দা কাঁচি ছুরি শান দেওয়ার দারুণ একটি পদ্ধতি।।

in hive-129948 •  3 days ago 

আমার বাংলা ব্লগ
বাংলা ভাষার কমিউনিটি

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি জীবন যুদ্ধে লড়াই করা, এক বাবার গল্প শেয়ার করবো।

মানুষ কত ভাবে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে, সেটা নির্দিষ্ট করে বলা যাবেনা। জীবিকা নির্বাহের জন্য মানুষ তার সাধ্যের ভিতরে সব কাজ করতে পারে। অর্থ ইনকামের জন্য, নিজের ফ্যামিলি ও ছেলে মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য মানুষ সব কাজ করতে পারে। দায়িত্ব অনেক বড় একটি জিনিস। অনেক সময় দায়িত্ব নেওয়ার সময় হওয়ার আগেই, কাঁধে এসে দায়িত্ব পতিত হয়। আর এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মানুষ অনেক পন্থা অবলম্বন করে থাকে। আজকে আমি এক বাবার জীবিকা নির্বাহের একটি পন্থা আপনাদের সাথে তুলে ধরবো।

গতকাল আমি দোকানে গিয়েছিলাম মুরগি কেনার জন্য। গিয়ে দেখি সেখানে এক লোক ছুরি ধার করছে। মানে ছুরি দিয়ে যেন মুরগি তাড়াতাড়ি কাটা যায়, সে জন্য সেজন্য ছুরিতে শান দিচ্ছে। আমরা জানি সাধারণত কামার গণ দা,কাঁচি, ছুরিতে শান দিয়ে থাকে। কিন্তু একটি আধুনিক পদ্ধতিতে ছুরি,দা কাঁচিতে শান দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিটা আমি বেশ কয়েক বছর আগেও দেখেছিলাম। এই পদ্ধতিতে অল্প সময়ের মধ্যে খুব সুন্দর ভাবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মধ্যে শান দেওয়া যায়।

আমি দাঁড়িয়ে থেকে সেই চাচার কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিলাম। আমি প্রথমে চাচার মুখমণ্ডল বাদ দিয়ে ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। কিন্তু চাচা বললেন সামনে এসে আমার সম্পূর্ণ ছবি সহকারে ফটোগ্রাফি করেন। তারপরে সোশ্যাল মিডিয়াতে সেগুলো পোস্ট করবেন। যেন আমাদের ছেলেমেয়েরা এগুলো দেখে বুঝতে পারে, তাদের বাবারা জীবিকা নির্বাহের জন্য কত কষ্ট করে। এত কষ্ট করে টাকা পয়সা দিয়ে ছেলেমেয়েদেরকে আমরা মানুষ করি। অথচ ছেলে মেয়েরা সেগুলো বুঝতে পারে না।

চাচার এই কথাগুলো শুনে তিনির সাথে কথা বলে জানতে পারলাম, তিনির তিন ছেলে এবং দুই মেয়ে রয়েছে। একটি মেয়ে বিবাহ দিয়ে ফেলেছে, আরেকটি মেয়ে স্কুলে পড়ে। আর তিনজন ছেলের মধ্যে দুই ছেলে বিয়ে করে আলাদাভাবে সংসার করছে। আর ছোট ছেলে ওনার সাথে রয়েছে। তিনি ঢাকার রায়েরবাগ এলাকায় টিনশেড একটি বাসা নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন। প্রতিদিন যা ইনকাম হয় সেটা দিয়ে মোটামুটি ভাবে তাদের সংসার চলে যায়।

ছোট ছেলেটাকে স্কুলে পড়তে দিয়েছিল। কিন্তু ছেলেটা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে না। এখানে সেখানে ঘোরাফেরা করে, বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় নষ্ট করে। কিন্তু মেয়েটা পড়াশোনায় অনেক ভালো। প্রতিদিন স্কুলে আসা-যাওয়া করে। উনার স্ত্রী মাঝে মাঝে প্রোডাকশনে ছোট্ট একটি গার্মেন্টসে কাজ করে। মোটামুটি ভাবে তাদের সংসার চলছে।

যে দুই ছেলে বিয়ে করে আলাদা হয়ে গিয়েছে, তারা মা বাবা ভাই বোনের তেমন কোন খেয়াল রাখে না। তারা দুইজন নিজ নিজ সংসার নিয়ে ব্যস্ত। উনার কথা হলো বড় এবং মেজো ছেলে দুইজনের সংসার আছে, তারা হয়তো বাবা মাকে আর্থিকভাবে তেমন কোনো সাহায্য করতে পারে না। কিন্তু তিনির ছোট ছেলেটা তো ইচ্ছা করলে পড়াশোনা না করলে বাবাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে পারে। কিন্তু ছেলেটা নাকি পাড়ার কিছু ছেলেদের সাথে ঘোরাফেরা করে, এখানে সেখানে যাই। আবার নাকি টিকটক বিডিও করে।

লোকটি আমাকে বললেন এই ছবিগুলো যেন ভালভাবে ছড়িয়ে দেয়। যেন উনার ছেলের চোখে পড়ে। আমি ওনাকে বললাম আমি একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে এই ছবিগুলো দিয়ে পোস্ট করে দেবো। হয়তো কোন ভাবে আপনার ছেলে দেখলেও দেখতে পারে। যাই হোক এখানে আমার কথা হলো সন্তানরা যদি মা-বাবার দুঃখ কষ্ট বেদনা এগুলো যদি বুঝতে না পারে, তাহলে বাবা মা-দের মনে অনেক কষ্ট থাকে। প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ের উচিত তাদের বাবা-মায়ের কষ্ট লাঘব করতে যথাসম্ভব চেষ্টা করা। কে কোন ফ্যামিলিতে আছে, ফ্যামিলির অবস্থা, বাবা মায়ের অবস্থা, সবাই সেটা জানে। সুতরাং নিজের অবস্থান অনুযায়ী যথা সম্ভব পরিবারকে সাহায্য করা উচিত।

আজকে এখান থেকে বিদায় নিলাম, সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবার আগামীকাল দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ।

সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।

2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG_20190907_175336_618.JPG

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।

FNeY1coMNUL9WkErUPeUKmtGszS37qoEdLJEhh8bj8LkMZg4ZnLbSCPtsqdFwbPFaU6vxamfJRhKsAXwWBZmAwtf2KFjktn9asDsnKpUF6cbBcNYFzwcTbFb5dfFf7N5Lt5j8KUqpB64Bhu5yFCR9Qn5uG4sQo8t4PYbc7VJq37PW7258mLRbFTrsBTtbAnos9AJnU46Lv3HqXsN7s.gif

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9uuNWjCEgJj5LnknUa3pWA9yop6dT9GDfEUZtz2oDgA9ocMHrCEtkFpngXowo13q8Mn1YvzEMh5bSRg1SNaKSZwbsLwb3YA.png

KNoz79cGRt58XHcjM3shjWsSEtKgRtxoVdChppmw4FvW2CQtZxVJGen4yBCeRMj2Y2h9ttHevCs9rtWncvn3FXAHo5MrkNBCbLay5LtH7wgCA27mBRvWM5GDKNQKzJk62Dz8KRvqdiFsZ66guzvyhyBYqJu6KB21dLiPDmtFGR2yvqBCtUPp3Rscm37PwtDEWYMtuKM5v3qhNod24L.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

HNWT6DgoBc14riaEeLCzGYopkqYBKxpGKqfNWfgr368M9VRjuxKSTKuNvqEk1nfiYiKKnHbcTuABq9Fu2qE77V9BjGsoqkb23ngKUAk2mCBmjpG3wz3go7Vd2YW.png

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png

download-03.png

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য

download-044.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png

Click Here For Join Heroism Discord Server

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81R73dHAE6Ew3WjyveXn6UfQ8ahESLfvvdHjthdnPNKJby2matSBUDur7QMrVroCpwxQmohTSZHpBAXjQT9ZkpEa.png

image.png

image.png

3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3Ce9mzjKNKmBKDNB5bPjytfpGcNzZvsf4kqDNjsgbD5sqJcQmA1hgTqT9wQbCkTa3KEsqrYDBjB.gif

456.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এই পদ্ধতিটা আমিও দেখেছি। এটা কিন্তু ভালো লাগার একটা বিষয়। খুব সহজে এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ধারালো করে নেওয়া যায়। আমি দেখেছি মাঝে মধ্যে এই জাতীয় ব্যবসায়িকেরা গ্রামে গ্রামে আসেনি এবং মানুষের পাত্র গুলো ধার কেটে দিয়ে যান।

জী ভাই তারা গ্রামে, এলাকায়, মহল্লায় গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো শান দেয়। ধন্যবাদ।

  ·  3 days ago (edited)

Task Done
1000004128.png

1000004127.png

1000004126.png

1000004134.png

লোকটি কতটা কষ্ট নিয়ে আপনাকে তার ছবি ভাইরাল করতে বলেছেন তাই চিন্তা করছি। আসলে অনেক ছেলেমেয়েরা আছে বিয়ের পর বাবা-মায়ের তেমন খেয়াল রাখেনা। বাবা-মায়ের কষ্ট তারা বুঝতেই চায় না। প্রতিটি সন্তানের উচিত বাবা-মাকে সব সময় সাহায্য করা।। তার সন্তানেরা এই ছবি দেখবে কিনা জানিনা কিন্তু পোস্টটি পড়ে খুব খারাপ লাগলো।

জী আপু লোকটির কথা শুনে কষ্ট লাগলো। ধন্যবাদ।

দা কাঁচি ছুরি শান দেওয়ার লোকজন বাড়িতে এসে কাজ করে। এখন এই ধরনের লোকজনকে বেশি দেখা যায় না। তবে অনেকদিন পর আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই ব্যক্তিকে দেখতে পেলাম। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজেই যে কোন জিনিস শান করে নেওয়া যায়। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে চমৎকার পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।

জী ভাইয়া এই লোক গুলো এখন কমই দেখা যায়। ধন্যবাদ।