থান চিন্তাও করে নাই যে তারা এই খেলাটা জিততে পারবে। কিন্তুু চেষ্টা করার ফলে ঠিকই বিজয় লাভ করেছে। আর বাংলাদেশ রানের পাহাড় দেখে ভয় পেয়ে গেছে। বাংলাদেশের এত গুলো নতুন খেলোয়ার নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি। এসব দেশের সাথে তাদের খেলার কোন অভিজ্ঞতা নেই। অবশেষে অভিনন্দন জানায় পাকিস্থানকে আর সাহস নিয়ে লড়াই করার পরামর্শ থাকলো বাংলাদেশ টিমকে। সবাইকে ধন্যবাদ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit