হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে কেক বানানোর গল্প শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি পড়লে আপনাদের মাঝে কেক বানানোর উৎসাহ বাড়বে।
গত বছর আমাদের অফিস থেকে অনেক কলিগ তাদের ফেমিলি সহ ঈশার খাঁর রাজধানী সোনারগাঁও পিকনিকে গিয়েছিলাম। আমার সাথে আমার ফেমিলিও গিয়েছিল। সেখানে আমার এক কলিগের বউয়ের সাথে আমার ওয়াইফের পরিচয় হয়। দুই জনে একে অপরের মোবাইল নাম্বার নিয়ে নেয়। পিকনিক থেকে ফিরে এসে প্রায় সময় একে অপরের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলতো। মোটামুটি তাদের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী হয়।
হঠাৎ করে একদিন আমার ওয়াইফ বায়না ধরলো যে, সে কেক বানানো শিখবে। আমি বললাম হঠাৎ করে এই চিন্তা মাথায় আসলো কিভাবে। সে বলে আপনার কলিগের বউ অনেক সুন্দর কেক বানাতে পারে। আমি তার কাছ থেকে কেক বানানো শিখতে চাই। আমি বললাম সে তো কেক বানাতে পারতো না,কিভাবে শিখলো..? পরে জানতে পারি সে ইউটিউব দেখে দেখে ঘরে বসেই কেক বানানো শিখেছে। এখন আমি বললাম কেক বানাতে কি কি লাগে...? আমার ওয়াইফ আমাকে জানালো, আমরা একদিন ঐ ভাবির বাসায় গিয়ে সব কিছু দেখে বিস্তারিত জেনে আসবো। আমি মনে মনে চিন্তা করলাম কেক বানানো শিখতে গিয়ে এক্সট্রা অনেক গুলো টাকা খরচ হবে।
যায়হোক পরিস্থিতি ঠান্ডা রাখতে অনেক সময় অনেক কিছু অনিচ্ছা সত্বেও মেনে নিতে হয়। ঐ কলিগের সাথে যোগাযোগ করে, একদিন তার বাসায় গিয়ে হাজির হলাম। আমরা যেদিন তাদের বাসায় গিয়েছি,সেদিন ভাবি উপরের কেকটি বানিয়েছে। কেকটি দেখে আমার কাছে ভালোই লেগেছে। একটি কেক থেকে আমরাও কিছুটা টেষ্ট করলাম। দোকানের কেক থেকে স্বাদ একটু ভালো। দোকনে যে উপকরণ দিয়ে কেক গুলো বানিয়ে থাকে, সে গুলোতে ভেজাল থাকতে পারে। তবে ঘরে বানালে ভেজাল থাকার সম্ভাবনা একে বারে শূণ্য।
আমরা প্রথমে হালকা নাস্তা করলাম। তারপর দেশি ও আর্ন্তজাতিক অনেক বিষয় নিয়ে কথা বললমা। আমার বউ আর ভাবি পাশের রুমে গিয়ে ভাবির মাথায় কেক বানানোর যতরকম আইডিয়া আছে সব গুলো কপি করে নিলো। অবস্থা দেখে এমন মনে হয়েছে যে,আগামীকাল ইংরেজি পরিক্ষা,ভাবির কাছে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন আছে। আর আমরা সেই প্রশ্ন কপি করে নিলাম। বাসায় গিয়ে শুধু উত্তর খুঁজবো,হা হা হা। আমার ওয়াইফ আর ভাবির প্রায় দুই ঘন্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষ হলে তারা বের হয়ে আসে।
তারপর আমি ভাবিকে জিঙ্গেস করলাম কেক বানাতে কি কি উপকরন লাগে। আর সে গুলো কোথায় থেকে আনতে হবে। ভাবি জানায় কেক বানানোর সব উপকরন সে নিউ মার্কেট থেকে এনেছে। তবে সব জাগায় পাওয়া যায়। সব গুলো উপকনের নাম আমার মনে নেই,যে গুলো মনে আছে সেখানে থেকে কয়েকটি লিখলাম। ময়দা,ডিম,চিনি, ব্রেকিং সোডা,ব্রেকিং পাউডার,বাটার,ভেনিলা এসেন্স,গুড়া দুধ সহ আরো অনেক এগুলো যন্ত্রপাতি। সেই যন্ত্রপাতির নাম আমার এখন মনে নেই। তারপর আমরা কেক বানানোর সকল তথ্য ডাইরিতে লিখে চলে আসলাম। আসার সময় রাতটা তাদের বাসায় থাকতে অনেক রিকুয়েষ্ট করে ছিল। তবে আমি ইচ্ছা করেই চলে এসেছি। সেই বাসায় থাকলে রাতে ঘুমাতে পারবো না। সারারাত কেক নিয়েই কথা শুনতে হবে।
এখন শুরু হলো নিউ মার্কেট যাওয়ার গ্যানগ্যনানি। এটা সেটা লিখে প্রায় পঞ্চাশ প্রকারের আইটেম লিখে রেডি করেছে। আর সেই কেক নিয়ে কত প্লান পোগ্রাম হলো। ফেসবুকে পেইজ খুলবে,অনলাইনে কেক সেল দিয়ে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করবে। তবে প্লানের মধ্যে পানি ঢেলে দিলো অনার্স সেকেন্ড ইয়ারের ফাইনাল পরিক্ষার রুটিন। যখন শুনতে পেয়েছে ফাইনাল পরিক্ষার রুটিন দিয়ে দিয়েছে তখন মাথা থেকে কেক বানানোর ভূত চলে গেছে। হয়তো পরিক্ষার পরে আবার সেই ভূত মাথায় প্রবেশ করতে পারে। তখন যদি কেক বানায় তাহলে কেক বানানোর বিস্তারিত রেসিপি শেয়ার করবো। আজকে এপর্যন্তই,আবার দেখা হবে। সবাই ভালো থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | Redmi Not-8 |
শিরোনাম | চেষ্টা করলে নিজের ঘরেই অনেক সুন্দর কেক বানানো যায়।। |
স্থান | সনির আখড়া,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৮ /০৭ /২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাইয়া একবার একটা জিনিস মাথায় আসলে সেটা না হওয়া পর্যন্ত শুধু সেই চিন্তায় থাকে।আসলে বর্তমান ঘরে বসেই সব জিনিস শেখা যায় ইউটিউব দেখে। আমিও প্রায় বানায় কেক । যাইহোক পরবর্তীতে ভাবির হাতে বিভিন্ন ধরনের কেক অবশ্যই দেখতে পাব। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু কেক বানালে অবশ্যই শেয়ার করবো। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইচ্ছা শক্তি দ্বারা অনেক কিছু সম্ভব। ইচ্ছা ছিল বলে এত সুন্দর একটি কেক তৈরি করতে পেরেছে। ভাই কলিগের বইয়ের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিবেন তাহলে কেক বানানোর ভূত মাথায় চাপবে না 😂😂। যাই হোক কোন কিছু বানাতে পারাটা কিন্তু অনেক সৌভাগ্য ব্যাপার। ভাবির আগ্রহ ছিল বলে এত সুন্দর একটি কেক তৈরি করতে পেরেছিল। সত্যি কেকটা কিন্তু দেখতে চমৎকার লাগছে আর খেতে মনে খুব সুস্বাদু হয়েছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া কিভাবে যেন সেই ভাবির সাথে কানেকশন হয়ে গেল বুঝলাম না। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকালকার মেয়েরা কিন্তু ঘরে বসে অনেক কিছু করতেছে। বিশেষ করে আমাদের কক্সবাজারে আমরা পেজ থেকে অর্ডার করে কেক গুলো কিনি। যদি কোন বার্থডে কিংবা অন্য কোন অনুষ্ঠানের জন্য কেকের প্রয়োজন হয়। তাদের ডেকোরেশন এত সুন্দর কালার কম্বিনেশন এত সুন্দর হয় মুগ্ধ হয়ে যায় দেখে। ভাবি খুব সুন্দর একটি পরিকল্পনা করলেন শুনে ভালো লাগলো। যদিও কেক তৈরি করার আইটেম গুলো একটু খরচের বিষয় তা ঠিক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু এখন কেক বানানোর ভূতে ধরেছে। তবে কেক গুলো দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার এক আগের কলিগ আপু বাসায় বেশ দারুণ কেক বানাতে পারতেন। সেগুলো খেতে বাইরের বেকারির থেকেও অনেক বেশি মজার ছিল! আসলেই বাসার কেক গুলো তে তো ভেজাল নেই কোন! ফ্রেশ!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু দোকান থেকে বাসার কেক গুলো বেশি স্বাদ আর ভেজাল মুক্ত থাকে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাড়িতেই কেক বানিয়ে খাওয়া ভালো ভাই। দোকানের কেকে নানা রকমের ভেজাল থাকে। তাছাড়া বাড়িতে কেক সুন্দর করে তৈরি করতে পারলে, দোকানের থেকেও খেতে টেস্টি হয়। আমাদের ভাবির আবদার মেটাতে এবং পরিস্থিতি সামলাতে কলিগের বাড়িতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত কেক বানানো শিখে আসতে হলো আপনাদের! বেশ ইন্টারেস্টিং ব্যাপার তো। ভাই কেক বানিয়ে কিন্তু অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। এটা কিন্তু অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। আমাদের এখানে অনেকেই রয়েছে যারা কেক বানিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করে। পরীক্ষা শেষে নিশ্চয়ই এই কেক বানানোর এই রেসিপি আমরা ভাবির কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া বিষয়টা সত্যিই ইন্টারেস্টিং। দেখা যাক পরিক্ষার পরে কি হয়। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক আছে ভাই দেখেন পরিক্ষার পরে কি হয়। তবে আমরা কিন্তু কেকের রেসিপি দেখার আশা নিয়ে রইলাম ভাই। 🎂
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit